অভয় চরণ
=========
না জানি কি যে মধু ঐ চরণে আছে।
যেখানে যাই সেখানে হেরি ঐ চরণই যাঁচে ।।
ঐ পদেই যত তীর্থ মধুর বৃন্দাবন ।
ঐ পদেই মগ্ন রহে সারা ত্রিভুবন।।
ঐ শ্রীচরণে বন্দেন ব্রহ্মা পঞ্চানন।
ঐ পদেই নিবেশিত কমলার মন ।।
ঐ পদেই সুরধুনী পতিতপাবনী।
ঐ পদে শাপ মুক্ত অহল্যা পাষাণী।।
হনুমান বিহ্বলিত ঐ চরণ তলে।
কমল চরণ লাগি যমুনা উছলে।।
রতি পতির ঐ পদে ঝুঁকিল আনন।
ঐ পদে সদা ভীত কৃতান্ত শাসন।।
বলির দর্পচূর্ণ হল ঐ পদেরই তলে।
ঐ চরণ সেবিলেন গুহক চণ্ডালে।।
অভয় চরণ দিলেন কালিয় মস্তকে।
আজও ঐ চরণ কমল গয়াসুরের বুকে।।
ঐ পদে হার মানে মণি মুক্তা হেম।
ঐ পদে লুকান আছে কত নারীর প্রেম।।
ঐ পদেই সতত হয় ধর্মের প্রকাশ ।
প্রিয় পার্থ পেয়েছিলেন তেমনই আভাস।।
ঐ পদে রুদ্ধ হয় গো নরকের দ্বার।
ঐ পদ শরণে হয় ভব নদী পার।।
ঐ যে অভয় চরণ ভব ভয় হারী।
ঐ পদে জুড়ায় জ্বালা ত্রিতাপ সংহারী।।
অপরাধী হয়েও যদি ঐ চরণ ধরে।
ক্ষমা করে দিয়ে তারে দেন মুক্ত করে।।
সংসারী মঙ্গল লাগি ঐ চরণে পূজে।
যোগী মুনি ঋষি মগ্ন ঐ পদেরই খোঁজে।।
ধ্রুবরে দিলেন প্রভু ঐ ধ্রুবপদ।
ঐ পদে চির শান্তি নাহিক বিপদ।।
বৈষ্ণবের পরাণ ঐ চরণ কমলে।
কত সাধনার ফলে ঐ চরণ মিলে।।
কচি কচি ঐ পদ ব্রজের ঘরে ঘরে।
নীপ তলে রাঙা পদ যমুনার তীরে।।
ধন্য জয়দেব পদ্মা ধন্য তাঁদের ঘর।
তথায় রাখিলেন চরণ শ্যাম নটবর।।
ধুরন্ধর পাপিষ্ঠ জোগাই মাধাই।
গৌর হরির চরণ ধরে উদ্ধার পেয়ে যায়।।
কত জনে কত ভাবে চরন সেবা করে।
আমি শুধু আছি পড়ে মায়ার সংসারে।।
সাধ্য নাই করিতে ঐ চরণ বন্দন ।
কে বর্ণিতে পারে ঐ অমূল্য রতন।।
কিঞ্চিত বিরিঞ্চি জানেন আর নারদ মুনি।
সবার অধিক জানেন দেব শূলপাণি।।
ব্যাসদেব শুকদেব আর বীণাপাণি।
কৃষ্ণ ভক্ত জনে জানেন স্বয়ং জানেন তিনি।।
কত জনে কত ভাবে পদ দিলে হরে।
আমার বেলায় কেন রহ দূরে দূরে।।
জানি না গো ঐ পদের সাধন ভজন।
শিখি নাই করিতে আমি চরণ পূজন।।
ভাব নাই ভক্তি নাই, নাই ভালোবাসা।
তবে কেন ঐ পদের করি গো লালসা।।
পদের যোগ্য নই আমি ওহে বনমালী ।
মরণে চরণ তলে রেখো, দিয়া পদধূলি ।।
যেই জন কলিকালে করে কৃষ্ণ-আরাধন।একমাত্র পন্থা তার নাম -সংকীর্তন।।
যেই জন এইরূপে করেন সাধন ভজন।সেই বুদ্ধিমান,পায় শ্রীকৃষ্ণের শ্রীচরণ।।
🌷হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।🌷হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
No comments:
Post a Comment