🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚

🌷শ্রীগঙ্গা দশহরা🌷

🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚

💐শুভ শ্রীগঙ্গা পূজা💐

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম। হরে কৃষ্ণ, আগামী ১৬/০৬/২০২৪ ইং রোজ - রবিবার গৌর - দশমী। শ্রীগঙ্গা নদীর শুভ অবতরণ তিথি শ্রীগঙ্গা পূজা। সকল ভক্তবৃন্দকে জানাই অগ্রিম কৃষ্ণপ্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

 

শ্রীগঙ্গা-বন্দনা

 

প্রভু-ক্রীড়াপাত্রীমমৃত-রসগাত্রীমৃষিঘটা-

শিব-ব্রহ্মেন্দ্রীদীড়িত-মহিত-মাহাত্ম্য-মুখরাম্।

লসৎ-কিঞ্জল্কাম্ভোজনি-মধুপ-গর্ভোরু-করুণা-

মহং বন্দে গঙ্গামঘ-নিকর-ভঙ্গা-জলকণাম্ ।।

 

‘’নিম্নগানাং যথা গঙ্গা   দেবানামচ্যুতো যথা । 

বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভুঃ  পুরাণানামিদং তথা ।।‘’      ( ভা. ১২ - ১৩/১৬ )

অর্থাৎ,- নদীগণের মধ্যে গঙ্গা, দেবগণের মধ্যে বিষ্ণু এবং বৈষ্ণবগণের মধ্যে শম্ভু সর্ব্ব শ্রেষ্ঠ, সেইরূপ পুরাণগণের মধ্যে শ্রীমদ্ভাগবত শ্রেষ্ঠ হইয়া থাকে।

 

শুক্লপক্ষস্য দশমী জ্যৈষ্ঠে মাসি দ্বিজোত্তম ।

হরতে দশ পাপানি তস্মাদ্দশহরা স্মৃতা ।।

অর্থাৎ,- জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লপক্ষের দশমী দশবিধ পাপ হরণ করে বলিয়া ইহার নাম দশহরা। দশহরাতে গঙ্গাস্নান করিলে দশবিধ পাপ বিনষ্ট হয়।

 

জ্যৈষ্ঠে মাসি সিতে পক্ষে দশম্যাং হস্তযোগতঃ ।

দশজন্মাবহা গঙ্গা দশপাপহরা স্মৃতা ।।

অর্থাৎ,- জ্যৈষ্ঠমাসের শুক্লপক্ষীয় দশমীতে যদি হস্তা নক্ষত্রের যোগ হয়, তবে সেই দিনে গঙ্গাস্নান করিলে দশজন্মার্জিত দশবিধ পাপ বিনষ্ট হয়। (ব্রহ্মপুরাণ)

 

দশজন্মের পাপ কাটাতে যা যা করবেন,-

গঙ্গা কলিযুগে পরম তীর্থ। বিশেষ করে সব শাস্ত্রই এই কথা বলে। মহাভারতে ঋষি পুলস্ত্য, ভীস্মের নিকট কীর্ত্তন করেছেন,- 'যেখানে গঙ্গা আছেন সেটাই দেশ, গঙ্গা তীরের সেই দেশই তপোবন ও সিদ্ধ তীর্থ' আর্য্যদের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থেও 'গঙ্গা' নাম উল্লেখ আছে। গঙ্গা বৈদিকী নদী। ঋক্ বেদের একটি শ্লোকে যমুনা, সরস্বতী, শতদ্রু, পরুষ্ণী, অসিক্লী , মরুৎবৃধা, বিতস্তা, সুষোমা ও আর্জীকিয়া নদীর সাথে গঙ্গার নাম পাওয়া যায়। পুরাণ মতে স্বর্গ বাসিনী এই গঙ্গা দেবীকে মর্তে এনেছিলেন সগর রাজার বংশজ রাজা ভগীরথ। তিনি আবার ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের কূলের পূর্বপুরুষ। পৌরাণিক আখ্যানের মতে সগর রাজার ষাট হাজার পুত্র কপিল মুনির শাপে ভস্ম হয়, তাহাদিগের প্রেতাত্মার মুক্তির জন্য স্বর্গ থেকে গঙ্গা কে আনবার প্রয়োজন হয়।

 

তপস্যা করতে করতে একে একে করে রাজা সগর, অসমঞ্জ, অংশুমান ও রাজা দিলীপ দেহ ত্যাগ করেন। অবশেষে দিলীপ পুত্র ভগীরথ সুর্য্যবংশের রাজা সগরের ৬০ হাজার পুত্রদের উদ্ধারের জন্য, ভগীরথ শ্রীব্রহ্মার কঠোর তপস্যা করে পতিতপাবনী গঙ্গাকে পৃথিবীতে আনেন। ভগীরথ এনেছে বলে মা গঙ্গার নাম ভাগীরথী। গঙ্গার প্রচণ্ড বেগকে পৃথিবীদেবী সরাসরি সহ্য করতে পারবে না তাই ব্রহ্মার আদেশে ভগীরথ মহাদেব শিবের তপস্যা করেন ধরণীমাতার এই বেগ ধারণ করতে।  মহাদেব মাতা ভাগীরথীকে জটায় ধারণ করে গঙ্গাধর নামে বিখ্যাত হন। গঙ্গাকে মহাদেব, জটা থেকে বের করে পৃথিবীতে গঙ্গা অবতীর্ণ হয়।

 

গঙ্গোত্রী হয়ে গঙ্গা যেখানে অলকানন্দার সহিত মিলিত হয়েছেন সে স্থানের নাম দেব প্রয়াগ । গঙ্গা হরিদ্বারে, তারপরে যেখানে যমুনা ও গুপ্তা সরস্বতীর সাথে মিলিত হয়েছেন সে স্থানের নাম ‘প্রয়াগ’ বা ‘ত্রিবেণীসঙ্গম’। গঙ্গার সহিত গোমতী, ঘর্ঘরা, শোন, বরুণা, অসি, গণ্ডকী, কুশী, রূপনারায়ন ইত্যাদি বহু নদ নদী মিলিত হয়েছেন। গঙ্গা আসার সময়,জহ্নুমুনির লতা পাতার আশ্রমকে নিজের প্রচণ্ড স্রোতে বয়ে নিয়ে, তাই   জহ্নুমুনি ক্রোধে গঙ্গাকে মুখে গ্রহণ করেন। ভগীরথের প্রার্থনায় জহ্নুমুনি গঙ্গা দেবীকে ডান কান থেকে বের করেন। জহ্নু মুনির থেকে বের হয়ে মাতা গঙ্গা জহ্নু কন্যা জাহ্নবী নামে বিখ্যাত হন।

 

উত্তর ভারতের বহু তীর্থ যেমন হরিদ্বার, প্রয়াগ, কাশী, নবদ্বীপ, দক্ষিণেশ্বর, কালীঘাট তীর্থ গঙ্গার ধারেই। গঙ্গা পাপানাশিনী, কলির কলুষ নাশিনী।  জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লা দশমী তিথিকে গঙ্গাদশহরা বলা হয়। এই তিথি পূর্ব দশজন্মের কৃত পাপ এবং এ জন্মের দশটি পাপ হরণ করে। দশটি পাপের তালিকায় যে অবৈধ কর্মের উল্লেখ রয়েছে, তাতে অপরাধ ও পাপ একসঙ্গে মিশে রয়েছে। পাপে ও অপরাধে পার্থক্য যাই থাক, মানুষ স্বভাব বশে ও স্বার্থের কারণে প্রতিদিন এই সব মন্দ কাজ করে চলেছে। জেনে বা না জেনে মানুষ দুষ্কর্ম করছে, দুষ্কর্মের বিরাম নেই, পাপ কর্মেরও শেষ নেই।

 

পাপের হাত থেকে কি আমাদের মুক্তি নেই???

সনাতন ধর্মশাস্ত্র অভয় দিয়ে বলে, নিশ্চয়ই রয়েছে। শুভকাজে অশুভ কর্মের বিনাশ, পূণ্যকর্মে পাপের ক্ষয়। যোগ, যাগযজ্ঞ, পূজো, অর্চনা, ব্রত, নিয়ম সবই পাপ বিনাশ করে। দশ পাপ হরা দশহরা এমনই পুণ্য তিথি। বঙ্গের প্রাচীন শাস্ত্রকারেরা পুণ্য তিথিগুলির মধ্যে দশহরার উল্লেখ করেছেন। জীমূতবাহন, রায়মুকুট, বৃহস্পতি ও রঘুনন্দন প্রমুখ পণ্ডিতবর্গ জ্যৈষ্ঠ্য শুক্লা দশমী তিথিতে দশহরাকে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছেন। বৈদিক যুগের কোনও এক সময়ে দশহরা তিথি থেকেই বৎসর গণনা আরম্ভ হতো। দশহরা সেদিন নববর্ষের মর্যাদা পেত। দশহরার প্রধান ধর্মীয় কর্ম গঙ্গায় স্নান। কারণ, এই তিথিতেই গঙ্গা মর্ত্যলোকে নেমে এসেছিলেন। তিনি এই তিথিতে দশবিধ পাপ হরণ করেন।

 

দশবিধ পাপ কি???

সাধারণত মানুষ কায় বা দেহ,মনে ও বাক্যের দ্বারা পাপ করতে থাকে। পরদ্রব্য হরণ, অযথা হিংসা অর্থাৎ বৃথা প্রাণী হত্যা ও পরদার গমন অর্থাৎ অবৈধ প্রণয়, এই তিনটি দেহগত পাপ।

 

অহংকারী বাক্য, মিথ্যা কথা বলা, পরনিন্দা এবং অসংবদ্ধ প্রলাপ বা বাজে বকা, এই চারটি বাক্যগত পাপ।

 

মনে মনে পরের দ্রব্যের কামনা, পরের অনিষ্ট চিন্তা এবং মিথ্যার প্রতি আসক্তি,  এই তিনটি মানসিক পাপ।

 

স্কন্ধপুরাণ অনুযায়ী, এই দিনে গঙ্গায় স্নান করে গঙ্গাকে দশটি ফুল, দশটি ফল ও দশটি প্রদীপ দিয়ে পুজো করার কথা বলা হয়েছে।

 

একটি পৌরাণিক কথা আছে কাণ্ডার নামে একজন মুনি ছিলেন। তার মত পাপী এই ত্রিভুবনে কেউ ছিলনা। সারাজীবন মুনি বৈশ্যসেবা করেন, বেশ্যার বশীভূত হয়ে ঘরে থাকেন। কাঠ কাটতে বনে যাওয়ার সময় কাণ্ডার মুনিকে বাঘ মেরে ফেলল। যমদূত এসে তাকে বেঁধে নিয়ে যাচ্ছিল যমের ঘরে। বাঘ তো মাংস সব খেয়ে নিল গায়ের কেবল বনের মধ্যে অস্থি পড়ে রইল। কাক এই অস্থি নিয়ে যায়, তখন এক চিল কাকের পিছনে দৌঁড়াতে থাকে। চিলের সঙ্গে কাড়াকাড়ি করতে গিয়ে কাক ভয়ে অস্থিগুলো ফেলে দিয়ে উড়ে যায়, কোন কারণে সেই অস্থিগুলো গঙ্গায় পড়ে যায়।

 

 

গঙ্গার পরশ পেতেই মুনি দিব্য রূপ ধারণ করেন, তখন বৈকুন্ঠদূত এসে যমদূতদের থেকে মুনিকে নিয়ে বৈকুন্ঠে চলেযান। যমদূতরা যমরাজের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা  করেন কাণ্ডার মুনি মহাপাপী, এত পাপ করে সে তো নরকে আসার কথা, কেন সে বৈকুন্ঠে গেল। তার কি গুণ সে বৈকুন্ঠ যাচ্ছে। যমদূতের কথা শুনে যম গেল হরির কাছে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করতে। বৈকুন্ঠে গিয়ে যমরাজ বলিলেন,- প্রভু! পাপীর উপর আমার অধিকার, কাণ্ডারের মত মহাপাপীর সাথে এটা কি হল প্রভু।

 

যমের কথায় প্রভু হাঁসতে লাগলেন। শ্রীহরি বললেন,- হে যমরাজ এটা গঙ্গার মহিমা। গঙ্গা যেখানে, সেখানে কোন পাপ থাকেনা। মন দিয়ে শুন যম গঙ্গার মহিমা। গঙ্গার বাতাস যতদূর যাবে ততদূর যম, তোমার যমপাশের কোন অধিকার নেই, এটা আমার কথা। কেউ যদি পুড়ে মরে আর তার অস্থি যদি গঙ্গায় ফেলা যায়, সে চর্তুর্ভুজ হয়ে বৈকুন্ঠে আসবে। গঙ্গার তীরে থেকে যে গঙ্গার জল পান করেন তার শরীর আমার সমান। তুমি তোমার দূতদের সেখানে যেতে মানা করবে যেখানে আছে পতিতপাবনী গঙ্গার পরশ।

 

গঙ্গা স্নানের মন্ত্রাবলী:

নাভিসম জলে স্রোতের দিকে মুখ করে বা স্রোতহীন জলে সূর্যের দিকে মুখ করে একবার ডুব দিয়ে/আচমন করে নিম্নলিখিত মন্ত্র:

 

আত্মশুদ্ধি:

ওঁ অপবিত্ৰ পবিত্রবা সর্বাবস্থাং গতোঽপি বা।

যঃ স্মরেৎ পুণ্ডরীকাক্ষং স বাহ্য অভ্যন্তরঃ শুচি ।। 

পাপোহং পাপ কর্মাহং পাপাত্মা পাপ সম্ভাবান্ ।

ত্রাহি  মানং পুণ্ডরীকাক্ষং সর্ব পাপো হরো হরি ।।

 

শ্রীগুরু প্রণাম: নমো ওঁ বিষ্ণুপাদায়----(নিজের গুরুদেবের প্রণাম মংত্র বলিবেন )

হাতজোড় করে পাঠ করবেন:

কুরুক্ষেত্র গয়া গঙ্গা প্রভাসপুষ্করাণি চ ।

তীর্থান্যেতানি পুণ্যানি স্নানকালে ভবন্তিহ ।।

 

স্নান সংকল্প :

ওঁ বিষ্ণুরোম তৎসদদ্য জ্যৈষ্ঠে মাসি শুক্লে পক্ষে দশম্যাস্তিথৌ (হস্তানক্ষত্রযুক্তদশম্যাস্তিথৌ) অচ্যুত গোত্রস্য---দাস/দাসী ( নিজের নাম আর গোত্র ) শ্ৰীকৃষ্ণপ্রীতি কামঃ শ্রীগঙ্গাদেবী প্রীত্যর্থে দশবিধ পাপক্ষয়কামো গঙ্গায়াং স্নানমহং করিষ্যে।

 

গঙ্গা প্রণাম:

সদ্য পাতক সংহন্ত্রী সদ্যোদুঃখ বিনাশিনী।

সুখদা মোক্ষদা গঙ্গা গঙ্গৈব পরমাগতি ।।

নমস্তে দেবদেবেশি গঙ্গে ত্রিপথস গামিনী।

ত্রিলোচনে শ্বেতরূপে ব্ৰহ্মাবিষ্ণু শিবাৰ্চিতে ।।

 

গঙ্গানাম কীর্তনে গঙ্গার আগমণ - প্রার্থনা:

নন্দিনীতি চ তে নাম বেদেষু নলিনীতি চ।

দক্ষা-পৃথ্বি-বিরদ-গঙ্গা-বিশ্বকায়া-শিবামৃতা ।।

বিদ্যাধরী-মহাদেবী তথা লোক প্রসাদিনী ।

ক্ষেমঙ্করী জাহ্নবী চ শান্তা শান্তি প্রদায়িনী ।।

এতানি পূণ্যনামানি স্নানকালে প্ৰকীৰ্ত্তয়েত্ ।।

 

গঙ্গা জল স্পর্শ:

ওঁ স্মৃতাসি গঙ্গে দৃষ্টাসি স্পর্শামি তাং মহেশ্বরীম্ ।

বিষ্ণুদেহ দ্রবাকারে প্রসীদে জগদাম্বিকে ।।

ওঁ গঙ্গে চ যমুনে চৈব গোদাবরী সরস্বতী ।

নর্মদে সিন্ধু কাবেরি জলেহস্মিন্ সন্নিধিং কুরু ।।

 

স্নান মন্ত্র:

ওঁ বিষ্ণুপাদ প্রসূতাসি বৈষ্ণবী বিষ্ণুদেবতা।

ত্রাহি নস্ত্বেন সঃ তম্মাদাজন্ম মরনান্তিকাৎ ।।

('ওঁ নারায়ণায় নমঃ' বলে ৪ বার মাথায় জল নিয়ে শ্রীকৃষ্ণের চরণ স্মরণ করে স্নান করা কর্তব্য)

 

মন, তুমি তীর্থে সদা রত ।

অযোধ্যা, মথুরা, মায়া,    কাশী, কাঞ্চী, অবন্তিয়া,

দ্বারাবতী, আর আছে যত ।।

 

তুমি চাহ ভ্রমিবারে    এ সকল বারে বারে,

মুক্তিলাভ করিবার তরে।

সে কেবল তব ভ্রম,    নিরর্থক পরিশ্রম,

চিত্ত স্থির তীর্থে নাহি করে ।।

 

তীর্থফল সাধুসঙ্গ,    সাধুসঙ্গে অন্তরঙ্গ

শ্রীকৃষ্ণভজন মনোহর।

যথা সাধু তথা তীর্থ,    স্থির করি' নিজ চিত্ত,

সাধুসঙ্গ কর নিরন্তর ।।

 

যে তীর্থে বৈষ্ণব নাই,    সে তীর্থেতে নাহি যাই,

কি লাভ হাঁটিয়া দূরদেশ।

যথায় বৈষ্ণবগণ,    সেই স্থান বৃন্দাবন;

সেই স্থানে আনন্দ অশেষ।।

 

কৃষ্ণভক্তি যেই স্থানে,    মুক্তিদাসী সেইখানে,

সলিল তথায় মন্দাকিনী।

গিরি তথা গোবর্দ্ধন,    ভূমি তথা বৃন্দাবন,

আবির্ভূতা আপনি হ্লাদিনী ।।

 

বিনোদ কহিছে,    ভাই! ভ্রমিয়া কি ফল পাই!

বৈষ্ণব-সেবন মোর ব্রত।।

💞হর হর গঙ্গে 💞জয় মা জাহ্নবী💞জয় মা ভাগীরথী 💞