Saturday, April 9, 2022

💐🏵️💞🌺��🌺💞🏵️💐

🌷🌻বৈষ্ণবের ব্যাসপূজা🌷

💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I হরে কৃষ্ণ, হরে কৃষ্ণ, আগামী ১০ এপ্রিল, ২৬ চৈত্র রবিবার, বিশেষ শুভদা তিথি। পরম ভাগবতবর শ্রীল ভক্তিদয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজের অন্তরঙ্গ পার্ষদ, বিশ্বব্যাপী শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয় মঠের পূর্বতন আচার্য্য, বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার সভাপতি, গৌড়ীয় সিংহ পুরুষ খ্যাত মহাতেজস্বী বৈষ্ণব মহাজন, গৌড়ীয় বৈষ্ণব গগনের উজ্জ্বল নক্ষত্রমণি, বৈষ্ণবকুল চূড়ামণি পরমারাধ্যতম, পতিত-পাবন, পরম করুণাময়, শ্রীনিত্যানন্দের - অভিন্ন - প্রকাশ, ভগবত - জ্ঞান - প্রদাতা ভগবানের - সেবায় - অধিকার – প্রদানকারি, অস্মদীয় গুরুপাদপদ্ম, নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডি স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিবল্লভ তীর্থ গোস্বামী গুরু মহারাজের শুভ আবির্ভাব তিথি পূজা।

 

শ্রী শ্রীমদ্ভক্তিবল্লভ তীর্থ গোস্বামী গুরুমহারাজের উপদেশাবলী:-

শ্রীভগবানের তদ্ভক্তের শুভাবির্ভাব তিরোভাব তিথিদ্বয় মহোৎসব রূপে পালন করিলে অথবা যেখানে পালিত হয়, সেখানে যোগদান করিলে আধ্যাত্ম জীবনের উন্নয়ন বিষয়ে অনুরাগ ক্রমশঃ বর্ধিত হয়।

‘’জন্ম কর্ম মে দিব্যম এবম যো বেত্তি তত্ত্বতঃ

ত্যত্ত্বা দেহম পুনর্জন্ম নৈতি মামেতি সঃ অর্জুন ।।‘’ (গীতা- /)

অর্থাৎ,- হে অর্জুন, যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন, তাঁকে আর দেহ ত্যাগ করার পর পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হয় না, তিনি আমার নিত্যধাম লাভ করে।

 

শ্রীভগবান তদ্ভক্তের জন্য যে সময়, অর্থ দৈহিক কষ্ট স্বীকার করি, তাহা নিত্য ভগবদ্ধামে সঞ্চিত থাকে। আমাদের শক্তি সামর্থ্য যাহা কিছু ভগবদুদ্দেশ্যে ব্যয়িত হয়, তাহার সুফল আমরা আগামী জীবনে লাভ করিতে পারি ।

''তোমার সেবায় দুঃখ হয় যত, সেই পরম সুখ ।

সেবা সুখ দুঃখ পরম সম্পদ, নাশয়ে অবিদ্যা দুঃখ ।।''

 

. শ্রীচৈতন্যমহাপ্রভুর শিক্ষাষ্টকে লিখিত  ‘পরং বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণসংকীর্ত্তনম' গৌড়ীয়মঠের একমাত্র উপাস্য।

. পরমপুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণই একমাত্র ভোক্তা। তদ্বিতীয়  সবকিছুই তাঁর ভোগ্যবস্তু।

. শ্রীহরি ভজনকারী ব্যতীত সকলেই নির্বোধ আত্মঘাতী। 

. সহ্য করিতে শেখা বৈষ্ণব মাত্রই একটি প্রধান কার্য্য।

. শ্রীরুপানুগ ভক্তগণ তাঁদের নিজ শক্তিমত্তায় নির্ভর করার পরিবর্তে আদি উৎসকে সব প্রশংসা নিবেদন করেন।

. প্রকৃত শ্রীহরিনাম সিদ্ধ মহাপুরুষ শুদ্ধ বৈষ্ণবের নিকট হইতে শ্রীহরিনাম গ্রহণ ভগবানের সাক্ষাৎকার দুই' একই।

. যাহারা পাঁচ মিশাল ধর্ম্ম যাজন করে; তাহারা ভগবানের সেবা করিতে পারে না।

. সকলে মিলিয়া মিশিয়া এক তাৎপর্য্যপর হইয়া হরিসেবা করুন।

. যেখানে হরিকথা; সেখানেই সকল তীর্থ।

১০. আমরা সৎকৰ্ম্মী, কুকৰ্ম্মী বা জ্ঞানী - অজ্ঞানী নহে, আমরা অকৈতব হরিজনের  পাদত্ৰাণবাহী, ''কীর্ত্তনীয়া সদা হরিঃ'' মন্ত্রে দীক্ষিত।

১১. পর স্বভাবের কোন প্রকার নিন্দা বা প্রশংসা না করিয়া নিজের আত্ম সমীক্ষা বা আত্ম সংশোধন করিবেন, তাহাতে পরম মঙ্গল হইবে, ইহাই আমার উদ্দেশ্য।  

১২.মহাপ্রভুর নীতির মধ্যে ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশ্য, শুদ্র যবন নীতি দেখিতে পাই না। তাঁহার প্রচারিত বাক্য হইতে বুঝিতে পারি, তিনি ঋষি - নীতির সর্ব্বোচ্চ শৃঙ্গ অবলম্বন করিয়াছিলেন। আমরাও সেই পদানুসরণে ব্রহ্মনীতি ভাগবত নীতি অবলম্বন করিব।

১৩. মাথুর - বিরহ - কাতর - ব্রজবাসীগণের সেবা করাই আমাদের পরম ধর্ম্ম।

১৪. মহাভাগবৎ জানেন, সকলেই তাঁহার গুরু,তজ্জন্য মহাভাগবতই একমাত্র জগদ্গুরু।

১৫. যদি শ্রেয়পথ সত্যিকারের চাই, তাহা হইলে আমাদের অসংখ্য জনমত পরিত্যাগ করিয়াও শ্রৌতবাণী শ্রীমহাভাগবতের মুখে শ্রীমদ্ভাগবত শ্রবণ করাই একান্ত বাঞ্ছনীয়।

১৬. শ্রেয় বস্তুই প্রাপ্তি হওয়া উচিত।

১৭. শ্রীরূপানুগগণের কৈঙ্কর্য্য ব্যতীত অন্তরঙ্গ ভক্তের আর কোন লালসা নাই।

১৮. বিষ্ণুভক্ত শুদ্ধ বৈষ্ণব গুরুর আজ্ঞা পালন করিতে যদি আমাকে 'দাম্ভিক' হইতে হয়, 'পশু' হইতে হয় বা অনন্তকাল নরকে যাইতে হয়, আমি অনন্তকালের জন্য চুক্তি করিয়া সেইরূপ নরকে যাইতে চাই। কিন্তু অন্যান্য সমস্ত লোকের চিন্তাস্রোত গুরুপাদপদ্মের বলে মুষ্ট্যাঘাতে বিদূরিত করিব আমি এতদূর দাম্ভিক।

১৯. নির্গুণ পরমব্রহ্ম বস্তুর সহিত সাক্ষাৎকারের অন্য কোন রাস্তা নাই - একমাত্র কান ছাড়া, শ্রৌত পথেই তাঁহার দর্শন হয়।

২০.যে মূহুর্ত্ত্যে আমাদের কোন রক্ষাকর্ত্তা থাকিবেন না, সেই মুহুর্ত্ত্যেই আমাদের পারিপার্শ্বিক সকল বস্তু শত্রু  হইয়া আমাদিগকে আক্রমণ করিবে। প্রকৃত সাধুর মুখে হরিনামই আমাদের একমাত্র রক্ষাকর্ত্তা।

২১. পশু, পক্ষী, কীট, পতঙ্গ প্রভৃতি লক্ষ লক্ষ যোনিতে থাকা ভাল, তথাপি কপটতা আশ্রয় করা ভাল নহে। কপটতা রহিত ব্যক্তিরই মঙ্গল হয়।

২২. ভগবানের দয়া বা কৃপা নিতান্ত উদার সরল ব্যক্তি লাভ করেন। কিন্তু চতুর কপট ব্যক্তি পায় না।

২৩. সরলতার অপর নামই বৈষ্ণবতা; পরমহংস বৈষ্ণবের দাসগণ সরল, তাই তাঁহারাই সর্ব্বোৎকৃষ্ট ব্রাহ্মণ।

২৪. জীবের বিপরীত রুচিকে অর্থাৎ শ্রীহরির ভজন বিমুখ বৃত্তিকে পরিবর্ত্তনের চিকিৎসা করিয়া শ্রীহরির ভজন উন্মুখী করাই সর্ব্বাপেক্ষা দয়াময়গনের একমাত্র কর্ত্তব্য। মহামায়ার দুর্গের মধ্য থেকে একটি মানুষকে যদি বাঁচাইতে পার, তাহা হইলে অনন্তকোটি হাসপাতাল করা অপেক্ষা তাহাতে অনন্তগুণ দয়া করা জীবসেবা, জীবে দয়ারূপ পরোপকার কাজ করা হইবে।

২৫. কেবল আচার রহিত প্রচার কর্ম্মাঙ্গের অন্তর্গত। ইহা নিজের এবং অপরের আত্মবিনাশকর।

২৬. যাহাদের আত্মবিৎ - এর নিকট নিজেদের ভগবৎসেবাবৃত্তি সর্ব্বক্ষণ উদিত হয় নাই, সেই সকল ব্যক্তির সঙ্গ যতই প্রীতিপদ হউক না কেন, উহা কখনই বাঞ্ছনীয় নহে। উহা সর্ব্বাবস্থায় পরিত্যাগ করাই বাস্তবিক মঙ্গল।

 

আমাদের নিত্য জীবন কি হইবে,এখানে থাকাকালেই তাহার পরিচয় লাভ করা আবশ্যক।এখানে যতরকম ধরনের আকর্ষণ বিকর্ষণের বস্তু আছে,-যাহা আমরা চাই চাই না, এই উভয় প্রকারেই মীমাংসা হওয়া আবশ্যক। শ্রীকৃষ্ণ পাদপদ্ম হইতে আমরা যতটা তফাৎ হইব, ততটাই এখানকার আকর্ষণ বিকর্ষণের অতীত হইয়া অপ্রাকৃত নামাকৃষ্ট হইলেই কৃষ্ণসেবা রসের কথা বুঝিতে পারা যায়। কৃষ্ণের কথা বড়ই বিষ্ময় জনক জটিল। দ্বন্দ্বাতীত হইয়া সেই নিত্য প্রয়োজনের রাজ্যে প্রবেশই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য বা প্রয়োজন।

 

কবে কৃষ্ণ ধন পাব, হিয়ার মাঝারে থোব,

জুড়াইব তাপিত - পরাণ

সাজাইয়া দিব হিয়া, বসাইব প্রাণপ্রিয়া,

নিরখিব সে চন্দ্রবয়ান ।।

হে সজনী! কবে মোর হইবে সুদিন

সে প্রাণনাথের সঙ্গে, কবে বা ফিরিব রঙ্গে,

সুখময় যমুনা পুলিনে ।।

ললিতা বিশাখা লঞা, তাঁহারে ভেটিব গিয়া,

সাজাইয়া নানা উপহার

সদয় হইয়া বিধি, মিলাইবে গুণনিধি,

হেন ভাগ্য কি হইবে আমার ???

দারুণ বিধির নাট, ভাঙিল প্রেমের হাট,

তিলমাত্র না রাখিল তার

কহে নরোত্তম দাস, কি মোরে জীবনে আশ,

ছাড়ি গেল ব্রজেন্দ্রকুমার ।।

🏵️জয় রাধেশ্যাম🏵️🏵️জয় ব্রজধাম🏵️🏵️জয় রাধেশ্যাম🏵️




 

No comments:

Post a Comment

🌳🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚🌳 💐 পক্ষবর্দ্ধিনী মহাদ্বাদশী 💐 🌳🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚🌳 শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ সকল সাধু , গুরু , বৈষ্ণব ...