🌳🌴🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌴🌳

🌷🏵️🦜🍁শ্রীগোবর্দ্ধন পূজা🍁🦜🏵️🌷

🌳🌴🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌴🌳

খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট 

শ্রীশ্রীগুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌরভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্তকোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম । আজ বিশেষ শুভদা তিথি । আত্মাকে প্রজ্বলিত করে পরিশুদ্ধ করে সেই পরমব্রহ্মে লীন হওয়ার পূণ্যতিথি এই দীপাবলি, শ্রীগোবর্দ্ধন পুজা ও অন্নকূট মহোৎসব উপলক্ষে  সকলকে জানাই  আন্তরিক কৃষ্ণপ্রীতি শুভেচ্ছা ।

 

‘’যথা তরোর্মূল নিষেচনেন  তৃপ্যন্তিতৎস্কন্ধভুজোপশাখাঃ। 
প্রাণো পহারাচ্চ যথেন্দ্রিয়াণাং  তথৈব সর্বার্হণ মচ্যুতেজ্যা।।‘’     (ভাগবত৪/৩১/১৪)
অর্থাৎ,-গাছের মূলে জলসেচন করলে যেমন সেই গাছের কাণ্ড, ডাল, উপশাখা প্রভৃতি সকলেই তৃপ্তি লাভকরে এবং উদরে আহার্য দ্রব্য প্রদানের দ্বারা যেমন ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তিহয়, তেমনই শ্রীকৃষ্ণের পূজা করলে সমস্ত দেবতাদের পূজা হয়ে যায়।।

 

সপ্তাহমেবাচ্যুত-হস্ত-পঙ্কজে ভৃঙ্গায়মানং ফলমূল-কন্দরৈঃ।

সংসেব্যমানং হরিমাত্মবৃন্দকৈ- র্গোবর্ধনাদ্রিং শিরসা নমামি।।

নমস্তে গিরিরাজায় শ্রীগোবর্দ্ধন নামিনে।

অশেষ ক্লেষ নাশায় পরমানন্দ দায়ীনে।।

 

পরমেশ্বর ভগবান হচ্ছেন জীবের প্রকৃত বন্ধু বা সুহৃদ । আজ থেকে প্রায় পাঁচ হাজার বছর পূর্বে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ গোকুল বৃন্দাবনে লীলাবিলাস করেছেন । আজও ভগবানের সেই লীলাক্ষেত্র গুলি বর্ত্তমান রয়েছে । মথুরা জেলার শ্রীধাম বৃন্দাবনে তার পরম সাক্ষীরূপে বিরাজমান যমুনা নদী সহ লীলাস্থলী, আর সাক্ষাৎ ভগবানরূপী শ্রীগোবর্দ্ধন গিরি । কালের প্রভাবে এই স্থান গুলির নাম ও বৈচিত্র্য কিছুটা হ্রাস পেলেও এখনো বহু স্থান ভগবানের লীলার স্মৃতি বহন করে চলেছে । সমস্ত পর্বতের রাজা এই গোবর্দ্ধনকে বলা হয় গিরিরাজ । অভিন্ন ভগবৎ কলেবর গিরিরাজ সতত আনন্দ ও ভক্তিবর্দ্ধন করেন ।

 

রাধাভাবে ভাবিত গৌরাঙ্গ মহাপ্রভু তাই কখনও গোবর্দ্ধনে পদস্পর্শ করেননি । তাঁর অনুগামী ষড় গোস্বামীরা সেই নিয়ম পালন করে গোবর্দ্ধন পরিক্রমা করতেন, কখনও গোবর্দ্ধন পর্বতের উপর বিচরণ করতেন না। শ্রীল সনাতন গোস্বামীপাদ বৃদ্ধাবস্থায়ও রোজ গোবর্দ্ধন পরিক্রমা করতেন । তাঁর কষ্ট দেখে স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ সনাতন গোস্বামীকে তাঁর পদচিহ্নযুক্ত একটি শীলাখণ্ড দিয়ে সেটিকে পরিক্রমা করতে বলেন । বৃন্দাবনে শ্রীশ্রী রাধা- দামোদর মন্দিরে এখনও সেই শীলাখণ্ডটি রক্ষিত আছে।

 

গোবর্দ্ধন কথাটি গাভী- গোবৎসদের পালন পোষনের অর্থসূচক । ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রিয়তমা রাধিকার মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার জন্য গোলোক বৃন্দাবনে তাঁর হৃদয় থেকে গোবর্দ্ধনকে প্রকট করে যমুনার তীরে রাসস্থলীতে তাঁকে স্থাপন করেন । ক্ষণকালের মধ্যে গোবর্দ্ধন পর্বত উর্দ্ধে, নিম্নে, পার্শ্বে - সমস্তদিকে অপূর্ব শোভাসহ বিস্তার লাভ করেন । এই ভৌমলীলা প্রকাশের জন্য গোবর্দ্ধন হিমালয়ে দ্রোণাচলের পুত্ররূপে আবির্ভূত হন । গোবর্দ্ধনের জন্মকালে দেবতারা পুষ্পবর্ষণ করেন ।

 

একবার মহামুনি পুলস্ত্য তীর্থ করতে এসে দ্রোণাচলের আতিথ্য স্বীকার করলেন । শান্ত সৌম্য অপূর্ব সুন্দর গোবর্দ্ধনকে দেখে তিনি মুগ্ধ হন, এবং গোবর্দ্ধনকে সঙ্গে করে কাশীতে নিয়ে যেতে মনস্থ করে দ্রোণাচলের কাছে তাঁর মনোভাব ব্যক্ত করেন।

দ্রোণাচল মনে মনে দুঃখিত হয়ে ইতস্ততঃ করছেন, এমন সময়ে গোবর্দ্ধন বললেন,- ‘’মুনিবর ! আপনি এত দূরে আমাকে কিভাবে বহন করে নিয়ে যাবেন ?” পুলস্ত্য বললেন,- ‘’তুমি আমার হস্তের উপর অবস্থান কর, আমি যোগবলে তোমাকে বহন করে নিয়ে যাব ।‘’  

 

গোবর্ধন বললেন,- হে মুনিবর ! একটি শর্ত্তে আমি আপনার সাথে যেতে রাজি আছি । যাবার সময় পথের মাঝে আমাকে আর কোথাও নামাবেন না । যদি আমাকে মাটিতে নামান, তবে আমি সেই স্থানেই রয়ে যাব, আর স্থানত্যাগ করব না। মুনিও বললেন,- ঠিক আছে, প্রতিজ্ঞা করছি, পথিমধ্যে আমি তোমাকে কোথাও নামাব না । তখন গোবর্দ্ধন পিতা দ্রোণাচলকে নমস্কার করে মুনির সাথে যাত্রা শুরু করলেন । এইভাবে এক সময়ে তাঁরা ব্রজমণ্ডলে এসে উপস্থিত হলেন ।

 

ব্রজমণ্ডলের রূপ দেখে গোবর্দ্ধন চিন্তা করলেন,-  ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এখানে অবতীর্ণ হবেন, গোপ-গোপী সখা সহ এখানে লীলা -বিলাস করবেন, অতএব আমি এই স্থান ছেড়ে অন্য কোথাও যাব না । এইরূপ চিন্তা করে গোবর্দ্ধন এত ভারী হতে লাগলেন যে মুনি পরিশ্রান্ত হয়ে তাঁকে নামাতে বাধ্য হলেন । মুনি শৌচাদি স্নান করে এসে পুনরায় গোবর্দ্ধনকে তুলতে গেলে গোবর্দ্ধন তাঁকে প্রতিজ্ঞার কথা মনে করিয়ে দিলেন । মুনি তেজবলে অনেক চেষ্টা করেও গোবর্দ্ধনকে তিলমাত্র সরাতে না পেরে বললেন,- হে গোবর্দ্ধন ! তুমি ছলনা করে আমার মনের অভিলাষ পূর্ণ হতে দিলে না । আমি তোমাকে অভিশাপ দিচ্ছি,- এখন থেকে তুমি প্রতিদিন সরিষা প্রমাণে ক্ষয় প্রাপ্ত হবে। এই বলে পুলস্ত্য মুনি কাশী চলে গেলেন ।

 

গিরিরাজ গোবর্দ্ধন প্রতিদিন একতিল করে ক্ষীণ হতে লাগলেন । দ্বাপরের প্রারম্ভে গোবর্দ্ধন কয়েক সহস্র যোজন বিস্তৃত ছিলেন । বর্তমানে দেখা যায় কোথাও অতি ক্ষীণরূপে তিনি অবস্থান করছেন। গোবর্দ্ধন পর্বতের সর্ব্বোচ্চ উচ্চতা এখন ৫৪ হাত । তবে যতদিন ভাগীরথী গঙ্গা ও গোবর্দ্ধন ভূতলে অবস্থান করবেন, ততদিন মায়াবদ্ধ জীব কলির প্রভাব হতে মুক্ত হয়ে ভগবদ্ভক্তি লাভের সুযোগ পাবে । গোবর্দ্ধনের উৎপত্তি তথা মহিমা শ্রবণ মাত্রই জীব-হৃদয়ে ভগবদ্ভক্তির সঞ্চার হয় । গোবর্দ্ধন পরিক্রমা করার ফলে ভগবত- ধাম ও কৃষ্ণপ্রেম প্রাপ্তি হয় ।

 

শ্রীগোবর্দ্ধন পূজা ও অন্নকূট মহোৎসব

অন্নকূট প্রধানত বৈষ্ণবদের উৎসব হলেও অনেক শাক্ত পরিবারে ও মন্দিরে এর চল আছে । এ পূজোর পিছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনি । বৃন্দাবনবাসীরা ৫৬ রকম পদের ভোগ দিয়ে বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্রের পুজো করত । গোকুলে থাকার সময়ে কৃষ্ণ একবার বৃন্দাবনবাসীকে ইন্দ্রপূজা করতে নিষেধ করেন । কৃষ্ণের যুক্তি ছিল, শস্য উৎপাদন ইত্যাদির জন্য ইন্দ্রের পুজো করার থেকে পশু ও পরিবেশের প্রতি যত্নশীল হওয়া বেশি দরকারী ।

 

গোকুলবাসী কৃষ্ণকে শুধু তাদের নেতা বলেই মানত না, সাক্ষাৎ দেবতা হিসেবেই ভক্তি করত। তাই কৃষ্ণের উপদেশ অনুসারে তারা সেই বছর ইন্দ্রের পুজো বন্ধ করে দেয় । এতে দেবতা ইন্দ্র রেগে গিয়ে বৃন্দাবনের উপরে মুষলধারে বর্ষণ করেন । প্রবল বর্ষণে বৃন্দাবন ভেসে যাবার উপক্রম হলে, বৃন্দাবনবাসীদের ওই বিপদ থেকে রক্ষার জন্য কৃষ্ণ গোবর্দ্ধন পর্বতকে বৃন্দাবনের উপরে ছাতার মতো করে ধরে থাকেন । ইন্দ্র পরাজিত হন তার পর থেকে কৃষ্ণের নির্দেশে বৃন্দাবনবাসী কার্ত্তিক মাসে অমাবস্যার পরদিন ‘গিরিগোবর্দ্ধন’- এর পুজো আরম্ভ করে। সেই পুজোই অন্নকূট উৎসব।

 

শ্রীমদ্ভগবত গীতার গোপন শ্রেষ্ঠ বাণী ‘সর্ব ধর্মান পরিত্যাজ মা মে কং স্মরণং ভজ’ । এ কথার আলোকে শরতের ঠিক মাঝামাঝি কার্ত্তিক মাস, এ সময় ব্রজবাসীরা এক বিশেষ অনুষ্ঠানের অয়োজন করেন যা গোবর্দ্ধন পূজা ও অন্নকূট মহোৎসব নামে খ্যাত। আজ গোবর্দ্ধন পূজা অন্নকুট মহোৎসব । শ্রীমদ্ভগবত গীতার দশম স্কন্ধের নবম ও দশম অধ্যায়ে লীলা পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভক্ত বশ্যতা স্বীকার, স্বরূপ দাস বন্ধন লীলা বর্ণিত হয়েছে । যা আসল পুরাণ শ্রীমদ্ভগবতে বিধৃত লীলাদির প্রভূত রস আস্বাদন করেছেন বৈষ্ণব আচার্যগণ । লীলাপুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ভৌম লীলায় অনেক চমকপ্রদ লীলা প্রদর্শন করেন I

 

শ্রীল সনাতন গোস্বামীর মতে, দামবন্ধন লীলাটি হয়েছিল দীপাবলী উৎসবের দিন। তখন শ্রীকৃষ্ণের বয়স ছিল ন্যুনধিক তিন বছর চার মাস । শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্তী পাদের মতে, শ্রীকৃষ্ণ গোকূলে ছিলেন তিন বছর চার মাস । এর পর নন্দ মহারাজ ও ব্রজবাসীবৃন্দ যখন বৃষ্টি কামনায় বৃষ্টির দেবতা ইন্দ্র পূজা করবে, তখন বালক শ্রীকৃষ্ণ সে পূজায় বাধা প্রদান করেন । শ্রীল জীব গোস্বামী তার গোপাল চম্পু গ্রন্থে নন্দ মহারাজের বক্তব্য হচ্ছে, বৈশ্য গোপ জাতি । কৃষি এবং গো পালন আমাদের জীবিকা ।

 

গো পালনের জন্য আমাদের ঘাসের প্রয়োজন, চাষের জন্য বৃষ্টি চাই  আর ইন্দ্র হচ্ছে বৃষ্টির দেবতা; তাই আমরা ইন্দ্ররাজের পূজা করি। শ্রীকৃষ্ণ বললেন, বাবা, সমুদ্রের মাঝেও বৃষ্টি হয়, সেখানে কেউ ইন্দ্র পূজা করেন না । তবে আমরা কেন ইন্দ্রের পূজা করবো ? করণকর্তা একমাত্র ভগবান । আমাদের জীবিকা যে গো-পালন, গাভী বর্ধনের জন্য আমরা গোবর্দ্ধনের কাছে ঋণী ;  ইন্দ্রের কাছে নয় । চলো আমরা গোবর্ধনের পূজা করি।‘’ এরপর থেকে ইন্দ্ররাজ কুপিত হয়ে প্রবল বর্ষণ শুরু করলেন।

 

ব্রজবাসীদের রক্ষায় শ্রীকৃষ্ণ গিরিধারীরূপে গোবর্দ্ধন শূন্যে ধারণ করলেন । অহংকারী ইন্দ্ররাজ লজ্জ্বিত হয়ে শ্রীকৃষ্ণ পদে আত্মনিবেদন করলেন । পাশাপাশি ব্রজবাসীরা মহারাজ নন্দসহ গোবর্দ্ধন পূজার আয়োজন করেন । সেই পূজার উপাচার অন্নের পাহাড়ের রূপ ধারণ করে । গীতায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে স্পষ্টই বলেছেন,- আমি অন্ন দাতা, আমিই অন্ন । সূর্যের তাপরূপে অন্ন পুষ্ট করি, আবার আমিই চন্দ্রের আলোরূপে অন্ন ফল জলের স্বাদ ।

 

শাস্ত্রমতে, অন্ন দান শ্রেষ্ঠ দান । জীবের জীবন ধারণের জন্য খাদ্য (অন্ন) মুখ্য ভূমিকা পালন করে । জ্বালানী ছাড়া যেমন ইঞ্জিন চলে না, তেমনিই খাদ্য ছাড়া জীবন চলে না । মানুষের মৌলিক চাহিদা হচ্ছে খাদ্য । ব্রজবাসীরা অন্নের পাহাড়টি গোবর্দ্ধকে নিবেদন করেন । উপস্থিত সবাই দেখলো একদিকে সাত বছর বয়সী ছোট কৃষ্ণ দাঁড়িয়ে অপরদিকে এক বিশাল শ্রীকৃষ্ণ অন্ন ভোজন করছেন । এই অনুষ্ঠান থেকেই গোবর্দ্ধন পূজা ও অন্নকূট মহোৎসবের সূচনা ।

 

দুর্লভ মানব জন্ম লভিয়া সংসারে ।

কৃষ্ণ না ভজিনু দুঃখ কহিব কাহারে ।।

সংসার সংসার করি মিছে গেল কাল ।

লাভ না হইল কিছু ঘটিল জঞ্জাল ।।

কিসের সংসার এই, ছায়াবাজী প্রায় ।

ইহাতে মমতা করি বৃথা দিন যায় ।।

এদেহ পতন হ'লে কি রবে আমার ।

কেহ সুখ নাহি দিবে পুত্র পরিবার ।।

গর্দ্দভের মত আমি করি পরিশ্রম ।

কার লাগি' এত করি না ঘুচিল ভ্রম ।।

দিন যায় মিছা কাজে নিশা নিদ্রাবশে ।

নাহি ভাবি মরণ নিকটে আছে বসে ।।

ভাল মন্দ খাই, হেরি, পরি, চিন্তাহীন ।

নাহি ভাবি এ দেহ ছাড়িব কোনদিন ।।

দেহ গেহ কলত্রাদি চিন্তা অবিরত ।

জাগিছে হৃদয়ে মোর বুদ্ধি করি' হত ।।

হায় হায় নাহি ভাবি' অনিত্য এ সব ।

জীবন বিগতে কোথা রহিবে বৈভব ।।

শ্মশানে শরীর মম পড়িয়া রহিবে ।

বিহঙ্গ পতঙ্গ তায় বিহার করিবে ।।

কুক্কুর শৃগাল সব আনন্দিত হ'য়ে ।

মহোৎসব করিবে আমার দেহ ল'য়ে ।।

যে দেহের এই গতি তার অনুগত ।

সংসার বৈভব আর বন্ধুজন যত ।।

অতএব মায়া মোহ ছাড়ি বুদ্ধিমান ।

নিত্যতত্ত্ব কৃষ্ণভক্তি করুন সন্ধান ।।

অন্নকূট উৎসব সার্থক হোক, দেশ ও জাতির মঙ্গল হোক ; এই প্রার্থনা- হরে কৃষ্ণ...।