💐🦜🌴🌺🌷🌺💐🦜🌴

🦚🌻শ্রীধাম বৃন্দাবন🌻🦚

💐🦜🌴🌺🌷🌺💐🦜🌴

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার দণ্ডবৎ প্রণাম I

''হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’

 

গুরবে গৌরচন্দ্রায় রাধিকায়ৈ তদালয়ে।

কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদ্ভক্তায় নমো নমঃ।।

শ্রীধাম বৃন্দাবন সম্বন্ধে কিছু তথ্য

(১)শ্রীবৃন্দাবনের এক নাম "ব্রজ", এর অর্থ কি?

শ্রীধাম বৃন্দাবনের ভূমি হল-স্বত্ব,রজ,তমগুণের অতীত,এই ব্রজভূমি পরব্রহ্মস্বরূপ, সর্বব্যাপক এবং সচ্চিদানন্দময় মুক্ত ভক্তগণের উপাস্যভূমি।তাই এই শ্রীধাম বৃন্দাবনের আর এক নাম--- _"ব্রজ"।_

ব্যাপক অর্থে ব্রজধামকেই বৃন্দাবন বলা হয়। ব্রজ কথাটির, "ব্র"---মানে ব্রহ্মময় বা চিন্ময়; "জ"--মানে জন্ম বা প্রকাশ। তাই ভগবান শ্রীকৃষ্ণের লীলাভূমিই "ব্রজ"।*

 

(২)বৃন্দাবনে ভগবানের তিনটি জিনিস এখনও দর্শন, স্পর্শ, ও শ্রবণ করা যায়। সেগুলো কি কি?

শ্রীধাম বৃন্দাবনে এখনও 'দর্শন' করা যায়-- _"ধেনু"।

স্পর্শ' করা যায়-- _"রেণু"_(ব্রজ গোপী চরণরেণু)।

শ্রবণ" করা যায়- _"বেণু"_(বংশীধ্বনি)।

(৩)বৃন্দাবনে কটা বন আছে? তাদের নাম কি কি?_

ব্রজমণ্ডলে দ্বাদশ (১২) বন বর্তমান।

(১)ভদ্রবন,(২)বেলবন,(৩)লৌহবন,

 (৪)ভাণ্ডীর বন,(৫)মহাবন,(৬)মধুবন,

(৭)তালবন,(৮)কুমুদবন,(৯)বহুলাবন,

(১০)কামবন,(১১)খদিরবন,(১২)বৃন্দাবন।

প্রথম পাঁচটি বন যমুনার পূর্বভাগে, এবং শেষ সাতটি বন যমুনার পশ্চিমদিকে অবস্থিত।

 

(৪)চুরাশী ক্রোশ বৃন্দাবনের এই চুরাশি ক্রোশ সমান কত কিলোমিটার?

চুরাশী ক্রোশ বৃন্দাবনের এই চুরাশী ক্রোশ সমান ২৫২ কিলোমিটার।

 (৫)শ্রীবৃন্দাবনের ক্ষেত্রপাল কে?

শ্রীমহাদেব হলেন শ্রীবৃন্দাবনের ক্ষেত্রপাল।

 (৬)শ্রীবৃন্দাবনে কটি উপবন রয়েছে? তাদের নাম কি কি?

শ্রীবৃন্দাবনে ২৪টি উপবন রয়েছে, যথা

(১)রাল,(২)রাধাকুণ্ড,(৩)গোবর্ধন,

(৪)আড়িং,(৫)চন্দ্রসরোবর;(৬)বচগ্রাম,

(৭)পরমাদরা,(৮)বদ্রীনাথ,(৯)বর্ষাণা,

(১০)উঁচাগাঁ,(১১)আঁজনক,(১২)পিয়াসো,

(১৩)সংকেত,(১৪)নন্দগ্রাম,(১৫)যাবট,

(১৬)কোকিলাবন,(১৭)কোটবন,(১৮)দধিগ্রাম,

(১৯)খেলনবন,(২০)শেষশায়ী,(২১)মাঠবন,

(২২)গোকুল,(২৩)বিদ্রুমবন,(২৪)রাভেল।

প্রথম কুড়িটি উপবন যমুনার পশ্চিমদিকে এবং শেষ চারটি উপবন যমুনার পূর্বদিকে অবস্থিত। এছাড়া আরও রয়েছে বহু শাখাবন।

 (৭)শ্রীবৃন্দাবনে কটা শিবমূর্তি রয়েছে তাদের নাম কি কি?

(১)বৃন্দাবনে গোপেশ্বর,(২)মথুরায় ভূতেশ্বর,(৩)গোবর্ধনে চক্রেশ্বর এবং (৪)কাম্যবনে কামেশ্বর মহাদেব মূর্তি রয়েছে।

 (৮)শ্রীবৃন্দাবনে কৃষ্ণলীলাতে সবাই কি ভাষায় কথা বলতেন?

বৃন্দাবনে কৃষ্ণলীলাতে সবাই _"ব্রজবুলি"_ ভাষায় কথা বলতেন।

 

(৯)শ্রীবৃন্দাবনে দ্বাপর অন্তে ভগবানের লীলা অনুসারে গ্রাম ও নগর স্থাপন করেছিলেন কে এবং কার নির্দেশে?

শ্রীবৃন্দাবনে দ্বাপর অন্তে ভগবানের লীলা অনুসারে গ্রাম ও নগর স্থাপন করেছিলেন,নন্দগোপকুলের পুরোহিত শ্রীশান্ডিল্য ঋষির নির্দেশে শ্রীকৃষ্ণের প্রপৌত্র _"বজ্রনাভ"।_*

 (১০)শ্রীবৃন্দাবন কার দ্বারা পরিরক্ষিত হয়?_*

সমগ্র শ্রীবৃন্দাবন শ্রীবৃন্দাদেবী কর্তৃক পরিরক্ষিত হয়।*

সত্যি আমি কোনকিছু তাড়াতাড়ি বুঝতে পারিনা, এতক্ষনে বুঝলাম কেন বৃন্দাবনে প্রবেশ করা অত্যন্ত কঠিন - কারো বাড়ীতে কি বাড়ীর মালিকের অনুমতি ছাড়া ঢোকা যায়, তেমনি বৃন্দাবন হচ্ছে কৃষ্ণের বাড়ী ওখানে শুধু তার পরিবারের লোকেদের, যারা তাঁকে ভীষন ভালবাসে তাদেরই শুধু প্রবেশ করার অনুমতি আছে। কিন্তু মহাবদান্ন মহাপ্রভু যিনি স্বয়ং কৃষ্ণ এবং রাধারানী আমাদের কৃষ্ণের বাড়ীতে ঢোকার এবং সেখানে চিরস্থায়ীভাবে বসবাস করার ভিসা দিয়েছেন। গতকাল আমি ভাবলাম আচ্ছা ভিসা যখন পওয়া গেছে তাহলে আমার ব্যাগটা গুছিয়ে রাখি টিকিটকাটব যখন তখন কোন টেনশন হবেনা কিন্তু জানেন ব্যাগগুছোতে গিয়ে আমিকি আবিষ্কার করলাম?

আমার সব ব্যাগগুলি ভরা, একটা সূচ ঢোকানোর পর্যন্ত জায়গা নেই, কি দিয়ে ভরা জানেন, - হিংসা,দ্বেষ, বিদ্বেষ, মান অভিমান,অহংকার, ঘৃনা,ভয়,লোভ ইত্যাদি ইত্যাদি,আরো যে কতকিছু আছে আমি আর ভালকরে দেখলামনা। এইগুলি আনপ্যাক করাকি সোজা কথা বলুন? কতযত্ন করে আর কষ্ট করে এইগুলি আমি সংগ্রহ করেছি। তখন মনটা ভীষন খারাপ হয়ে গেল। তারপরে হটাৎ মনে পড়ল আচ্ছা ভিসার সর্তটাতো এখনও পড়ে দেখিনি তারপর যখন পরতে শুরু করলাম তখন কি আবিষ্কার করলাম I

“শ্রীকৃষ্ণের চরনে নিজেকে সম্পূর্ণরূপে সমর্পণ উপায়টা - “ইতি ষৌড় সোপনান্মাম কলি কল্মষনাম্নাম,” এই ভগবানের ১৬ নাম সম্বন্বীত যে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র —

“হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে I

হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে I I” এইটি হচ্ছে এই প্রেম লাভের উপায়। এটি আমরা যখন একক ভাবে করি তখন সেটিকে বলা হয় জপ। আর যখন উচ্ছাসিত ভাবে এই নামের সঙ্গীত বা গান গাওয়া হয় তখন সেটি হচ্ছে কীর্তন এবং যখন অনেকে সন্মিলিত ভাবে এই কীর্তন করে তখন তাকে বলা হয় সংকীর্তন।

জপ থেকে কীর্ত্তন শ্রেষ্ঠ, কীর্ত্তন থেকে সংকীর্ত্তন শ্রেষ্ঠ। এই সংকীর্ত্তনই এই কলি যুগের যুগ ধর্ম।

‘’হরের্নাম হরের্নাম হরের্নামৈব কেবলম্।

কলৌ নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব নাস্ত্যেব গতিরন্যথা।‘’

এই কলি যুগে হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র ছারা আর কোন গতি নেই, আর কোন গতি নেই, আর কোন গতি নেই। আমি কেবল আপনাদের দিগ্ দর্শন করাবার চেষ্টা করছি কেননা এই বিষয় বস্তুটি আধা ঘন্টা এক ঘন্টার মধ্যে হৃদয়ঙ্গম করা সম্ভব নয়। আমি আপনাদের সর্বান্তঃকরণে অনুরোধ করব আপনারা এই পথে এগিয়ে চলুন এবং তাহলে আপনারা দেখতে পাবেন আপনাদের জীবন এক সুন্দর রুপ প্রাপ্ত হয়ে কিভাবে আপনাদের হৃদয় এক অপুর্ব আনন্দে উদ্ভাসিত হয়ে আপনাদের জীবন সার্থক করে তুলেছে।”

হরি হরি আর কি এমন দশা হব।

হরি হরি আর কি এমন দশা হব।

এ ভব সংসার ত্যজি,                    পরম আনন্দে মজি,

আর কবে ব্রজভূমে যাব।।

সুখময় বৃন্দাবন,                    কবে হবে দরশন,

সে ধূলি লাগিবে কবে গায়।

প্রেমে গদগদ হৈঞা,                    রাধাকৃষ্ণ-নাম লৈয়া

কান্দিয়া বেড়াব উভরায়।।

নিভৃত নিকুঞ্জে যাঞা,                    অষ্টাঙ্গে প্রণাম হৈঞা,

ডাকিব 'হা রাধানাথ' বলি।

কবে যমুনার তীরে,                    পরশ করিব নীরে,

কবে পিব করপুটে তুলি।।

আর কবে এমন হব,                    শ্রীরাসমণ্ডলে যাব,

কবে গড়াগড়ি দিব তায়।

বংশীবট-ছায়া পাঞা,                    পরম আনন্দ হৈঞা,

পড়িয়া রহিব তা'র ছায়।।

কবে গোবর্দ্ধন গিরি,                    দেখিব নয়ন ভরি,

কবে হবে রাধাকুণ্ডে বাস।।

ভ্রমিতে ভ্রমিতে কবে,                    এ দেহ পতন হবে,

কহে দীন নরোত্তমদাস।।

 

বৃষভানুসুতা, চরণ সেবনে, হইব যে পাল্যদাসী।

শ্রীরাধার সুখ, সতত সাধনে, রহিব আমি প্রয়াসী।।

শ্রীরাধার সুখে, কৃষ্ণের যে সুখ,জানিব মনেতে আমি।

রাধাপদ ছাড়ি, শ্রীকৃষ্ণ সঙ্গমে,কভু না হইব কামী।।

সখীগণ মম,পরম সুহৃদ, যুগল প্রেমের গুরু।

তদনুগা হয়ে, সেবিব রাধার, চরণ কল্পতরু ।।

💞💞জয় শ্রীরাধেকৃষ্ণ💞💞জয় ব্রজধাম💞💞