🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳

🌷কার্ত্তিক মাসে তুলসী সেবা🌷

🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I

‘’গুরু - বৈষ্ণব  - ভগবান তিনিহেঁ স্মরণ ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে হয় বিঘ্ন বিনাশন ।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।’’

 

আজানুলম্বিত – ভুজৌ কনকাবদাতৌ,

সংকীর্ত্তনৈকপিতরৌ কমলায়তাক্ষৌ।

বিশ্বম্ভরৌ দ্বিজবরৌ যুগধর্ম্মপালৌ,

বন্দে জগৎ প্রিয়করৌ করুণাবতারৌ।

 

🦚তুলসী জন্ম বৃন্তান্ত🦚

ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণমতে, তুলসী নামে গোলকে শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া মহালক্ষ্মীর এক সহচরী ছিলেন। কোনো এক কারণে লক্ষ্মীদেবী তাঁকে মানবযোনি গ্রহণের অভিশাপ দেন। তখন তুলসী শ্রীবিষ্ণুর শরণাপন্ন হন। শ্রীবিষ্ণু তুলসীকে বললেন যে তুলসী মানব জন্ম গ্রহণ করে তপস্যা বলে নারায়নের অংশ লাভ করবেন। শাপ হেতু তুলসী জগতে ধর্মরাজ নামে রাজা ও তার স্ত্রী মাধবীদেবীর কন্যারূপে বৃন্দা নামে জন্মগ্রহণ করেন। তুলসী অতুলনীয় রূপ লাবণ্যের অধিকারিণী হন। পরে তুলসী বনে গিয়ে ব্রহ্মার তপস্যায় নিমগ্ন হন। ধ্যানে ব্রহ্মা খুব সস্তুষ্ট হন ও তুলসীকে অভীষ্ট বর প্রার্থনা করতে বলেন। তুলসী নারায়ণকে পতিরূপে লাভের বর প্রার্থনা করেন। ব্রহ্মা বললেন যে তুলসী দানবরূপী শঙ্খচূড়কে বিবাহ করলেই নারায়ণ প্রাপ্তি সম্ভব হবে। নারায়ণের আর্শিবাদে তুলসীর বৃক্ষরূপে জন্ম হবে ও দেবতাদির পূজার উপকরণ রুপে নিজেও পুজা পাবেন।

 

তুলসী ব্যতীত নারায়ণ পূজা বিফল হবে । তদনুসারে শঙ্খচূড়ের সাথে তুলসীর বিবাহ হয় । শঙ্খচূড় স্বর্গরাজ্য অধিকার করে । তুলসীর সতীত্ব হানি না হলে শঙ্খচূড় পরাজিত হবে না ও স্বর্গরাজ্যও উদ্ধার সম্ভব হবে না তাই নারায়ণ স্বয়ং শঙ্খচূড়ের বেশে তুলসীর সতীত্ব হানি করেন তারপর শঙ্খচূড় নিহত হয়। তুলসী তা টের পেয়ে নারায়ণকে পাষাণ হওয়ার অভিশাপ দেন। ফলে নারায়ণ পাষাণ হয়ে শালগ্রাম শিলা রুপে প্রকটিত হন। নারীর সতীত্ব অসাধারণ শক্তির উৎস। শাস্ত্রে তার বহু দৃষ্টান্ত রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুতে তুলসী নারায়ণের চরণে পতিত হয়ে কাঁদতে আরম্ভ করলেন। তখন নারায়ণ তুলসীকে বললেন যে তুলসীর এ দেহ ত্যাগে লক্ষ্মী সদৃশী নারায়নের প্রিয়া হবেন। নারায়ণের বরে তুলসীর  শরীর গণ্ডকী নদী ও কেশদাম তুলসী বৃক্ষরূপে জন্মগ্রহণ করেন । তদবধি নারায়ণ শিলারূপে আবহন ও সর্ব্বদা তুলসী যুক্ত থাকেন। তুলসী ব্যতীত নারায়ণ পূজা হয় না।

 

🦚তুলসীর মাহাত্ম্য🦚

তুলসী কার্ত্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে ধরাতলে তরুরূপে জন্মগ্রহণ করেন। কার্ত্তিক মাসে তুলসীপাতা দিয়ে যাঁরা নারায়ণ পূজা করেন এবং দর্শন, স্পর্শন, ধ্যান, প্রণাম, অর্চ্চন, রোপন ও সেবন করেন, তাঁরা কোটি সহস্র যুগ হরিগৃহে বাস করেন। যাঁরা তুলসীবৃক্ষ রোপন করেন, এ বৃক্ষের মূল যতো বিস্তৃত হতে থাকে, ততো যুগ সহস্র পরিমাণ তাঁদের পুন্য বিস্তৃত হতে থাকে। তুলসী পত্র দিয়ে যিনি নারায়ণ পূজা করেন, তাঁর জন্ম জন্মার্জ্জিত পাপ বিনষ্ট হয়। বায়ু তুলসী গন্ধ নিয়ে যে দিকে প্রবাহিত হয়, সেদিক পবিত্র হয়। তুলসীবনে পিতৃশ্রাদ্ধ অনুষ্ঠিত হলে তা পিতৃ পুরুষদের খুব প্রীতিপ্রদ হয়। যে গৃহে তুলসীতলের মৃত্তিকা থাকে, সে গৃহে যম কিঙ্কর প্রবেশ করতে পারে না।

 

তুলসী মৃত্তিকা লিপ্ত হয়ে যে ব্যক্তির মৃত্যু হয়, সে ব্যক্তি যদি ঘোরতর পাপী হয়, তবে যম কিঙ্কর তাকে দমন করতে পারে না। তুলসী তলে প্রদীপ জ্বালালে বৈষ্ণব পদ লাভ হয়। যার গৃহে তুলসী কানন থাকে, সে গৃহ তীর্থস্বরূপ। নর্ম্মদা ও গোদাবরী নদীতে স্থানে যে পুন্য হয় তুলসীবন সংসর্গে সে ফল লাভ হয়। যিনি তুলসী মঞ্জুরী দিয়ে বিষ্ণুপূজা করেন, তাঁর আর পুর্ণজন্ম হয় না অর্থাৎ মোক্ষ লাভ হয়। বিজ্ঞান মতে তুলসীর মাহাত্ম্য শুধু পুজো-অর্চনাতেই লাগে না ৷ তুলসী পাতার অনেক গুণ রয়েছে ৷ আয়ুর্বেদে তুলসীকে ভেষজের বা ওষধির আখ্যা দেওয়া হয়৷ এই ভেষজের গুণগুলো জেনে নেই ৷

 

০১. জ্বর হলে জলের মধ্যে তুলসী পাতা, গোল মরিচ এবং মিশরী মিশিয়ে ভাল করে সেদ্ধ করুন অথবা তিনটে দ্রব্য মিশিয়ে বড়ি তৈরি করুন ৷ দিনের মধ্যে তিন-চার বার ঐ বড়িটা জলের সঙ্গে খেলে জ্বর খুব তাড়াতাড়ি সেরে যাবে।

০২. কাশি যদি না কমে সেই ক্ষেত্রে তুলসী পাতা এবং আদা পিষে মধুর সঙ্গে মিশিয়ে

খেলে, এতে উপকার পাওয়া যায়।

০৩. পেট খারাপ হলে তুলসীর ১০ টা পাতা সামান্য জিরের সঙ্গে পিষে ৩-৪ বার

খেলে পায়খানা একেবারে স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

০৪. মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে দিনে ৪-৫ বার তুলসী পাতা চিবোলে দুর্গন্ধ দুর হয়৷

ঘা যদি দ্রুত কমাতে হলে, তুলসী পাতা এবং ফিটকিরি একসঙ্গে পিষে ঘা এর স্থানে লাগালে কমে যাবে ৷

০৫. শরীরের কোন অংশ যদি পুড়ে যায় তাহলে তুলসীর রস এবং নারকেলের তেল ফেটিয়ে লাগালে এতে জ্বালা কমবে ৷ পোড়া জায়গাটা তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যাবে৷ সেখানে কোন দাগ থাকবে না৷

০৬. ত্বকের চমক বাড়ানোর জন্য, এছাড়াও ত্বকের বলিরেখা এবং ব্রন দূর করার জন্য তুলসী পাতা পিষে মুখে লাগাতে হবে ৷ বুদ্ধি এবং স্মরণশক্তি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ৫-৭ টা তুলসী পাতা চিবিয়ে খেলে উপকার হয়।

০৭. প্রস্রাবে জ্বালা হলে তুলসী পাতার রস ২৫০ গ্রাম দুধ এবং ১৫০ গ্রাম জলের মধ্যে মিশিয়ে পান করলে উপকার পাওয়া যায়।

০৮. ত্বকের সমস্যা দূর করতে তিল তেলের মধ্যে তুলসী পাতা ফেলে হালকা গরম করে ত্বকে লাগালে সমস্যা দুর হয়।

০৯. তুলসী কান্ড বা শাখা/ ডাল দিয়ে মালা তৈরী করে কন্ঠে ধারণ করলে তুলসীপ্রিয় তথা শ্রীবিষ্ণুর অস্তিত্ব সর্বক্ষণ অনুভত হয়। ফলে খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকার প্রবৃত্তির উত্তোরণ হয়। তাই আমাদের উচিৎ তুলসী সেবা ও অঙ্গে ধারণ সহ সর্বদা ভগবদ্ স্মরণে জীবনাতিপাত করা।

 

শ্রীমতী  রাধারাণীর তুলসী সেবা

একবার রাধাজী সখিকে বললেন, সখি! আমাকে এমন কোনও একটা দেবতার পূজা/ব্রত বল যেমনকি আমি সেই পূজা/ব্রতের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণকে সন্তুষ্ট করতে পারি আর আমি যেন শ্রীকৃষ্ণের সর্বশ্রেষ্ঠা প্রিয়া হইতে পারি। তারপরে চন্দ্রননা সখী, সমস্ত সখীর মধ্যে যে বেশি বুদ্ধিমতী তিনি মনে মনে এক মুহুর্তের জন্য ভেবে বললেন, "রাধে! পরম সৌভাগ্য অর্জনের জন্য এবং শ্রীকৃষ্ণের প্রাপ্তির জন্যও একটি সর্বশ্রেষ্ঠ উপায় বা ব্রত হল "তুলসী সেবা"। আপনার উচিত তুলসী সেবার  নিয়ম গ্রহণ করা। যারা প্রতিদিন নয়টি উপায়ে তুলসীর ভক্তি করেন তারা বহু হাজার বছর ধরে  উত্তম  ফল উপভোগ করেন, মানুষ দ্বারা রোপণ করা তুলসী পৃথিবীতে যতক্ষণ পর্যন্ত শাখা, বীজ, ফুল এবং সুন্দর দলগুলির সাথে বাড়তে থাকে, তাদের বংশে যারা জন্ম নেয় তারা সকলেই এক হাজার কল্প পর্যন্ত শ্রীহরির ধাম বৈকুন্ঠে বাস করেন। যিনি তুলসী মঞ্জরীকে মাথায় রেখে নিজের জীবন উৎসর্গ করেন, তিনি সারা জীবন পাপ কর্মে পূর্ণভাবে লিপ্ত থাকলেও, যমরাজ তাঁর দিকে তাকাতে পারেন না। এইভাবে চন্দ্রননা সখীর থেকে তুলসী সেবার মহিমা শুনে রাসেশ্বরী শ্রীরাধা  শ্রীকৃষ্ণের সন্তুষ্টির জন্য তুলসীর সেবা ব্রতে নিমগ্ন হলেন।

 

একশ হাত লম্বা বৃত্তাকার জমিতে কেতকী বনে খুব লম্বা এবং খুব সুন্দর শ্রী তুলসীর একটি মন্দির তৈরি করেছিলেন, যার দেওয়ালগুলি সোনায় বেষ্টিত ছিল। পদ্মরাগমণির ধারে, তিনি হীরা ও মুক্তার সুন্দর পান্না দিয়ে সুসজ্জিত ছিলেন এবং তার চারপাশে প্রদক্ষিণের জন্য একটি রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল, যার জমিটি চিন্তামণি দিয়ে আবৃত ছিল। মন্দিরের কেন্দ্রীয় অংশে সবুজ পল্লব সহ একটি সুন্দর তুলসী স্থাপন করে শ্রীরাধা অভিজিৎ মুহুর্ত্তে তুলসী দেবীর সেবা শুরু করেছিলেন। শ্রীরাধা আশ্বিন শুক্লা পূর্ণিমা থেকে চৈত্র পূর্ণিমা পর্যন্ত নবধাভক্তির মাধ্যমে  শ্রীতুলসীর নয়প্রকার সেবা করেছিলেন।

 

শ্রীরাধা প্রতি মাসে আলাদা আলাদা করে রস দিয়ে শ্রীতুলসীর সেচন করতেন। কার্ত্তিক মাসে 'দুধ', মার্ঘশীষ মাসে 'আখের রস’, পৌষ মাসে 'দ্রাক্ষার রস', মাঘ মাসে বহুবর্ষীয় 'আমের রস', ফাল্গুন মাসে 'মিশ্রির রস' এবং চৈত্রমাসে পঞ্চামৃত দিয়ে শ্রীমতী রাধারাণী,শ্রীতুলসীমহারাণীর নয়প্রকারকি সেবা করে তাঁর সন্তুষ্টি বিধান করেছিলেন এবং বৈশাখ কৃষ্ণ প্রতিপদের দিন উদযাপন করেছিলেন।

 

শ্রীমতী রাধারাণী দুই লক্ষ ব্রাহ্মণকে স্বাদিষ্ট ভোজন দ্বারা তৃপ্ত করলেন ও নানা প্রকার গহনা আর কাপড় দক্ষিণা দিলেন । তিনি এক লক্ষ ভার স্বর্ণ শ্রীগর্গাচার্যকে দক্ষিণা দিয়ে তৃপ্ত করলেন। সেই সময় আকাশের দেবতারা তুলসী মন্দিরে ফুল বর্ষণ শুরু করলেন। একই সময়ে, সুবর্ণ সিংহাসনে বসে হরিপ্রিয়া শ্রীতুলসী দেবী উপস্থিত  হইলেন। তাঁর চারটি বাহু ছিল, পদ্মের পাতার মতো বিশাল চোখ, ষোল বছর বয়স এবং শ্যাম কান্তি, হেমময় কিরীট কপালে আলোকিত হয়েছিল এবং কাঞ্চনময়ী কুন্দন সুশোভিত হচ্ছিল I সিংহাসন থেকে নেমে তুলসী দেবী শ্রীমতী রাধারাণীকে নিজ হৃদয়ে জড়িয়ে স্নেহ করলেন এবং তার মুখে চুম্বন দিলেন। শ্রীতুলসী বলিলেন, "কলাবতী রাধে! আমি আপনার ভক্তিতে খুব খুশি আর সন্তুষ্ট। আপনি  যে কায়, মন, এবং বুদ্ধি দ্বারা আমার নয় প্রকার সেবা করেছেন আমি তদ্বারা অতি প্রসন্ন,আমি আশীর্বাদ করছি আপনার সমস্ত মনের অভিলাষ পূর্ণ হউক। হরিপ্রিয়া তুলসীর কাছে মাথা নত করে বৃষভানু নন্দিনী শ্রীরাধারাণী বললেন, "দেবী! আমার যেন অহৈতুকী ভক্তি শ্রীগোবিন্দের শ্রীচরণে হউক,আমি যেন জন্মে জন্মে এই শ্রীচরণে দাসী হইতে পারি।"  অতঃপর হরিপ্রিয়া শ্রীতুলসী দেবী তথাস্তু বলে আশীর্বাদ  দিয়ে অন্তর্ধান হইলেন।

 

সুতরাং, পৃথিবীতে যে কোন ব্যক্তি শ্রীরাধিকার এই অদ্ভুত উপাখ্যানটি শুনবেন বা পাঠ করবেন   তিনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং শ্রী তুলসীদেবীর কৃপা প্রার্থী  হবেন। 🙏

 

💐শ্রীতুলসী আরতি কীর্ত্তন💐

নমো নমঃ তুলসী! কৃষ্ণপ্রেয়সী!

রাধাকৃষ্ণ-সেবা পাব এই অভিলাষী।।

যে তোমার শরণ লয়, তার বাঞ্ছা পূর্ণ হয়,

কৃপা করি কর তারে বৃন্দাবন বাসী।।

মোর এই অভিলাষ, বিলাষ-কুঞ্জে দিও বাস,

নয়নে হেরিব সদা যুগলরূপরাশি।।

এই নিবেদন ধর, সখীর অনুগত কর,

সেবা-অধিকার দিয়ে কর নিজ দাসী।।

দীন কৃষ্ণদাসে কয়, এই যেন মোর হয়,

শ্রীরাধাগোবিন্দ-প্রেমে সদা যেন ভাসি।।

 

তুলসী প্রণাম মন্ত্র:-

ওঁ বৃন্দায়ৈ তুলসী দেবৈ প্রিয়ায়ৈ কেশবশ্য চ।

বিষ্ণুভক্তি প্রদে দেবী সত্যব ত্যৈ নমো নম:।।

 

তুলসী প্রদক্ষীন মন্ত্র:-

"যানি কানি চ পাপানি ব্রহ্মহত্যাদি কানি চ।

তানি তানি প্রনশ্যন্তি প্রদক্ষিণ পদে পদে।।

 

তুলসী জলমন্ত্র:-

"(ওঁ)গোবিন্দবল্ল ভাং দেবীংভক্ত চৈতন্যকারিনীম।

স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনীম্।।''

 

তুলসী চয়নমন্ত্র:-

"(ওঁ)তুলস্যমৃত জন্মাসি সদা ত্বং কেশব প্রিয়া।

কেশবার্থে চিনোমি ত্বাং বরদা ভক শোভবে।।"

 

ক্ষমা প্রার্থনামন্ত্র:-

"চয়নোদ্ভব দুঃখং চ যদ্ হদদি তব বর্ততে।

তত্ক্ষমস্ব জগন্মাতঃ বৃন্দাদেবী নমোহস্তুতে।।"

তুলসী মহারাণীর কৃপা ছাড়া পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শ্রীপাদপদ্মে ঠাঁই পাওয়া সম্ভব নয়। তাই এসো আমরা সর্বদা তুলসী মহারাণীর সেবা পূজা করি।