Saturday, February 13, 2021

💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐

🌻🍁কুম্ভ মেলা🍁🌻

💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার দণ্ডবৎ প্রণাম I হরেকৃষ্ণ, আগামী ১৬ /০২/২০২১ ইং রোজ - মঙ্গলবার মহাকুম্ভ মেলার শুভ অনুষ্ঠান, শ্রীধাম বৃন্দাবনে অনুষ্ঠিত হবে। সকলকে সাদর আমন্ত্রণ আর কুম্ভমেলা ম্ভউপলক্ষ্যে সবাইকে জানাই কৃষ্ণপ্রীতি এবং শুভেচ্ছা।

‘’হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ  I I’’


কুম্ভমেলা কেন হয়, কখন হয়, কি তার মাহাত্ম্য???

মেলা মানে বহু মানুষের সমাহার। কুম্ভ মেলা মানে হল জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে হিন্দু ধর্মের মিলন ক্ষেত্র। ভারতবর্ষের সংস্কৃতি, জ্ঞান এবং আধ্যাত্মিকতার মিলনস্থল এই কুম্ভমেলা।। সন্ন্যাসী, বৈরাগী, উদাসীন, সাধু, সন্তদের মিলনক্ষেত্র। কুম্ভ পূর্ণ হয়ে ওঠে প্রেম, একতা, জ্ঞান, ভ্রাতৃত্ব এবং আধ্যাত্মিকতায়। এই সব মহতী গুণ অবিরল ক্ষরিত হচ্ছে কুম্ভ থেকেএই তো অমৃত; জীবন-অমৃত। এই অমৃত কখনও শুকিয়ে যায় না বা শূন্যও হয় না। এই জীবন অমৃতই আমাদের শক্তি দেয় জীবনের পথে এগিয়ে চলার। এই মানব দেহ, এই মানব জন্ম। আমরা অমৃতের সন্তান, এই মানব দেহ কুম্ভের সমান। পৃথিবী যা প্রাণকে আত্মাকে ধারণ করে থাকেধারণ করে থাকে জল, অমৃত। কলস, সমুদ্র, নদী, পুষ্করিণী, কূপ এসবই কুম্ভের প্রতীক কারণ এরা সকলেই জলকে ধারণ করে থাকে। বায়ু আকাশকে বেষ্টন করে থাকে, সূর্য তার আলো দিয়ে ঘিরে রাখে এই মহাবিশ্বকে। মানবশরীর আচ্ছাদিত কোষ দিয়ে। পঞ্চতত্ত্বক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ, ব্যোমএখানেই মানব দেহের লয়।

পুরাণ কে বর্ণানানুসার শ্রীভগবতদাস গরুড় জী সমুদ্র মন্থন থেকে উদৃত অমৃত কলস নিয়ে ভারত দেশে বিভিন্ন প্রান্তে গিয়ে অসুরদের থেকে অমৃত কলস বাঁচানোর জন্য যাবার সময় অমৃত কলস নিয়ে শ্রীধাম বৃন্দাবনে কালিয়া হ্রদ নিকটবর্তি কদম্ব বৃক্ষের উপর বসেছিলেন। তাই শ্রীধাম বৃন্দাবনে কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। প্রয়াগরাজ আদি কুম্ভস্থলীগুলি নিজের পাপ ধৌত করার জন্য শ্রীধাম বৃন্দাবনে আগমন করে শ্রীধাম বৃন্দাবনের রজ(মাটি) তে গড়াগড়ি দেন। তাই শ্রীধাম বৃন্দাবনে মহাকুম্ভ মেলা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

কুম্ভযোগে স্নানে ফললাভের কথায় পুরাণ বলেছেন,- ''কার্ত্তিকে সহস্র বার, মাঘ মাসে শতবার গঙ্গাস্নানে এবং বৈশাখ মাসে কোটি নর্মদা স্নানে যে ফললাভ হয়, সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞ শত বাজপেয় যজ্ঞে যে ফললাভ হয়, লক্ষ পৃথিবী প্রদক্ষিণ করলে যে ফললাভ হয়, একবার কুম্ভ স্নানেই তা পাওয়া যায়।'' সাধু সন্ন্যাসী মহাপুরুষ গৃহীদের অমৃত প্রাপ্তির মেলা হয় কুম্ভমেলা। ভারতের চারটি স্থানে বারো বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভ অনুষ্ঠিত হয় এই যোগে

বৃন্দাবন মিনি-কুম্ভ মেলা ২০২১ শাহী স্নান সময়সূচী

১৬লা ফেব্রুয়ারী বসন্ত পঞ্চমীর দিন এই কুম্ভ মেলা উদ্বোধন করা হবে এবং তিন ''আনি আখরার'' সাধু সন্ন্যাসী পতাকা উত্তোলন করবেন। মিনি কুম্ভটি কে ''সন্ত সমাগম'' নামে জানা যায়, যাহা মূল কুম্ভ অনুষ্ঠানের শুরুর আগে সকল শীর্ষস্থানীয় তপস্বীর মিলিত সমাবেশ। মিনি কুম্ভ মেলা ১৬ ফেব্রুয়ারী ২০২১ থেকে ২৫শে মার্চ ২০২১ পর্য্যন্ত নির্ধারিত হয়েছে। এই শুভ অনুষ্ঠানটি বৃন্দাবন, জেলা - মথুরা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত দেশে যমুনা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানটি ''বসন্ত পঞ্চমীতে ফ্ল্যাগ হোস্টিং করে এবং শাহী স্নানের মাধ্যমে শুরু হবে এবং ২৫শে মার্চ ২০২১ পঞ্চকোষি পরিক্রমা দিয়ে একাদশীতে শেষ হবে।''

বিষয়বস্তু প্রদর্শন:-

বৃন্দাবন মিনি কুম্ভ মেলা ২০২১ শাহী স্নান তারিখের সময়সূচী:-

মিনি কুম্ভ শুরু - ১৬লা ফেব্রুয়ারী ২০২১  - বসন্ত পঞ্চমী।

মিনি কুম্ভ প্রথম শাহী স্নান - ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ - মাঘ পূর্ণিমা

মিনি কুম্ভ দ্বিতীয় শাহী স্নান - ৯ই মার্চ ২০২১ - কৃষ্ণপক্ষ একাদশী

মিনি কুম্ভ তৃতীয় শাহী স্নান - ১৩ই মার্চ ২০২১ - অমাবস্যা

মিনি কুম্ভ শেষ - ২৫শে মার্চ ২০২১  - রঙ ভরণী একাদশী

 

অমৃত কুম্ভের সন্ধানে,-

কলসস্য মুখেবিষ্ণু কণ্ঠে রুদ্র সমাশ্রিতঃ।

মুলেত্বস্য স্থিতো ব্রহ্মা মধ্যে মাতৃগণাঃ স্মৃতাঃ।।

কুক্ষৌ তু সাগরাঃ সর্ব সপ্ত দ্বীপা বসুন্ধরা।

ঋগ্বেদো যজুর্বেদো সামবেদোহখণঃ।।

অর্থাৎ,- কুম্ভ বা কলসের মুখের খোলা অংশটি বিষ্ণুর প্রতীক। কলসের গলার অংশ রুদ্রের প্রতীক। যে ভিত্তির ওপর এটি নির্মিত তা ব্রহ্মার প্রতীক। সমস্ত দেবীগণ অধিষ্ঠিত কলসের কেন্দ্রে। সকল মহাসাগর এবং চার বেদও অধিষ্ঠান করছে এর অভ্যন্তরে।

দেবাসুরের সমুদ্রমন্থনে উদ্ভূত অমৃতকলস। যে কলস থেকে অমৃতের বিন্দু ক্ষরিত হয়েছিল এই ভারতের চারটি স্থানে। হরিদ্বার, প্রয়াগ, নাসিক এবং উজ্জয়িনী। কত কত বছর আগেকার কথা। অথচ আজও অমৃতের আশায় মানুষ ছুটে চলে কুম্ভমেলায়। লক্ষ লক্ষ মানুষ। ধনী, দরিদ্র, জাতি, নির্বিসেষে কোন বিশেষ দেবদেবীর পুজোর জন্য নয়, কেবল কুম্ভস্নানের জন্যঅমৃতলাভ করে পাপমুক্ত হয়ে এক পবিত্র জীবন লাভের আশায়।

আত্মানুসন্ধানের জন্যনিজেকে খুঁজে ফেরে মানুষ! কুম্ভের পুণ্যস্নানে অর্জন করে চলেছে আত্মানুসন্ধানের নিগূঢ় তত্ত্বকে, জ্ঞাতসারে বা অজ্ঞাতসারে। সেই কত কত যুগ আগের কথা। তখন প্রাণী কুল ছুটে চলেছে অমৃত কুম্ভের সন্ধানে...I ত্রিলোক দুর্বাসার অভিশাপেশ্রী কে হারিয়ে হয়ে আছেনশ্রী হীন I ‘শ্রী তার সমস্ত সত্তা শক্তি নিয়ে লুকিয়েছেন পিতা সমুদ্রের নিকট। কত কোলকাহল হল দেব, দানব, দৈত্যের মধ্যে। তারা সবাই যেমন অমরত্ব চায় তেমনইশ্রী হীনতা কে ঘোচাতে চায়।  অমরত্বের জন্য তো দৈত্য গুরু শুক্রাচার্য্য দেবাদিদেব মহাদেবের নিকট পেয়েছেন মৃতসঞ্জীবনী মন্ত্র। কিন্তু দেব কুল...তাদেরও কিছু লাগে বৈকি... সুতরাং, তাদের সন্ধান হল অমৃত কুম্ভের। দৈত্য দানব কুলের রাজা বলি তখন স্বর্গের অধিকারী।

দেবরাজ ইন্দ্রের তপস্যায় প্রীত হলেন নারায়ণ। সিন্ধু কন্যা রূপে লক্ষ্মী দেবীকে জন্মগ্রহণ করতে আদেশ দিলেন তিনি। তারপর দেবতাদের নিয়ে সমুদ্র মন্থন করতে বললেন পিতামহ ব্রহ্মাকে। বিশাল কাজ শুধু দেবতাদের পক্ষে করা কিছুতেই সম্ভব নয় বলে সঙ্গে অসুরদেরও নিতে বললেন। মন্থন শেষ হলে দেবী লক্ষ্মী আর ধন্বন্তরি উঠে আসবেন সমুদ্র থেকে। দেবতাদের বৈদ্য ধন্বন্তরি। তিনিই আসবেন অমৃতের কুম্ভ নিয়ে। কথা হল, মন্থনে যা কিছু সম্পদ উঠবে তা সমানভাবে ভাগ করে নেবেন দেবতা অসুরেরা।

সমুদ্র মন্থন শুরু হল। মন্দর পর্বত হল দণ্ড। বিষ্ণু কূর্ম অবতারে সেই পর্বত ধারণ করলেন। বাসুকি নাগ হলেন রজ্জু। মান্থিত হল সমুদ্র। বহু মহামূল্য বান বস্তুর সঙ্গে উঠেন শ্রীলক্ষী আর কি উঠল? সর্ব প্রথমে উঠল কালকূট হলাহল। সব ভালোরই খারাপ থাকে কিন্তু খারাপ বিষকে কে নেবেন? যিনি স্বয়ম্ভু সৃষ্টি স্থিতি লয় যার করে তিনিই নেবেন; তিনি তো নিজেই অমৃত। তাঁর অমৃত, অমরত্ব লাগে না। বিষকেও তাই তিনি ধারণ করতে সক্ষম। দেবাদিদেব গ্রহণ করলেন সেই গরল। আর তারপর কি উঠল? সেই বহু আখাঙ্কিত অমৃত কুম্ভ।

এবার ধীরে ধীরে দেব-বৈদ্য ধন্বন্তরি উঠে এলেন অমৃত ভরা কুম্ভ নিয়ে। দেবতাদের পরমধন অমৃত কুম্ভের কথা জানতেন ইন্দ্র। ওই কুম্ভ যাতে দেবতাদের হাতছাড়া না হয়, অসুরদের হাতে না পড়ে, তার জন্য দেব-বৈদ্যের কাছ থেকে চেয়ে নিয়ে পালাতে বললেন পুত্র জয়ন্তকে। পিতা ইন্দ্রের আদেশ পাওয়া মাত্রই অমৃত ভরা কুম্ভ নিয়ে ছুটতে লাগলেন জয়ন্ত। সমুদ্র মন্থনের একমাত্র সার বস্তুই যে অমৃত, যা পান করলে অমরত্ব লাভ করা যায়। 

অসুর গুরু শুক্রাচার্য ব্যাপারটা লক্ষ করে অসুরদের আদেশ দিলেন জয়ন্তকে ধরতে। আগে জয়ন্ত ছুটছেন অমৃত কুম্ভ নিয়ে- পিছনে ছুটছে অসুররা। এইভাবে সমানে তিনদিন ছোটার পর একটু বিশ্রামের প্রয়োজন ভেবে জয়ন্ত বিশ্রাম নিতে বসলেন অমৃত কুম্ভটি মাটিতে রেখে। দেখলেন অসুররা এসে পড়েছে। আবার ছুটতে শুরু করলেন ইন্দ্রপুত্র। টানা তিনদিন ছুটে বসলেন বিশ্রাম নিতে। কিছুক্ষণের মধ্যেই হাজির হলেন অসুররা। আবার কুম্ভ নিয়ে ছুটতে লাগলেন জয়ন্ত। এইভাবে জয়ন্ত তিনদিন পরে পরে অমৃতপূর্ণ কুম্ভ নামিয়ে রেখেছিলেন চার জায়গায় এবং বারোদিন পরে ফিরে এলেন সমুদ্র মন্থন ক্ষীরসাগর ক্ষেত্রে। কুম্ভ নিয়ে পালানোর সময় জয়ন্ত হরিদ্বার, প্রয়াগ, নাসিক আর উজ্জয়িনীতে অমৃত কুম্ভ নামিয়ে রেখে বিশ্রাম করেছিলেন।

বিশ্বাস করা হয়, কুম্ভ নামানোর সময় এই চারটি স্থানে কলস থেকে কয়েক ফোঁটা অমৃতরস ক্ষরিত হয়েছিল; তাই এই চারটি স্থান অমৃতসুধারস বিজড়িত। এবং এই চার স্থানে স্নানের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ হিন্দুরাও কিছুটা অমৃতের ভাগ পেয়ে শুদ্ধ হতে পারবেন, এই আশাতেই তারা তীর্থস্নানে ছুটে আসেন, এবং পালিত হয় কুম্ভমেলা। একটানা তিনদিন ছোটার পর জয়ন্ত এক একটি জায়গায় উপস্থিত হয়েছিলেন এবং ফিরে এসেছিলেন বারোদিন পরে। মানুষের এক বছর দেবতাদের কাছে একদিন মাত্র। সেই জন্য প্রতি তিন বছর অন্তর অন্তর চার জায়গায় কুম্ভমেলা হয়, গড়ে পূর্ণ কুম্ভ হয় বারো বছর পরে। হরিদ্বার আর প্রয়াগে পূর্ণ অমৃত কুম্ভ হয়।

এই চারটি স্থান নির্বাচিত হয় বৃহস্পতি সূর্যের অবস্থান অনুসারে। বৃহস্পতি সূর্য সিংহ রাশিতে অবস্থান করলে নাসিকের ত্র্যম্বকেশ্বরে; সূর্য মেষ রাশিতে অবস্থান করলে হরিদ্বারে; বৃহস্পতি বৃষ রাশিতে এবং সূর্য কুম্ভ রাশিতে অবস্থান করলে প্রয়াগে; এবং সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করলে উজ্জয়িনীতে মেলা আয়োজিত হয়। সূর্য, চন্দ্র বৃহস্পতির রাশিগত অবস্থান অনুযায়ী মেলা আয়োজনের তিথি (তারিখ) নির্ধারিত হয়। নাসিকের কাছে ত্রিম্বকেশ্বরে গোদাবরীতীরে কুম্ভস্নানকে বলা হয়সিংহস্থ কুম্ভ যখন সূর্য এবং বৃহস্পতি সিংহরাশিতে উপস্থিত হয় তখন তাকে সিংহস্থ কুম্ভযোগ বলা হয়ে থাকে। সাধারণতঃ এই যোগ ভাদ্রপদ অর্থাৎ অগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে হয়।

বারো বছর অন্তর পূর্ণ কুম্ভমেলা অনুষ্ঠিত হয় হরিদ্বার, এলাহাবাদের প্রয়াগ, নাসিক-ত্রিম্বকেশ্বর উজ্জয়িনীতে। প্রতি ছয় বছর অন্তর হরিদ্বার এলাহাবাদে অনুষ্ঠিত হয় অর্ধকুম্ভ। একশো চুয়াল্লিশ বছর অন্তর প্রয়াগে আয়োজিত হয় মহা কুম্ভমেলা। স্নানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত এই মেলা আয়োজিত হয় নদীর তীরে। হরিদ্বারে গঙ্গা, প্রয়াগে গঙ্গা-যমুনা-সরস্বতী সঙ্গমে, নাসিক-ত্রিম্বকেশ্বরে গোদাবরীতীরে এবং উজ্জয়িনীতে শিপ্রা নদীতীরে। প্রয়াগ, হরিদ্বার এবং উজ্জয়িনীতে বৈষ্ণব আখড়া এবং শৈব আখড়ার সন্ন্যাসীরা একই সঙ্গে স্নান করেন। কেবল নাসিক-ত্রিম্বকেশ্বরে তাঁরা আলাদা স্নান করেন। বৈষ্ণব আখড়ার সাধুরা নাসিকে এবং শৈব বা উদাসিন আখড়ার সন্ন্যাসিরা স্নান করেন ত্রিম্বকেশ্বরে।

সর্বশেষ মহাকুম্ভে যোগ দিয়েছিলেন ছয় কোটি হিন্দু। এটিই ছিল ইতিহাসের বৃহত্তম জনসমাবেশ।এই মেলাকে 'ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ'-এর তকমায় ভূষিত করেছে ইউনেস্কো, অর্থাৎ পার্থিব বস্তু হিসাবে ছুঁতে পারা যায় না এমন এক সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য হল কুম্ভ মেলা। রাষ্ট্রসংঘের 'ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অব হিউম্যানিটি'এর অন্তর্গত তালিকায় ৩৩ নম্বর স্থানে নথিভুক্ত হয় ভারতের এই সাংস্কৃতিক উৎসব। ভারতবর্ষের মানুষই একমাত্র এই অপরিসীম বিশ্বাসের অধিকারীএই সেই বিশ্বাস যা পাহাড় টলিয়ে দিতে পারে। লক্ষ লক্ষ মানুষ সেই বিশ্বাস নিয়ে পথ চলেকুম্ভস্নানে মুক্তি হোক এই শরীরেরশোক, তাপ, দুঃখ এইসব কিছু থেকে মুক্ত হোক জীবনচলুক অমৃতের পথে।



 

No comments:

Post a Comment

💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 🌷বৈষ্ণবের ব্যাস পূজা🌷 💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দ...