Thursday, October 14, 2021

🌻🍁🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🍁🌻

💐🌷শ্রীশ্রীরামচন্দ্রের বিজয়োৎসব🌷💐

🌻🍁🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🍁🌻

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I আজ পরাৎ পরব্রহ্ম শ্রীকৃষ্ণের অংশাবতার শ্রীরামচন্দ্রের শুভ বিজয়োৎসব। অধর্ম্মের পর ধর্ম্মের বিজয়, অসত্যের পর সত্যের বিজয় এই মহা বিজয়োৎসব উপলক্ষে সবাইকে জানাই  কৃষ্ণপ্রীতি এবং শুভেচ্ছা।

 

🌷নবদুর্গা স্তোত্রম্🌷

🦚💐🏵️🌷🏵️💐🦚

 

গণেশঃ

হরিদ্রাভংচতুর্বাদু হারিদ্রবসনংবিভুম্

পাশাংকুশধরং দৈবংমোদকংদংতমেব ।।

 

🌷দেবী শৈলপুত্রী🌷

বংদে বাংছিতলাভায চংদ্রার্ধকৃতশেখরাং।

বৃষারূঢাং শূলধরাং শৈলপুত্রী যশস্বিনীম্ ।।

 

🌷দেবী ব্রহ্মচারিণী🌷

দধানা করপদ্মাভ্যামক্ষমালা কমংডলূ

দেবী প্রসীদতু মযি ব্রহ্মচারিণ্যনুত্তমা ।।

 

🌷দেবী চংদ্রঘংটেতি🌷

পিংডজপ্রবরারূঢা চংদকোপাস্ত্রকৈর্যুতা

প্রসাদং তনুতে মহ্যং চংদ্রঘংটেতি বিশ্রুতা ।।

 

🌷দেবী কূষ্মাংডা🌷

সুরাসংপূর্ণকলশং রুধিরাপ্লুতমেব

দধানা হস্তপদ্মাভ্যাং কূষ্মাংডা শুভদাস্তু মে ।।

 

🌷দেবীস্কংদমাতা🌷

সিংহাসনগতা নিত্যং পদ্মাশ্রিতকরদ্বযা

শুভদাস্তু সদা দেবী স্কংদমাতা যশস্বিনী ।।

 

🌷দেবীকাত্যাযণী🌷

চংদ্রহাসোজ্জ্বলকরা শার্দূলবরবাহনা

কাত্যাযনী শুভং দদ্যাদেবী দানবঘাতিনী ।।

 

🌷দেবীকালরাত্রি🌷

একবেণী জপাকর্ণপূর নগ্না খরাস্থিতা

লংবোষ্ঠী কর্ণিকাকর্ণী তৈলাভ্যক্তশরীরিণী ।।

বামপাদোল্লসল্লোহলতাকংটকভূষণা

বর্ধনমূর্ধ্বজা কৃষ্ণা কালরাত্রির্ভযংকরী ।।

 

🌷দেবীমহাগৌরী🌷

শ্বেতে বৃষে সমারূঢা শ্বেতাংবরধরা শুচিঃ

মহাগৌরী শুভং দদ্যান্মহাদেবপ্রমোদদা ।।

 

🌷দেবীসিদ্ধিদাত্রি🌷

সিদ্ধগংধর্বযক্ষাদ্যৈরসুরৈরমরৈরপি

সেব্যমানা সদা ভূযাত্ সিদ্ধিদা সিদ্ধিদাযিনী ।।

 

শ্রীরামচন্দ্রকে দুর্গাপূজা করতে পরামর্শ দিলেন কে?

দেবী ভাগবত, মহা ভাগবত, কালিকাপুরাণ, এবং বৃহদ্ধর্মপুরাণ,- এই চারটি পুরাণে শ্রীরামচন্দ্রের দুর্গাপূজার বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। চলুন সংক্ষেপে সেই বিবরণ দেখে নেওয়া যাক। দেবী ভাগবতের বর্ণনানুযায়ী রামচন্দ্র কিষ্কিন্ধ্যায় অবস্থানকালে মহর্ষি নারদের উপদেশে রাবণবধ সীতা-উদ্ধারের জন্য সেখানে শারদীয়া দুর্গাপূজা সম্পন্ন করে বিজয়া দশমীতে পূজা শেষ করে মহর্ষি নারদকে বহুমূল্য দক্ষিণা দান করে লঙ্কার উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। মহাভাগবতের বিবরণ অনুযায়ী শ্রীরামচন্দ্র, সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মাকে পুরোহিত নিয়োগ করেন। ব্রহ্মা  শরৎকালের কৃষ্ণা নবমীতে দেবীর বোধন করেন। এরপর কৃষ্ণা দশমী থেকে মহাপঞ্চমী পর্যন্ত সাধারণ পূজা, মহাষষ্ঠীতে অধিবাস, সপ্তমীতে নবপত্রিকা, অষ্টমী, নবমী বিশেষ পূজা, সন্ধিপূজা, এবং দশমীতে মৃন্ময়ী দেবীর বিসর্জন করেছিলেন।

দেবী ভগবতী কিভাবে দুর্গাদেবী রূপে আবির্ভুত হলেন তার সম্পূর্ণ বিবরণ রয়েছে। মহিষাসুরের অত্যাচারে সকল দেবতারা স্বর্গ থেকে বিতাড়িত হয়ে মর্ত্যে এসে আশ্রয় নিলেন। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরের নিকট সকল দেবতারা গিয়ে অসুরদের অত্যাচারের বিবরণ দিলেন। অশুভ শক্তির পরাক্রম শুনে, রাগে অসন্তোষে এই তিন সৃষ্টিকর্তার শরীর থেকে নিঃসৃত তেজোরাশি সম্মিলিত হয়ে এক নারীমূর্তি সৃষ্টি হল। শংকরের তেজ থেকে দেবীর মুখমণ্ডল, অগ্নির তেজে দেবীর ত্রিনয়ন, উষা সন্ধ্যার তেজে দেবীর ভ্রু যুগল, বায়ুর তেজে দেবীর কর্ণদ্বয়, কুবেরের তেজে দেবীর নাসিকা, প্রজাপতির তেজে দেবীর দন্তসমূহ, যমের তেজে দেবীর কেশকুন্তল, বিষ্ণুর তেজে দেবীর বাহুগুলি, বসুগণের তেজে হস্তাঙ্গুলী, চন্দ্রের তেজে দেবীর স্তনযুগল, ইন্দ্রের তেজে দেবীর মধ্যদেশ, পৃথিবীর তেজে দেবীর নিতম্ব, বরুণের তেজে দেবীর উরু জংঘা, ব্রম্ভার তেজে দেবীর পাদোদয়, সূর্যের তেজে দেবীর পদাঙ্গুলি তৈরী হল।

বাসুকী, দেবীকে অলংকারে সাজালেন, এবারে নানাবিধ অস্ত্রে দেবীকে সুসজ্জিত করলেন দেবতারা। সমুদ্র দিলেন পদ্ম, মহাদেব দিলেন ত্রিশূল, বিষ্ণু দিলেন চক্র, বরুণ দিলেন শঙ্খ, পাশ, বায়ু দিলেন তীর-ধনুক, বিশ্বকর্মা দিলেন কুঠার, কাল দিলেন খড়্গ। এভাবেই দেবী ভগবতী, দেবীদুর্গা  রূপে প্রস্তুত হলেন, মহিষাসুর বধের জন্য। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রতীক দেবীদুর্গা, সমাজকে তার আবির্ভাব থেকে দুর্গতি বিনাশ করা অবধি এই বার্তাই সরবরাহ করেন যে, যে কোনও প্রতিকূল পরিস্থিতি, তা সে দেবতাদেরই হোক বা মানুষের, যদি সকলে একজোট হয়ে সেই পরিস্থিতির সম্মুখীন হওয়া যায়, তাহলে বিপদ দূর হবেই হবে। কিংবা এভাবেও বলা যায় যে, তাহলে দুর্গতি দূর করা সম্ভব। অর্থাৎ, ‘একতাই বল

সেই জন্য সকলে একজোট হওয়াটা বিশেষ প্রয়োজন। কারণ স্বয়ং দেবতারাও তাদের বিপদের সময়ে সকলে একজোট হয়েছিলেন। তবেই তাদের দুর্গতি বিনাশ করা সম্ভব হয়েছিল। করেছিলেন তাদেরই একজোট হওয়া শক্তির প্রতিরূপ ‘’শ্রীশ্রী দেবীদুর্গা’’ জয় ঐক্যের জয়। নবমীতে রামচন্দ্র রাবণ বধ করেন এবং দশমীতে বিজয়োৎসব পালিত হয়। কালিকা পুরাণে  বর্ণনানুযায়ী শ্রীরামচন্দ্রের প্রতি অনুগ্রহ রাবণ বধের জন্য ব্রহ্মা দেবগণের সঙ্গে মিলিতভাবে শরৎকালে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণানবমীতে দেবীদুর্গার বোধন করে শুক্লানবমী পর্যন্ত এক পক্ষকাল ধরে দেবীদুর্গার  পূজা করেন। নবমীতে রাবণ বধ হয়। ওইদিন পিতামহ ব্রহ্মা, দেবীর বিশেষ পূজা করেন। দশমীতে দেবী শারোদৎসবের মধ্য দিয়ে বিসর্জিতা হন।


শ্রীরামচন্দ্রের দুর্গাপূজারঅষ্টমীতে রাম রাবণের ভীষণ যুদ্ধ

বৃহদ্ধর্মপুরাণের বর্ণনানুযায়ী, লঙ্কায় অকালে কুম্ভকর্ণের ঘুম ভাঙানো হলে দেবতারা চিন্তিত হয়ে ব্রহ্মার  শরণাপন্ন হন। ব্রহ্মা বললেন, শরৎকালে দেবীদুর্গার আদেশ ছাড়া রাবণ বধ সম্ভব নয়। শরৎকালের শুক্লপক্ষের সামান্যই দেরী। রাবণ শুক্লপক্ষ এলেই পূজা শুরু করবেন তাহলে রাবণ বধ অসম্ভব হয়ে পড়বে। তাই আর দেরি না করে সকল দেবতা মিলে দেবীর স্তুতি করলেন। দেবী ভগবতী সন্তুষ্ট হয়ে চন্ডিকারূপে উপস্থিত হলেন। ব্রহ্মা তাকে জানালেন, রামচন্দ্রের প্রতি অনুগ্রহ রাবণ বধের জন্য শরৎকালে তার বোধন করা হয়েছে। আর যতদিন না রাবণ বধ সম্পন্ন হবে ততদিন পর্যন্ত স্বর্গ, মর্ত্য,পাতাল জুড়ে সকল মানুষ এবং দেবতারা সকলে দেবীর বিশেষ পূজা করবেন। রাবণ বধ হলে দেবীর বিসর্জন সম্পন্ন হবে।

এমনটি শুনে দেবী দুর্গা বরদান করে বললেন কৃষ্ণা নবমীতে কুম্ভকর্ণ নিহত হবে। ত্রয়োদশীতে অতিকায় নিহত হবে। অমাবস্যায় ইন্দ্রজিৎ নিহত হবে। প্রতিপদে মকরাক্ষ নিহত হবে। দ্বিতীয়াতে দেবান্তকাদি নিহত হবে। সপ্তমী তিথিতে দেবী দুর্গতিনাশিনী শ্রীরামের দিব্যশরাসনে উপবিষ্ট হবেন। অষ্টমীতে রাম রাবণের ভীষণ যুদ্ধ হবে। অষ্টমী নবমীর সন্ধিক্ষনে প্রথম বার রাবণের মস্তক ছিন্ন হবে। এরপর বারে বারে ছিন্ন হতে হতে শুক্লানবমীর শেষবেলায় শ্রীরামচন্দ্র রাবণ নিধন করবেন। দশমীতে সকলে মিলে বিজয়োৎসব করবেন। যুগ যুগ ধরে বাঙালিদের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা, শ্রীরামচন্দ্রের দুর্গাপূজার প্রেরণায়, এই সকল পুরাণ-এর অনুসরণেই সম্পন্ন হয়ে থাকে।

🌷জয় মা দুর্গার জয়🌺🌷🌺জয় সকল ভক্তবৃন্দের জয়🌷




 

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...