🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚

🌳🌷অপরা একাদশী🌷🌳

🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I হরে কৃষ্ণ, আগামী ১১ ত্রিবিক্রম, ০৮ জ্যৈষ্ঠ, ২৩ মে শুক্রবার কৃষ্ণ - একাদশী, অপরা একাদশীর উপবাস I (পারণ - পরদিন পূর্ব্বাহ্ন ০৯। ২২ মিঃ মধ্যে একাদশীর পারণ)। আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে পালনে উৎসাহিত করুন।

 

🌷শ্রীহরিবাসর তিথি বিধি🌷

প্রশ্ন: কখন শ্রীহরিবাসর তিথি পালনীয় ?

উত্তর: শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর লিখেছেন যে “একাদশীতে অরুণোদয়-বিদ্ধা ত্যাগ এবং অন্যব্রতে সূৰ্য্যোদয়-বিদ্ধা ত্যাগ করিয়া অবিদ্ধা ব্ৰতই পালনীয়। বিদ্ধা-ব্রত পালন দোষ এবং অবিদ্ধা ব্রতপালনেই ভক্তি হয় । শ্রীহরিভক্তিবিলাস মতে বছরের সকল শুদ্ধ (অবিদ্ধা) ব্রত তিথি বিশুদ্ধ সারস্বত গৌড়ীয় পঞ্জিকায় জানা যাবে।

 

প্রশ্ন: শ্রীএকাদশীব্রতের পালন করতে হবে কেন?

উত্তর: ষড়গোস্বামীর অন্যতম মহাজন শ্রীল সনাতন গোস্বামী প্রভু লিখেছেন একাদশীব্রতের নিত্যতার (অবশ্য কর্ত্তব্যতা) চারিটি কারণ,-

তচ্চ কৃষ্ণপ্রীণনদ্বাদ্বিধিপ্রাপ্তত্বত থা I

ভোজনস্য নিষেধাচ্চাকরণে প্রত্যবায়তঃ।।  (শ্রীহরিভক্তিবিলাস: ১২৮৪)

 

“(১) শ্রীকৃষ্ণপ্রীতিহেতু (২) শাস্ত্রীর বিধি থাকায়, (৩) ব্রতদিনে (অন্ন) ভোজন নিষেধ থাকায় এবং (৪) ব্রত অকরণে দোষভাগী হইতে হয়। তিনি তাঁহার নিজ-কৃত ভাষ্য ব্যাখ্যা করেছিলেন যে যদিও ডাকরণে দোষভাগীতা মুখ্য নিত্যতা, তবুও শুদ্ধভক্তগণের পক্ষে শ্রীকৃষ্ণপ্রীতিহেতুতাই পরম মুখ্য, এই কারণে তিনি তাহাই প্রথম লিখেছিলেন এবং আরো বলেছেন,-

 

তন্ত্র ব্রতত্স্য নিত্যদ্বাদবশ্যং তৎ সমাচরেৎ।

সৰ্ব্বপাপাহং সৰ্ব্বার্থদং শ্রীকৃষ্ণতোষণম্ ।।  (শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১২।৩)

অর্থাৎ,- এই শ্রীহরিবাসর-ব্রতের নিত্যতাহেতু সর্ব্বপাপহারী, সর্ব্বফলপ্রদ ও শ্রীকৃষ্ণতোষণ-ব্রত অবশ্য সম্পূর্ণভাবে আচরণ করিবেন।

 

একাদশীব্রতং নাম সৰ্ব্বকামফলপ্ৰদম্ ।

কৰ্ত্তব্যং সৰ্ব্বদা বিপ্রের্বিষ্ণুপ্রীণনকারণম্ ।। (শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১২।৮ সংখ্যায় বৃহন্নারদীয়পূরণ-বাক্য) অর্থাৎ,- "সকল কামফলপ্রদ শ্রীএকাদশীব্রত বিষ্ণু-ভোষণের জন্যই বিপ্লগণের সর্ব্বদা আচরণ করা কর্ত্তব্য”। আনুষঙ্গিক ফলস্বরূপ চতুব্বর্গ ফল (ধৰ্ম্ম, অর্থ, কাম, মোক্ষ) এসে গেলেও ঐকান্তিক শুদ্ধভক্ত ঐ সকল তুচ্ছ ফল অনুরক্ত না হয়ে পঞ্চমপুরুষার্থ প্রেমফল লাভে আগ্রহী হয়ে থাকেন।

 

প্রশ্ন:শ্রীএকাদশীতে অন্ন শস্যাদি গ্রহণ নিষেধ কেন?

উত্তর: শাস্ত্র এই রূপ বলেছেন,-

যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মহত্যাসমানি চ,

অন্নমাশ্ৰিত্য তিষ্ঠন্তি সম্প্রাপ্তে হরিবাসরে।

তানি পাপান্যবাপ্নোতি ভুঞ্জানো হরিবাসরে ।। (শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১২।১৯ সংখ্যায় বৃহন্নারদীয়পূরণ-বাক্য)  অর্থাৎ,- "ব্রহ্মহত্যা ও তৎসম এবং যতকিছু পাপ, শ্রীহরিবাসরদিনে অন্নকে আশ্রয় করে থাকে। সুতরাং একাদশীতে অন্ন ভোজনকারী ব্যক্তি ঐসকল পাপ যুক্ত হয়।

 

সোঽন্নাতি পার্থিবং পাপং যোহম্মোতি মধুভিদিনে।

(শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১২।২০ সংখ্যায় বৃহন্নারদীয়পূরণ-বাক্য)

"যে ব্যক্তি শ্রীহরিবাসরে অন্ন ভোজন করে, সেই ব্যক্তি পৃথিবীর যতকিছু পাপ ভোগ করে।"

মাতৃহা পিতৃহা চৈব ভ্রাতৃহা গুরুহা তথা । 

একাদশ্যান্ত যো ভুঙক্তে  বিষ্ণুলোকাচচ্যুতো ভবেৎ ।। (শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১২।২১ সংখ্যায় বৃহন্নারদীয়পূরণ-বাক্য)  অর্থাৎ,- "যে ব্যক্তি একাদশীতে অন্ন ভোজন করে, সেই ব্যক্তি মাতৃহত্যা, পিতৃহত্যা, ভ্রাতৃহত্যা ও গুরুহত্যার পাপ সকল প্রাপ্ত হয় এবং বিষ্ণুলোকে কখনও গমন করতে পরে না, বা বৈষ্ণবধর্মচ্যুত হওয়ায় বৈষ্ণব সঙ্গ পায় না।" ইত্যাদি শাস্ত্র প্রমাণ অনুসারে শ্রীএকাদশীতে উপবাস করা কর্ত্তব্য।

 

প্রশ্ন: উপবাস কাহাকে বলে?

উত্তর: নিকটে বাস—গৃহকাৰ্য্য-বিষয়কাৰ্যাদি পরিত্যাগ করে ভগবানের নিকটে বাস। যথা,-

উপাবৃত্তস্য পাপেভ্যো যস্তু বাসো গুণৈঃ সহ

উপবাসঃ স বিজ্ঞেয়ঃ সৰ্ব্বভোগবিবৰ্জ্জিতঃ ।। (শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১৩।৩৫ সংখ্যায় বৃহন্নারদীয়পূরণ-বাক্য) অর্থাৎ,- “সকল পাপ হইতে নিবৃত্ত হয়ে সদগুণ সমূহের সহিত যে মনুষ্যের বাস হয়, তাহাকে উপবাস বলে, এই উপবাসে সমস্ত ভোগ বৰ্জ্জিত জানতে হবে।

 

বৈষ্ণবো যদি ভুঞ্জীত একাদশ্যাং প্রমাদতঃ।

বিষ্ণুবর্চ্চনং বৃথা তস্য নরকং ঘোরমাপুয়াত্ ।। (শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১২।৩২ সংখ্যায় ব্রহ্মবৈবর্ত্তপূরণ-বাক্য)  অর্থাৎ,- “বৈষ্ণব যদি ভ্রম বশতঃ একাদশীতে অন্ন ভোজন করে, তবে তাহার বিষ্ণুপূজা বিফল হয় এবং তাহার ভয়ঙ্কর নরক প্রাপ্তি হয়।

 

প্রশ্ন: কিভাবে শ্রীহরিবাসর তিথি পালন করতে হবে?

উত্তর: শ্রীহরিবাসরের মূলকৃত্য শ্রবণ, কীর্ত্তনাদি নববিধা-ভক্তি যজন। যেমন শ্রীমন্মহাপ্রভু বলেন (শ্রীশ্রীপ্রেমবিবর্ত্ত: ১৮৭১০,২১)

শ্রীহরিবাসর-দিনে, কৃষ্ণনামরসপানে,

তৃপ্ত হয় বৈষ্ণবসুজন ।

অন্য রস নাহি লয়, অন্য কথা নাহি কয়,

সর্ব্বভোগ করয়ে বর্জ্জন ।। 

শ্রীনামভজন আর একাদশী ব্রত ।

একতত্ত্ব নিত্য জানি হও তাহে রত ।।

 

শ্রীহরি-বাসরে অধিক কীর্ত্তনদ্বয় করণীয়-সকালে শ্রীহরিবাসরে হরিকীর্ত্তন-বিধান ও রাত্রিতে শুদ্ধ ভকত-চরণ-রেনু ভজন-অনুকূল। শ্রীহরিবাসরে উপবাস এবং পারণ করা কর্তব্য, যেমন,-

প্রসাদভোজন নিত্য, শুদ্ধ বৈষ্ণবের কৃত্য,

অপ্রসাদ না করে ভক্ষণ ।

শুদ্ধা একাদশী যবে, নিরাহার থাকে তবে,

পারণেতে প্রসাদ ভোজন ।।   (প্রেম বিবর্ত্ত)

 

পঞ্জিকায় উল্লিখিত পারণ সময়ের মধ্যে শ্রীএকাদশী ব্রত ভঙ্গের জন্য মহাপ্রসাদাদি গ্রহণ অবশ্য কৰ্ত্তব্য। শ্রীহরিবাসরে যেন সারাদিন সেবা-সাধনে থাকা যায় তার জন্য শাস্ত্র অনুমোদিত অনুকল্প গ্রহণীয়, যেমন,-

অনুকল্প স্থানমাত্র, নিরন্ন প্রসাদপাত্র,

বৈষ্ণবকে জানিহ নিশ্চিত।

অবৈষ্ণব জন যারা, প্রসাদ - ছলেতে তারা,

ভোগে  হয় দিবানিশি রত ।।

 

শ্রীএকাদশীতে অনুকল্প আয়োজন এই রূপ

''অষ্টৈতান্যব্রতঘ্নানি আপো মূলং ফলং পয়ঃ ।

হরিব্রাহ্মণকাম্যা চ গুরোর্বচনমৌষধম্ ।।'' (শ্রীহরিভক্তিবিলাস ১২।১০০ সংখ্যায় মহাভারত-বাক্য)

অর্থাৎ,- “জল, ফল, মূল, দুগ্ধ, ঘৃত ও ব্রাহ্মণ প্রার্থনীয়, গুরুবাক্য ও ঔষধ—এই আটটি ব্রতনাশক হয় না"। শ্রীমঠে ভক্তগণ এইভাবে অনুকল্প গ্রহণ করেন।

 

সকালে—পূর্ণ উপবাস।

মধ্যাহ্নে—লবণ, গোল মরীচ, জীরা, আদা সহ আলু পেপে তরকারি, আলু ভাজা, বিভিন্ন ফল (কলা, শশা আদি),বাদাম, পেপে মিষ্টি আলু পায়েস বা সাগু।

রাত্রিতে—আলু পেপে তরকারি, আলু ভাজা, বাদাম, দুধ।

 

শুধু ঘি, বাদাম তেল, সূর্য্যমুখী তেল ব্যবহার করা যাবে। শস্যযুক্ত কোন দ্রব্য যেমন গুড়া মশলা, ময়দাযুক্ত সাগু ইত্যাদি গ্রহণ করা যাবে না। সেইজন্য ঘরের তৈরী ঘি, ছানা অথবা নারকেল মিষ্টি দ্রব্য গ্রহণ করা যাবে। এই সকল পঞ্চ রবিশস্য অবশ্যই বর্জ্জনীয়—(১) ধান্য অথবা ধান্যজাতীয় দ্রব্য—চাল, চিড়া, মুড়ি প্রভৃতি, (২) গোধূম—আটা, ময়দা প্রভৃতি, (৩) যব—যবের ছাতু, বার্লি প্রভৃতি, (৪) ডাল-মুগ, মসূর, ছোলা, মটর, অড়হর, কলাই, খেসারি প্রভৃতি, (৫) সরিষার তৈল ও তিল তৈল।

 

🏵️অপরা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য🏵️

জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম 'অপরা’। ব্রহ্মাণ্ডপুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই তিথির মাহাত্ম্য বর্ণিত রয়েছে।

 

মহারাজ যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে বললেন,-  হে কৃষ্ণ! জ্যৈষ্ঠ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম কি এবং তার মাহাত্ম্যই বা কি, আমি শুনতে ইচ্ছা করি। আপনি অনুগ্রহ করে তা বর্ণনা করুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন,- হে মহারাজ! মানুষের মঙ্গলের জন্য আপনি খুব ভাল প্রশ্ন করেছেন। বহু পুণ্য প্রদানকারী মহাপাপ বিনাশকারী ও পুত্রদানকারী এই একাদশী ‘অপরা’ নামে খ্যাত। এই ব্রত পালনকারী ব্যক্তি জগতে প্রসিদ্ধি লাভ করেন। ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা, ভ্রুণহত্যা, পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন, মিথ্যাভাষণ প্রভৃতি গুরুতর পাপ এই ব্রত পালনে নষ্ট হয়ে যায়। যারা মিথ্যাসাক্ষ্যদান করেন, ওজন বিষয়ে ছলনা করেন, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করেন, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা ও মিথ্যা চিকিৎসায় রত থাকেন, তারা সকলেই নরক যাতনা ভোগ করেন। এ সমস্ত ব্যক্তিরাও যদি এই ব্রত পালন করেন, তবে তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন।

 

ক্ষত্রিয় যদি স্বধর্ম ত্যাগ করে যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে যায়, তবে সে ঘোরতর নরকগামী হয়। কিন্তু সেও এই ব্রত পালনে মুক্ত হয়ে স্বর্গগতি লাভ করেন। মকররাশিতে সূর্য অবস্থানকালে মাঘ মাসে প্রয়াগ স্নানে যে ফল লাভ হয়, শিবরাত্রিতে কাশীধামে উপবাস করলে যে পুণ্য হয়, গয়াধামে বিষ্ণুপাদপদ্মে পিণ্ডদানে যে ফল পাওয়া যায়, সিংহরাশিতে বৃহস্পতির অবস্থানে গৌতম নদীতে স্নানে, কুম্ভে কেদারনাথ দর্শনে, বদরিকাশ্রম যাত্রায় ও বদ্রীনারায়ণ সেবায়, সূর্যগ্রহণে কুরুক্ষেত্রে স্নানে, হাতি, ঘোড়া, স্বর্ণ দানে এবং দক্ষিণাসহ যজ্ঞ সম্পাদনে যে ফল লাভ হয়, এই ব্রত পালন করলে অনায়াসে সেই ফল লাভ হয়ে থাকে।

 

এই অপরা ব্রত পাপরূপ বৃক্ষের কুঠার স্বরূপ, পাপরূপ কাষ্ঠের দাবাগ্নির মতো; পাপরূপ অন্ধকারে সূর্যসদৃশ এবং পাপহস্তির সিংহস্বরূপ। এই ব্রত পালন না করে যে ব্যক্তি জীবন ধারণ করেন,  জলে বুদবুদের মতো তাদের জন্ম- মৃত্যুই কেবল সার হয়। অপরা একাদশীতে উপবাস করে বিষ্ণুপূজা করলে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।

 

★★★সবাইকে অনুরোধ রইল অবশ্যই মনে রাখবেন যে, একাদশী ব্রত বা কোন উপবাস মানেই কিন্তু শুধু না খেয়ে থাকা নয়,বরং শুদ্ধ/পবিত্র দেহ,মন নিয়ে ব্রত/উপবাস রেখে নিরন্তর "ভগবানের নাম জপ" হরিকথা শ্রবণ, কীর্ত্তন,গীতাপাঠ করে "ভগবান কে প্রসন্ন/খুশি করাই  ব্রত/উপবাসের মূল উদ্দেশ্য"★★★

‘’একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।

প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।‘’

 

এই মন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে পারণ করতে হয়।

গীতার মাহাত্ম্যে উল্লেখ আছে…

‘’যোহধীতে বিষ্ণুপর্বাহে গীতাং শ্রীহরিবাসরে।

স্বপন জাগ্রৎ চলন তিষ্ঠন শত্রুভির্ন স হীয়তে।।‘’

অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণুর উৎসবের দিনে, একাদশী ও জন্মাষ্টমীতে যিনি গীতা পাঠ করেন , তিনি চলুন বা দাড়িয়ে থাকুন, ঘুমিয়ে বা জেগে থাকুন,(যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন) শত্রু কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

 

জয় জয় হরিনাম,  চিদানন্দামৃতধাম,

পরতত্ত্ব অক্ষর-আকার।

নিজ-জনে কৃপা করি’,  নাম-রূপে অবতরি’,

জীবে দয়া করিলে অপার ।।

 

জয় হরি - কৃষ্ণ - রাম    জগজন - সুবিশ্রাম,

সর্বজন - মানস - রঞ্জন।

মুনিবৃন্দ নিরন্তর,  যে নামের সমাদর,

করি’ গায় ভরিয়া বদন ।।

 

ওহে কৃষ্ণনামাক্ষর,  তুমি সর্বশক্তিধর,

জীবের কল্যাণ - বিতরণে।

তোমা বিনা ভবসিন্ধু,  উদ্ধারিতে নাহি বন্ধু,

আসিয়াছ জীব-উদ্ধারণে ।।

 

আছে তাপ জীবে যত,  তুমি সব কর হত,

হেলায় তোমারে একবার।

ডাকে যদি কোনো জন,  হ’য়ে দীন অকিঞ্চন,

নাহি দেখি’ অন্য প্রতিকার ।।

 

তব স্বল্প-স্ফূর্তি পায়,  উগ্রতাপ দূরে যায়,

লিঙ্গ-ভঙ্গ হয় অনায়াসে।  

ভকতিবিনোদ কয়,  জয় হরিনাম জয়,

প'ড়ে থাকি তুয়া পদ-আশে ।।

♥জয় শ্রীকৃষ্ণের জয়♥জয় শ্রীএকাদশী মহাব্রতের জয়♥