💐🏵️💞🌷💞🏵️💐

🌷একাদশী মাহাত্ম্য🌷

💐🏵️💞🌷💞🏵️💐

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I হরে কৃষ্ণ, আগামী ১০/০৬/২০২২ ইং রোজ - শুক্রবার গৌর - একাদশী। নির্জ্জলা একাদশীর উপবাস। (পারণ - পরদিন ৭/৭ মিঃ গতে এবং পূর্ব্বাহ্ন ০৯/২৩ মিঃ মধ্যে একাদশীর পারণ) আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে পালনে উৎসাহিত করুন।

 

‘’গুরু - বৈষ্ণব  - ভগবান তিনিহেঁ স্মরণ ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে হয় বিঘ্ন বিনাশন ।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’ 

 

গুরবে গৌরচন্দ্রায় রাধিকায়ৈ তদালয়ে ।

কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদ্ভক্তায় নমো নমঃ ।।

 

🏵️গর্গ-সংহিতায় বর্ণিত একাদশীমাহাত্ম্য🏵️

🌳🌴🌲🦚💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🦚🌲🌴🌳

নারদ বলিলেন,-  মৈথিল । যজ্ঞসীতা গোপীগণের আখ্যান শ্রবণ কর। উহা সর্ব্বপাপহর, পুণ্য, কামদ ও মঙ্গলের আলয়। দক্ষিণদেশে উশীনর নামক দেশ বিদ্যমান। এক সময়ে দশ বৎসর যাবৎ সেস্থানে দেববর্ষণ হয় নাই। তত্রত্য ধনবান্ গোপগণ অনা বৃষ্টি-ভয়ে ভীত হইয়া কুটুম্ব ও গোধনগণসহ ব্রজমণ্ডলে আগমন করেন । হে নৃপ ! তাঁহারা নন্দরাজের সাহায্যে মনোজ্ঞ যমুনার নিকটে রম্য পুণ্য বৃন্দারণ্যে বাস করিয়াছিলেন। শ্রীরামবরে তাঁহাদের গৃহে যজ্ঞসীতা গোপীগণ জন্মগ্রহণ করেন: দিব্যা ও দিব্য যৌবন-ভূষিতা। হে নৃপেশ্বর ! সুন্দর শ্রীকৃষ্ণকে অবলোকন করিয়া তাঁহারা মোহিত হন এবং কি ব্রত করিলে কৃষ্ণ প্রসন্ন হন, তাহা জানিবার জন্য শ্রীরাধার নিকট গমন করেন।

 

গোপীগণ বলিলেন,- হে বৃষভানুনন্দিনী রাধে! হে দিব্য-পদ্মনেত্রে ! শ্রীকৃষ্ণকে প্রসন্ন করিবার জন্য কোন শুভ ব্রত উপদেশ কর। দেবগণেরও দুষ্প্রাপ্য নন্দনন্দন কৃষ্ণ তোমার বশ্য। হে রাধে! তুমি জগন্মোহিনী ও সর্ব্বশাস্ত্রার্থপারগা ! রাধা বলিলেন,- তোমরা শ্রীকৃষ্ণের প্রসন্নার্থ একাদশীব্রত কর তাহাতেই সাক্ষাৎ হরি বশ্য হইবেন, সংশয় নাই। গোপীগণ বলিলেন,- হে রাধিকে ! পূর্ণ এক বৎসরের দ্বাদশীর নামসমূহ কীৰ্ত্তন কর, আর বল—কিভাবে মাসে মাসে তাঁহার ব্রত করিতে হইবে। রাধা বলিলেন,— বিষ্ণুদেহ হইতে অগ্রহায়ণ মাসে কৃষ্ণপক্ষে উত্তমা একাদশী মুরাসুর বধের জন্য উৎপন্ন হন। সেই সৰ্ব্বোত্তমোত্তমা একাদশী মাসে মাসে পৃথক পৃথকরূপে হইয়া থাকেন।

 

তোমাদের হিত কামনায় তাঁহার ষড় বিংশতি নাম কীর্ত্তন করিতেছি। প্রথমে উৎপত্তি, তৎপর মোক্ষা, তৎপর সফলা, পুত্রদা, ষটতিলা, জয়া ও বিজয়া; তৎপশ্চাৎ আমলকী ও পাপমোচনী, তৎপর কামদা, তৎ পশ্চাৎ বরুথিনী ও মোহিনী, অপরা, তৎপশ্চাৎ নির্জ্জলা কথিত হয়। তৎপর যোগিনী, দেবশয়নী, কামিনী; তারপর পবিত্রা, অজা, পদ্মা, ইন্দিরা; তারপর পাশাঙ্কুশা ও রমা, তৎপশ্চাৎ প্রবোধিনী সৰ্ব্ব সম্পৎপ্রদা এবং দুইটী মলমাসজা কথিত হয়। যে ব্যক্তি একাদশীর এই ষড়বিংশতি নাম পাঠ করেন, তিনি সম্বৎসরের দ্বাদশীর ফল লাভ করিয়া থাকেন। হে ব্রজঙ্গনাগণ ! অনন্তর একাদশীর নিয়ম শ্রবণ কর।

 

দশমীতে ভূমিশায়ী হইবে, একবার ভোজন ও ইন্দ্রিয় সংযম করিবে; এবং একবারমাত্র জল পান করিয়া ধৌতবসন পরিধানপূর্ব্বক অত্যন্ত নির্ম্মল হইবে। একাদশীর ব্রাহ্মমুহূর্ত্তে শয্যা ত্যাগ করিয়া হরিকে নমস্কার করিবে। কুপস্নান অধম, বাপীস্নান মধ্যম, তড়াগ স্নান উত্তম, আর নদীস্নান তাহা হইতে উত্তম। উত্তম মানব এইরূপে স্নান করিয়া ক্রোধ লোভাদি পরিত্যাগ করিবে । তদ্দিনে তৈলাভ্যঙ্গ করিবে না। একাদশী দিবসে মানব নীচ ও পাষণ্ডের সংসর্গ ত্যাগ করিবে : ব্রতী মানব মিথ্যাবাদরত ব্রাহ্মণনিন্দক, অগম্যাগমনাসক্ত, পরদ্রব্যাহারী, পরদারাভিগামী, দুর্বৃত্ত, মর্য্যাদা লঙ্ঘনকারী এবং অন্যান্য প্রকার দুরাচারনিরতগণের সংসর্গ বর্জ্জন করিবে।

 

ভক্তি যুক্তচিত্তে কেশবকে পূজা করিয়া উত্তম নৈবেদ্য প্রদান ও কেশবগৃহে দীপদান করিবে এবং বিপ্রমুখে ব্রত কথা শ্রবণ করিয়া উত্তম দক্ষিণা দান করিবে । কৃষ্ণগুণ গান করিয়া রাত্রি জাগরণ করিবে। কাংস্য পাত্রে ভোজন, মাংস, মসূর, কোদ্রব, চণক, শাক, মধু, পরান্ন, পুন ভোজন ও মৈথুন বিষ্ণুব্রতে দশমী দিনে এই দশ দ্রব্য পরিত্যাগ করিবে । একাদশী দিনে দ্যূতক্রীড়া, নিদ্রা, তাম্বুল, দন্তধাবন, পরনিন্দা, খলতা, চৌর্য্য, হিংসা, রতি, ক্রোধ-বাহুল্য, মিথ্যা কথা বর্জ্জনীয়। দ্বাদশী দিনে কাংস্য পাত্রে ভোজন, মাষ, মধু, তৈল, উচ্ছিষ্ট ভোজন, পৌষ্ঠিক, ষষ্টি ধান্য পরিত্যাগ করিবে। এইরূপ বিধানে দ্বাদশীব্রত কৰ্ত্তব্য। গোপীগণ বলিলেন, হে মহাপ্রজ্ঞে ! এই একাদশী ব্রতের কাল কীৰ্ত্তন করুন। ইহার কি ফল এবং মাহাত্ম্য কি, তাহাও যথাযথ বর্ণন করুন।

 

রাধা বলিলেন,- দশমী যদি পঞ্চান্ন দণ্ড হয়, তবে তৎপর দিনের একাদশী ত্যাগ করিয়া দ্বাদশীতে উপবাস করিবে। এক পল মাত্রও দশমীযুক্ত একাদশী মদিরা বিন্দুযুক্ত গঙ্গাজলের ঘটের ন্যায় ত্যাজ্য জানিবে। যদি একাদশী বৰ্দ্ধমানা হয়, তবে পরদিনই উপবাস কর্ত্তব্য; আর কেবল দ্বাদশী বৰ্দ্ধমানা হইলে উপবাস হইবে। হে ব্রজাঙ্গনাগণ ! এই একাদশী ব্রতের কথা বলিতেছি, ইহার শ্রবণমাত্রে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়। অষ্টাশীতি সহস্র ব্রাহ্মণ ভোজন করাইলে যে ফল দ্বাদশীব্রতকারী নর সেই ফল প্রাপ্ত হয়। মানব সসাগর-কাননোপেত পৃথিবী দান করিয়া যে ফল পায়, একাদশী মহাব্রতে তাহার সহস্রগুণ ফল পাইয়া থাকে।

 

যাহারা পাপপঙ্কসমাকুল সংসার-সাগরে মগ্ন, উত্তম দ্বাদশী ব্রত তাহাদের উদ্ধারের উপায়রূপে উপদিষ্ট। মানব রাত্রি জাগরণ করিয়া একাদশীব্রত করিলে শত পাপযুক্ত হইয়াও ভীষণ যমলোক দর্শন করে না। যে ব্যক্তি দ্বাদশী দিনে তুলসীদল দ্বারা ভক্তিভরে হরির পূজা করে, পদ্মপত্রের জলের মত সে পাপলিপ্ত হয় না। সহস্র অশ্বমেধ ও শত রাজসূয় যজ্ঞ একাদশী উপবাসের ষোড়শাংশের একাংশযোগ্যও নহে । একাদশী ব্রতকারী মাতৃপক্ষের দশ, পিতৃপক্ষের দশ, পত্নী পক্ষ অর্থাৎ শ্বশুর কুলের দশপুরুষ উদ্ধার করে। ধেনু শ্বেতই হউক আর কৃষ্ণই হউক, দুগ্ধ দান গুণে যেমন উভয়েই তুল্য, তদ্রুপ শুক্ল কৃষ্ণ উভয় একাদশীই তুল্য ফল-প্রদ। হে গোপীগণ ! মেরু কিংবা মন্দর পর্ব্বত প্রমাণ শত জন্মের পাপ তুলারাশির ন্যায় একাদশী দগ্ধ করে।

 

হে গোপীগণ ! দ্বাদশী দিনের দান বিধিপূর্ব্বকই হউক আর অবিধিকৃতই হউক, কিংবা অল্প হউক, সে সুকৃত মেরুতুল্য হইয়া থাকে ৷ যে মানব একাদশী দিনে হরিকথা শ্রবণ করে, তাহার সপ্তদ্বীপা বসুন্ধরা দানের তুল্য ফল ফলে। মানব শঙ্খোদ্ধারে স্নান করিয়া দেব গদাধরকে দর্শন করিলে যে পুণ্যফল প্রাপ্ত হয়, তাহা একাদশী উপবাসের ষোড়শাংশের একাংশতুল্য নহে । প্রভাস, কুরুক্ষেত্র, কেদার, বদরিকাশ্রম, কাশী, শূকরক্ষেত্র, চন্দ্র ও সূর্য্যগ্রহণ, চারিলক্ষ সংক্রান্তি——এই সকলে মানব যে দান করে, তাহা একাদশী উপবাসের ষোড়শাংশের একাংশ যোগ্যও নহে ৷ হে গোপীগণ ! নাগগণ মধ্যে অনন্ত, পক্ষিগণ মধ্যে গরুড়, দেবগণ মধ্যে বিষ্ণু, বর্ণ গণ মধ্যে ব্রাহ্মণ, বৃক্ষগণ মধ্যে অশ্বত্থ এবং পত্রসমূহ মধ্যে তুলসী যেরূপ প্রধান, তদ্রুপ ব্রত সকলের মধ্যে একাদশীব্রতই সৰ্ব্বশ্রেষ্ঠ।

 

মানব অযুত বৎসর তপস্যা করিয়া যে ফল পায়, একমাত্র দ্বাদশী ব্রতে তাহার তুল্য ফল প্রাপ্ত হয়; হে ব্রজাঙ্গনাগণ ! একাদশী-ব্রতের ফল এইরূপই কথিত হইয়া থাকে, তোমরা সত্বর সেই ব্রত পালন কর; আর কি শুনিতে চাও । গোপীগণ বলিলেন, হে সুভ্র বৃষভানুসুতে ! তুমি সৰ্ব্বশাস্ত্র পারগা, বৃহস্পতির বাক্যও তোমার বাক্যে বিড়ম্বিত হয়। হে রাধে! তুমি সাক্ষাৎ জ্ঞাননিধি। পূৰ্ব্বে কে এই একাদশীব্রত করিয়াছিল, তাহা আমাদের নিকট বিশেষরূপে বর্ণন কর। রাধা বলিলেন,- হে গোপীগণ! এই শ্রেষ্ঠ একাদশীব্রত অসুরগণের বিনাশ ও ভ্রষ্টরাজ্য লাভের জন্য দেবগণ পূর্ব্বে করিয়াছিলেন, তারপর বৈশন্ত নামক নৃপতি যমলোকগত নিজ পিতৃগণের উদ্ধারার্থ এই ব্রত করেন। পাপী লুম্পক নরপতি অকস্মাৎ জ্ঞাতিপরিত্যক্ত হইয়া এই একাদশীব্রত করে এবং তাহার ফলে তাহার ভ্রষ্টরাজ্য লাভ হয়।

 

ভদ্রবতী পুরীর অপুত্রক কেতুমান নৃপতি সজ্জনগণের উপদেশে একাদশীব্রত করিয়া পুত্রলাভ করেন। একদা দেবপত্নীগণ কোন এক ব্রাহ্মণীকে এই একাদশীব্রতের উপদেশ করেন, ঐ ব্রাহ্মণী মানুষী হইয়াও ধন ধান্য ও স্বর্গসুখ লাভ করিয়াছিলেন। পুষ্পদন্ত ও মাল্যবান্ শত্রুশাপে পিশাচত্ব প্রাপ্ত হইয়াছিল, তাহারা একাদশীব্রত করিয়া পুনরায় গন্ধৰ্ব্বত্ব প্রাপ্ত হয় ৷ পূৰ্ব্বকালে সমুদ্রে সেতুবন্ধন ও রাবণের বধের জন্য রামচন্দ্র এই একাদশীব্রত করিয়াছিলেন। প্রলয়ান্তে সমুৎপন্ন আম লকী তরুতলে দেবতারা জগতের কল্যাণলাভার্থ একাদশীব্রত করিয়া ছিলেন । মেধাবী মুনি পিতৃবাক্যে দ্বাদশীব্রত করিয়া অপ্সরাদিগের স্পর্শদোষ হইতে বিমুক্ত ও উত্তম কান্তিসম্পন্ন হন। ললিত নামক গন্ধর্ব্ব পত্নীর শাপে রাক্ষস হইয়া এই একাদশী ব্রতাচরণে পুনর্বার গন্ধর্ব্বত্ব লাভ করে।

 

একাদশী ব্রতাচরণে মান্ধাতা, সগর, ককুৎস্থ, মহামতি মুচুকুন্দ, ধুন্ধুমার এবং অন্যান্য অনেক নৃপতি স্বর্গলাভ করিয়াছিলেন৷ ভগবান্ ভব একাদশীব্রতে ব্রহ্মকপালমুক্ত হন। জ্ঞাতিপরিত্যক্ত ধৃষ্টবুদ্ধি নামক মহাখল বৈশ্যতনয় একাদশীব্রত করিয়া বৈকুণ্ঠে গমন করে। নৃপতি রুক্মাঙ্গদও একাদশীব্রত করিয়া ছিলেন, তাহার ফলে তিনি ভূমণ্ডল ভোগ করিয়া পৌরজনসহ বৈকুণ্ঠে গমন করেন। রাজা অম্বরীষও একাদশীব্রত করিয়াছিলেন । তাহার ফলে সর্ব্বত্র অপ্রতিহত ব্রহ্মশাপও তাহাকে স্পর্শ করিতে পারে নাই । হেমমালী নামক যক্ষ কুবেরশাপে কুষ্ঠরোগগ্রস্ত হয়, সে একাদশীব্রত করিয়া চন্দ্রতুল্য হইয়াছিল। মহীজিৎ নৃপতি একাদশী ব্রতাচারণে উত্তম পুত্র লাভ করিয়া বৈকুণ্ঠে গমন করিয়াছিলেন, তাহার ফলে তিনি পৃথিবীরাজ্য লাভ করিয়া পৌরজনসহ বৈকুণ্ঠে গমন করেন।

 

আদি সত্যযুগে শোভন নামক নরপতি মহীপাল মুচুকুন্দের জামাতা হন, তিনি একাদশী-ব্রত করিয়া ভারতের মন্দরাচলে দেবতাগণের সহিত উত্তম স্থান লাভ করিয়াছিলেন ; অদ্যাপি তিনি তথায় স্বমহিষী চন্দ্রভাগার সহিত কুবেরের মত রাজত্ব করিতেছেন। হে গোপীগণ ! একাদশীকে সৰ্ব্বতিথির প্রধানা উত্তম তিথি জানিবে, তাহার সমান অন্য কোন তিথি নাই ৷ নারদ বলিলেন,—যজ্ঞসীতা গোপীগণ রাধার মুখে ইহা শুনিয়া কৃষ্ণপ্রাপ্তির জন্য যথাবিধি একাদশী ব্রত করেন ; তাঁহাদের একাদশী-ব্রত ফলে স্বয়ং হরি প্রসন্ন হইয়া অগ্রহায়ণ মাসের পূর্ণিমায় তাঁহাদের সহিত রাস করিয়াছিলেন ।

 

রাধিকা - চরণরেণু,             ভূষণ করিয়া তনু,

অনায়াসে পাবে গিরিধারী।

রাধিকা - চরণাশ্রয়,            যে করে সে মহাশয়,

তাঁ'রে মুঞি যাঁও বলিহারী।।

জয় জয় 'রাধা' নাম,           বৃন্দাবন যাঁর ধাম,

কৃষ্ণসুখ - বিলাসের নিধি।

হেন রাধা - গুণগান,           না শুনিল মোর কান,

বঞ্চিত করিল মোরে বিধি।।

তাঁ'র ভক্ত - সঙ্গে সদা,        রসলীলা প্রেমকথা,

যে করে সে পায় ঘনশ্যাম।

ইহাতে বিমুখ  যেই,             তা'র কভু সিদ্ধি নাই,

নাহি যেন শুনি তা'র নাম।।

কৃষ্ণনাম - গানে ভাই,         রাধিকা - চরণ পাই,

রাধানাম - গানে কৃষ্ণচন্দ্র।

সংক্ষেপে কহিনু কথা,        ঘুচাও মনের ব্যথা,

দুঃখময় অন্য কথা - দ্বন্দ্ব।  

♥জয় শ্রীকৃষ্ণের জয়♥জয় শ্রীএকাদশী মহাব্রতের জয়♥