Tuesday, February 23, 2021

💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐

🍁জয়া একাদশী🍁

💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐

হরে কৃষ্ণ, আজ হরিবাসর বিশেষ শুভদা তিথি জয়া একাদশী।

(পারণ - পরদিন পূর্ব্বাহ্ন ০৯ / ৫৭ মিঃ মধ্যে একাদশীর পারণ)

আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন অন্যকে পালনে উৎসাহিত করুন।

‘’হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’

 

গুরবে গৌরচন্দ্রায় রাধিকায়ৈ তদালয়ে।

কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদ্ভক্তায় নমো নমঃ।।

 

আদি বীজমন্ত্রঃ

আমরা যারা সনাতন বা বৈদিক ধর্মাবলম্বী, তাদের কাছে শ্রীমদ্ভগবদ গীতা একখানি পবিত্র গ্রন্থ। শুধু গ্রন্থ বললে ভুল হবে, গীতা মানব জীবনের দিক নির্দেশনা প্রদান সহ সকল শাস্ত্রের আধার। এই পূণ্য গ্রন্থ পাঠের পুর্বে আমরা একটি শ্লোক পাঠ করে থাকি।

‘’ওঁ নমো ভগবতে বাসুদেবায়’’

-এটি শুধু শ্লোক নয়। গুরু কর্তৃক শিষ্যের কানে দেওয়া বীজমন্ত্র বটে। এই আদি বীজমন্ত্র বহু মুনিঋষি নিরন্তর জপ করে সিদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই শ্লোকে আছে বারটি বর্ণ। যা হলো, ওঁ, , মো, , , , তে, বা, সু, দে, বা, য়। এই বারটি বর্ণ নিয়ে রচিত হয়েছে বারটি পদাবলী।

ওঁ-

বীজেতে ব্রহ্মা বিষ্ণু শিবকে বোঝায়,

রাগদ্বেষাদি যার কৃপায় জয় করা যায় !

রোগে শোকে কাল নিদ্রায় মোরা হই মগন,

দয়াকরে রক্ষা করো হে মধুসূদন !!

-

নমি তব শ্রীপদেতে নিলাম স্মরণ !

অনাশ্রয়ে অনাথের রক্ষো হে মধুসূদন !!

মো-

মোহ মায়ায় স্ত্রীসন্তানে সদা নিমগন !

তৃষ্ণা নিবারণ করো হে মধুসূদন !!

-

ভক্তিহীন শোকে তাপে রত অনুক্ষণ !

পাপ হতে রক্ষা করো হে মধুসূদন !!

-

গতাগতি বারংবার করো নিবারণ !

জন্মমৃত্যু রহিত করো হে মধুসূদন !!

-

বহুগামীর বহু যোনী করেছি ভ্রমণ !

গর্ভদুঃখ হইতে রক্ষো হে মধুসূদন !!

তে-

তেমনি ভোগ করতে হয় কর্ম যেমন !

সংসার মায়ায় রক্ষো হে মধুসূদন !!

বা-

বাক্য দিয়েছিলাম তোমা করিব সাধন !

মায়ামোহে তা' ভুলিলাম হে মধুসূদন !!

সু-

সুকর্ম করিনি আমি আমার জীবন !

দুঃখার্ণবে রক্ষা করো হে মধুসূদন !!

দে-

দেহান্তর ছিলাম কতো নাই তা স্মরণ !

জন্মমৃত্যু বন্ধ করো হে মধুসূদন !!

বা-

বাসুদেবে যেনো আমি স্মরি চিরন্তন !

জরাব্যাধি মৃত্যু হতে রক্ষো মধুসূদন !!

-

যথা যথা জন্ম আমি করি হে ধারণ !

তব পদে অচলাবস্থা ভক্তি দাও মধুসূদন !!

হে পরমকরুনাময় ভগবান তোমার সৃষ্টির সকল কিছুই তুমি রক্ষা করো প্রভু অনাথের নাথ তুমি সকল জীবের সৃষ্টি, স্থিতি বিনাশের কারণ। তোমার সৃষ্টির সকল জীব সহ তোমার ভক্তদের একমাত্র রক্ষাকর্তা তুমি।

 

★★★সবাইকে অনুরোধ রইল অবশ্যই মনে রাখবেন যে, একাদশী ব্রত বা কোন উপবাস মানেই কিন্তু শুধু না খেয়ে থাকা নয়,বরং শুদ্ধ/পবিত্র দেহ,মন নিয়ে ব্রত/উপবাস রেখে নিরন্তর "ভগবানের নাম জপ" হরিকথা শ্রবণ, কীর্ত্তন,গীতাপাঠ করে "ভগবান কে প্রসন্ন/খুশি করাই  ব্রত/উপবাসের মূল উদ্দেশ্য"★★★

‘’একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।

প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।‘’

এই মন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে পারণ করতে হয়। গীতার মাহাত্ম্যে উল্লেখ আছে

 

‘’যোহধীতে বিষ্ণুপর্বাহে গীতাং শ্রীহরিবাসরে।

স্বপন জাগ্রৎ চলন তিষ্ঠন শত্রুভির্ন হীয়তে।।‘’

অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণুর উৎসবের দিনে, একাদশী জন্মাষ্টমীতে যিনি গীতা পাঠ করেন , তিনি চলুন বা দাড়িয়ে থাকুন, ঘুমিয়ে বা জেগে থাকুন,(যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন) শত্রু কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

 

বৈরাগীরকৃত্য সদা নাম সংকীর্ত্তন

শাকপত্র ফলমূলে উদর ভরণ ।।

জিহ্বারলালসে যে ইইতিউতি ধায়

শিশ্নোদরপরায়ন কৃষ্ণ নাহিপায় ।।

বিষয়ীরঅন্ন খাইলে মলিন হয় মন

মলিনমন হৈলে, নহে কৃষ্ণেরস্মরণ ।।

বিষয়ীরঅন্ন হয় রাজস নিমন্ত্রণ

দাতা, ভোক্তা, দুঁহার মলিন মন ।।

কলিকালেরধর্ম্ম কৃষ্ণ নাম সংকীর্ত্তন

কৃষ্ণশক্তি বিনা নহে তার প্রবর্ত্তন ।।

বৈষ্ণবের ঝুটা খাও ছাড়ি ঘৃণালাজ

যাহা হৈতে পাইবা বাঞ্জিত সবকাজ ।।

কৃষ্ণেরউচ্ছিষ্ট হয় মহাপ্রসাদ নাম।

ভক্তশেষ হৈলে মহা মহাপ্রসাদাখ্যান।।

ভক্তপদ ধূলি আর ভক্ত পদজল।

ভক্তভুক্তশেষ, এইতিন সাধনের বল।।

এই তিন সেবা হৈতে কৃষ্ণ প্রেমা হয়।

পুনঃ পুনঃ সর্ব্বশাস্ত্রে ফুকারিয়া কয়।।

তাতে বারবার কহি শুন ভক্তগণ।

বিশ্বাস করিয়া কর তিন সেবন।।

জয় শ্রীকৃষ্ণের জয়জয় শ্রীএকাদশী মহাব্রতের জয়


 

No comments:

Post a Comment

💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐 🌷🦚 শ্রীগোপাষ্টমী 🦚🌷 💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐 বিশেষপোষ্ট শ্রীশ্রীগুরুগৌরাঙ্গ জয়তঃ সকল সাধু , গুরু , বৈষ্ণব ও গৌরভক...