🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚
🐰🐥🌷দুৰ্গা পূজা🌷🐥🐰
🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚
শ্রী
শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সকল
সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I
‘’গুরু - বৈষ্ণব - ভগবান
তিনিহেঁ স্মরণ
।
তিনেহেঁ স্মরণ হইতে হয় বিঘ্ন বিনাশন ।।
অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।’’
মাদুর্গার
নয়টি স্বরূপকে নবরাত্রির নয় দিনে পূজা করা হয়। এই নবম শক্তিকে বলা হয় নবদুর্গা।
প্রথমং
শৈলপুত্রী চ দ্বিতীয়ম্ ব্রহ্মচারিণী ।
তৃতীয়ং
চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্ ।।
পঞ্চমং
স্কন্দমাতেতি, ষষ্ঠম্ কাত্যায়নীতি চ।
সপ্তমং
কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমং।।
নবমং
সিদ্ধিদাত্রী চ নবদুর্গা প্রকীর্তিতাঃ ।।
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ অনুসারে শ্রী কৃষ্ণই প্রথম দেবী দুর্গার পূজা করে স্তব করেছিলেন। নিচে সংক্ষিপ্ত ভাবে বর্ণনা করা হলোঃ-
‘’নারায়ণ কহিলেন,- হে দেবর্ষে! পূর্বে গোলোকধামে রাস-মণ্ডলে পরাৎপর পরমাত্মা কৃষ্ণ প্রীতিপূর্ণ হৃদয়ে সেই পরমাপ্রকৃতি দুর্গাদেবীর পূজা করিয়া তাহাঁর স্তব করিয়াছিলেন।
পরে মধুকৈটভ যুদ্ধে বিষ্ণু কর্ত্তৃক সংস্তুতা হন।
তৎকালে
প্রাণসংকট উপস্থিত হইলে ব্রহ্মা তাহাঁর স্তব করেন।
তৎপরে
মহাঘোরতর ত্রিপূর যুদ্ধকালে ত্রিপুরারি দেবাদিদেব মহাদেব তাহাঁর (দুর্গা) স্তুতিবাদে প্রবৃত্ত হন।
অতঃপর বৃত্রাসুর বধকালে ঘোর প্রাণ সংকট উপস্থিত হইলে দেবরাজ সমস্ত দেবগণ পরিবৃত্ত হইয়া দেবী দুর্গার স্তব করেন।
মনু, সুরথাদি মানবগণ প্রতি কল্পে সেই পরমা প্রকৃতির (দেবী দুর্গার) স্তব করিয়াছিলেন।‘’ (প্রকৃতিখণ্ডম্ - অধ্যায়ঃ ৬৬)
গোলকধামে শ্রীকৃষ্ণ কর্ত্তৃক দেবী দুর্গার স্তবঃ- ‘’হে দেবী! তুমি সর্ব্বজননা মূল প্রকৃতি, ঈশ্বরী ও সৃষ্টি বিধান কালে আদ্যাশক্তি বলিয়া কীর্ত্তিতা হইয়া থাক।
স্বেচ্ছাক্রমে তুমি ত্রিগুণাত্মিকা হও। হে দূর্গে! তুমি বস্তুতঃ স্বয়ং নির্গুণা।
তুমি পরমব্রহ্ম স্বরূপা, সনাতনী, তেজ স্বরূপা পরমা প্রকৃতি। তুমি সর্ব্বস্বরূপা, সর্ব্বেশ্বরী বলিয়া অভিহিতা হইয়া থাকো। হে দেবি! তুমি সর্ব্ব
বীজস্বরূপা, সর্বতো ভদ্রা, সর্ব্বমঙ্গল মঙ্গলা, সর্বশক্তি স্বরূপিনী, সর্বজ্ঞান দায়িনী নামে বিখ্যাত রহিয়াছ।
তুমি সর্বদা সর্ব্বজীবে অধিষ্ঠান করিতেছ।‘’
হে পরমেশ্বরী! তুমি আমার নিজেরও নিদ্রা, দয়া, তৃষ্ণা, ক্ষুধা, ক্ষমা ও শান্তি
স্বরূপা। হে দেবী! তুমি প্রীতিরূপা, পুণ্যবতী। তুমি কৃপাময়ী, তোমার কৃপায় ব্রহ্মা সৃষ্টি কত্তৃত্ব ও দেবগণ নিজ নিজ পদ প্রাপ্ত হইয়াছে।
তুমিই সমস্ত দেবের হিতার্থে সমস্ত অসুরগণের সংহার করিয়াছ।
তুমি যোগনিদ্রা, যোগরূপা, যোগধাত্রী, যোগিনী, সিদ্ধিস্বরূপা, সিদ্ধগণের সিদ্ধিদায়িনী ও সিদ্ধযোগিনী নামে অভিহিতা হও।
তুমি মাহেশ্বরী, ব্রহ্মাণী, বিষ্ণুমায়া, ভদ্রকালী ও সর্ব্বলোক ভয়ংকরী বলিয়া অভিহিতা হও।
‘’হে দেবী! তুমি তপস্বীগনের তপস্যা, বিদ্যাবানের বিদ্যা, বুদ্ধিমানের বুদ্ধি, সাধুগনের মেধা। হে বিশ্বপূজিতে! তুমি কালরাত্রি, মহারাত্রি, মোহরাত্রি ও মোহিনী নাম ধারণ করিয়াছ। হে দেবী! জ্ঞানবান ব্যক্তিও মায়ারূপিণী তোমা
কর্ত্তৃক মুগ্ধ হইয়া মোক্ষ-মার্গ দর্শন করিতে সমর্থ হয়না।‘’ (ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ; প্রকৃতিখণ্ডম্ - অধ্যায়ঃ ৬৬ )
দুর্গার দশহাতের দশঅস্ত্রের তাৎপর্য:-
১) শঙ্খ– পুরাণ মতে, শঙ্খের থেকে যে শব্দের উৎপত্তি হয় তা থেকেই জীব জগতের সমস্ত প্রাণের সৃষ্টি। সৃষ্টির প্রতীক এই শঙ্খ।
২) চক্র– মা দুর্গার হাতে ঘুরে চক্র। এর অর্থ হল সমস্ত সৃষ্টির কেন্দ্রে রয়েছেন দেবী দুর্গা এবং তাঁকে কেন্দ্র করে সমস্ত বিশ্ব আবর্তিত হচ্ছে।
৩) পদ্ম– দেবীর হাতের পদ্ম সমাজকে একটি খুব সুন্দর বার্তা দেয়– পদ্ম পাঁকের মধ্যে জন্মায়। কিন্তু তবু সে কত সুন্দর। তেমনি মায়ের আশীর্বাদে অসুররাও তাদের ভেতরের অন্ধকার থেকে মুক্তি লাভ করে। এই বার্তাই দেয় পদ্ম ফুল।
৪) তলোয়ার– তলোয়ার হলো মানুষের বুদ্ধির প্রতীক
যার দ্বারা মানুষ সমস্ত বৈষম্য এবং অন্ধকারকে ভেদ করতে পারে ৷
৫) তীর ধনুক– তীর, ধনুক ইতিবাচক শক্তির প্রতীক৷
৬) ত্রিশূল– ত্রিশূলের তিনটি তীক্ষ্ম ফলার তিনটি আলাদা আলাদা অর্থ রয়েছে।
মানুষ
তিনটি গুণ বা ত্রিগুণের সমন্বয়ে তৈরি। তমঃ গুণ, রজঃ গুণ এবং সত্ত্ব গুণ। ত্রিশূলের তিনটি ফলা এই তিনটি গুণকেই নির্দেশ করে।
৭) গদা– গদা আনুগত্য, ভালোবাসা এবং ভক্তির প্রতীক।
৮) বজ্র / অশনি– মায়ের হাতের বজ্র/অশনি দৃঢ়তা ও সংহতির প্রতীক। এই দুটি গুণের সাহায্যেই মানুষ জীবনে নিজের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সক্ষম হন।
৯) সাপ– চেতনার নিম্ন স্তরে থেকে উচ্চ স্তরে প্রবেশ এবং বিশুদ্ধ চেতনার প্রতীক এই সাপ।
১০) অগ্নি– জ্ঞান এবং বিদ্যার প্রতীক অগ্নি। জয় মা দুর্গা
🌷নবদুর্গা স্তোত্রম্🌷
💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐
ঈশ্বর উবাচ ।
শৃণু দেবি প্রবক্ষ্যামি কবচং সর্বসিদ্ধিদম্ ।
পঠিত্বা পাঠযিত্বা চ নরো মুচ্যেত সংকটাত্ ॥
অজ্ঞাত্বা কবচং দেবি দুর্গামংত্রং চ যো জপেত্ ।
ন চাপ্নোতি ফলং তস্য পরং চ নরকং ব্রজেত্ ॥
উমাদেবী শিরঃ পাতু ললাটে শূলধারিণী ।
চক্ষুষী খেচরী পাতু কর্ণৌ চত্বরবাসিনী ॥
সুগংধা নাসিকং পাতু বদনং সর্বধারিণী ।
জিহ্বাং চ চংডিকাদেবী গ্রীবাং সৌভদ্রিকা তথা ॥
অশোকবাসিনী চেতো দ্বৌ বাহূ বজ্রধারিণী ।
হৃদযং ললিতাদেবী উদরং সিংহবাহিনী ॥
কটিং ভগবতী দেবী দ্বাবূরূ বিংধ্যবাসিনী ।
মহাবলা চ জংঘে দ্বে পাদৌ ভূতলবাসিনী ॥
এবং স্থিতাঽসি দেবি ত্বং ত্রৈলোক্যে রক্ষণাত্মিকা ।
রক্ষ মাং সর্বগাত্রেষু দুর্গে দেবি নমোঽস্তু তে ॥
No comments:
Post a Comment