🏵️ সৎসঙ্গ-মহিমা🏵️

💐🌻🏵️🌷🏵️🌻💐
খুবই গুরুত্ত্বপূর্ণ পোষ্ট

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার দণ্ডবৎ প্রণাম I

‘’হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’

 

আজানুলম্বিত - ভুজৌ কনকাবদাতৌ,

সংকীর্ত্তনৈকপিতরৌ কমলায়তাক্ষৌ।

বিশ্বম্ভরৌ দ্বিজবরৌ যুগধর্ম্মপালৌ,

বন্দে জগৎপ্রিয়করৌ করুণাবতারৌ।

নারদমুনি ও ব্যাধের উপাখ্যান

একদিন মহামুনি নারদ, শ্রী নারায়ণকে দর্শন করে স্নান করার জন্য; ত্রিবেণী প্রয়াগে মর্ত্যের বনপথ ধরে পদব্রজে প্রভুর নাম গুণগান গাইতে গাইতে চলেছেন। চলতে চলতে হঠাৎই থমকে দাঁড়ালেন। দেখলেন, তাঁর সামনে পড়ে আছে একটি হরিণ, তার অঙ্গে বিদ্ধ রয়েছে বিষ মাখানো ধারালো তীর। অর্দ্ধমৃত অবস্থায় যন্ত্রণায় খুবই কষ্ট পাচ্ছে হরিণটি। নারদ মুনি চমকে উঠলেন, আহারে! হরিণটিকে ওখানে রেখে নারদ মুনি আরো কিছুটা এগিয়ে দেখলেন, সামনে একটি শূকর একই অবস্থায় পড়ে আছে। প্রভু আরো কিছুটা যাওয়ার পর দেখলো একটি খরগোশ (শশক) তারও একই দশা।

 

নারদ মুনি জীবের এই প্রকার দুঃখ দুর্দ্দশা দেখে ব্যাকুল হৃদয়ে আরো কিছুটা যাওয়ার পর দেখলেন, একটি শ্যামবর্ণ মহাভয়ঙ্কর ব্যাধ ধনুর্বাণ জোজনা করে মৃগ শিকার করার জন্য প্রস্তুত হয়ে বসে আছে। নারদ মুনি কিছু বলার জন্য ব্যাধের কাছে যাবার ফলে, নারদ মুনিকে দেখে মৃগগুলি সব পালাইয়া গেল I মৃগগুলি পালিয়ে যাওয়ার  দেখে ব্যাধ ক্রোধান্বিত হয়ে নারদ মুনিকে বলিতে লাগল গোসাঞি, প্রণাম I কেন আমার কাছে আসলে, আপনাকে দেখে আমার মৃগগুলি সব দূরে দৌড়ায়ে পালিয়ে গেল I  নারদ মুনি বলিলেন আমার মনের মধ্যে একটা সন্দেহ আছে তাই তোমাকে জিজ্ঞাসা করার জন্য আসলাম I আমি পথে আসার সময় একটি অর্দ্ধমৃত মৃগ, শূকর আর একটি শশক দেখলাম I আমি জানিতে চাই যে এই জীবগুলির এইরকম অবস্থা কি তুমি করেছ ?

 

নারদ মুনির কথা শুনে ব্যাধ নিজের বুকের উপর হাত রেখে জোরে বলল নিশ্চয় আমি I নারদমুনি বলিলেন,- এই জীবগুলিকে তুমি তোমার ধনুর্বাণ দ্বারা না মেরে অর্দ্ধ মেরে কেন রাখছ ? উত্তরে ব্যাধ বলছে,- গোসাঞি আমার নাম মৃগারি I আমার বাবা আমাকে এই শিকার বৃত্তি করতে শিক্ষা দিয়েছেন I যখন আমার ধনুর্বাণের আঘাতে জীবগুলি অর্দ্ধমৃত হয়ে ছটপট করে তখন আমার অন্তরে খুব আনন্দ হয় I  

 

ব্যাধের কথা শুনে নারদমুনি বলিলেন,- আমি তোমার থেকে এক বস্তু চাই I এই শুনে ব্যাধ বলতে থাকল,- আপনি কি মৃগ মাংস চান ? যদি আপনি মৃগের শরীর চামড়া চান তাহলে আপনি আমার বাড়িতে আসুন I আপনি যাহা চাইবেন আমি তাই দেব এমনকি ব্যাঘ্র শরীর চামড়া ও আমি আপনাকে দিতে পারি I নারদ মুনি বলিলেন,- " আমি তোমার কাছ থেকে কিছুই চাইনা I শোনো শোনো তোমাকে একটা কথা বলি, কালথেকে তুমি যে মৃগ বা অন্য জীবকে শিকার করিবে প্রথমে তাকে সম্পূর্ণ ভাবে মেরেফেলবে . অর্দ্ধ মৃত মেরে রাখবে না I এই শুনি ব্যাধ বলতে লাগল হে মহামুনি আমাকে আপনি কি বলছেন আমি কিছু বুঝিতে পারছিনা, অর্দ্ধ মৃত করে রাখলে কি হয় কৃপাকরে আমাকে বলুন I

 

নারদমুনি বলিলেন অর্দ্ধ মৃত করে জীব রাখিলে, জীব খুব কষ্ট পায় I তুমি জীবকে মেরে দারুন দুঃখ দিচ্ছ তাই তোমারও দুরাবস্থা হবে I ব্যাধ তুমি সর্ব্বদা জীব ধনুর্বাণ দ্বারা শিকার কর ও তারাকে দারুন দুঃখ দাও, এইটা সবথেকে বড় অপরাধ আর তুমি মহাপাপী.তুমি যেরকম জীবগুলিকে কষ্ট দিচ্ছ জন্মজন্মান্তরে তারাও তোমাকে এইভাবে কষ্ট দেবে I ব্যাধ বলে হে মহামুনি এইটা তো আমার বাল্যকালের থেকে নিত্য বৃত্তি . পাপের ভয় তো করি। কিন্তু কিছুতেই ছাড়তে পারি না, আমি ত অতি দীনহীন কি করে এই পাপ থেকে মুক্তি পাইব I এই মহাপাপ থেকে মুক্তি পাইবার যদি কিছু উপায় থাএ তাহলে দয়াকরে আমাকে বলুন I 

মহর্ষি বললেন,- "একটা উপায় আছে।" যদি তুমি আমার বচন মানিবে তাহলে সে নিশ্চিত তোমার উদ্দার করিবে I

 ব্যাধ বলে,-  কি প্রভূ? আপনি আমাকে বলুন, যাহা বলিবেন আমি তাই করিব I

মহর্ষি বললেন,- সর্ব্ব প্রথমে তুমি ধনুষ ভঙ্গ কর, পরে আমি উপায় বলিব I

ব্যাধ বললো,- যদি ধনুষ ভঙ্গ করি তাহলে আমি কিকরে জীবন ধারণ করব ?

নারদমুনি বলিলেন,- আমি প্রতিদিন তোমাকে অন্ন দেব, চিন্তার কোনো কারণ নাই I

 

নারদমুনির বাক্য শুনে ব্যাধ সঙ্গে সঙ্গে তার ধনুষ ভঙ্গ করে নারদ মুনির শ্রীচরণে পতিত হইয়া নিবেদন করিল I নারদ মুনি তাকে আশ্বাসনা দিয়ে উপদেশ করিলেন,- হে ব্যাধ, তুমি ঘরে যাও, তোমার পাশে যতটুক ধনসম্পদ আছে সে সব তুমি ব্রাহ্মণ কে  দানকরে একটি করে বস্ত্র পরে তুমি আর তুমার পত্নী সমুদ্র তীরে যাও I সেখানে একটি কুটির নির্মাণ করে কুটির আগে একটি তুলসী গাছ রূপন কর I নিত্য প্রতিদিন তুলসীর পরিক্রমা করে নিত্য নিরন্তর কৃষ্ণনাম সংকীর্ত্তন কর I আমি তোমার দুইজন জন্য প্রতিদিন অন্ন পাঠাইয়া দেব I তারপরে নারদমুনি মৃগ, ব্যাধ আর শশক কে  সুস্থ করেদিলেন .পরে তারা দৌড়াইয়া পালাইয়া গেল .এইসব চমৎকার দেখে ব্যাধ নারদমুনিকে প্রণাম করে ঘরে গেল I

 

ঘরে এসে নারদমুনি যেই উপদেশ ব্যাধ কে দিয়েছিলেন ব্যাধ সে সমস্ত কর্ম্ম সম্পন্ন করে নিজের পত্নীকে নিয়ে নদীর তীরে গেল I নারদমুনি  তার কানে কৃষ্ণ নাম প্রদান করলেন। আর বললেন, "এই নাম জপ করো। এই নাম তোমার পথের সম্বল হবে।" এই কথা বলে নারদমুনি ব্যাধের কাছ থেকে বিদায় নিলেন। কর্ণে কৃষ্ণ নাম পেয়ে প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যা উচ্চস্বরে নাম করতে থাকে ব্যাধ। গ্রামবাসী সমস্তে কহিতে লাগিলেন ব্যাধ এখন বৈষ্ণব হইল তাই তারা প্রতিদিন খাবার নিয়ে আসে ব্যাধকে দিয়ে যান I ব্যাধের ঘরে কৃষ্ণ নাম শোনবার জন্য প্রতিদিন বহু ভক্তের সমাগম হোতে থাকে।

 

একদিন নারদমুনি তাঁহার পরম মিত্র পর্ব্বত মুনিকে বলিলেন,- আমার একজন শিষ্য আছে, চল দেখিআশি তাই দুই ঋষি ব্যাধের ঘরে আসলেন I দূর থেকে ব্যাধ, গুরুদেব এসেছেন দেখে লাফ দিয়ে  গলবস্ত্র অঞ্চল দিয়ে পথ পরিষ্কার করতে করতে এগিয়ে এসে গুরুদেবের আগে উপস্থিত হয়ে সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম করল I গুরুদেব জিজ্ঞাসা করলেন তুমি লাফিয়ে লাফিয়ে কেন আসলে I  উত্তরে ব্যাধ বললো, "হে গুরুদেব  জীবহত্যা মহাপাপ, বহু পাপ করেছি জীবনে। আমি আর চাই না, আমার পায়ের নিচে চাপা পড়ে একটি পিপীলিকারও প্রাণ হানি হোক।" নারদমুনি বলিলেন এইটা কোনো আশ্চর্য্যের কথা নয়, হরিভক্ত সদা অহিংসা পরায়ণ হয়ে থাকে I তারপরে ব্যাধ দুই ঋষিকে নিজের অঙ্গনে এনে বসার জন্য কুশ আসন দিলেন I জলপাত্র এনে দুই ঋষির পাদপ্রক্ষালন করে সেই জলকে পতি পত্নী দুইজন পান করে মস্তকে ধারণ করলেন .

এক ভক্ত-ব্যাধের কথা শুন সাবধানে।

যাহা হৈতে হয় সৎসঙ্গ-মহিমার জ্ঞানে।।

এক দিন নারদ দেখি শ্ৰীনারায়ণ।

ত্ৰিবেণী স্নানে প্ৰয়াগে করিলা গমন।।

বনপথে দেখে মৃগ আছে ভূমে পড়ি।

বাণবিদ্ধ ভগ্নপদ করে ধড়ফড়ি।।

আর কত দূরে এক দেখিল শূকর।

তৈছে বিদ্ধ ভগ্নপদ করে ধড়ফড় ৷।

 

ঐছে এক শশক দেখে আর কত দূরে।

জীবের দুঃখ দেখি নারদ ব্যাকুল অন্তরে।।

কত দূরে দেখে ব্যাধ বৃক্ষ ওত হঞা।

মৃগ মারিবারে আছে বাণ যুড়িয়া ।৷

শ্যামবর্ণ রক্তনেত্ৰ মহাভয়ঙ্কর।

ধনুৰ্ব্বাণ হস্তে যেন যম দণ্ডধর ॥

পথ ছাড়ি নারদ তার নিকটে চলিলা ।

নারদ দেখিয়া মৃগ সব পলাইলা ৷।

 

ক্রুদ্ধ হঞা ব্যাধ তারে গালি দিতে চায়।

নারদের প্রভাবে মুখে গালি না বাহিরায় ৷।

গােঁসাঞি ! প্রণাম, পথ ছাড়ি কেন আইলা ।

তোমা দেখি মোর লক্ষ্য মৃগ পলাইলা ৷।

নারদ কহে পথ ভুলি আইলাম পুছিতে।

মনে এক সংশয় হয় তাহা খণ্ডাইতে ।।

পথে যে শূকর মৃগ জানি তোমার হয়।

ব্যাধ কহে যেই কহ সেইত নিশ্চয় ।৷

 

নারদ কহে যদি জীবে মার তুমি বাণে ।

অৰ্দ্ধমরা কর কেন না লও পরাণে ৷।

ব্যাধ কহে শুন গোসাঞি মৃগারি মোর নাম ।

পিতার শিক্ষায় আমি করি ঐছে কাম ।৷

অৰ্দ্ধমারা জীব যদি ধড়ফড় করে।

তবে তা আনন্দ মোর বাড়য়ে অন্তরে ৷।

নারদ কহে এক বস্তু মাগি তোমা স্থানে ।

ব্যাধ কহে মৃগাদি লহ যেই তোমার মনে ॥

 

মৃগছাল চাহ যদি আইস মোর ঘরে ।

যেই চাহ তাহ দিব মৃগ ব্যাঘ্রাম্বরে ৷।

নারদ কহে ইহা আমি কিছুই না চাই ।

আর এক বস্তু আমি মাগি তোমার ঠাঞি ৷।

কালি হৈতে তুমি যেই মৃগাদি মারিবে ।

প্রথমেই মারিবে, অৰ্দ্ধমারা না করিবে ।৷

ব্যাধ কহে কিবা দান মাগিলা আমারে ।

অৰ্দ্ধ মারিলে কিবা হয়, তাহা কহ মোরে ?

 

নারদ কহে অৰ্দ্ধ মারিলে জীবে পায় ব্যথা ।

জীবে দুঃখ দিছ তোমার হইবে দুরবস্থা ৷।

ব্যাধ তুমি জীবে মার, অপরাধ তোমার।

কদর্থনা দিয়া মার এ পাপ অপার ।।

কদর্থিয়া তুমি যত মারিলে জীবেরে।

তারা তোমা তৈছে মারিবে জন্ম-জন্মান্তরে ।।

নারদের সঙ্গে ব্যাধের মন প্ৰসন্ন হৈল।

তাঁর বাক্য শুনি মনে ভয় উপজিল।।

 

ব্যাধ কহে বাল্য হৈতে এই আমার কৰ্ম্ম ।

কেমনে তরিব আমি পামর অধম ?

এই পাপ যায় মোর কেমন উপায় ?

নিস্তার করাহ মোরে পড়ে তুয়া পায়।।

নারদ কহে যদি ধর আমার বচন ।

তবে সে করিতে পারি তোমার মোচন ।।

ব্যাধ কহে যেই কহ সেই ত করিব ।

নারদ কহে ধনুক ভাঙ্গ তবে সে কহিব।।

 

ব্যাধ কহে ধনুক ভাঙ্গিলে বাঁচিব কেমনে ?

নারদ কহে আমি অন্ন দিব প্ৰতিদিনে ॥

ধনুক ভাঙ্গিয়া ব্যাধ তাঁর চরণে পড়িলা ।

তারে উঠাইয়া নারদ উপদেশ কৈলা ।৷

ঘরে গিয়া ব্ৰাহ্মণে দেহ যত আছে ধন ।

এক এক বস্ত্র পরি বাহির হও দুই জন ৷।

নদীতীরে একখানি কুড়িয়া করিয়া ।

তার আগে এক পিণ্ডি তুলসী রোপিয়া ৷।

 

তুলসী পরিক্রমা কর তুলসী সেবন।

নিরন্তর কৃষ্ণনাম করহ সংকীৰ্ত্তন ॥

আমি তোমা বহু অন্ন পাঠাইব দিনে দিনে ।

সেই অন্ন লবে যত খাও দুই জনে।।

তবে সেই মৃগাদি তিনে নারদ সুস্থ কৈল।

সুস্থ হয়ে মৃগাদি তিন ধাঞা পলাইল।।

দেখিয়া ব্যাধের মনে হৈল চমৎকার।

ঘরে গেলা ব্যাধ গুরুকে করি নমস্কার।।

 

যথাস্থানে গেল নারদ ব্যাধ ঘর এল।

নারদের উপদেশ সকল করিল।।

গ্রামে ধ্বনি হৈল ব্যাধ বৈষ্ণব হইল ।

গ্রামের লোক সব অন্ন আনিতে লাগিল ।।

একদিনে অন্ন আনে দশ বিশ জনে ।

দিলে তত লয় যত খায় দুই জনে ॥

এক দিন নারদ কহে শুনহ পৰ্ব্বতে ।

আমার এক শিষ্য আছে চলহ দেখিতে ৷।

 

তবে দুই ঋষি আইলা সেই ব্যাধ স্থানে।

দূরে হৈতে ব্যাধ পাইল গুরুর দর্শনে।।

আস্তে ব্যস্তে ব্যাধ আসে পথ নাহি পায়।

পথে পিপীলিকা আদি ইতি উতি ধায় ৷।

দণ্ডবৎ স্থানে পিপীলিকাদি দেখিয়া ।

বস্ত্রে স্থান ঝাড়ি পড়ে দণ্ডবৎ হঞা ।।

নারদ কহে ব্যাধ এই না হয় আশ্চৰ্য্য ।

হরিভক্ত্যে হিংসাশূন্য হয় সাধুবৰ্য্য ।।

 

তবে সেই ব্যাধ দুঁহা অঙ্গনে আনিল ।

কুশাসন আনি দুঁহা ভক্ত্যে বসাইল৷ ৷।

জল আনি ভক্ত্যে দুঁহার পাদ প্রক্ষালিল ।

সেই জল স্ত্রী পুরুষে পিয়া শিরে লৈল ।।

কম্প পুলকাশ্রু হয় কৃষ্ণনাম গাঞাঁ।

উৰ্দ্ধবাহু নৃত্য করে বস্ত্ৰ উড়াইয়া।।

দেখিয়া ব্যাধের প্ৰেম পৰ্বত মহামুনি।

নারদেরে কহে তুমি হও স্পর্শমণি ৷।

 

নারদ কহে বৈষ্ণব ! তোমার অন্ন কিছু আয়।

ব্যাধ কহে যারে পাঠাও সেই দিয়া যায়।।

এত অন্ন না পাঠাও কিছু কাৰ্য্য নাই।

সবে দুই জনার যোগ্য ভক্ষ্যমাত্র চাই ৷।

নারদ কহে ঐছে রহ তুমি ভাগ্যবান।

এত বলি দুই জন হৈল অন্তৰ্দ্ধান ৷।

এই ত কহিল তোমার ব্যাধের আখ্যান ।

যা শুনিলে হয় সাধুসঙ্গ প্রভাব জ্ঞান ৷।      ( চৈতন্য চরিতামৃত )

বৈষ্ণব সঙ্গের এইতো মহিমা! এই ভাবে সকল সময় বৈষ্ণব ভক্তদের সঙ্গ পেতে থাকলে, একদিন আমরাও ভবনদী পার হয়ে যাবো আর পাব  পরম শান্তির ঠিকানা। যেখানে নেই কোনো শোক-তাপ, বিরহ-বিবাদ, দুঃখের লেশমাত্র ছোঁয়া। সেই পরমেশ্বরের শ্রীচরণের আশ্রয় তলে, সবার ঠাঁই হবে ভক্ত-বৈষ্ণবদের আশীর্বাদে। 

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
!!জয় হোক সকল ভক্তদের!! !!জয় শ্রীকৃষ্ণ!! জয় রাধে!!