Wednesday, November 25, 2020

🌳🌴🦚🍁💞💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐💞🍁🦚🌴🌳

💞🍁নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য💞🍁

🌷🌺ত্রিদণ্ডি স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিদয়িত মাধব🌺🌷

💞🍁গোস্বামী মহারাজের শুভ আবির্ভাব তিথিপূজা💞🍁

🌳🌴🦚🍁💞💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐💞🍁🦚🌴🌳

আজ ১১ ফাল্গুন ২৪ শে ফেব্রুয়ারী,বিশ্বব্যাপী শ্রীচৈতন্যমঠ শ্রীগৌড়ীয়মঠ সমূহের প্রতিষ্ঠাতা, গৌড়ীয় সিংহ পুরুষ খ্যাত মহা তেজস্বী বৈষ্ণব মহাজন, গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের নবজাগরণের পথিকৃৎ, গৌড়ীয় বৈষ্ণব গগণের উজ্জ্বল নক্ষত্রমণি,  সিংহগুরু, সিদ্ধান্তসার, চিন্ময় ধামে নয়ন মঞ্জরী রূপে অধিষ্ঠিত জগৎগুরু নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদন্ডী স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীল ভক্তি সিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর প্রভুপাদের প্রিয়তম পার্ষদ, নিখিল ভারত শ্রীচৈতন্যগৌড়ীয়মঠ প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা অস্মদীয় পরম গুরুপাদপদ্ম পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডি স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিদয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজের ১১৬ তম বর্ষপূর্তি আবির্ভাব - উপলক্ষে মহোৎসব।

পূর্ববঙ্গে ফরিদপুর জেলার মাদারীপুর মহকুমার কাঞ্চনপাড়া গ্রামে ৩রা অগ্রহায়ণ,১৯০৪ খৃষ্টাব্দ ১৩১১ বঙ্গাব্দ ১৮ই নভেম্বর শুক্রবার (১৮২৫ শকাব্দ ) শ্রী উত্থানৈকাদশী তিথিবাসরে সর্বজীবের আত্যন্তিক মঙ্গলবিধান উল্লাসবর্দ্ধনের জন্য প্রাতঃ ঘটিকায় দিব্য দর্শন শিশুরূপে আবির্ভূত হন। ইঁহারা তালুকদার বা জমিদার ছিলেন।তদানীন্তন ইংরেজ সরকার তাঁহাদিগকে রাজচক্রবর্ত্তী উপাধিতে ভূষিত করিয়াছিলেন। তাঁহার পিতৃদেবের নাম শ্রীনিশিকান্ত দেবশর্ম্মা বন্দোপাধ্যায়। জননীদেবীর নাম শ্রীমতী শৈবালিনীদেবী।জননীদেবী পরম ভক্তিমতী দেব - দ্বিজ - সাধুসেবা পরায়ণা ছিলেন। চার বৎসর বয়সে তাঁহার পিতৃবিয়োগ হয়।পিতৃবিয়োগের পর জননীদেবী পুত্রকে মাতুলালয়ে আনিয়া লালনপালন করেন।বালকের পিতৃদত্ত নাম ছিল 'শ্রী হেরম্বকুমার বন্দোপাধ্যায়।' কিন্তু ''গণেশ'' এই নামে সকলে স্নেহসূচক ভাবে ডাকিতেন।শৈশবকাল হইতেই বালকের বিষয়ে বিরক্ত ভাব প্রকটিত হইয়াছিল।তিনি সব সময় নিজের দুঃখ অসুবিধা সহ্য করিয়া অপরের দুঃখ মোচনে সুখ বিধানে চেষ্টা করিতেন।বিদ্যালয়ে ছাত্রাবস্থায় অধ্যয়ন কালে বালকের নিকট অতি জ্ঞানগর্ভ কথা শুনিয়া অধ্যাপকগণ অতি বিস্মিত হইতেন।

শ্রীল মহারাজ বাল্যকাল হইতেই একজন আদর্শ মাতৃভক্ত ছিলেন।তাঁহার জননীদেবী তাঁহার নিকট বিভিন্ন শাস্ত্র - গ্রন্থ পাঠ করিয়া এবং তাঁহার দ্বারা পাঠ করাইয়া তাঁহাকে ধর্ম্ম বিষয়ে ঈশ্বর আরাধনায় উৎসাহ প্রদান করিতেন। নিয়মিত প্রত্যহ গীতাপাঠ করিতে করিতে ১১ বৎসর বয়সে বালকের সম্পূর্ণ গীতা কণ্ঠস্থ হইয়া যায়।বালকের বিদ্যালয়ের শিক্ষা কাঞ্চনপাড়া গ্রামে ভটাগ্রামে সমাপ্ত হয়।তৎপরে তিনি উচ্চ শিক্ষার জন্য কার্য্য ব্যাপদেশে কলকাতা শহরে আসেন।কলকাতায় অবস্থান কালে তাঁহার ভগবানের জন্য বিরহ ব্যাকুলতা অত্যন্ত তীব্র হয়।সেই সময় বালক দিনে একবার মাত্র হবিষ্যান্ন গ্রহণ করিতেন।তিনি সর্বক্ষণ ভগবচিন্তায় নিমগ্নবস্থায় একদিন রাত্রিতে এক অপূর্ব স্বপ্ন দেখেন,-''শ্রীল নারদঋষি আসিয়া তাঁহাকে সান্ত্বনা প্রদান করতঃ মন্ত্র প্রদান করিলেন এবং বলিলেন মন্ত্র জপের দ্বারা সর্বাভীষ্ট বস্তু লাভ হইবে'' কিন্তু স্বপ্ন ভাঙার পর সেই দিব্যমন্ত্র স্মরণ করিবার বহু চেষ্টা করিয়াও মন্ত্রের সর্বাংশ কিছুতেই স্মরণ করিতে পারিলেন না। সাংসারিক বস্তুর প্রতি তাঁহার বিরক্তি চরম সীমায় আসিয়া উপস্থিত হইল।তিনি সংসার পরিত্যাগের সংকল্প গ্রহণ করিলেন।তাঁহার ভক্তিমতী জননীদেবী তাঁহার সংকল্পে বাধা প্রদান করিলেন না। তিনি ভগবৎ দর্শনের তীব্র আকাঙ্খা লইয়া সংসার পরিত্যাগ করতঃ হিমালয়ের উদ্দেশ্যে প্রস্থান করিলেন।

শ্রীল মহারাজ হৃদয়ের তীব্র আবেগে হরিদ্বারে আসিয়া পৌঁছিলেন এবং তথা হইতে ক্রমশঃ একাকী এবং নিঃসম্বল অবস্থায় হিমালয় পাহাড়ের উপর উঠিলেন। জঙ্গলাকীর্ণ নির্জন পাহাড়ে তিনদিন এবং তিনরাত্রি অবস্থান করতঃ আহার,নিদ্রা পরিত্যাগ করিয়া একাগ্র চিত্তে অত্যন্ত ব্যাকুলভাবে ভগবানকে ডাকিতে লাগিলেন।ভগবদ্দর্শনের তীব্র আর্ত্তিতে যখন তাঁহার বাহ্যজ্ঞান লুপ্ত প্রায়,সেই সময় তিনি দৈববাণী শ্রবণ করিলেন,- ''তুমি অগ্রে শ্রীগুরু পদাশ্রয় গ্রহণ কর তোমার পূর্বস্থলী অর্থাৎ তুমি যেখান হইতে আসিয়াছ সেখানেই তোমার গুরুপাদপদ্ম,সেই মহাপুরুষের আবির্ভাব হইয়াছে।তুমি নিজ স্থানে ফিরিয়া যাও এবং সেই মহাপুরুষের চরণ আশ্রয় কর,তা হলেই তুমি তোমার অভীষ্ট বস্তু লাভ করিবে''। এই দৈব আদেশ শিরোধার্য্য করিয়া তিনি পর্বত হইতে নিম্নে অবতরণ করিলেন এবং গঙ্গার তটবৰ্ত্তী পরম পবিত্র তীর্থ হরিদ্বারে কিছুদিন থাকিবার অভিলাষী হইলেন। হরিদ্বারে একজন সাধুপুরুষের সহিত তাঁহার সাক্ষাৎকার হয়। তাঁহার নিকট দৈব আদেশের কথা জানাইয়া তদ্বিষয়ে তাঁহার উপদেশ প্রার্থনা করিলেন।তিনিও গৃহে প্রত্যাবর্ত্তন করিয়া তথায়ই সদ্গুরু লাভ হইবে বলিলেন।শ্রীল মহারাজ হরিদ্বার ছাড়িয়া কলকাতায় প্রত্যাবর্ত্তন করিলেন।

আনুমানিক ১৯২৫ খৃষ্টাব্দে শ্রীল মহারাজ বাল্যবন্ধু শ্রীনারায়ণ বন্দোপাধ্যায়কে সঙ্গে লইয়া 'শ্রীধাম মায়াপুরে পৌঁছিয়া শ্রীচৈতন্যমঠে জগদ্গুরু শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদের দিব্যদর্শন লাভ করিলেন। তিনি শ্রীল প্রভুপাদের মহাপুরুষোচিত অলৌকিক তেজোময় দিব্যদর্শন ব্যক্তিত্বে আকৃষ্ট হইয়া হিমালয়ের দৈববাণী কথা ভাবিতে থাকেন,তিনি যেন এমনই একজনকে খুঁজিতে ছিলেন।সেই সময় শ্রীল প্রভুপাদ হরিকথা প্রসঙ্গে তাঁহাকে বলিয়াছিলেন,- ''শ্রীবিগ্রহগণকেই দর্শন করিতে হইবে ঠিক, কিন্তু দর্শন করিবার পূর্বে দর্শন করিতে শিখিতে হইবে।কামনেত্রে দর্শন হয় না।ভক্তিযুক্ত প্রেমনেত্রে দেখিতে হইবে I’’ তিনি শ্রীধাম মায়াপুর দর্শন এবং শ্রীল প্রভুপাদকে দর্শন করিয়া কলকাতায় ফিরিয়া শ্রীল প্রভুপাদের মুখপদ্ম নিঃসৃত হরিকথামৃত শ্রবণের জন্য নং উল্টাডাঙ্গা রোডস্থ শ্রীগৌড়ীয়মঠে যাইতে লাগিলেন। শ্রীল প্রভুপাদের নিকট শ্রীমন্মহাপ্রভুর শিক্ষা সিদ্ধান্ত সমূহ শুনিয়া তিনি সব সিদ্ধান্ত অধিক যুক্তিপূর্ণ সর্বোত্তম বলিয়া অনুভব করিলেন। ''তিনি ১৯২৭ খৃষ্টাব্দে ৪ঠা সেপ্টেম্বর শ্রীরাধাষ্টমী তিথিতে উল্টাডাঙ্গা জংশন রোডস্থ শ্রীগৌড়ীয়মঠে শ্রীল প্রভুপাদের চরণাশ্রয় করতঃ শ্রীহরিনাম কৃষ্ণমন্ত্রে দীক্ষিত হন।দীক্ষার পর তিনি 'শ্রীপাদ হয়গ্রীব দাস ব্রহ্মচারী'নামে পরিচিত হন।''

দীক্ষা গ্রহণের পরেই তিনি শ্রীগুরুদেব - কৃষ্ণ - বৈষ্ণব সেবায় সম্পূর্ণরূপে আত্মনিয়োগের অভিপ্রায়ে মঠবাসী হইলেন।তিনি ঐকান্তিক গুরুনিষ্ঠা,বিষ্ণু - বৈষ্ণব সেবার জন্য অফুরন্ত উদ্যম,সেবা বিষয়ে বহুমুখী যোগ্যতার ফলে অত্যল্প কালের মধ্যে শ্রীগুরুদেবের অন্যতম শ্রেষ্ঠ পার্ষদরূপে পরিগণিত হইলেন।তাঁহার নিস্কপট,নিরলস মহোদ্যমযুক্ত সেবা প্ৰচেষ্টা এবং সর্বকার্য্যের সাফল্য দেখিয়া শ্রীল প্রভুপাদ বলিতেন,- ''হয়গ্রীব ব্রহ্মচারীর অদ্ভুত ভোলকানিক এনর্জি।‘’ শ্রীল প্রভুপাদের বিরাট প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের জন্য এবং পাশ্চাত্য দেশে শ্রীমন্মহাপ্রভুর বাণী প্রচারে যে বিপুল অর্থের আবশ্যক হইত,তাহা ভিক্ষার দ্বারা যাঁহারা সংগ্রহ করিতেন,তন্মধ্যে শ্রীপাদ হয়গ্রীব ব্রহ্মচারী অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগ্রহকারী ছিলেন।

শ্রীল মহারাজ পরম সুদর্শন শ্রীমূর্ত্তি,অলৌকিক ব্যক্তিত্ব,অতীব মাধুর্য্যপূর্ণ ব্যবহার অতি আধুনিক যুক্তি অকাট্য শাস্ত্র প্রমাণের দ্বারা বুঝাইবার ক্ষমতা,যে যত বড় ব্যক্তিই হউন না কেন তাহা দ্বারা বশীভূত হইয়া পড়িতেন এবং তাহাকে সন্তুষ্ট করিতে পারিলে কৃতার্থ বোধ করিতেন। শ্রীল প্রভুপাদের মনোহভীষ্ট সেবাই তাঁহার ধ্যান,জ্ঞান,জপ্ সর্বস্ব ছিল।শ্রীলগুরুদেবের সেবা কার্য্যের জন্য অনাহারে, অনিদ্রায় যে প্রকার দিবারাত্র প্রাণপণ পরিশ্রম করিতেন,তাহা আজ আধুনিক যুগের সেবক সম্প্রদায় কল্পনার মধ্যেও আনিতে পারিবেন না।শ্রীল প্রভুপাদের সর্বতোভাবে প্রপন্ন হইয়াছিলেন বলিয়া শ্রীল প্রভুপাদের সমস্ত শক্তি তিনি লাভ করিয়াছিলেন।

১৯৪২ খৃষ্টাব্দে,সতীর্থগণের বিশেষ করিয়া পূজ্যপাদ ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিবিচার যাযাবর মহারাজ এবং পূজ্যপাদ ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিকুমুদ সন্তগোস্বামী মহারাজের সহিত একত্রে বিপুলভাবে প্রচারের ফলে মেদিনীপুর শহরে শ্রীশ্যামানন্দ গৌড়ীয়মঠ স্থাপিত হয়।তিনি চল্লিশ বৎসর বয়সে ৪৫৭ শ্রীগৌরাব্দে,গৌরাবির্ভাব তিথিবাসরে ফাল্গুনী পূর্ণিমায় ১৯৪৪ খৃষ্টাব্দে,১৩৫০ বঙ্গাব্দে,শ্রীপুরুষোত্তম ধামে টোটাগোপীনাথ জীউর মন্দিরে তাঁহার সতীর্থ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিগৌরব বৈখানস মহারাজের নিকট সাত্বতঃ বিধান অনুযায়ী ত্রিদণ্ড সন্ন্যাস গ্রহণ করতঃ ''পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডি স্বামী শ্রীমদ্ভক্তিদয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজ'' নামে প্রসিদ্ধ লাভ করিলেন।

শ্রীল মহারাজ সন্ন্যাস গ্রহণের পর ভারত পূর্ব পাকিস্তানের স্বাধীনতা লাভের অব্যবহিত পূর্বে পরে পূর্ববঙ্গে প্রচার ব্যপদেশে ভ্রমণ করিয়াছিলেন।শ্রীল মহারাজ হরিকথা প্রসঙ্গে ময়মনসিংহ জেলার জামুর্কি পাকুল্লা উচ্চ ইংরাজী বিদ্যালয়ের প্রাঙ্গনে এক মহতী ধর্ম্ম সভায় এক জন মৌলবী সাহেবের প্রশ্নের উত্তর দিতে শ্রীবিগ্রহ সম্বন্ধে বলেছিলেন,- সনাতন ধর্ম্মাবলম্বী ভক্তরা শ্রীবিগ্রহের আরাধনা করেন।''ভক্তের প্রেমে বশীভূত হইয়া সর্ব্বশক্তিমান ভগবান যে বিশেষ মূর্ত্তি পরিগ্রহ করেন,তাঁহাকে শ্রীবিগ্রহ বলে।'' শ্রীবিগ্রহ চিদানন্দময় সাক্ষাৎ ভগবান।

''নাম, বিগ্রহ, স্বরূপ তিন একরূপ।

তিনে ভেদ নাহি তিন চিদানন্দ-রূপ॥‘’    (চৈ. . মধ্য ১৭/১৩১)

ভগবানের নাম, ভগবানের শ্রীবিগ্রহ, ভগবৎস্বরূপ এই তিনের মধ্যে কোনও ভেদ বা পার্থক্য নেই। কারণ, তা চিন্ময় বস্তু। অতএব,চিন্ময় বস্তু স্থুল-বুদ্ধি জড়-ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে উপলব্ধ হয় না।

"প্রাকৃতেন্দ্রিয়-গ্রাহ্য নহে, হয় স্বপ্রকাশ।"    (চৈ. . মধ্য ১৭/১৩৪)

পতিতপাবন শ্রীমদ্ভক্তিদয়িত মাধব গোস্বামী মহারাজ সারাটি জীবন ধরিয়া প্রাচ্য পাশ্চাত্য সমস্ত পৃথিবীতে শ্রীমন্মহাপ্রভুর বাণী - শ্রীকৃষ্ণ ভজন শিক্ষা,আদর্শ শুদ্ধ বৈরাগ্যের কথা প্রচারের দ্বারা জগদ্গুরু শ্রীশ্রীল প্রভুপাদ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুরের মনোহভিষ্ট পূরণ করিয়া ২৬শে, গোবিন্দ,৪৯২ গৌরাব্দ,১৪ই ফাল্গুন,১৩৮৫ সন,২৭ ফেব্রুয়ারী ১৯৭৯ খ্র্রীঃ পূর্বাহ্নে ঘটিকায় শুক্ল প্রতিপদ তিথি যোগে শ্রীশ্রীরাধাগোবিন্দের বৃন্দাবনীয় মহারাসস্থলীর নিভৃত নিকুঞ্জে পূর্বাহ্নকালীন নিত্যলীলায় প্রবিষ্ট হইলেন I উক্ত দিবস অপরাহ্ন ঘটিকায় ভক্তগণ সংকীর্ত্তন সহযোগে শ্রীগুরুদেবের শ্রীঅঙ্গ সহ কলকাতা হইতে শ্রীধাম মায়াপুর যাত্রা করেন এবং শেষ রাত্রিতে শ্রীধাম মায়াপুর ঈশোদ্যানস্থ মূল শ্রীচৈতন্যগৌড়ীয়মঠে যথাবিহিত ভাবে শাস্ত্রীয় বিধানুসারে সমাধি কার্য্য সু - সম্পন্ন হয়।



 

No comments:

Post a Comment

💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 🌷বৈষ্ণবের ব্যাস পূজা🌷 💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দ...