Tuesday, December 10, 2019


!! জয় গীতা !!

কেন গীতা পড়বেন???গীতা পড়লে কর্ম-জীবনে কী উন্নতি হয় জানেন???

শ্রীকৃষ্ণের মুখ নিঃসৃত বাণীই হচ্ছে গীতা। এক মনে গীতার বিশেষ কয়েকটি অধ্যায় পাঠ করলে মন অনেক উপরে উঠে যায় এবং আত্মা আনন্দময় সান্নিধ্য লাভ করে। এর ফলে আমরা সমস্ত অস্তিত্বের মধ্যে, শান্তি  সংযত তেজস্বিতা লাভ করি। গীতায় শ্রীকৃষ্ণ অর্জুনকে বলেছেন, অহঙ্কার দ্বারা যার চিত্ত বিমূঢ় হয়েছে সেআমি কর্তাএরূপ মনে করে। আর ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ভক্তদের বলেছিলেন, আমি আমার এই অহংজ্ঞান যায় না, যতক্ষণ না আত্মার সাক্ষাৎকার হয়।
জীবন রহস্যের এক মহান কাব্য কাহিনি ভগবদগীতা জীবন বস্তুটি যে কী, সে কথা বোঝাবার জন্যে এই গ্রন্থে রয়েছে অপূর্ব বিশ্লেষণ। আধ্যাত্মিকতার পাশাপাশি এই জীবনকে স্বচ্ছ্ সুন্দর গড়ে তোলার জন্য যে পন্থা পদ্ধতি ব্যক্ত করা হয়েছে তা যদি অনুসরণ করা যায় তাহলে জীবন হয়ে ওঠে স্বর্গের থেকেও সুন্দর।
মহাভারতের শান্তিপর্বে শ্রীকৃষ্ণ নিজেই বলেছেন, যে আমার মুখ নিঃসৃত বাক্য স্মরণ করে বা অধ্যয়ন করে তাঁর সমস্ত অহঙ্কার দূর হয়। শ্রীমদ্ভাগবতে  শ্রীকৃষ্ণের আবির্ভাবের সময়ে কৃষ্ণের বাণী স্মরণ করার কথা বলা হয়েছে। এই ক্ষণে গীতা অধ্যয়ন করলে মানুষের  বুদ্ধি বৃদ্ধি পায়, শত্রু নাশ হয় এবং মানুষের আধ্যাত্মিক আত্মিক শক্তির উন্মেষ ঘটে। মানুষের জীবনের শুদ্ধ উত্তরণই প্রধান কর্তব্য। সেই কর্তব্যকেই স্পষ্ট ব্যাখ্যা করা হয়েছে গীতা গ্রন্থে।
🌷শ্রীমদ্ভাগবত গীতা শুধুমাত্র ধর্মীয় গ্রন্থ নয়। বিভিন্ন ধর্মালম্বী মানুষেরা গীতা পাঠ করে থাকেন। জেনে নিন গীতপাঠ জীবনের কী কী উপকার করতে পারে।
🌷অনেকে মনে করেন, ধার্মিকরাই গীতা পাঠ করেন। এটা একেবারেই ঠিক নয়। স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে বিপ্লবীদের অন্যতম পাঠ্য ছিল গীতা। জেনে নিন গীতপাঠ জীবনের কী কী উপকার করতে পারে। কী বলছেন পণ্ডিতরা
. গীতায় ভক্তিযোগের কথা যেমন বলা রয়েছে, তেমনই রয়েছে জ্ঞানযোগ কর্মযোগের কথাও বলা হয় I একটি পরিপূর্ণ মানব জীবন কীভাবে গড়ে তোলা যায়, তার সন্ধান রয়েছে গীতার শ্লোকে
. গীতা অসহায়, বিভ্রান্ত মানুষকে সঠিক পথে চলার নির্দেশ দেয়। এমনটাই বলেন পণ্ডিতরা। জ্ঞানযোগের মাধ্যমে শুধু ধার্মিক জ্ঞান নয়, কর্মজীবনেও অনুপ্রেরণা মেলে। চিত্ত শুদ্ধ হয়।
. গীতাপাঠ মানুষকে কর্মের পথে অনুপ্রাণিত করে। কার কোন কাজটি করণীয় এবং কোনটা নয়, তা বারবার বলা হয়েছে গীতায়। স্বধর্ম অর্থাৎ নিজ-কাজ নিয়ে লিপ্ত থাকাই যে শ্রেয় তা বলার পাশাপাশি পরধর্ম গ্রহণ যে ভয়াবহ সেকথা বলে গীতা। যা কর্মজীবনে অত্যন্ত কার্যকর।
. বলা হয় মানব জীবনের সব প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হয়েছে গীতায়। তাই জীবনের চলার পথে যে কোনও সঙ্কটে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার শিক্ষা পাওয়া যায় গীতা অধ্যয়নে।
. গীতা আসলে মহাভারতের অর্জুনের হতাশা দূর করার জন্য শ্রীকৃষ্ণের বাণী। কথোপকথনের আকারে যার মধ্য দিয়ে উঠে আসে প্রশ্ন উত্তর। সেই উত্তরের মধ্যে রয়েছে হতাশা দুঃখ সরিয়ে রেখে এগিয়ে চলার পাথেয়। রোজ গীতাপাঠে তাই জীবনীশক্তি অর্জন করা যায়।
!! জয় গীতা !!

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...