💐🏵️💞🌺��🌺💞🏵️💐
🌷বৈষ্ণবের বিরহ তিথি🌷
💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐
শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I হরে কৃষ্ণ, আজ বিশেষ শুভদা তিথি। আজ পরম বৈষ্ণব শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর প্রভুপাদের প্রিয় পার্ষদ নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডি স্বামী ১০৮ শ্রী শ্রীমদ্ভক্তিশরণ শান্ত গোস্বামী মহারাজের শুভ আবির্ভাব তিথি পূজা।
🏵️শ্রী শ্রীমদ্ভক্তিশরণ শান্ত গোস্বামী মহারাজ🏵️
শ্রীল মহারাজ পূর্ববঙ্গ নিবাসী ছিলেন I ইনি ঢাকা হাইস্কুলে অধ্যয়ন করা কালীন শ্রীলপ্রভুপাদ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামীঠাকুরের পূর্ববঙ্গে শ্রীচৈতন্যবাণী প্রচার কালে,তাঁহার শ্রীমুখে কয়েকটি সভায় অতি বীর্য্যবতী হরিকথা শ্রবণ করিয়া তিনি শ্রীধাম মায়াপুরে শ্রীচৈতন্যমঠে আসিয়া পরমারাধ্যতম শ্রী শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীচরণাশ্রয়রূপ সৌভাগ্যের অধিকারী হন I মঠে থাকা কালীন বৈষ্ণবানুগত্য, গুরুসেবানিষ্ঠা এবং ভজন - কীর্ত্তন হরিকথা শ্রবণে বিশেষ আগ্রহ পূর্বক চেষ্টা দেখিয়া বৈষ্ণবগণের কৃপায় ও নিবেদনে শ্রীল প্রভুপাদের নিকট শ্রীহরিনাম ও দীক্ষা প্রাপ্ত হন I দীক্ষার নাম 'শ্রীপাদ পরানন্দ দাস ব্রহ্মচারী .' তিনি শ্রীল প্রভুপাদের কৃপা নির্দ্দেশে শ্রীচৈতন্যমঠের মূল মন্দিরে বহুকাল যাবৎ শ্রীবিগ্রহাদির পূজার্চ্চনা ও শৃঙ্গারাদিসেবা করিয়া থাকেন I
শ্রীল প্রভুপাদের অপ্রকটলীলা পরে তিনি শ্রীল প্রভুপাদেরই বিশেষ কৃপাধন্য পরম পূজনীয় শ্রীমদ ভক্তিগৌরব বৈখানস গোস্বামী মহারাজের নিকট শ্রীধাম জগন্নাথ ক্ষেত্রে ত্রিদণ্ড সন্ন্যাস বেশ গ্রহণ করেন I তাঁহার সন্ন্যাস নাম ‘’ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ ভক্তিশরণ শান্ত গোস্বামী মহারাজ ‘’I
সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া শ্রীল মহারাজ কখনও গুরুভ্রাতাগণের সঙ্গ,আবার কখনও একা একা সমস্ত ভারতে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর বাণী এবং শ্রীল প্রভুপাদের কথা প্রচার করেন I একদিন শ্রীল মহারাজ একান্তে ভজন করিবার মানসে শ্রীধাম মায়াপুর ঈশোদ্যানস্থ মূল শ্রীচৈতন্য গৌড়ীয়মঠের সম্মুখে পতিত - পাবনী গঙ্গাদেবীর কোলে একটি ভজনাশ্রম নির্ম্মাণ করিয়া তথায় একান্তে ভজন করেন এবং শ্রীমন্দিরে শ্রীবিগ্রহগণকে স্থাপনা করিয়া সেবা পূজা করিতে থাকেন I
শ্রীল মহারাজ অধিক শিষ্যাদি করেন নাই I কালের গতিতে উৎপাতগ্রস্ত,জড় স্বার্থান্বেষী,অশালীন ব্যবহার সম্পন্ন,আনুগত্যশুন্য ভজনোনুপযোগী শিষ্যদের দ্বারা বহুদুঃখ - ব্যথা এবং শেষ জীবনে বহু কষ্ট পাইয়া ৪৯৭ গৌরাব্দ,১৬ই মাধব ১৩৯০ বঙ্গাব্দ, ১৯শে মাঘ, ১৯৮৪ খ্রীঃ, ৩শরা ফেব্রুয়ারী শুক্রবার শ্রীল নামাচার্য্য হরিদাস ঠাকুরের শ্রীপাট ফুলিয়ায় এক শিষ্যের গৃহে অন্নপ্রাশন অনুষ্ঠান সম্পাদন কালে অকস্মাৎ শ্রীশ্রীগুরু - বৈষ্ণব - ভগবানের স্মরণ করিতে করিতে সাক্ষাৎ শ্রীল নামাচার্য্য হরিদাস ঠাকুরের শ্রীপাটে উচ্চ শ্রীহরিনাম সংকীর্ত্তনের মধ্যেই তিনি শ্রীশ্রীরাধাগোবিন্দের নিত্যলীলা রাজ্যে প্রবেশ করিলেন I
(ওহে)
বৈষ্ণব ঠাকুর, দয়ার সাগর,
এ দাসে করুণা করি' ।
দিয়া পদছায়া, শোধ হে আমারে,
তোমার চরণ ধরি ।।
ছয় বেগ দমি', ছয় দোষ শোধি',
ছয় গুণ দেহ দাসে ।
ছয় সৎসঙ্গ, দেহ' হে আমারে,
বসেছি সঙ্গের আশে ।।
একাকী আমার নাহি পায় বল
হরিনাম সংকীর্ত্তনে ।
তুমি কৃপা করি' শ্রদ্ধাবিন্দু দিয়া,
দেহ' কৃষ্ণনাম - ধনে ।।
কৃষ্ণ সে তোমার, কৃষ্ণ দিতে পার,
তোমার শকতি আছে ।
আমি ত' কাঙ্গাল, 'কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলি'
ধাই তব পাছে পাছে ।।
No comments:
Post a Comment