Sunday, August 29, 2021

🌳🌴🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌴🌳

💐🌻শ্রীকৃষ্ণের জন্মলীলা কথামৃত🌻💐

🌳🌴🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌴🌳

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু,গুরু, বৈষ্ণব গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I আজ ১৩ ভাদ্র, ৩০ আগষ্ট সোমবার পরাৎ পরব্রহ্ম শ্রীশ্রীকৃষ্ণজন্মাষ্টমীর ব্রতোপবাস। শ্রীকৃষ্ণজয়ন্তী। জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে সবাইকে জানাই কৃষ্ণপ্রীতি এবং শুভেচ্ছা। 

পারণ - পরদিন পূর্ব্বাহ্ন ৯। ২৪  মিঃ গতে এবং ০৯। ৩২ মিঃ মধ্যে শ্রীশ্রীকৃষ্ণজন্মাষ্টমী ব্রতের পারণ ( শ্রীনন্দোৎসব )

‘’যৎকীর্ত্তনং যৎস্মরণং যদীক্ষণং 
যদ্বন্দনং যচ্ছ্রবনং যদর্হণম্  
লোকস্য সদ্যো বিধুনোতি কল্মষং 
তস্মৈ সুভদ্রশ্রবসে নমো নমঃ ।।‘’     (ভাগবত //১৫)
অর্থাৎ,- আমি সেই সর্ব মঙ্গলময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে সশ্রদ্ধ প্রণাম নিবেদন করি; যাঁর যশগাথা কীর্ত্তন, স্মরণ, দর্শন, বন্দন, শ্রবণ পূজনের ফলে সমস্ত পাপরাশি অচিরেই ধৌত হয়। 

বাসুদেবে ভগবতি ভক্তিযোগঃ প্রয়োজিতঃ
জনয়ত্যাশু বৈরাগ্যং জ্ঞানং যদহৈতুকম্ ।।      (ভাগবত //
অর্থাৎ,- ভক্তি সহকারে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সেবা করা হলে অচিরেই শুদ্ধ জ্ঞানের উদয় হয় এবং জড়-জাগতিক বিষয়ের প্রতি অনাসক্তি আসে


‘’ভগবদ্গীতায় শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন যে,-

জন্ম কর্ম মে দিব্যমেবং যো বেত্তি তত্ত্বতঃ ।

ত্যক্ত্বা দেহং পুনর্জন্ম নৈতি মামেতি সোহর্জুন ।।‘’     (গীতা / )

অর্থাৎ,- হে অর্জুন! ‍যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম কর্ম যথাযথভাবে জানেন, তাঁকে আর দেহত্যাগ করার পর পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হয় না, তিনি আমার নিত্য ধাম লাভ করেন। ভগবানের জন্ম কোনো সাধারণ মানুষের মতো নয়। সাধারণ মানুষের জন্ম হয় কর্মফলের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে। কর্মের ফলস্বরূপ সে এক দেহ থেকে অন্য দেহে দেহান্তরিত হয়। ভগবানের জন্মের কথা বিশ্লেষণ করে ভগবদ্গীতার দ্বিতীয় অধ্যায়ে বলা হয়েছে, তিনি তাঁর নিজের ইচ্ছায় আবির্ভূত হন।

 

॥ গর্ভস্তুতী ॥

শ্রী গণেশায় নমঃ ।

দেব ঊচুঃ ।

জগদ্যোনিরয়োনিস্ত্বমনন্তোঽব্যয় এব চ ।

জ্যোতিঃস্বরূপো হ্যনিশঃ সগুণো নির্গুণো মহান্ ॥ ১॥

 

ভক্তানুরোধাত্সাকারো নিরাকারো নিরঙ্কুশঃ ।

নির্ব্যূহো নিখিলাধারো নিঃশঙ্কো নিরুপদ্রবঃ ॥ ২॥

 

নিরুপাধিশ্চ নির্লিপ্তো নিরীহো নিধনান্তকঃ ।

স্বাত্মারামঃ পূর্ণকামোঽনিমিষো নিত্য এব চ ॥ ৩॥

 

স্বেচ্ছাময়ঃ সর্বহেতুঃ সর্বঃ সর্বগুণাশ্রয়ঃ ।

সর্বদো দুঃখদো দুর্গো দুর্জনান্তক এব চ ॥ ৪॥

 

সুভগো দুর্ভগো বাগ্মী দুরারাধ্যো দুরত্যয়ঃ ।

বেদহেতুশ্চ বেদশ্চ বেদাঙ্গো বেদবিদ্বিভুঃ ॥ ৫॥

 

ইত্যেবমুক্ত্বা দেবাশ্চ প্রণেমুশ্চ মুহুর্মুহুঃ ।

হর্ষাশ্রুলোচনাঃ সর্বে ববৃষুঃ কুসুমানি চ ॥ ৬॥

 

দ্বিচত্বারিংশন্নামানি প্রাতরুত্থায় য়ঃ পঠেত্ ।

দৃঢাং ভক্তিং হরের্দাস্যং লভতে বাঞ্ছিতং ফলম্ ॥ ৭॥

 

ইত্যেবং স্তবনং কৃত্বা দেবাস্তে স্বালয়ং য়য়ুঃ ।

বভূব জলবৃষ্টিশ্চ নিশ্চেষ্টা মথুরাপুরী ॥ ৮॥


॥ ইতি শ্রীব্রহ্মবৈবর্তে দেবকৃতা গর্ভস্তুতিঃ সম্পূর্ণা ॥

যখন শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের সময় হলো, তখন কাল সর্বগুণ সমন্বিত হয়ে পরম সুন্দর হয়ে উঠল এবং পৃথিবীও আনন্দে পরিপূর্ণ হয়ে উঠল। তিথি, যোগ এবং নক্ষত্র তখন সর্বমঙ্গলময় এবং সর্বসুলক্ষণ যুক্ত হয়ে উঠল এবং সর্বসুলক্ষণযুক্তা রোহিণী নক্ষত্র তখন তুঙ্গে প্রকাশিত হলো । ব্রহ্মা স্বয়ং রোহিণী নক্ষত্র পর্যবেক্ষণ করেন। জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, নক্ষত্রের অবস্থান ছাড়াও বিভিন্ন গ্রহের অবস্থান প্রভাবের ফলে শুভ এবং অশুভ তিথি যোগ বিচার করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবকালে সমস্ত গ্রহ মঙ্গলময় অবস্থা শুভ ইঙ্গিত প্রদর্শন করে বিরাজ করতে লাগল। তখন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ রাতের গভীর অন্ধকারে চতুর্ভুজ বিষ্ণুরূপ ধারণ করে দেবকী-বসুদেবের সম্মুখে আবির্ভূত হলেন।

পূর্ণচন্দ্র যেভাবে উদিত হয়, ঠিক সেভাবেই পরমেশ্বর ভগবান আবির্ভূত হলেন। কেউ প্রশ্ন করতে পারে যে, শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাব হয়েছিল অষ্টমী তিথিতে, তাহলে পূর্ণচন্দ্রের উদয় হলো কী করে? এর উত্তরে বলা হয়েছে যে, শ্রীকৃষ্ণ চন্দ্রবংশে আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাই চন্দ্র সেই রাতে অপূর্ণ থাকলেও সেই বংশে ভগবানের আবির্ভাবের ফলে আনন্দে উৎফুল্ল হয়ে সেদিন পূর্ণ হয়ে উঠলেন। খমাণিক্য' নামক জ্যোতিষ-শাস্ত্র বিষয়ক গ্রন্থে ভগবানের আবির্ভাব সময়কালীন গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থান খুব সুন্দরভাবে বর্ণিত হয়েছে। সেখানে প্রমাণ করা হয়েছে যে, এই শুভ মুহুর্তে যে শিশুটির জন্ম হলো, তিনি হলেন পরম-ব্রহ্ম। বসুদেব দেখলেন যে, সেই অদ্ভুত শিশুটি চতুর্ভুজ। তিনি তাঁর চার হাতে শঙ্খ, চক্র, গদা এবং পদ্ম ধারণ করে আছেন।

বক্ষে তাঁর শ্রীবৎস চিহ্ন, কণ্ঠে কৌস্তুভ শোভিত কণ্ঠহার, পরনে পীতবসন, উজ্জ্বল মেঘের মতো তাঁর গায়ের বর্ণ, বৈদুর্য মণিভূষিত কিরীট তাঁর মস্তকে শোভা পাচ্ছে, নানারকম মহামূল্যবান মণি-রত্ন শোভিত সমস্ত অলঙ্কার তাঁর দিব্য দেহে শোভা পাচ্ছে, তাঁর মাথা ভর্তি কুঞ্চিত কালো কেশরাশি। এই অদ্ভুত শিশুটিকে দেখে বসুদেব অত্যন্ত আশ্চর্য হলেন। তিনি ভাবলেন কীভাবে একটি নবজাত শিশু রকম সমস্ত অলঙ্কারে ভূষিত হলো? তাই তিনি বুঝতে পারলেন যে, শ্রীকৃষ্ণই তাঁর পুত্ররূপে আবির্ভূত হয়েছেন। তিনি তখন অত্যন্ত উৎফুল্ল হয়ে উঠলেন। বসুদেব তখন ভাবতে লাগলেন, যদিও তিনি একজন সাধারণ মানুষ এবং বাহ্যিক দিক থেকে কংসের কারাগারে আবদ্ধ, তবুও পরমেশ্বর ভগবান বিষ্ণু তাঁর স্বরূপ ধারণ করে তাঁর সন্তানরূপে আবির্ভূত হয়েছেন।

কোনো মনুষ্যশিশু এভাবে চতুর্ভুজ রূপ নিয়ে অলঙ্কার এবং সবরকম দিব্য সাজে সজ্জিত হয়ে পরমেশ্বর ভগবানের সমস্ত লক্ষণযুক্ত হয়ে জন্মগ্রহণ করে না। বসুদেব বারবার সেই শিশু সন্তানটির দিকে তাকিয়ে দেখতে লাগলেন এবং ভাবতে লাগলেন কীভাবে তাঁর এরকম সৌভাগ্যের মুহূর্তটি তিনি উদযাপন করবেন। তিনি ভাবলেন, ‘’সাধারণত যখন পুত্রসন্তানের জন্ম হয়, মানুষ তখন মহোৎসব করে, আর পরমেশ্বর ভগবান আজ আমার গৃহে আমার সন্তানরূপে আবির্ভূত হয়েছেন। কত মহা আড়ম্বরেই না উৎসব পালন করা উচিত।‘’ বসুদেবের মনে আর যখন কোনো সংশয় রইল না যে, নবজাত শিশুটিই হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান, তখন তিনি করজোড়ে প্রণিপাত করে তাঁর বন্দনা করতে শুরু করলেন।

বসুদেব তখন চিন্ময় স্তরে অধিষ্ঠিত ছিলেন এবং তিনি সম্পূর্ণভাবে কংসের ভয় থেকে মুক্ত হলেন। শিশুটির অঙ্গকান্তিতে সেই ঘর উদ্ভাসিত হয়ে উঠল। বসুদেব তখন প্রার্থনা করতে লাগলেন- ‘’হে প্রভু, আমি জানি আপনিই হচ্ছেন পরমেশ্বর ভগবান, সমস্ত জীবের পরমাত্মা এবং পরম সত্য। আপনি আপনার নিত্য স্বরূপ নিয়ে আবির্ভূত হয়েছেন, যা আমি এখন সরাসরি দর্শন করতে পারছি। আমি বুঝতে পারছি যে, যেহেতু আমি কংসের ভয়ে ভীত, তাই সে ভয় থেকে আমাকে উদ্ধার করার জন্য আপনি আবির্ভূত হয়েছেন। আপনি এই প্রকৃতির অতীত, আপনিই সেই পরম পুরুষ, যিনি মায়ার প্রতি দৃষ্টিপাত করে জড় জগৎ প্রকাশিত করেন। হে প্রভু, পরম নিয়ন্তা হওয়া সত্ত্বেও আপনি কৃপা করে আমার পুত্ররূপে অবতরণ করেছেন।

বর্বর কংস তার দুরাচারী সঙ্গীরা, যারা রাজবেশ ধারণ করে পৃথিবীর উপর রাজত্ব করছে, সে সমস্ত অসুর তাদের অনুচরদের সংহার করার জন্যই আপনি অবতরণ করেছেন। আপনি যে তাদের সংহার করবেন, সে বিষয়ে আমার কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু সে কথা জানতে পেরে কংস আপনার পূর্বজাত ভাইদের হত্যা করেছে। এখন সে কেবল আপনার জন্ম-সংবাদের প্রতীক্ষা করছে। সংবাদ পাওয়া মাত্রই সে আপনাকে হত্যা করার জন্য এখানে সশস্ত্র উপস্থিত হবে।" তারপর মাতা দেবকীও পরমেশ্বরের নিকট প্রার্থনা করেন। দেবকীর প্রার্থনা শুনে ভগবান বললেন,- ‘’হে মাতা, স্বায়ম্ভুব মনুর সময় আমার পিতা বসুদেব সুতপা নামে একজন প্রজাপতি ছিলেন আর আপনি ছিলেন তাঁর পত্নী। আপনার নাম ছিল পৃশ্নি। সে সময় ব্রহ্মা প্রজা বৃদ্ধি করার আকাঙ্ক্ষায় আপনাদের সন্তান উৎপাদন করতে অনুরোধ করেন। তখন আপনারা আপনাদের ইন্দ্রিয় সংযম করে কঠোর তপস্যা করেছিলেন।

প্রাণায়াম করে আপনি এবং আপনার পতি জড়া প্রকৃতির সমস্ত নিয়ম গুলো সহ্য করেছিলেন- বর্ষার বর্ষণ, গ্রীষ্মের তাপ, ঝড়-ঝঞ্ঝা সব আপনারা সহ্য করেছিলেন, হৃদয় নির্মল করেছিলেন এবং জড়া প্রকৃতির সমস্ত প্রভাব থেকে মুক্ত হয়েছিলেন। তপশ্চর্যা পালন করে আপনারা কেবল গাছের ঝরা পাতা আহার করে জীবন ধারণ করেছিলেন, তারপর আপনারা ইন্দ্রিয়নিগ্রহ করে একাগ্রচিত্তে আমার আরাধনা করে আমার কাছ থেকে কোনো অদ্ভুত বর প্রার্থনা করেছিলেন। আপনারা দেবতাদের গণনা অনুসারে ১২,০০০ বছর ধরে কঠোর তপস্যা করেছিলেন।  তখন আপনাদের চিত্ত কেবল আমাতেই সমাহিত ছিল। আপনারা যখন ভক্তিযোগ অনুষ্ঠান করছিলেন এবং আপনাদের হৃদয়ে সর্বক্ষণ আমারই ধ্যান করছিলেন, তখন আমি অত্যন্ত প্রসন্ন হয়ে আপনাদের মনোবাঞ্ছা পূর্ণ করার জন্য রূপ নিয়েই অবির্ভূত হয়েছিলাম।

আমি আপনাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘আপনি কী কামনা করেন?' আপনি বলেছিলেন, আমি যেন আপনার পুত্ররূপে জন্মগ্রহণ করি। যদিও আপনি তখন আমাকে সাক্ষাৎ দর্শন করেছিলেন, তবুও আমার মায়ার প্রভাব থেকে মুক্তি প্রার্থনা না করে আপনি কেবল আমাকে আপনার পুত্ররূপে কামনা করেছিলেন।" এভাবে তাঁর পিতা-মাতার সঙ্গে কথা বলে ভগবান নিজেকে একটি ছোট শিশুতে পরিণত করলেন। শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আদিষ্ট হয়ে বসুদেব সূতিকাগার থেকে তাঁর সন্তানটিকে গোকুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হলেন। সে সময় গোকুলে নন্দ এবং যশোদার একটি কন্যা জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ছিলেন ভগবানের অন্তরঙ্গা শক্তি যোগমায়া।

যোগমায়ার প্রভাবে কংসের প্রাসাদের প্রতিটি বাসিন্দা বিশেষ করে প্রহরীরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে গভীর নিদ্রায় মগ্ন হলো এবং কারাগারের সবকটি দরজা আপনা থেকেই খুলে গেল, যদিও সেগুলো খিল দেওয়া ছিল এবং লোহার শিকল দিয়ে বাঁধা ছিল। সেই রাতটি ছিল ঘোর অন্ধকারময়। কিন্তু যখনই বসুদেব তাঁর শিশুসন্তানটিকে কোলে নিয়ে বাইরে এলেন, রাত্রির অন্ধকার বিদূরিত হয়ে গেল এবং তিনি সবকিছু দিনের আলোর মতো দেখতে পেলেন। ঠিক সে সময় গভীর বজ্রনিনাদের সঙ্গে প্রবল বর্ষণ হতে শুরু করল। বসুদেব যখন তাঁর শিশুসন্তান শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে সেই বৃষ্টির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন ভগবান অনন্তদেব সর্পরূপ ধারণ করে সেই বর্ষণ থেকে বসুদেবকে রক্ষা করার জন্য বসুদেবের মাথার উপর তাঁর ফণা বিস্তার করলেন।

বসুদেব যমুনার তীরে এসে দেখলেন যে, যমুনার জল প্রচণ্ড গর্জন করতে করতে প্রবাহিত হচ্ছে, তার বিশাল তরঙ্গ গুলো ফেনিলোচ্ছল হয়ে উঠছে। কিন্তু ভয়ঙ্কর রূপ সত্ত্বেও যমুনা  বসুদেবকে যাওয়ার পথ করে দিলেন, ঠিক যেমন ভারত মহাসাগর রামচন্দ্রের সেতু বন্ধনের সময় তাঁর জন্য পথ করে দিয়েছিলেন। এভাবে বসুদেব যমুনা পার হয়ে অপর পাড়ে গোকুলে নন্দ মহারাজের গৃহে উপস্থিত হলেন। সেখানে তিনি দেখলেন যে, সমস্ত গোপ - গোপী গভীর নিদ্রায় মগ্ন। সেই সুযোগে তিনি নিঃশব্দে যশোদা মায়ের গৃহে প্রবেশ করে তাঁর পুত্রসন্তানটিকে সেখানে রেখে যশোদার সদ্যোজাত কন্যাকে নিয়ে কংসের কারাগারে ফিরে এলেন এবং দেবকীর কোলে কন্যাটিকে রাখলেন। তিনি নিজেকে আবার শৃঙ্খলাবদ্ধ করলেন যাতে কংস বুঝতে না পারে। এভাবে পরমেশ্বর ভগবান তাঁর দিব্য জন্ম লীলা প্রকাশ করেন।

🏵জয় পতিত - পাবন পরম করুণাময় শ্রীভগবানের জয়🏵






 

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...