🍁শ্রীল হরিদাস ঠাকুর🍁

💐নির্য্যান💐

হরে কৃষ্ণ, আজ পরম বৈষ্ণব পরম ভাগবত  শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর পূর্ণ কৃপাপাত্র  শ্রীল নামাচার্য্য হরিদাস ঠাকুরের শুভ নির্য্যান (বিরহ উৎসব ) তিথি। সকল ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে  করবদ্ধ নিবেদন সবাই এই পরম শ্রীভক্তি সিদ্ধান্তাচার্য্যর পুৎ জীবনচরিত পড়িবেন আর এই আচরণ সমূহ নিজের দৈনন্দিন জীবনে আচরণ করবেন।

শ্রীল নামাচার্য্য হরিদাস ঠাকুর শ্রীচৈতন্য মহাপ্ৰভুর খুবই অনুরক্ত ছিলেন। আদৰ্শ এক ভক্ত তিনি প্ৰত্যহ তিনলক্ষ হরিনাম জপ করতেন। তাই মহাপ্রভুর অতি প্রিয়ভক্ত শ্রীরুপ ও সনাতন পুরীতে এলে হরিদাসের সঙ্গে থাকা পছন্দ করতেন কারণ তাঁর কুটীর ছিল বেশ নিৰ্জন স্থানে। বৃথাকথায় তিনি কখনও নিজ জিহ্বা ব্যবহার করতেন না। সকল ভক্তের হরিদাসের উপর গভীর শ্ৰদ্ধা ছিল। মহাপ্ৰভু প্ৰতিদিন সকালে জগন্নাথ দৰ্শনের পর সোজা চলে আসতেন হরিদাসের কুটীরে এবং কিছু সময় কৃষ্ণ - কথায় কাটাবার পর নিজ বাসায় ফিরে যেতেন। গোবিন্দকে দিয়ে তিনি রোজ হরিদাসের জন্য মহাপ্ৰসাদ পাঠিয়ে দিতেন।

 

একদিন গোবিন্দ মহাপ্রসাদ লইয়া হরিদাস ঠাকুর কে আনন্দিত চিত্তে প্রদান করিতে গিয়া দেখিলেন, শ্রী হরিদাস ঠাকুর শয়ন করিয়া আছেন এবং সংখ্যা নাম সংকীর্ত্তন খুব ক্ষীণস্বরে হরিনাম জপ করিতেছেন; তথাপি গোবিন্দ কহিলেন,- "হরিদাস উঠিয়া আসিয়া এই প্রসাদ ভোজন করো।" কিন্তু হরিদাস ঠাকুর ব্যক্ত করিলেন,- "আমার যে সংখ্যা নামকীর্ত্তন  পূরণ হয় নাই, মহাপ্রসাদ আনিয়াছো কিন্তু আমি উপেক্ষা করিতে পারিতেছি না; এই বলিয়া তিনি মহাপ্রসাদকে দণ্ডবৎ করিয়া এক কণামাত্র প্রসাদ লইয়া ভক্ষণ করিলেন। এহেন অবস্থা শ্রীগৌর সুন্দর শ্রবণ করিয়া তাড়াতাড়ি ছুটে এসে হরিদাসের বাসায় উপস্থিত হইলেন।

 

গৌর সুন্দর জিজ্ঞাসা করিলেন,- "হরিদাস! তোমার শরীর ভালো আছে তো? "হরিদাস ঠাকুর শায়িত অবস্থায় করজোড় করিয়া নিবেদন করিলেন,-

"শরীর সুস্থ হয় মোর, অসুস্থ বুদ্ধি মন।"

প্রভু কহেন কোন্ ব্যাধি হইয়াছে তোমার,ব্যক্ত করো।

হরিদাস ঠাকুর বলিলেন,-

"সংখ্যা নামসংকীর্ত্তন এখনো পূরণ হয় নাই।"

তখন প্রভু বলিতেছেন,- "কেন হরিদাস?

"একবার কৃষ্ণনাম করি উচ্চারণ।

সর্ব্ব পাপে লভে মুক্তি নিশ্চিত সে জন।।

হরিভক্ত মুনিগণ সুরধুনী হইতে।

অধিক পবিত্র তাঁরা এই ধরনীতে।।"

 

হরিদাস! সমস্ত জীবন ভরিয়াই তো প্রত্যহ তিন লক্ষ্য হরিনাম জপ করিয়াছো, এখন তুমি বৃদ্ধ হইয়াছো, এখন আর প্রত্যহ তিন লক্ষ নাম জপ করিবার প্রয়োজন কি? শ্রীনাম সংখ্যা কিছু কমাইয়া দাও; তুমি সিদ্ধভক্ত, তোমার আর সাধনের কোনো প্রয়োজন নাই; তথাপি লোক শিক্ষার নিমিত্তই এতদিন সাধন করিয়াছো; এই বৃদ্ধ বয়সে একটু কমাইয়া দাও।"উত্তরে হরিদাস স্বভাব-সুলভ দৈন্য সহকারে বল্লেন,- “ আমি আপনার অযোগ্যতম শিষ্য, তাই আমার একটা বহুদিনের আকাঙ্খিত বাসনা আছে, যদি আপনি কৃপা করে তা’ পূরণ করবেন কথা দেন তবে বলতে পারি''। মহাপ্রভু বললেন,- হে ঠাকুর হরিদাস আপনি বলুন, আমি অবশ্যই আপনার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ  করব''।

 

কেঁদে কেঁদে হরিদাস ঠাকুর বললেন,- "হে প্রভু! বহুদিন হইতেই আমার চিত্তে একটি বাসনা জন্মাইয়াছে; বাসনাটি এই,আমার মনে হইতেছে তুমি শীঘ্রই লীলা সম্বরণ করিবে। কিন্তু প্রভু তোমার লীলা সম্বরন যেন আমাকে দর্শন করিতে না হয়, যেন তোমার লীলা সম্বরণের পূর্বেই আমার দেহপাত হয়; এইটিই আমার প্রার্থনা। আর হৃদয়ে তোমার চরণ কমল ধারণ করিয়া, চক্ষুতে তোমার চন্দ্র বদন দর্শন করিতে করিতে এবং মুখে তোমার শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য নাম উচ্চারণ করিতে করিতেই আমার প্রাণ বায়ু বহির্গত হয় এই আমার বাসনা"। প্রভু ব্যক্ত করিতেছেন,- "হরিদাস, তুমি যাহা বাঞ্ছা করিবে, কৃপাময় কৃষ্ণ অবশ্যই পূরণ করিবেন।

 

কিন্তু তোমাকে লইয়া আমার যে সুখ, তুমি যে নাম আমাকে শ্রবণ করাও; জীবের মধ্যে হরিনাম প্রচার জনিত আমার যে সুখ; তবে সেই সকল সুখ হইতেই যে আমি বঞ্ছিত হই'ব হরিদাস;তাই আমাকে ছাড়িয়া তুমি আগে চলিয়া যাইবে হরিদাস; এ তোমার পক্ষে সঙ্গত হয় না! আমি কার কাছে নাম শ্রবণ করিব বলো ? বলো, বলো হরি দাস ,আমি কার কাছে এমন মধুর নাম শ্রবণ করিব? কে আমাকে এমন মধুর মধুর নাম শ্রবণ করাইবে? হরিদাস! কে আমার দুঃখে দুখী হইয়া, বিরহে ব্যথাতুর হইয়া মধুর কৃষ্ণ নাম শ্রবণ করাইবে? বলো, বলো হরি দাস?

 

হরিদাস ঠাকুর ব্যক্ত করিতেছেন--"তোমার পার্ষদ গণের মধ্যে আমাপেক্ষা কোটী গুণের শ্রেষ্ঠ কত অসংখ্য ভক্তগণ আছেন; যাঁদের সঙ্গ প্রভাবে তুমি অপার আনন্দ উপভোগ করিতে পারিবে; এই অবস্থায় আমার ন্যেয় অধম জীবকে ছাড়িয়া যাওয়া তোমার যোগ্য নয়। প্রভু! তুমি ছলনা করিও না প্রভু তুমি ভক্তবৎসল; ভক্তের প্রতি তোমার যথেষ্ট কৃপা আছে, তাই তোমার ভক্তের কোনো বাসনাই অপূর্ণ রাখো না। আমি ভক্ত নয়, ভক্তাভাস মাত্র; তথাপি আমার ভরসা আছে যে, তুমি অবশ্যই আমার এই বাসনা পূর্ণ করিবে।" ইহার পর হরিদাস ঠাকুর ব্যক্ত করিলেন,- " প্রভু,বেলা অনেক হইয়াছে তুমি এখন মধ্যাহ্ন করিতে গমন করো, কল্য প্রাতঃকালে শ্রী জগন্নাথ দর্শন করিবার পর একটিবার এই স্থলে পদার্পণ পূর্বক এই অধমকে দর্শন দিবেন এই প্রার্থনা। অর্থাৎ হরিদাস ঠাকুর আগামী দিনেই দেহত্যাগের ইচ্ছা করিতেছেন, ভঙ্গী করিয়া প্রভুর চরণে নিবেদন করিলেন।"

 

পরদিন প্রভু সব ভক্ত গণকে লইয়া হরিদাস ঠাকুর কে দর্শন করিতে আসিলেন।

"প্রভু কহে-- হরিদাস! কহ সমাচার।

হরিদাস কহে-- প্রভু! যে কৃপা তোমার।।"

অর্থাৎ গৌর সুন্দর হরিদাস ঠাকুর কে ব্যাক্ত করিতেছেন, গতকল্য যাহা বলিয়া ছিলে সেই ব্যাপারে তোমার সেই অভিপ্রায় সম্বন্ধে তুমি কি নিশ্চিত; প্রত্যুত্তরে হরিদাস ঠাকুর বলিলেন- প্রভু আমি প্রস্তুত আছি, এখন আমার প্রার্থনানুরূপ তোমার কৃপা হইলেই আমি কৃতার্থ হইবো। তৎক্ষণাৎ প্রভু ভক্ত সকলকে লইয়া মহা সংকীর্ত্তন আরম্ভ করিলেন। তাহা বক্রেশ্বর পণ্ডিত সেই নর্ত্তন দর্শন করিয়াছিলেন। স্বরূপ গোঁসাই, রামানন্দ, সার্বভৌম ভট্টাচার্য এঁনাদের সম্মুখে গৌরসুন্দর হরিদাস ঠাকুরের গুণকীর্ত্তন পঞ্চমুখে করিতেছেন। 

 

এমতাবস্থায় হরিদাস ঠাকুর তাঁর সম্মুখে গৌরসুন্দরকে উপবেশন করাইলেন। হরিদাস ঠাকুর তাঁর নিজের চক্ষুরূপ ভ্রমর দুটিকে প্রভুর বদন রূপ পদ্মে নিয়োজিত করিলেন। পদ্মের মধু পান করিয়া ভ্রমর যেরূপ আনন্দ পায়, প্রভু বদন দর্শন করিয়া হরিদাসের তদ্রুপ ততোধিক আনন্দ অনুভব করিয়াছিলেন। হরিদাস ঠাকুর পলকহীন দৃষ্টিতে প্রভুর মুখের পানে চাহিয়া রহিলেন। ইনিই সেই অনাদির আদি গোবিন্দ -"সর্ব কারণের কারণ" তিনি আসিয়াছেন মর্তবাসী জীবকুলকে উদ্ধার করিতে এহেন শ্রীসুন্দরকে দর্শন করিয়া তাঁর যেন অন্তরে তৃপ্তি হইতেছেন না তিনি অপলক নয়নে শ্রী ভগবানকে দর্শন করিতেছেন। অতঃপর হরিদাস ঠাকুর অঙ্গনের মৃত্তিকার উপর হস্ত স্পর্শ করিয়া সকল ভক্তবৃন্দের পদরেণু ধারণ করিলেন এবং নিজ হৃদয়ে শ্রী গৌর সুন্দরের চরণদ্বয় বক্ষঃস্থলে ধারণ করিলেন।

 

প্রভুর বদনের মাধুর্য্য নয়ন দ্বারা পান করিয়া, হরিদাস ঠাকুরের নেত্রদ্বয়ে সাত্বিক ভাবের উদয় হইয়া প্রেমাশ্রু ঝরিয়া পড়িতে লাগিলেন। হরিদাসের ভক্তি-মাহাত্মের কথা স্মরণ করিয়া প্রভুর আনন্দ হইয়াছে। তাই মহাপ্রভু ভক্তভাবে দেখাইলেন যে, ভক্তের দেহত্যাগে অপর ভক্তের দুঃখের কারণ কিছুই নাই বরং আনন্দেরই হেতু আছেন; কারণ দেহত্যাগের পরেই ভক্ত অপ্রাকৃত ভগবত ধামে প্রবেশ করিবেন; তাই মহাপ্রভু প্রেমানন্দে বিহ্বল হইয়াছিলেন। অতঃপর,

"শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য-শব্দ করিতে উচ্চারণ।

নামের সহিত প্রাণ কৈল উৎক্রমণ।।"

নাম সংকীর্ত্তনই ছিল হরিদাস ঠাকুরের জীবনের ব্রত। সেই "নামই" আজ নামি শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যকে তাঁহার নিকট নামাইয়া আনিয়া নিজের সার্থকতা প্রতিপন্ন করিলেন। শ্রীল হরিদাস ঠাকুর সমস্ত জীবন নামকীর্ত্তন করিয়া আজ শেষ মুহূর্তে মূর্তমান-শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রাপ্ত হইলেন। নাম-নামীর অভিন্নতা জগতকে দেখাইয়া গেলেন। নাম উচ্চারণ করিতে করিতে হরিদাস ঠাকুরের আত্মা বহির্গমন করিল। আর প্রবেশ করিলেন মহা ভগবত ধামে।

 

অতঃপর গৌর সুন্দর প্রেমানন্দে বিহ্বল হইয়া হরিদাসের তনু ক্রোড়ে ধারণ করিয়া অঙ্গনে প্রেমাবিষ্ট হইয়া নৃত্য শুরু করিলেন। বেশ কিছুক্ষণ নৃত্যের পর স্বরূপ গোঁসাই প্রভুকে শান্ত করাইলেন ও শ্রীহরিদাস ঠাকুরকে সমুদ্রের মৃত্তিকায় সমাধি করিবার জন্য সম্মুখভাগে শ্রীগৌর সুন্দর উপস্থিত হইয়া সকলেই কীর্ত্তন করিতে করিতে সমুদ্রতীরে লইয়া যাইলেন। সমুদ্রের জলে হরিদাস ঠাকুর কে স্নান করাইলেন। হরিদাস ঠাকুর কে সমুদ্রে স্নান করাইবার ফলে প্রভু ব্যক্ত করিলেন- "সমুদ্র পূর্বে শুধুমাত্র তীর্থ ছিল,অতঃপর মহাতীর্থ হইলেন।"

 

ইহার পর শ্রীল হরিদাসের অঙ্গে শ্রী জগন্নাথের প্রসাদী চন্দন, প্রসাদী বস্ত্র, প্রসাদী পট্টডোরী ধারণ করাইলেন এবং সমুদ্রতীরে বালুকাময় মৃত্তিকা খনন করিয়া শ্রী হরিদাস ঠাকুরের সমাধিতে প্রথম মৃত্তিকা প্রদান করিলেন। স্বয়ং শ্রীগৌরসুন্দর হরিদাস ঠাকুরের তিরোভাব উৎসবের জন্য সিংহদ্বারে আসিয়া পসারীদের নিকট মহাপ্রসাদ ভিক্ষা করিলেন। স্বরূপ গোস্বামী,বাণীনাথ, কাশি মিশ্র বহু প্রসাদ পাঠিয়েছিলেন তথাপি পসারীদের নিকট হইতে শ্রীগৌরসুন্দর ভিক্ষা করিলেন; কারণ ইহাই প্রকৃত শ্রেষ্ঠ আনন্দের এবং ভক্তের জন্যই ভগবানই যে করেন তাহা সাধারণ জীবকে দেখাইবার নিমিত্ত প্রভু এই প্রক্রিয়া করিয়াছিলেন।

 

ব্যবহারিক জগতে যবনাদি কুলে যাঁহার জন্ম, ব্রাহ্মণের কথা তো দূরে, কোন হিন্দু তাঁহার শবদেহ স্পর্শ করেন না, প্রভুর আবির্ভাব ব্রাহ্মণ কুলে, তাতে আবার তিনি সন্ন্যাস আশ্রম অঙ্গীকার করিয়াছেন; তথাপি তিনি হরিদাসের নির্য্যানের পর তাঁর দেহ কোলে লইয়া নৃত্য করিয়াছিলেন, বালু দিয়েছিলেন, তাঁর বিরহ-উৎসবের জন্য প্রভুর নিজে ভিক্ষা করিয়াছিলেন; বিরহ উৎসব দ্বারা তাঁহার শ্রাদ্ধ কৃত্য সম্পন্ন করিয়াছিলেন; প্রভু দেখাইয়া ছিলেন ভক্ত ব্যবহারিক জাতিকুলের অতীত। ভক্ত যেই কূলে জন্ম গ্রহন করুন না কেন, তাঁর দেহ পরম পবিত্র, সেই দেহ তীর্থকেউ, মহাতীর্থে পরিণত করিতে সমর্থ।

 

অতঃপর শ্রী গৌর সুন্দর পুরী-ভারতী আদি গুরু বর্গের সঙ্গে প্রসাদ গ্রহণ করিয়াছিলেন। প্রসাদ ভোজনের পর আচমন করিয়া সবাই যখন উপবেশন করিলেন; সবাইকে প্রভু স্বহস্তে মালাচন্দন প্রদান করিলেন এবং প্রেমাবিষ্ট হইয়া প্রভু বরদানে ব্যক্ত করিলেন,-

"হরিদাসের বিজয়োৎসব   যে কৈল দর্শন।

যেই তাঁহা নৃত্য কৈল,   যে কৈল কীর্ত্তন ।।

যে তাঁরে বালুকা দিতে করিল গমন।

তাঁর মহোৎসবে যেই করিল ভোজন।।

অচিরে হইবে তা-সভার কৃষ্ণ-প্রাপ্তি।

হরিদাস-দর্শনে ঐছে হয় শক্তি।।"

"জয় হরিদাস" বলি কর জয়ধ্বনি।

এতবলি মহাপ্রভু নাচেন আপনি।।"

 

তাই হে ! সুধী ভক্তবৃন্দ, অদ্যদিবসে হরিদাস ঠাকুরের সেই নির্য্যান তিথি। আমাদের হয়তো সেই হরিদাস ঠাকুরের নির্য্যান তিথি, সেই হরিদাস ঠাকুরের শ্রীবদন, সাক্ষাৎ দর্শন হইতেছেন না; তথাপি সেই হরিদাস ঠাকুরের নির্য্যান তিথি স্মরণ পূর্বক, তাঁর নাম কীর্ত্তন স্মরণে, পুষ্পার্ঘ্য ইত্যাদি দানে পরমার্থিক কর্মের দ্বারা শ্রীগৌরসুন্দরের আদেশ পালনে কিঞ্চিৎ তাঁর কৃপালাভ তো করিতে পারি। তাই প্রত্যেকের নিকট ঐকান্তিক নিবেদন আপনারা কৃপাপূর্বক শ্রী হরিদাস ঠাকুরের নির্য্যান তিথি শ্রবণ করিবেন এবং স্মরণ করিবেন। ভক্তের প্রতি ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য মহাপ্রভুর ইহা একটি অপূর্ব নিদর্শন।

অথঃ "শ্রী শ্রী হরিদাস ঠাকুরের নির্য্যান-তত্ত্ব" সমাপ্তমিদং।