Thursday, August 20, 2020


 

💐শ্রীকৃষ্ণাষ্টোত্তরশতনাম স্তোত্রম্💐

🍁🦚💞💐🏵🌺🌹🌺🏵💐💞🦚🍁

🍇খুব গুরুত্বপূর্ণ পোষ্ট🍇

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I

''হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’ 

গুরবে গৌরচন্দ্রায় রাধিকায়ৈ তদালয়ে।

কৃষ্ণায় কৃষ্ণভক্তায় তদ্ভক্তায় নমো নমঃ।। 

💐শ্রীকৃষ্ণাষ্টোত্তরশতনামস্তোত্রম্💐

শ্রীগণেশায় নমঃ

ওঁ অস্য শ্রীকৃষ্ণাষ্টোত্তরশতনামস্তোত্রস্য শ্রীশেষ ঋষিঃ,

অনুষ্টুপ্-ছন্দঃ, শ্রীকৃষ্ণো দেবতা, শ্রীকৃষ্ণপ্রীত্যর্থে

শ্রীকৃষ্ণাষ্টোত্তরশতনামজপে বিনিয়োগঃ

শ্রীশেষ উবাচ

ওঁ শ্রীকৃষ্ণঃ কমলানাথো বাসুদেবঃ সনাতনঃ

বসুদেবাত্মজঃ পুণ্যো লীলামানুষবিগ্রহঃ ১॥

শ্রীবৎসকৌস্তুভধরো যশোদাবৎসলো হরিঃ

চতুর্ভুজাত্তচক্রাসিগদাশঙ্খাম্বুজায়ুধঃ ২॥

দেবকীনন্দনঃ শ্রীশো নন্দগোপপ্রিয়াত্মজঃ

যমুনাবেগসংহারী বলভদ্রপ্রিয়ানুজঃ ৩॥

পূতনাজীবিতহরঃ শকটাসুরভঞ্জনঃ

নন্দব্রজজনানন্দী সচ্চিদানন্দবিগ্রহঃ ৪॥

নবনীতনবাহারী মুচুকুন্দপ্রসাদকঃ

ষোডশস্ত্রীসহস্রেশস্ত্রিভঙ্গো মধুরাকৃতিঃ ৫॥

শুকবাগমৃতাব্ধীন্দুর্গোবিন্দো গোবিদাম্পতিঃ

বৎসপালনসঞ্চারী ধেনুকাসুরভঞ্জনঃ ৬॥

তৃণীকৃততৃণাবর্তো যমলার্জুনভঞ্জনঃ

উত্তালতালভেত্তা তমালশ্যামলাকৃতিঃ ৭॥

গোপগোপীশ্বরো যোগী সূর্যকোটিসমপ্রভঃ

ইলাপতিঃ পরংজ্যোতির্যাদবেন্দ্রো যদূদ্বহঃ ৮॥

বনমালী পীতবাসাঃ পারিজাতাপহারকঃ

গোবর্ধনাচলোদ্ধর্তা গোপালঃ সর্বপালকঃ ৯॥

অজো নিরঞ্জনঃ কামজনকঃ কঞ্জলোচনঃ

মধুহা মথুরানাথো দ্বারকানায়কো বলী ১০॥

বৃন্দাবনান্তসঞ্চারী তুলসীদামভূষণঃ

স্যমন্তকমণের্হর্তা নরনারায়ণাত্মকঃ ১১॥

কুব্জাকৃষ্ণাম্বরধরো মায়ী পরমপূরুষঃ

মুষ্টিকাসুরচাণূরমহায়ুদ্ধবিশারদঃ ১২॥

সংসারবৈরী কংসারির্মুরারির্নরকান্তকঃ

অনাদির্ব্রহ্মচারী কৃষ্ণাব্যসনকর্ষকঃ ১৩॥

শিশুপালশিরচ্ছেত্তা দুর্যোধনকুলান্তকৃৎ

বিদুরাক্রূরবরদো বিশ্বরূপপ্রদর্শকঃ ১৪॥

সত্যবাক্ সত্যসঙ্কল্পঃ সত্যভামারতো জয়ী

সুভদ্রাপূর্বজো বিষ্ণুর্ভীষ্মমুক্তিপ্রদায়কঃ ১৫॥

জগদ্গুরুর্জগন্নাথো বেণুবাদ্যবিশারদঃ

বৃষভাসুরবিধ্বংসী বকারির্বাণবাহুকৃৎ ১৬॥  

যুধিষ্ঠিরপ্রতিষ্ঠাতা বর্হিবর্হাবতংসকঃ

পার্থসারথিরব্যক্তো গীতামৃতমহোদধিঃ ১৭॥

কালীয়ফণিমাণিক্যরঞ্জিতশ্রীপদাম্বুজঃ

দামোদরো যজ্ঞভোক্তা দানবেন্দ্রবিনাশনঃ ১৮॥

নারায়ণঃ পরম্ব্রহ্ম পন্নগাশনবাহনঃ

জলক্রীডাসমাসক্তগোপীবস্ত্রাপহারকঃ ১৯॥

পুণ্যশ্লোকস্তীর্থকরো বেদবেদ্যো দয়ানিধিঃ

সর্বতীর্থাত্মকঃ সর্বগ্রহরূপী পরাৎপরঃ ২০॥

ইত্যেবং কৃষ্ণদেবস্য নাম্নামষ্টোত্তরং শতম্

কৃষ্ণেন কৃষ্ণভক্তেন শ্রুৎবা গীতামৃতং পুরা ২১॥

স্তোত্রং কৃষ্ণপ্রিয়করং কৃতং তস্মান্ময়া পুরা

কৃষ্ণনামামৃতং নাম পরমানন্দদায়কম্ ২২॥

অনুপদ্রবদুঃখঘ্নং পরমায়ুষ্যবর্ধনম্

দানং শ্রুতং তপস্তীর্থং যৎকৃতং ৎবিহ জন্মনি ২৩॥

পঠতাং শৃণ্বতাং চৈব কোটিকোটিগুণং ভবেৎ

পুত্রপ্রদমপুত্রাণামগতীনাং গতিপ্রদম্ ২৪॥

ধনাবহং দরিদ্রাণাং জয়েচ্ছূনাং জয়াবহম্

শিশূনাং গোকুলানাং পুষ্টিদং পুষ্টিবর্ধনম্ ২৫॥

বাতগ্রহজ্বরাদীনাং শমনং শান্তিমুক্তিদম্

সমস্তকামদং সদ্যঃ কোটিজন্মাঘনাশনম্ ২৬॥

অন্তে কৃষ্ণস্মরণদং ভবতাপভয়াপহম্

কৃষ্ণায় যাদবেন্দ্রায় জ্ঞানমুদ্রায় যোগিনে

নাথায় রুক্মিণীশায় নমো বেদান্তবেদিনে ২৭॥

ইমং মন্ত্রং মহাদেবি জপন্নেব দিবানিশম্

সর্বগ্রহানুগ্রহভাক্ সর্বপ্রিয়তমো ভবেৎ ২৮॥

পুত্রপৌত্রৈঃ পরিবৃতঃ সর্বসিদ্ধিসমৃদ্ধিমান্

নির্বিশ্য ভোগানন্তেঽপি কৃষ্ণসায়ুজ্যমাপ্যুনাৎ ২৯॥

ইতি শ্রীনারদপঞ্চরাত্রে শ্রীকৃষ্ণাষ্টোত্তরশতনামস্তোত্রং সমাপ্তম্

প্রশ্নঃ কারাগারে দেবকীর গর্ভে প্রথম থেকে ষষ্ঠ সন্তানগুলি কারা? তাদের কি অপরাধ ছিল যাতে জন্মের পরেই কংসের হাতে মরতে হল?

উত্তরঃ ব্রহ্মলোকে ব্রহ্মার পুত্র মরীচি ঋষির ছয় পুত্র ছিল। অপ্সরা তিলোত্তমাকে দেখে কাম মোহিত হয়ে ব্রহ্মা তার পিছনে ধাবিত হলে মরীচি পুত্ররা পিতামহ ব্রহ্মাকে দেখে পরিহাস করেছিল। তাতে ব্রহ্মা হতচকিত হয়ে তাদের অভিশাপ দিয়েছিলেন, 'তোমরা অসুর যোনিতে জন্ম গ্রহণ কর।' অভিশাপ মুক্তির উদ্দেশ্যে মরীচি পুত্ররা ব্রহ্মার চরণে মিনতি করলে ব্রহ্মা বললেন, 'পৃথিবীতে' বৈবস্বত মন্বন্তরে অষ্টাবিংশ চতুর্যুগের দ্বাপরে ভগবান অবতীর্ণ হবেন, তাঁরই উচ্ছিষ্ট ভোজন করলে তোমরা শাপমুক্ত হবে।' 

এই ঘটনার পর মরীচির সেই ছয় পুত্র অসুর হিরণ্যাক্ষের পুত্র কালনেমি; তারই পুত্ররূপে জন্ম লাভ করেন। অসুরের পুত্ররূপে জন্ম নিলেও পূর্বসংস্কার বশে তারা ভগবানের উপাসনা করতে লাগল। সেইজন্যে হিরণ্যাক্ষের ভাই ভগবদ্ বিরোধী হিরণ্যকশিপু সেই ছেলেদের প্রতি ক্রুদ্ধ হয়ে অভিশাপ দেয়,- 'তোমরা পিতৃকুলের মর্যাদা নষ্ট করে পিতৃশত্রু শ্রীহরির উপাসনা করছ, অতএব তোমাদের পিতৃহস্তে মৃত্যু হবে।' কিন্তু তাদের পিতা কালনেমি দেবতাদের সঙ্গে যুদ্ধ করতে গিয়ে ভগবানের সুদর্শন চক্রে নিহত হয়।

অসুরের বংশধর হলেও হিরণ্যকশিপুর প্রপৌত্র ভগবদভক্ত বলী, ভগবান শ্রীবামনদেবের আদেশে সুতল লোকে গমন করেন এবং কালনেমির সেই ছয় পুত্রও সুতললোকে বাস করেন। কিন্তু তারা শাপমুক্ত হইতে পারেনি। শাপমুক্তি হইতে হলে পিতার হাতে মরতে হবে এবং ভগবানের উচ্ছিষ্ট খেতে হবে। অসুর কালনেমি জন্ম নিল কংসরূপে। যোগমায়া তখন মরীচিপুত্রদের শাপমোচন করার উদ্দেশ্যে দেবকীগর্ভে তাদের একে একে আনিয়ে কংসের হাতে বধ করালেন। তারা তখন হিরণ্যকশিপুর অভিশাপ থেকে মুক্ত হয়ে আবার সুতললোকে গমন করেন। কিন্তু ভগবানের উচ্ছিষ্ট ভোজন করার বিষয়টি তখনও ঘটেনি।

ভগবান কৃষ্ণ দেবকীর পুত্ররূপে জন্ম গ্রহণ করেন। তারপর ব্রজলীলা মথুরালীলা শেষ করে দ্বারকালীলার সময় মা দেবকী একসময় কৃষ্ণকে বলেন,- 'হে কৃষ্ণ, তুমি সান্দীপনি মুনির মৃত পুত্রকে পরলোক থেকে ফিরিয়ে এনেছ, সেই কথা জেনেছি। তোমার অগ্রজ ভাইদের যারা কংসের হাতে নিহত, তাদেরকে কি তুমি ফিরিয়ে আনতে পারো?' তখন কৃষ্ণ সুতললোক থেকে তাদের নিয়ে দ্বারকায় এলে শিশুরূপ সেই পুত্ররা দেবকীর স্তন পান করতে লাগল। দেবকীর স্তন প্রথমে শ্রীকৃষ্ণই পান করেছিলেন। অতএব সেই কৃষ্ণ-উচ্ছিষ্ট পান করেই তারা শ্রীব্রহ্মার শাপমুক্ত হয়ে ব্রহ্মলোকে গমন করেন। এভাবে মরীচির ছয় পুত্র কীর্তিমান, সুষেন, ভদ্রসেন, ঋজু, সংমর্দন ভদ্র একটুখানি উপহাস করার ফলে কত কিছু দুঃখ আঘাত ব্যাঘাতের সম্মুখীন হয়েছিলেন।

🍁জয় শ্রীরাধাগোবিন্দের জয় 🍁🍁জয় সকল ভক্তগণের জয়🍁


No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...