Sunday, August 15, 2021

🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳

💐🌻পবিত্রারোপিণী একাদশী🌻💐

🌳🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌳

♥♥শুভ একাদশী 💐💐 শুভ একাদশী♥♥

হরে কৃষ্ণ, আগামী ১৮/০৮/২০২১ ইং রোজ - বুধবার পবিত্রারোপিণী  একাদশীI

(পারণ - পরদিন পূর্ব্বাহ্ন ০৯। ৩৩ মিঃ মধ্যে একাদশীর পারণ)

আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন অন্যকে পালনে উৎসাহিত করুন।

একাদশীর মাহাত্ম্য

সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রায় সকলেই 'একাদশী' শব্দটির সঙ্গে পরিচিত। তবে তাদের অধিকাংশই একাদশী ব্রত পালন করে না। আর যারা করে, তাদের মধ্যেও রয়েছে নানারকম বিভ্রান্তি। কেউ খায় আটার রুটি, কেউ খায় ফল; আবার কেউ খায় সাবুদানা, কেউ খায় জল। আর কেউ কেউ নির্জলা উপবাস করে থাকে। সাধারণ লোকজন তো তাদের অজ্ঞতার দরুন একে কুসংস্কারই মনে করে। অধিকন্তু, একাদশী নিয়ে মানুষের মধ্যে নানাবিধ প্রশ্ন-- একাদশী কী ? একাদশীতে কেন পঞ্চশস্য বর্জন করতে হয়? একাদশী কি শুধু বিধবাদের জন্য? কেন সেদিন উপবাস থাকতে হয়? একাদশী প্রসঙ্গে এসকল দ্বন্দ্ব নিরসনে প্রবন্ধে আলোচনা করা হবে।

একাদশী কী ?

'একাদশী' একটি সংস্কৃত শব্দ। জ্যোতিষশাস্ত্র বা বৈদিক দিনপঞ্জি অনুযায়ী মাসের দুটি পক্ষের (এক পক্ষ=১৫ দিন) ১১তম দিবসে তা অনুষ্ঠিত হয়। অর্থাৎ প্রতি মাসে দুটি একাদশী তিথি হয়ে থাকে। অমাবস্যার পর থেকে পূর্ণিমা পর্যন্ত কালকে বলা হয় শুক্লপক্ষ এবং পূর্ণিমার পর থেকে অমাবস্যা পর্যন্ত কালকে বলা হয় কৃষ্ণপক্ষ। এভাবে বারো (১২) মাসে চব্বিশটি (২৪) একাদশী I যথাক্রমে,-

১। বরুথিনী ২। মোহিনী ৩। অপরা ৪। পাণ্ডবা ৫। যোগিনী ৬। শয়নী ৭। কামিকা ৮। পবিত্রারোপিণী ৯। অন্নদা ১০। পার্শ্বৈ ১১। ইন্দিরা ১২। পাপাঙ্কুশা ১৩। রমা ১৪। উত্থান ১৫। উৎপন্না ১৬। মোক্ষদা ১৭। সফলা ১৮। পুত্রদা ১৯। ষটতিলা ২০। ভৈমী (জয়া) ২১। বিজয়া ২২। আমলকী ২৩। পাপমোচনী এবং ২৪। কামদা একাদশী। তবে কোনো বছরে অধিমাস বা পুরুষোত্তম মাস (মলমাস) থাকলে, তখন অতিরিক্ত দুটি একাদশী হয়- শুক্লপক্ষের পদ্মিনী একাদশী এবং কৃষ্ণপক্ষের পরমা একাদশী।

একাদশীকে মাধব তিথি বা হরিবাসর তিথি বলা হয়। মাধব হলেন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ এবং তিথি মানে বিশেষ সময়। অর্থাৎ ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বা তাঁর প্রিয় তিথিকে বলা হয় মাধব তিথি। জগজ্জীবের কল্যাণের নিমিত্তে ভগবান এই তিথিতে একাদশী দেবীরূপে প্রকাশিত হন। তাই ভগবদ্ভক্তগণ ভগবানের সন্তুষ্টি বিধানার্থে একাদশী তিথি বিশেষভাবে উদযাপন করে থাকেন। কেননা, তা সমস্ত ব্রতের মধ্যে উত্তম ব্রত।

উপবাস প্রকৃতপক্ষে কী?

'উপ' অর্থ নিকটে এবং 'বাস' অর্থ অবস্থান করা। সুতরাং উপাবস অর্থ আমাদের একাদশ ইন্দ্রিয় যথাক্রমে,-৫টি কর্মেন্দ্রিয় (হস্ত, পদ, উদর, পায়ু উপস্থ), ৫টি জ্ঞানেন্দ্রিয় (চক্ষু, কর্ণ, নাসিকা, জিহ্বা ত্বক) এবং মন ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণকমলে সম্পূর্ণরূপে নিবদ্ধ করা। এভাবে ভগবানের নিকটে বাস করা। ভগবানের জন্য উপবাস এক প্রকার তপস্যা যা হতে হয় কায়মনোবাক্যে। তাই উপবাসকালে অধিক মাত্রায় ভগবানের সেবা করার মাধ্যমে কায় (দেহ), অধিক সংখ্যক হরিনাম জপ হরিকথা কীর্ত্তনের মাধ্যমে বাক্য এবং এভাবে নিরন্তর ভগবৎ-চিন্তার মাধ্যমে মন একাগ্র করে তপস্যা করতে হয়। সুতরাং, উপবাসের অর্থ শুধু অনাহারে থাকা নয়।

অনাহারে থেকে কীভাবে ভগবানকে সন্তুষ্ট করা যায়?

মূল বিষয় হলো আহার, নিদ্রা প্রভৃতি ইন্দ্রিয় তর্পণমূলক কাজে কম গুরুত্বারোপ করা, যাতে ভগবানের চরণে আমাদের মন নিবব্ধ হতে পারে। প্রসঙ্গে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর একবার তাঁর এক শিষ্যকে বলেছিলেন, "সংকীর্ত্তনে গ্রন্থ প্রচার করতে গিয়ে যদি একাদশী ভঙ্গ করতে হয়, তাহলে তা' করো।" তিনি এটিই বোঝাতে চেয়েছিলেন যে, ভগবানকে স্মরণ করা বা তাঁর সেবা করা অনাহারে থাকার চেয়েও কত গুরুত্বপূর্ণ! তবে, তিনি কেবল তাঁর একজন শিষ্যের প্রতি সেটি বলেছিলেন, সকলের জন্য নয়।

আমাদের শাস্ত্র সদগুরু প্রদত্ত নিয়ম অনুসারেই উপবাস করতে হবে এবং তা অবশ্যই দৈহিক আধ্যাত্মিক ভারসাম্য বজায় রেখে। যদি শুধু নিয়মের ওপর গুরুত্ব দিই, তাহলে না খেতে পেয়ে শরীরই অচল হয়ে পড়বে (যেহেতু এখনও আমরা দেহাত্মবুদ্ধিসম্পন্ন) এবং তা ভগবৎসেবায় ব্যঘাত ঘটাবে। তখন তা হবে নিয়মাগ্রহ। আবার, কথার সুযোগ নিয়ে যদি কেউ সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও শাস্ত্র নির্দেশ অমান্য করে, তবে অবশ্যই তার ব্রত ভঙ্গ হবে।

বিশেষ বিশেষ তিথিতে উপবাস কেন?

একাদশীতে উপবাসের একটি কারণ হলো সেদিন একাদশীদেবী রূপে ভগবান শ্রীবিষ্ণুর আবির্ভাব তিথি। মহারাজ পরীক্ষিৎ অবিরত সাতদিন সাতরাত ক্ষুধা-তৃষ্ণা সব ভুলে গিয়েছিলেন শুধু ভগবানের কথা শ্রবণ করেই। আর সেই ভগবান স্বয়ং যখন আবির্ভূত হন, তখন আনন্দের আতিশয্যে খাওয়ার কথা তো ভুলেই যাওয়ার কথা- শিশুরা খেলার আনন্দে মত্ত হয়ে যেমন খাওয়ার কথা ভুলে যায়। ভগবানের আবির্ভাবে ভক্তের মনোভাবটি থাকে এমন- ক্ষুধা-তৃষ্ণা সব ভুলে গিয়ে কী করে ভগবানের সেবা করা যায়, আরো বেশি করে ভগবানের নাম জপ, তাঁর গুণমহিমা কীর্ত্তন প্রভৃতি বিভিন্ন উপায়ে কীভাবে ভগবানকে সন্তুষ্ট করা যায়! বৈষ্ণবের আবির্ভাবের ক্ষেত্রেও সে একই কথা। আর তিরোভাব তিথিতে তো শোকেই বিহ্বল হয়ে থাকবে। একাদশীতে উপবাসের উদ্দেশ্য হলো এরূপ তপস্যার দ্বারা নিজেকে পরিশুদ্ধ করা এবং সেই সাথে ভগবানের সন্তুষ্টি বিধান করা।

🦚পবিত্রারোপিণী একাদশী মাহাত্ম্য🦚

শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম 'পবিত্রারোপিণী ভবিষোত্তরপুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই তিথির মাহাত্ম্য বর্ণিত রয়েছে।

একদিন মহারাজ যুধিষ্ঠির ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে জিজ্ঞাসা করলেন- হে প্রভু! শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন,- হে মহারাজ! এখন আমি সেই পবিত্র ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করছি, মনোযোগ দিয়ে তা শ্রবণ করুন। যা শোনামাত্রই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।

প্রাচীন কালে দ্বাপর যুগের শুরুতে মহিজীৎ নামে এক বিখ্যাত রাজা ছিলেন। তিনি মাহিস্মতি নগরে রাজত্ব করতেন। কিন্তু দু:খের বিষয় এই যে তার মনে বিন্দুমাত্র সুখ-শান্তি ছিল না। কেননা তিনি ছিলেন অপুত্রক।পুত্রহীনের ইহলোক পরলোক কোথাও সুখ হয় না’- এইরূপ চিন্তা করতে করতে বহুদিন কেটে গেল। কিন্তু তবুও পুত্রমুখ দর্শনে রাজা বঞ্চিতই রইলেন। নিজেকে অত্যন্ত দুর্ভাগা মনে করে রাজা চিন্তাগ্রস্থ হলেন। প্রজাদের সামনে গিয়ে বলতে লাগলেন- হে প্রজাবৃন্দ! তোমরা শোন। আমি এই জন্মে তো কোন পাপকাজ করিনি, অন্যায়ভাবে আমার রাজকোষ বৃদ্ধি করিনি, ব্রাহ্মণ বা দেবতাদের সম্পদ কখনও গ্রহণ করিনি উপরন্তু প্রজাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেছি, ধর্ম অনুযায়ী পৃথিবী শাসন করেছি।

দুষ্টদের যথানুরূপ দন্ড দিয়েছি, সজ্জন ব্যক্তিদের যথাযোগ্য সম্মান করতেও কখনও অবহেলা করিনি। তাই হে ব্রাহ্মণগণ, এই প্রকার ধর্মপথ অবলম্বন করা সত্ত্বেও কেন আমার পুত্র লাভ হল না, তা আপনারা কৃপা করে অনুসন্ধান করুন। রাজার এই প্রকার কাতর উক্তি শ্রবণে ব্যথিত রাজভক্ত পুরোহিত ব্রাহ্মণগণ রাজার মঙ্গলের জন্য গভীর বনে ত্রিকালজ্ঞ মুনিঋষির কাছে যেতে মনস্থ করলেন। বনের মধ্যে ঋষিদের আশ্রম সকল দেখতে দেখতে তারা এক মুনির সন্ধান পেলেন। তিনি দীর্ঘায়ু, নীরোগ, নিরাহারে ঘোর তপস্যায় মগ্ন ছিলেন। সর্বশাস্ত্র বিশারদ ধর্মতত্ত্বজ্ঞ ত্রিকালজ্ঞ সেই মহামুনি লোমশ নামে পরিচিত । ব্রহ্মার এক কল্প অতিবাহিত হলে মুনিবরের গায়ের একটি লোম পরিত্যক্ত হোত।

এই কারণে এই মহামুনির নাম লোমশ। তাকে দেখে সকলেই ধন্য হলেন। তারা পরস্পর বলতে লাগলেন যে, আমাদের বহু জন্মের সৌভাগ্যের ফলে আজ আমরা এই মুনিবরের সাক্ষাৎ লাভ করলাম। তারপর ঋষিবর তাদের সম্বোধন করে বরলেন,-  কি কারণে আপনারা এখানে এসেছেন এবং কেনই বা আমার এত প্রশংসা করছেন, তা স্পষ্ট করে বলুন। আপনাদের যাতে মঙ্গল হয়, আমি নিশ্চয়ই তার চেষ্টা করব। ব্রাহ্মণেরা বললেন,- হে ঋষিবর! আমরা যে উদ্দেশ্যে এখানে এসেছি আপনি তা কৃপা করে শুনুন। পৃথিবীতে আপনার মতো শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি আর কোথাও নেই। মহিজীৎ নামে এক রাজা নি:সন্তান হওয়ায় অতি দু:খে দিনযাপন করছে। আমরা তার প্রজা, তিনি আমাদেরকে পুত্রের মতো পালন করেন। কিন্তু তিনি পুত্রহীন বলে আমরাও সবাই মর্মাহত। তার দু: দূর করতে আমরা এই বনে প্রবেশ করেছি।

হে ব্রাহ্মণশ্রেষ্ঠ! রাজা যাতে পুত্রের মুখ দর্শন করতে পারেন, কৃপা করে তার কোন উপায় আমাদের বলুন। তাদের কথা শুনে মুনিবর ধ্যানমগ্ন হলেন। কিছু সময় পরে রাজার পূর্বজন্মবৃত্তান্ত বলতে লাগলেন। এই রাজা পূর্বজন্মে এক দরিদ্র বৈশ্য ছিলেন। একবার তিনি একটি অন্যায় কার্য করে ফেলেন। ব্যবসা করবার জন্য তিনি এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াত করতেন। এক সময় জৈষ্ঠ্য মাসে শুক্লপক্ষের দশমীর দিনে কোথাও যাওয়ার পথে তিনি অত্যন্ত তৃষ্ণার্থ হয়ে পড়েন। গ্রাম প্রান্তে একটি জলাশয় তিনি দেখতে পান। সেখানে জলপানের জন্য যান। একটি গাভী তার বাছুর সেখানে জলপান করছিল। তাদেরকে তাড়িয়ে দিয়ে তিনি নিজেই জলপান করতে লাগলেন। এই পাপকর্মের ফলে তিনি পুত্রসুখে বঞ্চিত হয়েছেন। কিন্তু পূর্বজন্মের কোন পুণ্যের ফলে তিনি এইরকম নিষ্কণ্টক রাজ্য লাভ করেছেন।

হে মুনিবর! শাস্ত্রে আছে যে পুণ্য দ্বারা পাপক্ষয় হয়। তাই আপনি এমন একটি পুণ্যব্রতের উপদেশ করুন যাতে তার পারব্ধ পাপ দূর হয় এবং আপনার অনুগ্রহে তিনি পুত্রসন্তান লাভ করতে পারেন। লোমশ মুনি বললেন,-  শ্রাবণ মাসের শুক্ল পক্ষের পবিত্রারোপণী একাদশী ব্রত অভিষ্ট ফল প্রদান করে। আপনারা যথাবিধি তা সকলে পালন করুন। লোমশ মুনির উপদেশ শুনে আনন্দ চিত্তে গৃহে প্রত্যাবর্তন করে তাঁরা রাজাকে সে সকল কথা জানালেন।

তারপর সকলে মিলে মুনির নির্দেশ অনুসারে ব্রত পালন করলেন। তাদের সকলের পুণ্যফল রাজাকে প্রদান করলেন। সেই পুণ্য প্রভাবে রাজমহিষী গর্ভবতী হলেন। উপযুক্ত সময়ে বলিষ্ঠ, সর্বাঙ্গসুন্দর এক পুত্রসন্তানের জন্ম দান করলেন।এই ব্রত মাহাত্ম্য যিনি পাঠ বা শ্রবণ করবেন তিনি সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবেন এবং পুত্রসুখ ভোগ করে অবশেষে দিব্যধাম প্রাপ্ত হবেন।

★★★সবাইকে অনুরোধ রইল অবশ্যই মনে রাখবেন যে, একাদশী ব্রত বা কোন উপবাস মানেই কিন্তু শুধু না খেয়ে থাকা নয়,বরং শুদ্ধ/পবিত্র দেহ,মন নিয়ে ব্রত/উপবাস রেখে নিরন্তর "ভগবানের নাম জপ" হরিকথা শ্রবণ, কীর্ত্তন,গীতাপাঠ করে "ভগবান কে প্রসন্ন/খুশি করাই  ব্রত/উপবাসের মূল উদ্দেশ্য"★★★

‘’একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।

প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।‘’

এই মন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে পারণ করতে হয়। গীতার মাহাত্ম্যে উল্লেখ আছে

‘’যোহধীতে বিষ্ণুপর্বাহে গীতাং শ্রীহরিবাসরে।

স্বপন জাগ্রৎ চলন তিষ্ঠন শত্রুভির্ন হীয়তে।।‘’

অর্থাৎ,-  শ্রীবিষ্ণুর উৎসবের দিনে, একাদশী জন্মাষ্টমীতে যিনি গীতা পাঠ করেন , তিনি চলুন বা দাড়িয়ে থাকুন, ঘুমিয়ে বা জেগে থাকুন,(যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন) শত্রু কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা।

 

হরি হে দয়াল মোর জয় রাধানাথ

বার বার এইবার লহ নিজ সাথ ।।

 

বহু যোনি ভ্রমি' নাথ, লইনু শরণ

নিজগুণে কৃপা কর অধমতারণ ।।

 

জগত - কারণ তুমি জগত - জীবন

তোমা ছাড়া কা' নাহি, হে রাধারমণ ।।

 

ভুবনমঙ্গল তুমি ভুবনের পতি

তুমি উপেক্ষিলে নাথ কি হইবে গতি ।।

 

ভাবিয়া দেখিনু এই জগত - মাঝারে

তোমা বিনা কেহ নাহি দাসে উদ্ধারে ।।

জয় শ্রীকৃষ্ণের জয়জয় শ্রীএকাদশী মহাব্রতের জয়


 

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...