Friday, February 26, 2021

🌳🌴🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚🌴🌳

🌺🌷🌺শ্রীধাম বৃন্দাবন🌺🌷🌺

🌳🌴🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚🌴🌳

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্তকোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I হরেকৃষ্ণ, মহাকুম্ভ মেলার শুভ অনুষ্ঠান, শ্রীধাম বৃন্দাবনে চলছে এই শুভ অনুষ্ঠানটি বৃন্দাবন, জেলা - মথুরা, উত্তরপ্রদেশ, ভারত দেশে যমুনা নদীর তীরে অনুষ্ঠিত হচ্ছে অনুষ্ঠানটি ''বসন্ত পঞ্চমীতে ফ্ল্যাগ হোস্টিং করে এবং শাহী স্নানের মাধ্যমে শুরু হয়েছে এবং ২৫শে মার্চ ২০২১ পঞ্চকোষি পরিক্রমা দিয়ে একাদশীতে শেষ হবে। ''সকলকে সাদর আমন্ত্রণ আর কুম্ভমেলা উপলক্ষ্যে সকলকে জানাই কৃষ্ণপ্রীতি এবং শুভেচ্ছা।

কুম্ভযোগে স্নানে ফললাভের কথায় পুরাণ বলেছেন,- ''কার্ত্তিকে সহস্র বার, মাঘ মাসে শতবার গঙ্গাস্নানে এবং বৈশাখ মাসে কোটি নর্মদা স্নানে যে ফললাভ হয়, সহস্র অশ্বমেধ যজ্ঞ শত বাজপেয় যজ্ঞে যে ফললাভ হয়, লক্ষ পৃথিবী প্রদক্ষিণ করলে যে ফললাভ হয়, একবার কুম্ভ স্নানেই তা পাওয়া যায়।'' সাধু সন্ন্যাসী মহাপুরুষ গৃহীদের অমৃত প্রাপ্তির মেলা হয় কুম্ভমেলা।

বিষয়বস্তু প্রদর্শন:-

বৃন্দাবন মিনি কুম্ভ মেলা ২০২১ শাহী স্নান তারিখের সময়সূচী:-

মিনি কুম্ভ শুরু - ১৬লা ফেব্রুয়ারী ২০২১  - বসন্ত পঞ্চমী।

মিনি কুম্ভ প্রথম শাহী স্নান - ২৭শে ফেব্রুয়ারী ২০২১ - মাঘ পূর্ণিমা

মিনি কুম্ভ দ্বিতীয় শাহী স্নান - ৯ই মার্চ ২০২১ - কৃষ্ণপক্ষ একাদশী

মিনি কুম্ভ তৃতীয় শাহী স্নান - ১৩ই মার্চ ২০২১ - অমাবস্যা

মিনি কুম্ভ শেষ - ২৫শে মার্চ ২০২১  - রঙ ভরণী একাদশী

গোপীকাগণের মধ্যে শ্রীরাধিকা সর্বশ্রেষ্ঠা শ্রীকৃষ্ণের সবচেয়ে প্রিয় কৃষ্ণের কৃপাপ্রার্থী ভক্তগণ কৃষ্ণভক্তি লাভের জন্য রাধারাণীর শরনাপন্ন হয়ে থাকেন কারণ শ্রীরাধিকার অনুগ্রহ লাভ করতে পারলে সহজেই শ্রীকৃষ্ণের অনুগ্রহ লাভ সম্ভব বৃন্দাবনের সমস্ত লীলার মধ্যমণি শ্রীরাধিকা এজন্য বৃন্দাবন বাসীগণ সর্বদাইশ্রীরাধে' বলে পরস্পরের মধ্যে সৌজন্য বিনিময় করে থাকেন

শ্রীকৃষ্ণের নিজস্ব বয়ানে,-

‘’ব্রজবাসী যতজন, মাতা পিতা সখাগণ,

সবে হয় মোর প্রাণসম

তার মধ্যে গোপীগণসাক্ষাৎ মোর জীবন,

তুমি মোর জীবনের জীবন ।।''     (চৈ.   মধ্য - ১৩-১৫০)

সুতরাং দেখা যাচ্ছে, রাধারাণী হলেন বৃন্দাবনের অধীশ্বরী এবং শ্রীকৃষ্ণ তাঁর আভূষণ কৃষ্ণকে বলা হয়মদন-মোহন কারণ তাঁর রূপে 'মদনদেব' (কাম দেব ) মুগ্ধ হন। অপরপক্ষে শ্রীরাধার

দর্শনে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ মোহিত হন এজন্য রাধারাণীকে বলা হয়মদন - মোহন - মোহিনী

রাধারাণী সমগ্র বিশ্ব - জগতের মাতৃ-স্বরূপা, তিনি সমস্ত জীবাত্মার আধ্যাত্মিক মাতা মাতা হলেন পরম পবিত্রতার প্রতীক, যাঁর বৈশিষ্ট্যগুলি হলো শুদ্ধতা, নিঃস্বার্থপরতা, যত্নশীলতা, সহানুভুতি, প্রতিপালন প্রেম আমরা যেহরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করি, সেখানেহরে শব্দটির অর্থ শ্রীকৃষ্ণের আভ্যন্তরীণ শক্তি-তত্ত্ব অর্থাৎ শ্রীরাধিকা

‘’হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে

হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ।।‘’

এই মহামন্ত্রটি একটি তীব্র আকুতি, যার অর্থ হলো,-

‘’হে কৃষ্ণ, হে রাধারাণী আমাকে তোমাদের সেবা-ভক্তিতে নিয়োজিত কর, এই প্রার্থনা করি।‘’


‘’কলের্দোষনিধেরাজন্ অস্তি হ্যেকো মহানগুণঃ I

কীর্ত্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গঃ পরং ব্রজেৎ I I‘’  (শ্রীমদ্ভাগবত)

কলি সমস্ত দোষের বটে, তথাপি হে রাজন ! কলির একটি মহানগুণ এই যে, কৃষ্ণকীর্ত্তনে জীব মায়াবদ্ধ হইতে মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণরূপ পরতত্ত্ব লাভ করেন।

‘’নাম - সংকীর্ত্তন যস্য সর্বপাপ প্রণাশনম্।

প্রণামো দুঃখশমনস্তং নমামি শ্রীহরিং পরম্।।‘’

যে হরিনাম সংকীর্ত্তন করিলে ইহকাল পরকালের পাপরাশি নিঃশেষে দগ্ধ হয়, আমি সেই নামরূপী পরমাত্মা স্বরূপ শ্রীহরিকে প্রণাম করি।


রাধিকা - চরণরেণু,             ভূষণ করিয়া তনু,

অনায়াসে পাবে গিরিধারী।

রাধিকা - চরণাশ্রয়,            যে করে সে মহাশয়,

তাঁ'রে মুঞি যাঁও বলিহারী।।

জয় জয় 'রাধা' নাম,           বৃন্দাবন যাঁর ধাম,

কৃষ্ণসুখবিলাসের নিধি।

হেনরাধা - গুণগান,           নাশুনিল মোর কান,

বঞ্চিত করিল মোরে বিধি।।

তাঁ' ভক্ত - সঙ্গে সদা,        রসলীলা প্রেমকথা,

যে করে সে পায় ঘনশ্যাম।

ইহাতে বিমুখ যেই,             তা' কভু সিদ্ধি নাই,

নাহি যেন শুনি তা' নাম।।

কৃষ্ণনাম - গানে ভাই,         রাধিকাচরণ পাই,

রাধানাম - গানে কৃষ্ণচন্দ্র।

সংক্ষেপে কহিনু কথা,        ঘুচাও মনের ব্যথা,

দুঃখময় অন্যকথাদ্বন্দ্ব ।।      ( নরোত্তমদাসঠাকুর )

 

No comments:

Post a Comment

💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 🌷বৈষ্ণবের ব্যাস পূজা🌷 💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দ...