🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳
🦚🐥নন্দ বাবা ও যশোদা মা🐥🦚
🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳
🍇খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট🍇
শ্রী
শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সকল
সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I
‘’গুরু - বৈষ্ণব - ভগবান
তিনিহেঁ স্মরণ
।
তিনেহেঁ স্মরণ হইতে হয় বিঘ্ন বিনাশন ।।
অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।’’
গুরবে গৌরচন্দ্রায় রাধিকায়ৈ তদালয়ে ।
কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদ্ভক্তায় নমো নমঃ ।।
যৎকীর্ত্তনং যৎস্মরণং যদীক্ষণং,
যদ্বন্দনং যচ্ছ্রবনং যদর্হণম্ ।
লোকস্য সদ্যো বিধুনোতি কল্মষং
তস্মৈ সুভদ্রশ্রবসে নমো নমঃ ।। (ভাগবত ২/৪/১৫)
অর্থাৎ,- আমি সেই সর্ব মঙ্গলময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করি; যাঁর যশগাথা কীর্ত্তন, স্মরণ, দর্শন, বন্দন, শ্রবণ ও পূজনের ফলে সমস্ত পাপরাশি অচিরেই ধৌত হয়।
★☞প্রশ্নঃ মা যশোদা ও নন্দমহারাজ পূর্বজীবনে কাঁরা ছিলেন?
★☞উত্তরঃ শ্রীনারায়ণ একসময় দেবর্ষি নারদকে মা যশোদা ও নন্দমহারাজের পূর্ব পরিচিতির কথা উল্লেখ করেছিলেন, যা ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে উল্লেখ রয়েছে। নন্দ মহারাজ বসুগণের মধ্যে শ্রেষ্ঠ ছিলেন। তাঁর নাম ছিল দ্রোণ। তিনি মহান তপস্বী ছিলেন। তাঁর পত্নীর নাম ছিল ধরা। সেই তপস্বিনী সাধ্বী ধরা যশোদারূপে আবির্ভূতা হয়েছেন। একবার এই ধরা ও দ্রোণ পুণ্যভূমি ভারতবর্ষে গন্ধমার্দন পর্বতে ব্রহ্মপুত্র গৌতম ঋষির আশ্রমের কাছে সুপ্রভা নদীর তীরে শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করবার উদ্দেশ্যে দশ হাজার বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন। তবুও এই তপস্বী ও তপস্বিনী শ্রীকৃষ্ণকে দর্শন করতে পারেননি।
তখন
তাঁরা বৈরাগ্যবশত অগ্নিকুণ্ড প্রস্তুত করলেন এবং সেই অগ্নিমধ্যে প্রবেশ করবার জন্য উপস্থিত হলেন। তাদের এভাবে প্রাণ বিসর্জন দিতে ইচ্ছুক দেখে দৈববাণী হল,- 'তিষ্ঠ! তোমরা পৃথিবীতে গোকুলে শ্রীহরিকে পুত্ররূপে দর্শন করবে। হে বসুশ্রেষ্ঠ দ্রোণ! যোগীরা বহু জন্ম ধ্যান করেও যাঁর দর্শন পায় না, ব্রহ্মা, শিব প্রমুখ দেবশ্রেষ্ঠগণ যাঁর পাদপদ্ম বন্দনা করেন, বিদ্বান ব্যক্তিরা যাঁর চরণকমল স্মরণ করেন, সেই পরমপ্রভু শ্রীহরি অচিরে পুত্ররূপে তোমাদের দর্শন দেবেন।' সেই দৈববাণী শুনে ধরা ও দ্রোণ আনন্দিত মনে আপন ভবনে গমন করলেন। তারপর তাঁরা ব্রজমণ্ডলে যশোদা ও নন্দরূপে জন্মগ্রহণ করেন।
🍁শ্রীকৃষ্ণস্তবরাজ🍁
🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚
শ্রীগণেশায় নমঃ ।
শ্রীমহাদেব উবাচ ।
শৃণু
দেবি প্রবক্ষ্যামি স্তোত্রং পরমদুর্লভম্ ।
যজ্জ্ঞাৎবা ন পুনর্গচ্ছেন্নরো নিরয়যাতনাম্ ॥ ১॥
নারদায়
চ যৎপ্রোক্তং ব্রহ্মপুত্রেণ ধীমতা ।
সনৎকুমারেণ পুরা যোগীন্দ্রগুরুবর্ত্মনা ॥ ২॥
শ্রীনারদ উবাচ ।
প্রসীদ
ভগবন্মহ্যমজ্ঞানাৎকুণ্ঠিতাত্মনে ।
তবাংঘ্রিপঙ্কজরজোরাগিণীং ভক্তিমুত্তমাম্ ॥ ৩॥
অজ প্রসীদ ভগবন্নমিতদ্যুতিপঞ্জর ।
অপ্রমেয়ং প্রসীদাস্মদ্দুঃখহন্পুরুষোত্তম ॥ ৪॥
স্বসংবেদ্য প্রসীদাস্মদানন্দাত্মন্ননাময় ।
অচিন্ত্যসার বিশ্বাত্মন্প্রসীদ পরমেশ্বর ॥ ৫॥
প্রসীদ
তুঙ্গতুঙ্গানাং প্রসীদ শিবশোভন ।
প্রসীদ
গুণগম্ভীর গম্ভীরাণাং মহাদ্যুতে ॥ ৬॥
প্রসীদ
ব্যক্তং বিস্তীর্ণং বিস্তীর্ণানামগোচর ।
প্রসীদার্দ্রার্দ্রজাতীনাং প্রসীদান্তান্তদায়িনাম্ ॥ ৭॥
গুরোর্গরীয়ঃ সর্বেশ প্রসীদানন্ত দেহিনাম্ ।
জয় মাধব মায়াত্মন্ জয় শাশ্বতশঙ্খভৃৎ ॥ ৮॥
জয় শঙ্খধর শ্রীমন্ জয় নন্দকনন্দন ।
জয় চক্রগদাপাণে জয় দেব জনার্দন ॥ ৯॥
জয় রত্নবরাবদ্ধকিরীটাকান্তমস্তক ।
জয় পক্ষিপতিচ্ছায়ানিরুদ্ধার্ককরারুণ ॥ ১০॥
নমস্তে
নরকারাতে নমস্তে মধুসূদন ।
নমস্তে
ললিতাপাঙ্গ নমস্তে নরকান্তক ॥ ১১॥
নমঃ
পাপহরেশান নমঃ সর্পভবাপহ ।
নমঃ
সম্ভূতসর্বাত্মন্নমঃ সম্ভৃতকৌস্তুভ ॥ ১২॥
নমস্তে
নয়নাতীত নমস্তে ভয়হারক ।
নমো
বিভিন্নবেষায় নমঃ শ্রুতিপথাতিগ ॥ ১৩॥
নমশ্চিন্মূর্তিভেদেন সর্গস্থিত্যন্তহেতবে ।
বিষ্ণবে ত্রিদশারাতিজিষ্ণবে পরমাত্মনে ॥ ১৪॥
চক্রভিন্নারিচক্রায় চক্রিণে চক্রবল্লভ ।
বিশ্বায় বিশ্ববন্দ্যায় বিশ্বভূতানুবর্তিনে ॥ ১৫॥
নমোঽস্তু যোগিধ্যেয়াত্মন্নমোঽস্ত্বধ্যাত্মিরূপিণে ।
ভক্তিপ্রদায় ভক্তানাং নমস্তে মুক্তিদায়িনে ॥ ১৬॥
পূজনং
হবনং চেজ্যা ধ্যানং পশ্চান্নমস্ক্রিয়া ।
দেবেশ
কর্ম সর্বং মে ভবেদারাধনং তব ॥ ১৭॥
ইতি
হবনজপার্চাভেদতো বিষ্ণুপূজা-
নিয়তহৃদয়কর্মা যস্তু মন্ত্রী চিরায় ।
স খলু সকলকামান্ প্রাপ্য কৃষ্ণান্তরাত্মা
জননমৃতিবিমুক্তোঽত্যুত্তমাং ভক্তিমেতি ॥ ১৮॥
গোগোপগোপিকাবীতং গোপালং গোষু গোপ্রদম্ ।
গোপৈরীড্যং গোসহস্রৈর্নৌমি গোকুলনায়কম্ ॥ ১৯॥
প্রীণয়েদনয়া স্তুত্যা জগন্নাথং জগন্ময়ম্ ।
ধর্মার্থকামমোক্ষাণামাপ্তয়ে পুরুষোত্তমঃ ॥ ২০॥
॥ ইতি শ্রীনারদপঞ্চরাত্রে শ্রীকৃষ্ণস্তবরাজঃ সম্পূর্ণঃ ॥
No comments:
Post a Comment