🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚

🌷শ্রীভগবানের দিব্যলীলা🌷

🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I

‘’গুরু - বৈষ্ণব  - ভগবান তিনিহেঁ স্মরণ ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে হয় বিঘ্ন বিনাশন ।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ । I’’

 

গুরবে গৌরচন্দ্রায় রাধিকায়ৈ তদালয়ে।

কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদ্ভক্তায় নমো নমঃ।।

বংশীবটে রাধারাণী ও শ্রীকৃষ্ণ তাঁদের আনন্দপূর্ণ লীলাবিলাসে মত্ত, এমন সময়ে কুটিলা চুপিসারে কুঞ্জে উপস্থিত হয়ে শ্রীরাধাকৃষ্ণকে প্রত্যক্ষ করলেন । কুটিলা সবসময় রাধারাণীর দোষত্রুটি বের করায় সচেষ্ট । দ্রুতপায়ে কুটিলা গোচরণ ভূমিতে উপস্থিত হলেন এবং সেখানে অভিমন্যুর (আয়ান ঘোষ) দেখা পেলেন । কুটিলার কাছে সব শুনে অভিমন্যু অত্যন্ত বিস্মিত ও রাগান্বিত হয়ে কুটিলার সাথে কুঞ্জের দিকে চলল । কুঞ্জের দ্বাররক্ষক বৃন্দাদেবী কুটিলা ও অভিমন্যুর আগমন বার্তা রাধারাণীকে জানালেন । রাধারাণী তখন কৃষ্ণকে বললেন,- "হে প্রাণনাথ ! দেখ কুটিলা ও আমার স্বামী উভয়ে এই কুঞ্জের দিকে আসছে । আমি এখন কোথায় যাব ? আমি তোমার পাদপদ্মে আশ্রয় গ্রহণ করছি ।''

শ্রীকৃষ্ণ রাধারাণীকে শান্ত করে বললেন,- ''উদ্বিগ্ন হয়ো না । অভিমুন্য কালীভক্ত, আমি এখনই কালীরূপ ধারন করব, তুমি আমার পূজা করার ভান করো ।" শ্রীকৃষ্ণ তখন নিজরূপ পরিবর্তন করে চতুর্ভুজ কালীমূর্ত্তির রূপ ধারণ করলেন । অভিমুন্য কুঞ্জে এসে কালীদেবীকে এবং সেবারতা রাধাকে দেখে তখন অত্যন্ত প্রীত হলেন এবং রাধারাণীকে অহেতুক সন্দেহ করার জন্য কুটিলাকে ভর্ৎসনা করলেন । তাঁরা চলে গেলে কৃষ্ণ পুনরায় নিজমূর্তি ধারণ করলেন । আর একবার অভিমন্যুকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য কৃষ্ণ দূর্গারূপ ধারন করেছিলেন ।

এই দিব্যলীলা স্মরণ করে অনেকেই বলেন,- ''যেই কালী সেই কৃষ্ণ'' কিন্তু এই সিদ্ধান্তটি সঠিক নয় । দুধ যেমন দই-এ রূপান্তরিত হতে পারে কিন্তু দই দুধে রূপান্তরিত হতে পারে না, তেমনি পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যে কোন দেবদেবীর রূপ পরিগ্রহ করতে পারলেও দেবদেবীগণ কখনো কৃষ্ণরূপ ধারণ করতে পারেন না । পরম বৈষ্ণবী কালী হলেন শক্তিতত্ত্ব এবং শ্রীকৃষ্ণের একজন একনিষ্ঠ ভক্ত ।

 

হে কৃষ্ণ করুণাসিন্ধু,   শ্রীরাধার প্রাণবন্ধু,

ব্রজ-বনিতার প্রাণনাথ ।

মো হেন পামর জীবে,   কাতর দেখিয়া কবে,

কৃপায় করিবে আত্মসাথ । ।

হে রাধিকা বিনোদিনী,   শ্যাম মন বিমোহিনী,

মো বড় অধম অতি দুখী ।

কবে নিজ নাথ সনে,   দেখা দিয়া দুখী-জনে ,

শীতল করিবে দুই আঁখি । ।

হে রাধার সখীগণ,   মুঞি বড় আকিঞ্চন,

করুণা করিবে কবে মোরে ।

বৃন্দাদেবী কবে মোরে,   বান্ধিয়া করুণা - ডোরে,

আকর্ষিয়া লবে ব্রজপুরে । ।

ভব কবলিত চিত,   নাহি জানে হিতাহিত,

সুখ মানে নরকে পড়িয়া ।

হে যমুনা বৃন্দাবন,   রাধাকুণ্ড গোবর্দ্ধন,

কেশে ধরি লহ উদ্ধারিয়া ।

হে গৌরাঙ্গ গদাধর,   কৃপাময় কলেবর,

কৃপাময় তার ভক্তগণ ।

কমল কাতর জীবে,   এ ভীষণ ভবার্ণবে,

কবে দিবে করাবলম্বন । ।

🏵️জয় ভক্তবৎসল শ্রীভগবানের জয়🏵️