শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা
শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে
আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I সকল ভক্তদেরকে জানাই ত্রি-স্মৃতি বিজড়িত
শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমার কৃষ্ণপ্রীতি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
''হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।
তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।
অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’
শুভ বুদ্ধ পূর্ণিমা’র আলোয় অন্তরায় মুক্ত হোক
বসুন্ধরা I গৌতম
বুদ্ধের শুভ জন্ম, বোধি জ্ঞান ও মহাপরিনির্বাণ লাভ এই তিন ঘটনার স্মৃতি বিজড়িত বৈশাখী পূর্ণিমা বিশ্বের সমস্ত দেশে ,বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের কাছে " বুদ্ধ পূর্ণিমা " নামে পরিচিত ।
" বুদ্ধ পূর্ণিমা " বৌদ্ধধর্ম্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান । বৈশাখ মাসের এই পূর্ণিমায় মহামানব বুদ্ধের জীবনের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা সংঘটিত হয়েছিল বলে দিনটি "বুদ্ধ পূর্ণিমা " নামে খ্যাত । খ্রিস্টপূর্ব ৬২৩অব্দে গৌতম বুদ্ধ জন্ম গ্রহণ করেন । ৫৮৮খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেন । আবার ৫৪৩খ্রিস্টপূর্বাব্দের এই দিনে তিনি মহাপরিনির্বাণ লাভ করেন । সিদ্ধার্থের
বুদ্ধত্ব লাভের মধ্য দিয়েই জগতে বৌদ্ধ ধর্ম প্রবর্তিত হয় । থাইল্যান্ড ,চীন, জাপান, ভিয়েতনাম প্রভৃতি বৌদ্ধ প্রধান দেশে এই পূর্ণিমা পবিত্র "বেশাখ " নামে পরিচিত ।।। জাতিসংঘ সহ অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও এই দিনটি যথার্থ ধর্মীয় মর্যাদায় ও বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে পালন করা হয় ।
বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন বৌদ্ধধর্ম্মাবলম্বীরা বুদ্ধ পূজা সহ পঞ্চশীল, অষ্টশীল, সূত্রপাঠ, সূত্র শ্রবণ, সমবেত প্রার্থনা এবং নানাবিধ মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। তাঁরা বুদ্ধানুস্মৃতি, সংঘানুস্মৃতি ভাবনা করেন । বৌদ্ধ বিহার গুলিতে বুদ্ধের মহাজীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা সহ ধর্মীয় সভার আয়োজন করা হয় । আজ থেকে প্রায় ২ হাজার ৬৪২ বছর আগে নেপালের , কপিলাবস্তুর লুম্বিনী উদ্যানে ,বৈশাখী পূর্ণিমার পুণ্যস্নাত এই দিনে রাজা শুদ্ধোধনের ঘরে এই দেবশিশুর জন্ম হয় । রাজা শুদ্ধোধন পুত্রের নাম রাখেন সিদ্ধার্থ গৌতম । যৌবনের প্রারম্ভে নগর পরিভ্রমণে জরা- ব্যাধি- মৃত্যুর বাস্তব চিত্র দেখে রাজনন্দন শিহরিত হয়ে ওঠেন ।এই জাগতিক দুঃখ কষ্টের চিরন্তন সত্যের অনিবার্য রূপ তাঁর মনকে ভীষণ ভাবে নাড়া দিল । একদিন গভীর রাতে নিজ রাজ্য, মা-বাবা, স্ত্রী-পুত্র ছেড়ে রাজপ্রাসাদ থেকে বেরিয়ে পড়লেন , জন্ম, জরা, ব্যাধি- মৃত্যুর রহস্যের সন্ধানে । দীর্ঘ পথ পরিক্রমা করে, বহু সাধক ও সাধু- সন্ন্যাসীর সান্নিধ্যে এসেও তিনি তাঁর বাঞ্ছিত প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পেলেন না । অবশেষে ভারতের বিহার রাজ্যের গয়ায়, নৈরঞ্জনা নদীর তীরে অশ্বত্থ বৃক্ষের নীচে বিশ্বজগতের জন্ম- জরা- ব্যাধি- মৃত্যুর হাত থেকে মানুষের মুক্তির পথ অন্বেষণে দীর্ঘ ছয় বছর কঠোর তপস্যা করে বুদ্ধত্ব লাভ করেন । হলেন মহাজ্ঞানী সম্যক্ সম্বুদ্ধ । সেই দিনও ছিল বৈশাখী পূর্ণিমার পূণ্য তিথি ।
কঠোর ধ্যান সাধনায় লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে তিনি জগতের অনিত্যতা সম্পর্কে সম্যক রূপে জ্ঞাত হলেন। তিনি পরে ভিক্ষু সংঘের মধ্যে বলেছেন, মানুষের সব
দুঃখের মূলে অবিদ্যা, তৃষ্ণা ও মায়ার বন্ধন । তৃষ্ণা র ফলেই মানুষ জন্ম জন্মান্তরের আর্বতে ঘুরে বেড়ায় ।বার বার জন্ম গ্রহণ করে।সেটা আরও দুঃখ জনক । জরা-ব্যাধি-মৃত্যু, প্রিয়জন বিয়োগ, ও অপ্রিয় সংযোগ প্রভৃতি দুঃখে পরিপূর্ণ এই জগত সংসার । সেই জন্য বুদ্ধ তৃষ্ণা থেকে মুক্তি পাবার জন্য নির্বাণ শান্তি লাভের কথা বলেছেন । দুঃখের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি অষ্টাঙ্গিক মার্গ ও চতুরার্য্য সত্যের কথা বলেছেন।
দুঃখের মূলে অবিদ্যা, তৃষ্ণা ও মায়ার বন্ধন । তৃষ্ণা র ফলেই মানুষ জন্ম জন্মান্তরের আর্বতে ঘুরে বেড়ায় ।বার বার জন্ম গ্রহণ করে।সেটা আরও দুঃখ জনক । জরা-ব্যাধি-মৃত্যু, প্রিয়জন বিয়োগ, ও অপ্রিয় সংযোগ প্রভৃতি দুঃখে পরিপূর্ণ এই জগত সংসার । সেই জন্য বুদ্ধ তৃষ্ণা থেকে মুক্তি পাবার জন্য নির্বাণ শান্তি লাভের কথা বলেছেন । দুঃখের হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য তিনি অষ্টাঙ্গিক মার্গ ও চতুরার্য্য সত্যের কথা বলেছেন।
বৌদ্ধ দর্শন ও চেতনার মূল কথা হলো ত্যাগ আর সংযম । দেহে, মনে, কথায় ও কাজে যখন এই ত্যাগ ও সংযমের সমন্বয় ঘটে তখনই নির্ব্বাণের
পথ সুগম হয় । সংযমের এই অপূর্ব মহিমা বুদ্ধ এবং বৌদ্ধ ভিক্ষুদের জীবন ধারা দেখলেই বোঝা যায় । বৌদ্ধ ধর্মে বলা হয়," কর্মই ধর্ম" ।বুদ্ধ মানুষের কর্মের মধ্যে ই মানবতার শ্রেষ্ঠ মহিমা উপলব্ধি করতেন । বুদ্ধের জীবনে মৈত্রী, করুণা, মমতার অভিনব উপলব্ধি লক্ষ্য করা যায় ।তিনিই অহিংসার বাণী প্রচার করেছিলেন । তিনিই বলেছিলেন, " মৈত্রী দ্বারা শত্রু কে জয় করবে, সাধুতার দ্বারা অসাধু কে জয় করবে, ক্ষমার দ্বারা ক্রোধকে জয় করবে ও সত্যের দ্বারা মিথ্যা কে জয় করবে ।"------
ভগবান বুদ্ধের মৈত্রী, অহিংসা, প্রেমের বাণী ই মানুষে মানুষে বিভেদ ঘোচাবে । বিশ্ব শান্তি ও মৈত্রীর দ্বার উন্মোচিত হবে । বিশ্ব মানবতার জয় হবে ।
ভগবান বুদ্ধের মৈত্রী, অহিংসা, প্রেমের বাণী ই মানুষে মানুষে বিভেদ ঘোচাবে । বিশ্ব শান্তি ও মৈত্রীর দ্বার উন্মোচিত হবে । বিশ্ব মানবতার জয় হবে ।
গৌতম বুদ্ধের৩১টি বাণী তুলে ধরা হলো। এগুলোই হয়তো পাল্টে দেবে আপনার জীবনকে, এর মধ্যে হয়তো পেয়ে যাবেন সুখের ঠিকানা :
১। অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবো।
২। সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও।
৩। আনন্দ হলো বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলো খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।
৪। তুমিই কেবল তোমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।
৫। জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।
৬। অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে।
৭। তোমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততই উপভোগ করতে পারবে জীবনকে।
৮। আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরইমধ্যে পেয়েছ। সুতরাং, এবার থামো।
৯। সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনো উৎস থেকে আসে না।
১০। অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারাটাও তোমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
১১। জীবনের খুব কম মানুষের জীবনে পরিপক্কতা আসে। সঙ্গী হিসেবে এই পরিপক্কতাকে তোমার অর্জন করতে হবে। তবে তা ভুল মানুষকে অনুসরণ করে নয়। এই পরিপক্কতা অর্জনে বরং একলা চলো নীতি অনুসরণ করো।
১২। করুণাই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি।
১৩। সুখ কখনও আবিষ্কার করা যায় না। এটি সবসময় তোমার কাছে আছে এবং থাকবে। তোমাকে কেবল দেখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
১৪। রেগে যাওয়া মানে নিজেকেই শাস্তি দেওয়া।
১৫। সত্যিকারভাবে ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে হলে নির্ভয়ে বাঁচো।
১৬। জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখো।
১৭। অনেক মোমবাতি জ্বালাতে আমরা কেবল একটি মোমবাতিই ব্যবহার করি। এর জন্য ওই মোমবাতিটির আলো মোটেও কমে না। সুখের বিষয়টিও এমনই।
১৮। যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুছে যায়।
১৯। অন্যকে কখনও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করো না, নিয়ন্ত্রণ করো কেবল নিজেকে।
২০। আলোকিত হতে চাইলে প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো।
২১। জ্ঞানগর্ভ জীবনের জন্য মুহূর্তের ইতিবাচক ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই জন্য ভয়কে তুচ্ছ করতে হবে, এমনকি মৃত্যুকেও।
২২। এই তিনটি সর্বদা দেখা দেবেই: চাঁদ, সূর্য এবং সত্য।
২৩। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব।
২৪। নিজের কথার মূল্য দিতে হবে নিজেকেই। কেননা, তোমার নিজের কথার ওপর নির্ভর করবে অন্যের ভালো কাজ কিংবা মন্দ কাজ।
২৫। ঘৃণায় কখনও ঘৃণা দূর হয় না। অন্ধকারে আলো আনতে তোমাকে কোনো কিছুতে আগুন জ্বালাতেই হবে।
২৬। শুভর সূচনা করতে প্রত্যেক নতুন সকালই তোমার জন্য এক একটি সুযোগ।
২৭। আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন আরেকজনের পরিপূরক। অর্থাৎ সমাজে আমরা কেউ একা নই।
২৮। খারাপটি সর্বদা তুমি নিজেই পছন্দ করছো। সুতরাং, তোমার খারাপ কাজের জন্য তুমি নিজেই দায়ী। এর দায়ভার অন্য কারো নয়।
২৯। তোমার চিন্তাই তোমার শক্তির উৎস। নেতিবাচক চিন্তা তোমাকে অনেক বেশি আঘাত করে যা তোমার ধারণায় নেই।
৩০। নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।
৩১। তুমি মুখে কী বলছো সেটি কোনো বিষয় নয়, বিষয় হলো তোমার কাজ।
১। অতীতকে প্রাধান্য দিও না, ভবিষ্যত নিয়ে দিবাস্বপ্নও দেখবে না। তার চেয়ে বরং বর্তমান মুহূর্ত নিয়ে ভাবো।
২। সবকিছুর জন্য মনই আসল। সবার আগে মনকে উপযুক্ত করো, চিন্তাশীল হও। আগে ভাবো তুমি কী হতে চাও।
৩। আনন্দ হলো বিশুদ্ধ মনের সহচর। বিশুদ্ধ চিন্তাগুলো খুঁজে খুঁজে আলাদা করতে হবে। তাহলে সুখের দিশা তুমি পাবেই।
৪। তুমিই কেবল তোমার রক্ষাকর্তা, অন্য কেউ নয়।
৫। জীবনের প্রথমেই ভুল হওয়া মানেই এই নয় এটিই সবচেয়ে বড় ভুল। এর থেকে শিক্ষা নিয়েই এগিয়ে যাও।
৬। অনিয়ন্ত্রিত মন মানুষকে বিভ্রান্তিতে ফেলে। মনকে প্রশিক্ষিত করতে পারলে চিন্তাগুলোও তোমার দাসত্ব মেনে নেবে।
৭। তোমাদের সবাইকে সদয়, জ্ঞানী ও সঠিক মনের অধিকারী হতে হবে। যতই বিশুদ্ধ জীবনযাপন করবে, ততই উপভোগ করতে পারবে জীবনকে।
৮। আমরা অনেকেই একটা কিছুর সন্ধানে পুরো জীবন কাটিয়ে দেই। কিন্তু তুমি যা চাও তা হয়তো এরইমধ্যে পেয়েছ। সুতরাং, এবার থামো।
৯। সুখের জন্ম হয় মনের গভীরে। এটি কখনও বাইরের কোনো উৎস থেকে আসে না।
১০। অন্যের জন্য ভালো কিছু করতে পারাটাও তোমার জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
১১। জীবনের খুব কম মানুষের জীবনে পরিপক্কতা আসে। সঙ্গী হিসেবে এই পরিপক্কতাকে তোমার অর্জন করতে হবে। তবে তা ভুল মানুষকে অনুসরণ করে নয়। এই পরিপক্কতা অর্জনে বরং একলা চলো নীতি অনুসরণ করো।
১২। করুণাই বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ শক্তি।
১৩। সুখ কখনও আবিষ্কার করা যায় না। এটি সবসময় তোমার কাছে আছে এবং থাকবে। তোমাকে কেবল দেখার যোগ্যতা অর্জন করতে হবে।
১৪। রেগে যাওয়া মানে নিজেকেই শাস্তি দেওয়া।
১৫। সত্যিকারভাবে ক্ষমতা নিয়ে বাঁচতে হলে নির্ভয়ে বাঁচো।
১৬। জীবনে ব্যাথা থাকবেই, কিন্তু কষ্টকেই ভালোবাসতে শেখো।
১৭। অনেক মোমবাতি জ্বালাতে আমরা কেবল একটি মোমবাতিই ব্যবহার করি। এর জন্য ওই মোমবাতিটির আলো মোটেও কমে না। সুখের বিষয়টিও এমনই।
১৮। যখন আমরা মনের রূপান্তর ঘটাই, আর চিন্তাগুলো বিশুদ্ধ করি, তখন আমরা অন্যায় কাজ থেকে জীবনকে পরিশুদ্ধ করি। এর মাধ্যমে খারাপ কাজের চিহ্নও মুছে যায়।
১৯। অন্যকে কখনও নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করো না, নিয়ন্ত্রণ করো কেবল নিজেকে।
২০। আলোকিত হতে চাইলে প্রথমে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করো।
২১। জ্ঞানগর্ভ জীবনের জন্য মুহূর্তের ইতিবাচক ইচ্ছাকে প্রাধান্য দিতে হবে। এই জন্য ভয়কে তুচ্ছ করতে হবে, এমনকি মৃত্যুকেও।
২২। এই তিনটি সর্বদা দেখা দেবেই: চাঁদ, সূর্য এবং সত্য।
২৩। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র মুহূর্তের সমন্বয়ই জীবন। কেবল একটি সঠিক মুহূর্ত পাল্টে দেয় একটি দিন। একটি সঠিক দিন পাল্টে দেয় একটি জীবন। আর একটি জীবন পাল্টে দেয় গোটা বিশ্ব।
২৪। নিজের কথার মূল্য দিতে হবে নিজেকেই। কেননা, তোমার নিজের কথার ওপর নির্ভর করবে অন্যের ভালো কাজ কিংবা মন্দ কাজ।
২৫। ঘৃণায় কখনও ঘৃণা দূর হয় না। অন্ধকারে আলো আনতে তোমাকে কোনো কিছুতে আগুন জ্বালাতেই হবে।
২৬। শুভর সূচনা করতে প্রত্যেক নতুন সকালই তোমার জন্য এক একটি সুযোগ।
২৭। আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের সঙ্গে সম্পর্কিত। একজন আরেকজনের পরিপূরক। অর্থাৎ সমাজে আমরা কেউ একা নই।
২৮। খারাপটি সর্বদা তুমি নিজেই পছন্দ করছো। সুতরাং, তোমার খারাপ কাজের জন্য তুমি নিজেই দায়ী। এর দায়ভার অন্য কারো নয়।
২৯। তোমার চিন্তাই তোমার শক্তির উৎস। নেতিবাচক চিন্তা তোমাকে অনেক বেশি আঘাত করে যা তোমার ধারণায় নেই।
৩০। নির্বোধ বন্ধু আদৌ কোনো বন্ধু নয়। নির্বোধ বন্ধু থাকার চেয়ে একা হওয়া অনেক ভালো।
৩১। তুমি মুখে কী বলছো সেটি কোনো বিষয় নয়, বিষয় হলো তোমার কাজ।
No comments:
Post a Comment