Friday, December 20, 2019

সফলা একাদশী
🌼 একাদশী 🌼 একাদশী 🌼একাদশী 🌼

হরে কৃষ্ণ, আগামী ২২/১২/১৯ ইং রোজ -রবিবার সফলা একাদশী I
(পারণ - পরদিন পূর্ব্বাহ্ন ০৯.৫১ মিঃ মধ্যে একাদশীর পারণ)

আপনি নিজে একাদশী ব্রত পালন করুন অন্যকে পালনে উৎসাহিত করুন।

একাদশী ব্রত পালনের নিয়ম :-
সামর্থ্য অনুযায়ী দশমী তে একাহার,একাদশী তে নিরাহার, দ্বাদশীতে একাহার।
এতে অসমর্থ হলে শুধু একাদশীতে অনাহার।

যদি এতেও অসমর্থ হয়, একাদশী তে পঞ্চশস্য বর্জনীয়, ফলমূল কিছু সবজি গ্রহনের বিধান আছে। যেমন-গোল আলু, মিষ্টি আলু, কুমড়ো,চাল কুমড়ো, বাদাম তেল/সূর্য্যমুখী তেল/ঘি দিয়ে রান্না করে ভগবানকে উৎসর্গ  করে আহার করা যেতে পারে। এছাড়া দুধ, কলা,আপেল, আনারস, পেঁপে, পেয়ারা, শসা,
নারিকেল, মিষ্টি আলু ইত্যাদি ফল আহার করা যাবে।
একাদশীর পারণের সময় পঞ্জিকা তে দেওয়া থাকে, এর মাঝে ভগবান কে অন্ন নিবেদন করে উপবাস ভঙ্গ করতে হবে। নতুবা একাদশীর ফল লাভ হয়না।

বর্জনীয় পঞ্চ শস্য:-
ধান জাতীয় খাদ্য- ভাত,খিচুড়ি,মুড়ি, চিঁড়া,খই, সুজি, চালের গুঁড়ো, চালের পিঠে,
পায়েস। গম জাতীয় খাদ্য- আটা, ময়দা,সুজি,রুটি,বিস্কুট, কেক,নুডলস।
যব বা ভুট্টা জাতীয় খাদ্য- ছাতু, খই, রুটি। ডাল জাতীয় খাদ্য- মুগ, মশুর, মটর,
মাসকলাই,ছোলা, অড়হর, বরবটি, শিম, বুট।
সরিষা, তিলের তেল।( সয়াবিন এর কথা বিতর্কিত) I চা, বিড়ি, সিগারেট,পান, যেকোনো নেশা জাতীয় দ্রব্য বর্জনীয়।
একাদশী তে সহবাস সম্পূর্ণ বর্জন। আমিষ ( পিঁয়াজ, রসুন, ডিম, মাছ, মাংস )ভক্ষন নিষেধ।


একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য :-
এই ব্রত করলে যে শুধু নিজের পুণ্য লাভ হয় তা নয়, একাদশী পালন কর্ত্তার ( যদি মৃত) পিতা মাতারও স্বর্গ প্রাপ্তি হয়।
একাদশীতে নিজে অন্ন ভোজন করলে এবং অপরকে অন্ন ভোজন করালেও নরকগামি হতে হয়।
একাদশীর দিন শুধু উপবাস নয়, সারাদিন সংযম, সৎ চিন্তা, কৃষ্ণ নাম জপ, পূজা ও গীতা পাঠ অবশ্য কর্তব্য।
 
বিঃদ্রঃ নিম্নোক্ত বিষয়গুলোর প্রতিও দৃষ্টি রাখা বাঞ্চনীয়:-
একাদশী ব্রতের আগের দিন রাত ১২টার আগেই অন্ন ভোজন সম্পন্ন করে নিলে
সর্বোত্তম। ঘুমানোর আগেই দাঁত ব্রাশ করে দাঁত মুখগহ্বরে লেগে থাকা সব অন্ন পরিষ্কার করে নেওয়া সর্বোত্তম সকালে উঠে শুধু মুখ কুলি এবং স্নান করতে হয়।
একাদশীতে সবজি কাটার সময় সতর্ক থাকতে হবে যেন কোথাও কেটে না
যায়। একাদশীতে রক্তক্ষরণ বর্জনীয়। দাঁত ব্রাশ করার সময় অনেকের রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। তাই একাদশীর আগের দিন রাতেই দাঁত ভালভাবে ব্রাশ করে নেওয়াই সর্বোত্তম।
একাদশীতে চলমান একাদশীর মাহাত্ম্য ভগবদ্ভক্তের শ্রীমুখ হতে শ্রবণ অথবা সম্ভব না হলে নিজেই ভক্তিসহকারে পাঠ করতে হয়।
 
যারা একাদশীতে একাদশী প্রসাদ রান্না করেন তাদের পাঁচ ফোড়ন ব্যবহারে
সতর্ক থাকা উচিত। কারণ পাঁচফোড়নে সরিষা তিল থাকতে পারে যা বর্জনীয়।
একাদশীতে শরীরে প্রসাধনী ব্যবহার নিষিদ্ধ। তেল (শরীরে মাথায়), সুগন্ধী,
সাবান, শেম্পু ইত্যাদি বর্জনীয়।
সকল প্রকার ক্ষৌরকর্ম (শেভ করা এবং চুল নখ কাটা) নিষিদ্ধ,

‘’একাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।

এই মন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের মাঝে পারণ করতে হয়।
গীতা মাহাত্ম্যে উল্লেখ আছে-

যোহধীতে বিষ্ণুপর্বাহে গীতাং শ্রীহরিবাসরে।
স্বপন জাগ্রৎ চলন তিষ্ঠন শত্রুভির্ন হীয়তে।।

অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণুর উৎসবের দিনে, একাদশী জন্মাষ্টমীতে যিনি গীতা পাঠ করেন , তিনি চলুন বা দাড়িয়ে থাকুন, ঘুমিয়ে বা জেগে থাকুন,(যে অবস্থায়ই থাকুন না কেন) শত্রু কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা।  

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...