Monday, May 18, 2020


ভক্তবৎসল ভগবান
💐🍁💐💞🌿💞🌿💐🍁💐🌿💞🌿💞💐🍁💐
শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I
‘’হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।
তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।
অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’

আজানুলম্বিত - ভুজৌ কনকাবদাতৌ,
সংকীর্ত্তনৈকপিতরৌ কমলায়তাক্ষৌ।
বিশ্বম্ভরৌ দ্বিজবরৌ যুগধর্ম্মপালৌ,
বন্দে জগৎপ্রিয়করৌ করুণাবতারৌ।

একবার অর্জুনের মনে অহংকার হলো যে, তিনিই ভগবানের সবচেয়ে বড় ভক্ত। তাঁর মনের এমন ভাব শ্রীকৃষ্ণ বুঝতে পারলেন, তাই তিনি অর্জুনকে সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে/বেড়াতে বেরোলেন।

যাত্রাকালে পথিমধ্যে এক গরীব ব্রাহ্মণের সাথে তাঁদের সাক্ষাৎ হলো। সেই ব্রাহ্মণের আচরণ এতোই অদ্ভুত ছিলো যে, তিনি শুকনো ঘাস খাচ্ছিলেন, অথচ  কোমরে একটি তলোয়ারও তিনি বেঁধে রেখেছিলেন। অর্জুন তাকে জিজ্ঞাসা করলেন, "আপনি তো অহিংসার পূজারি, জীব হিংসার ভয়েই তো শুকনো ঘাস খেয়ে জীবন ধারণ করছেন; তাহলে হিংসার উপকরণ রূপে আবার আপনার কাছে তলোয়ার কেনো?"

ব্রাহ্মণ উত্তর দিলেন,- "কারণ আমি কিছু মানুষকে দণ্ডদান করতে চাই।"

অর্জুন বললেন,- "আপনার আবার শত্রু কে আছেন?"

ব্রাহ্মণ বললেন,- "আমি এমন চার জনকে খুঁজছি, যাদের সাথে আমার অনেক হিসাব বাকি আছে। সর্ব প্রথমে আমি নারদ মুনিকে ধরবো। সে আমার প্রভুকে একটু বিশ্রামও করতে দেয় না, সর্বদা ভজন - কীর্ত্তন করে ওনাকে জাগিয়ে রেখে দেয়।

এরপর ধরবো দ্রৌপদিকে। তাঁর উপর আমি অনেক ক্রুদ্ধ হয়ে আছি, কারণ সে আমার প্রভুকে এমন সময় ডেকেছিলেন, যখন ভগবান ভোজন করছিলেন দুর্বাসা মুনির অভিশাপ থেকে পাণ্ডবদের বাঁচাতে। তাই প্রভু খাবার ছেড়ে উঠে এসেছিলেন। আবার তার ধৃষ্টটা দেখো, সে আবার আমার প্রভুকে এঁটো খাবার পর্যন্ত খাইয়েছে।"

অর্জুন বললেন, "আর তৃতীয় শত্রু কে?"

ব্রাহ্মণ বললেন,- "সে হলো হৃদয়হীন প্রহ্লাদ। সেই নির্দয়ী তো আমার প্রভুকে নিজের সাথে গরম তেলের কড়াইয়ে প্রবেশ করিয়েছে। হাতির পায়ের তলায় ফেলিয়েছে। আর শেষে তো স্তম্ভ থেকেই প্রকট হইতে বিবশ করে দিয়েছে।"

ব্রাহ্মণ আরো বললেন, "আর চতুর্থ শত্রু হলো পাণ্ডু পুত্র অর্জুন। তাঁর ধৃষ্টতা দেখো, সে তো আমার ভগবানকে রথের সারথীই বানিয়ে ফেলেছে। ভগবানের অসুবিধা নিয়ে কি একটুও ভেবেছে সে? কতো কষ্ট দিয়েছে আমার প্রভুকে!"

বলতে বলতে ব্রাহ্মণের চোখে জল চলে এলো। ব্রাহ্মণের প্রতিটি বাক্য শুনে এবং তাঁর ভক্তির উচ্চতা দেখে আজ অর্জুনের অহংকার চূর্ণ - বিচূর্ণ হয়ে গেলো। তিনি শ্রীকৃষ্ণের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বললেন,-

"বুঝে গিয়েছি প্রভু! না জানি এই সংসারের কোনায় কোনায় কতো ধরণের ভক্ত আছে আপনার। আর আমরা মিছেই নিজেকে ভক্ত ভাবার গর্বে ফুলে-ফেঁপে উঠি।"

‘’কলের্দোষনিধেরাজন্ অস্তি হ্যেকো মহানগুণঃ I
কীর্ত্তনাদেব কৃষ্ণস্য মুক্তসঙ্গঃ পরং ব্রজেৎ I I‘’ (শ্রীমদ্ভাগবত)
কলি সমস্ত দোষের বটে, তথাপি হে রাজন ! কলির একটি মহানগুণ এই যে, কৃষ্ণকীর্ত্তনে জীব মায়াবদ্ধ হইতে মুক্ত হয়ে শ্রীকৃষ্ণরূপ পরতত্ত্ব লাভ করেন।
‘’নাম - সংকীর্ত্তন যস্য সর্বপাপ প্রণাশনম্।
প্রণামো দুঃখশমনস্তং নমামি শ্রীহরিং পরম্।।‘’
যে হরিনাম সংকীর্ত্তন করিলে ইহকাল ও পরকালের পাপরাশি নিঃশেষে দগ্ধ হয়,আমি সেই নামরূপী পরমাত্মা স্বরূপ শ্রীহরিকে প্রণাম করি।

"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে!!"
💐💐 জয় শ্রীরাধাকৃষ্ণের জয় 💐💐 জয় সকল ভক্তবৃন্দের জয় 💐💐

No comments:

Post a Comment

💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 🌷বৈষ্ণবের ব্যাস পূজা🌷 💐🏵️💞🌺🌷🌺💞🏵️💐 শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ সকল সাধু, গুরু, বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দ...