Wednesday, September 15, 2021

🌳🦚🌷💞🏵️💞🌷🦚🌳

💐🌻বিজয়া মহাদ্বাদশী🌻💐

🌳🦚🌷💞🏵️💞🌷🦚🌳

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I

‘’গুরু - বৈষ্ণব  - ভগবান তিনিহেঁ স্মরণ ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে হয় বিঘ্ন বিনাশন ।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ I’’

 

হরেকৃষ্ণ, আগামী ১৭ সেপ্টেম্বর, ৩১ ভাদ্র  ইং রোজ - শুক্রবার  বিজয়া মহাদ্বাদশী ব্রতের উপবাস I সায়ং সন্ধ্যায় শ্রীহরির পার্শ্ব - পরিবর্ত্তন। শ্রীবিষ্ণু শৃঙ্খলযোগ। সকলকে জানাই কৃষ্ণ প্রীতি শুভেচ্ছা।

(পারণপরদিন পূর্ব্বাহ্ন ০৭ / ০৩ মিঃ মধ্যে দ্বাদশীর পারণ)

আপনি নিজে দ্বাদশী ব্রত পালন করুন অন্যকে পালনে উৎসাহিত করুন।

 

ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে বর্ণিত অষ্ট মহাদ্বাদশী:-

একাদশী ব্রত প্রসঙ্গে আটটি মহাদ্বাদশী ব্রত সম্পর্কেও আমাদের বিশেষভাবে জানা প্রয়োজন। ব্রহ্মবৈবর্ত্ত পুরাণে শ্রীসূত-শৌনক সংবাদে অষ্ট মহাদ্বাদশীর কথা বলা হয়েছে,-

উন্মীলনী ব্যঞ্জুলী ত্রিস্পৃশা পক্ষবর্দ্ধিনী ।

জয়া বিজয়া চৈব জয়ন্তী পাপনাশিনী  I I

দ্বাদশ্যোহষ্টৌ মহাপুণ্যাঃ সর্ব্বপাপহরা দ্বিজ ।

তিথিযোগেন জায়ন্তে চতস্ররশ্চাপরাস্তথা ।

নক্ষত্রযোগাচ্চ বলাৎ পাপং প্রশময়ন্তি তাঃ  I I  (হঃ ভঃ বিঃ ১৩/১০৬-১০৭)

হে ব্রাহ্মণ! উন্মীলনী, ব্যঞ্জুলী, ত্রিস্পৃশা, পক্ষবর্দ্ধিনী, জয়া, বিজয়া, জয়ন্তী পাপনাশিনী; এই আটটি দ্বাদশী পরম পবিত্রা সর্বপাপহারিনী। এর মধ্যে চারটি দ্বাদশী তিথিযোগে এবং অবশিষ্ট চারটি নক্ষত্রযোগে আবির্ভূত হয়। সকল দ্বাদশী সর্বপাপ বিনাশ করে।

 

ধর্মস্বরূপ সাক্ষাৎ শ্রীহরি একাদশী রূপে বিরাজ করেন । ব্যঞ্জুলী উন্মীলনী ব্রত তাঁর শরীরের মতো বলা হয়। পদ্মপুরাণ মার্কণ্ডেয়  পুরাণে বলা হয়েছে যে, যারা এই দ্বাদশী ব্রতের অনুষ্ঠান করে না, দেহান্তে তারা যমপুরীতে বাস করে। তাই আত্মকল্যাণ লাভের জন্য প্রত্যেকের কর্তব্য একাদশী তথা মহাদ্বাদশী তিথিগুলি যত্নসহকারে পালন করা উচিত এর ফলে অবাঞ্ছিত দুঃখ-দুর্দশা থেকে পরিত্রাণ আত্যন্তিক মঙ্গল লাভ হয়। এছাড়াও হরিভক্তিবিলাসে শ্রাবণ দ্বাদশী এবং গোবিন্দ দ্বাদশী নামে আরও দুইটি দ্বাদশী ব্রতের উল্লেখ রয়েছে।

 

🏵️বিজয়া মহাদ্বাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য🏵️

শুক্লপক্ষের দ্বাদশী তিথিতে শ্রবণা নক্ষত্রের যোগ হলে সেই মহাপবিত্র দ্বাদশীকেবিজয়াবলাহয়। ভাদ্র মাসের বুধবারে বিজয়া ব্রত হলে সমস্ত ব্রত থেকে এই ব্রতের মাহাত্ম্য অধিক হয়।এ তিথি আবারশ্র বণ-মহাদ্বাদশী নামেও পরিচিত হয়। বিষ্ণুধর্মোত্তরে ব্রতের মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে বলা হয়েছে যে,   তিথিতে পবিত্র তীর্থ স্নানে সমস্ততীর্থ- স্নানের ফল পাওয়া যায়। সারা বৎসরের পূজার ফল কেবল ব্রত পালনেই লাভ হয়। দিনে একবার মাত্র ভগবানের নাম জপে একহাজারবার জপের ফল অর্জিত হয়। তিথিতে দান, বৈষ্ণবভোজন, হোম, উপবাসে হাজারগুণ বেশি ফল লাভ হয়ে থাকে।

 

★★★সবাইকে অনুরোধ রইল অবশ্যই মনেরাখবেন যে, একাদশী ব্রত বা কোন উপবাস মানেই কিন্তু শুধু না খেয়ে থাকানয়, বরং শুদ্ধ/পবিত্র দেহ, মন নিয়েব্রত/উপবাস রেখে নিরন্তর "ভগবানের নাম জপ" হরিকথাশ্রবণ, কীর্ত্তন, গীতাপাঠ করে "ভগবান কে প্রসন্ন/খুশিকরাই ব্রত/উপবাসের মূলউদ্দেশ্য"★★★

‘’দ্বাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।

প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টি প্রদোভব।।‘’

এইমন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে পারণ করতে হয় গীতার মাহাত্ম্যে উল্লেখ আছে

‘’যোহধীতে বিষ্ণুপর্বাহে গীতাং শ্রীহরিবাসরে।

স্বপনজাগ্রৎ চলনতিষ্ঠ শত্রুভির্নসহীয়তে।।‘’

 

অর্থাৎ,-  শ্রীবিষ্ণুর উৎসবের দিনে, একাদশী, দ্বাদশী জন্মাষ্টমীতে যিনি গীতাপাঠ করেন , তিনি চলুন বা দাড়িয়ে থাকুন, ঘুমিয়ে বা জেগেথাকুন, (যেঅবস্থাতেই থাকুন না কেন) শত্রু কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারে না।

 

()

গোপীনাথ, মম নিবেদন শুন

বিষয়ী দুর্জ্জন, সদা কামরত, কিছু নাহি মোর গুণ ।।

গোপীনাথ, আমার ভরসা তুমি

তোমার চরণে, লইনু শরণ, তোমার কিঙ্কর আমি ।।

গোপীনাথ, কেমনে শোধিবে মোরে

না জানি ভকতি, কর্ম্মে জড়মতি, পড়েছি সংসার - ঘোরে ।।

গোপীনাথ, সকল তোমার মায়া

নাহি মম বল, জ্ঞান সুনির্ম্মল, স্বাধীন নহে কায়া ।।

গোপীনাথ, নিয়ত চরণে স্থান

মাগে পামর, কাঁদিয়া কাঁদিয়া, করহে করুণা দান ।।

গোপীনাথ, তুমি ' সকলি পার

দুর্জ্জনে তারিতে, তোমার শকতি, কে আছে পাপীর আর ।।

গোপীনাথ, তুমি কৃপা - পারাবার

জীবের কারণে, আসিয়া প্রপঞ্চে, লীলা কৈলে সুবিস্তার ।।

গোপীনাথ, আমি কি দোষে দোষী

অসুর - সকল, পাইল - চরণ, বিনোদ থাকিল বসি' ।।

()

গোপীনাথ, ঘুচাও সংসার - জ্বালা

অবিদ্যা যাতনা, আর নাহি সহে, জনম - মরণ মালা ।।

গোপীনাথ, আমি ' কামের দাস

বিষয়-বাসনা, জাগিছে হৃদয়ে, ফাঁদিছে করম ফাঁস ।।

গোপীনাথ, কবে বা জাগিব আমি

কামরূপ অরি, দূরে তেয়াগিব, হৃদয়ে স্ফুরিবে তুমি ।।

গোপীনাথ, আমি ' তোমার জন

তোমারে ছাড়িয়া, সংসার ভজিনু, ভুলিয়া আপন ধন ।।

গোপীনাথ, তুমি ' সকলি জান

আপনার জনে, দণ্ডিয়া এখন, শ্রীচরণে দেহ স্থান ।।

গোপীনাথ, এই কি বিচার তব

বিমুখ দেখিয়া, ছাড় নিজ-জনে, না কর করুণা - লব ।।

গোপীনাথ, আমি ' মূরখ অতি

কিসে ভাল হয়, কভু না বুঝিনু, তাই হেন মম গতি ।।

গোপীনাথ, তুমি ' পণ্ডিতবর

মুঢ়ের মঙ্গল, তুমি অন্বেষিবে, দাসে না ভাব' পর ।।

()

গোপীনাথ, আমার উপায় নাই

তুমি কৃপা করি', আমারে লইলে, সংসারে উদ্ধার পাই ।।

গোপীনাথ, পড়েছি মায়ার ফেরে

ধন - দারা সুত, ঘিরেছে আমারে, কামেতে রেখেছে জেরে ।।

গোপীনাথ, মন যে পাগল মোর

না মানে শাসন, সদা অচেতন, বিষয়ে 'য়েছে ঘোর ।।

গোপীনাথ, হার যে মেনেছি আমি

অনেক যতন, হইল বিফল, এখন ভরসা তুমি ।।

গোপীনাথ, কেমনে হইবে গতি

প্রবল ইন্দ্রিয় - , বশীভূত মন, না ছাড়ে বিষয়-রতি ।।

গোপীনাথ, হৃদয়ে বসিয়া মোর

মনকে শমিয়া, লহ নিজ - পানে, ঘুচিবে বিপদ ঘোর ।।

গোপীনাথ, অনাথ দেখিয়া মোরে

তুমি হৃষিকেশ, হৃষীক দমিয়া, তার' হে সংসৃতি - ঘোরে ।।

গোপীনাথ, গলায় লেগেছে ফাঁস

কৃপা - অসি ধরি, বন্ধন ছেদিয়া, বিনোদে করহ দাস ।।


 

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...