💐শ্রীজগন্নাথদেবের লীলা💐

🍁🌴🌳🌺🌷💞🌻🍁🌻💞🌷🌺🌳🌴🍁

বিশেষ পোষ্ট

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ

সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার অনন্ত কোটি সাষ্টাঙ্গ দণ্ডবৎ প্রণাম I

''হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।

তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।

অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।‘’

🌻শ্রীজগন্নাথদেবের লীলাকথামৃত (পর্ব- ২)🌻

🍁বিদ্যাপতির নীলমাধবের দর্শন🍁

শবর বিশ্বাবসু কিছুক্ষণ ভগবানের ধ্যান করে বিদ্যাপতিকে বললেন,- ‘’হে মহান ব্রাহ্মণ, আমি ইতিপূর্বে শুনেছি যে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এখানে এসে এই তীর্থে বাস করবেন। আমরা এক মুহূর্তও সময় নষ্ট করব না। আসুন, আমরা পর্বত-শিখরে গমন করি।‘’  শবর বিদ্যাপতিকে ঘন অরণ্যের মধ্য দিয়ে পবিত্র নীলগিরির পাদদেশের পথ দেখিয়ে নিয়ে আসলেন। যতই তাঁরা উপরে উঠতে লাগলেন, ততই পথ সংকীর্ণ হতে লাগল, এতটাই যে পাশাপাশি দু’জন চলা অসাধ্য হল- কেবল একজনই হাঁটা যাচ্ছিল। পথ ছিল কন্টকাকীর্ণ এবং রাতের আঁধারে কিছুই দৃষ্টিগোচর হচ্ছিল না। বিদ্যাপতি কেবল বিশ্বাবসুর কন্ঠস্বর অনুসরণ করে কোনোক্রমে তাঁর পশ্চাদগমন করে ঐ পথ ধরে উঠতে লাগলেন।

এইভাবে সারারাত্রি কয়েক ঘন্টা ধরে হেঁটে তাঁরা অবশেষে প্রভাতে রোহিণী কুণ্ডে পৌঁছালেন। শবর বললেন, ‘’হে মহান ব্রাহ্মণ, এই হচ্ছে রোহিণী কুণ্ড, এই কুণ্ডের জল ব্রহ্মাণ্ডের সকল জলের আদি উৎস। সকল উপাদান সৃষ্টির সময়ে এখান থেকে  নির্গত হয়, জগৎ-প্রলয়ের সময় এখানে সব উপাদান পুনরায় প্রবেশ করে। এই কুণ্ড সকল তীর্থের মধ্যে সর্বোত্তম। এখানে মানুষ স্নান করে আপনা থেকেই বৈকুণ্ঠে গমন করার যোগ্যতা প্রাপ্ত হয়। এই কুণ্ডের পূর্বভাগে আপনি কল্পবট নামক একটি বটবৃক্ষ দেখতে পাবেন। কেবল সেই বটবৃক্ষের ছায়ায় উপবেশন করলে ব্রহ্মহত্যার পাপ বিদূরিত হয়। সেই বৃক্ষ ও কুণ্ডের মধ্যস্থলে একটি কুঞ্জ রয়েছে, সেখানে বেদান্তের মাধ্যমে যিনি প্রকাশিত হন, সেই ভগবান বিরাজ করছেন। দয়া করে সেখানে গমন করুন ও সেই পরমপুরুষ পরমেশ্বর ভগবানের দর্শন লাভ করুন। তাঁর দর্শন লাভ করে আপনি সকল পাপকর্মের ফল হতে বিমুক্ত হবেন। আপনাকে আর এই ভবসাগরে, এই জড়জগতে পতিত হইতে হবে না।‘’

বিদ্যাপতি আসন্ন দর্শন-প্রাপ্তির আনন্দে রোমাঞ্ছিত হলেন। সযত্নে যথাবিধি রোহিণী কুণ্ডে  অবগাহন-স্নান সমাপন করে তিনি তাঁর গুরুদেবকে স্মরণ করলেন এবং ভগবানকে স্ব-নয়নে দর্শনের জন্য মন্দিরে প্রবেশ করলেন। ভগবানকে দর্শন করে তিনি ভূমিষ্ঠ হয়ে সাষ্টাঙ্গে প্রণিপাত করলেন, তারপর তাঁর অন্তরের প্রার্থনা নিবেদন করলেন। বিদ্যাপতি এরপর বিগ্রহের সামনে উপবেশন করে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করলেন। দিব্যানন্দে তাঁর হৃদয় পরিপূরিত হল, তাঁর মনে হল; তিনি তার জীবনে কখনো এমন আনন্দ অনুভব করেননি। কিছুক্ষণ অতিবাহিত করে বিদ্যাপতি বাইরে আসলেন। তিনি বিশ্বাবসুকে বটবৃক্ষের পাশে বসে প্রতীক্ষা করতে দেখে বলিলেন  ‘’এখানে শ্রীবিগ্রহকে দর্শন করে আপনি আমার জীবন সার্থক করেছেন।‘’ শবর তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে বললেন, আপনি অবশ্যই অত্যন্ত পরিশ্রান্ত। এখন প্রায় দিন অবসান হতে চলেছে। শীঘ্রই আঁধার নেমে আসবে। হিংস্র প্রাণীরা বনে রয়েছে, অন্ধকার হয়ে যাবার পূর্বেই আমাদের আশ্রমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করতে হবে।

আশ্রমে ফিরে বিশ্বাবসু বিদ্যাপতিকে প্রসাদ দিলেন এবং আরও নানা সুন্দর দ্রব্যাদি তাঁকে প্রদান করলেন। প্রসাদে অত্যন্ত সুস্বাদু নানা পদ দেখে বিদ্যাপতি বিস্মিত হলেন, তিনি ইতিপূর্বে কখনো এত সুস্বাদু পদ আস্বাদন করেননি- এমনকি রাজার একজন সেবক হিসাবে রাজপ্রাসাদেও এমন অনবদ্য স্বাদের আহার্যের অভিজ্ঞতা তাঁর হয়নি। কৌতুহলকে রুদ্ধ না করে, বিদ্যাপতি শবরকে জিজ্ঞাসা করলেন, কোথা থেকে তিনি এই স্বর্গীয় প্রসাদ সংগ্রহ করলেন। প্রত্যুত্তরে শবরের ঠোঁটে স্মিত হাসির রেখা দেখা দিল। ‘’ইন্দ্র এবং অন্যান্য দেবগণ সর্বদাই এখানে আগমন করেন এবং ভগবানের পূজা করেন। তাঁর সামনে সুস্বরে স্তুতিগান করেন, নৃত্য করেন। আপনি যা গ্রহণ করেছেন তা ভগবান শ্রীজগন্নাথদেবের অপ্রাকৃত ভুক্তাবশেষ, প্রসাদ। এই প্রসাদ গ্রহণ করলে জরা ও ব্যাধি থেকে আমরা মুক্ত থাকতে পারি। প্রীতি ও সেবার মনোভাব নিয়ে ভগবানের ভুক্তবশিষ্ট গ্রহণ করলে গ্রহণকারী জড়জগতের বন্ধন হতে মুক্তি লাভ করেন।‘’

ভগবানের প্রসাদের মহিমা শ্রবণ করে বিদ্যাপতি রোমাঞ্চিত হলেন। দিব্যানন্দে তাঁর নয়নদ্বয় থেকে অশ্রুপাত হতে থাকল এবং তিনি নিজেকে মহাসৌভাগ্যশালী চিন্তা করতে থাকলেন। তারপর তিনি এই উপজাতির জনগণের অপেক্ষাকৃত বৃহত্তর সৌভাগ্যের কথা ভাবলেন। তাঁরা প্রতিদিনই ভগবানের দর্শন গ্রহণ করে থাকেন! সে সময় তিনি শবর বিশ্বাবসুর সঙ্গে মিত্রতার বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে সেখানে তাঁর সঙ্গে থেকে যেতে চাইলেন। বিদ্যাপতি বললেন, প্রিয় মিত্র! রাজা এখানে আসবেন এবং এখানে বাস করবেন। ভগবানের জন্য একটি বিশাল সুরম্য মন্দির স্থাপনের তাঁর অভিলাষ রয়েছে। তিনি ভগবানের পূজার জন্য বিপুল আয়োজন করবেন।  হ্যাঁ, শবর বললেন,- ‘’আমি অনেকদিন পূর্বে একথা শুনেছি, এটি একটি পুরাতন বিষয়’’ শবর দীর্ঘ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। আমরা শুনেছি যে রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এখানে আসবেন। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে এই যে এমনকি তিনি এখানে আগমন করলেও তিনি ভগবানের দর্শন লাভে সমর্থ হবেন না। দারুব্রহ্ম যমরাজকে একটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন,- ভগবান নিজেকে স্বর্ণবালুকার অন্তরালে লুকায়িত করবেন এবং সকলের দৃষ্টিপথ থেকে অন্তর্হিত হবেন।

বিদ্যাপতি উদ্বিগ্ন হলেন এবং তিনি শবরকে বললেন, “আপনি মহাসৌভাগ্যবান যে আপনি ভগবানের দর্শন লাভ করেছেন। যখন রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন এখানে আসবেন, তখন ভগবান রাজার নয়ন সমক্ষ হতে অন্তর্হিত হবেন, তাঁর অগোচর হবেন। কিন্তু আপনি অবশ্যই একথা রাজাকে  বলবেন না। কেননা, যখন রাজা আবিষ্কার করবেন যে তিনি ভগবানকে দর্শন করতে পারবেন না, তিনি উপবাস করে দেহত্যাগের জন্য প্রস্তুত হবেন। তখন তিনি স্বয়ং রাজার কাছে প্রকাশ করবেন কিভাবে তিনি চারটি দারুমূর্তি পরিগ্রহ করে প্রকটিত হবেন। শ্রীব্রহ্মা এই দারুবিগ্রহগুলি প্রতিষ্ঠা করবেন এবং রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন তাঁদের পূজা করবেন।”

এইভাবে বিদ্যাপতি ও বিশ্বাবসু পরষ্পর খোলা মনে কথা বলে চললেন। তাঁরা কোমল বৃক্ষপত্র দিয়ে শয্যা রচনা করে শয়ন করে বিশ্রাম নিলেন। পরদিন প্রভাতে স্নান করে বিদ্যাপতি ভগবান শ্রীমাধবকে প্রণতি নিবেদন করলেন, তাঁর কর্তব্যের কথা স্মরণ করে বিদ্যাপতি রাজার বসবাসের জন্য একটি সুন্দর স্থান নির্বাচন করলেন। তারপর বিদ্যাপতি তার শবর-মিত্রের নিকট বিদায় গ্রহণ করে অবন্তীপুরের উদ্দেশ্যে যাত্রা করলেন। নীলাচল ধাম ত্যাগের পূর্বে বিদ্যাপতি পুরুষোত্তমক্ষেত্র পরিক্রমা করলেন। সন্ধ্যায় তিনি অবন্তীপুরে উপনীত হলেন। কৃপাময় ভগবানের দর্শন লাভের ফলে তিনি দিব্য-ভাবাবেশে এতটাই নিমগ্ন ছিলেন যে তিনি পথশ্রমজনিত কোন শ্রান্তি বা অবসাদ অনুভব করলেন না।

🍁বিদ্যাপতির নীলাচলের মহিমা রাজার নিকট বর্ণন🍁

বিদ্যাপতি রাজপ্রসাদের তোরণদ্বারে উপনীত হবার পূর্বেই রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন সানন্দে এই বার্তা গ্রহণ করেছিলেন যে অগ্রগামী দলটি ভগবানের আবাস-স্থান নির্ধারণ করতে পেরেছে। বিশ্বাবসুর দেওয়া পুষ্পমাল্য হাতে নিয়ে আনন্দোজ্জ্বলমূর্তি বিদ্যাপতি রাজার নিকট গেলেন। রাজা তাঁর সেবককে অভ্যর্থনা করতে উঠে দাঁড়ালেন এবং ভক্তিভাবের আকস্মিক আবেশে তিনি মুহ্যমান হয়ে পড়ছিলেন। আবেগরুদ্ধ কন্ঠে তিনি বললেন, "এই মাল্য দর্শন করে আমার জন্ম সার্থক হয়েছে। আমি এই প্রসাদ-মালা দর্শনের মাধ্যমে ভগবান শ্রীমাধবকে দর্শন করছি। আমি এই মাল্যকে আমার বিনম্র প্রণতি নিবেদন করছি, যা ভগবানকে তাঁর পাদপদ্মাশ্রিত শরণাগত ভক্তগণ নিবেদন করে থাকেন। এই মালার সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড উদ্ধারের সামর্থ্য রয়েছে।" রাজা অনুভব করলেন-তাঁর হৃদয়কন্দর দিব্য প্রেমে মথিত হচ্ছে। "হে প্রভু! অনুগ্রহ করে আমাকে উদ্ধার করুন। আপনাকে বারবার আমার প্রণাম নিবেদন করছি।"

অশ্রুপূর্ণ নয়নে রাজা ভূমিতে পতিত হয়ে সাষ্টাঙ্গে তাঁর প্রণতি নিবেদন করলেন। তাঁর সর্বাঙ্গ রোমাঞ্চিত হচ্ছিল। বিদ্যাপতি তাঁকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলেন এবং মাল্যটি যথাযথভাবে তাঁর গলদেশে পরালেন। কেবল সেই দিব্য সুগন্ধে সুরভিত পুষ্পমালা পরে রাজা অনুভব করলেন যেন স্বয়ং ভগবান তাঁর হৃদয়ে প্রবেশ করেছেন। সেই সময়ে বহু গৃহস্থ, ব্রহ্মচারী ও সন্ন্যাসী এসে চতুর্দিকে সমবেত হলেন। সকলেই রাজার শুদ্ধভক্তি-প্রভাবে সৃষ্ট বিমল পরিবেশ অনুরঞ্জিত হচ্ছিলেন। অন্যান্য ব্রাহ্মণগণসহ রাজা ইন্দ্রদ্যুম্ন বিদ্যাপতির পূজা করলেন এবং তাঁকে রাজসিংহাসনের সামনে একটি আসন প্রদান করলেন। প্রগাঢ় আন্তরিকতা সহকারে রাজা বিদ্যাপতির কুশল জিজ্ঞাসা করলেন। কিন্তু বিদ্যাপতি নিজের সংবাদের চেয়ে পুরুষোত্তমক্ষেত্র এবং নীলমাধবের মহিমা বলার জন্য অধিকতর ব্যাকুল ছিলেন। তাঁর উপলব্ধি ও স্মৃতি অনুসারে তিনি তাঁর সেই পবিত্র ধামে অভিযাত্রা ও পরিদর্শনের সময় যা-কিছু ঘটেছিল সব বিশদভাবে বর্ণনা করলেন। বিদ্যাপতির গভীর মহিমা-স্তুতিতে সমবেত সকলের চিত্ত আনন্দে আবিষ্ট হল, প্রত্যেকেই সেই ব্রাহ্মণের মুখনিঃসৃত কথামৃত পান করতে লাগলেন, সকলেই আাকাঙ্খা করতে থাকলেন তিনি যেন আরো বলতে থাকেন।

পরিশেষে, রাজা তাঁকে ভগবানের ইন্দ্রনীলমণিময় বিগ্রহ, নীলমাধব সম্বন্ধে জিজ্ঞাসা করলেন। বিদ্যাপতি তাঁর নয়নদ্বয় বন্ধ করে গভীরভাবে শ্বাস গ্রহণ করলেন। "প্রিয় রাজন্, আমি এখন সেই অপ্রাকৃত দিব্য বিগ্রহ সম্বন্ধে বলব, যিনি তাঁর দর্শন গ্রহণ করুক,তিনি তাঁকে মুক্তি প্রদান করেন। ভগবানের এই শ্রীবিগ্রহ অত্যন্ত প্রাচীন। তাঁর শ্রীমূর্তি অতি মূল্যবান ইন্দ্রনীল-মণি দ্বারা নির্মিত। স্বৰ্গাধিপতি ইন্দ্র এবং কমলাসনা ব্রহ্মা প্রতিদিন অন্যান্য দেবগণসহ ভগবানের এই শ্রীবিগ্রহের পূজা করার জন্য নীলাদ্রি শিখরে আগমন করেন। আমি যে পুষ্পমালা আপনাকে অর্পণ করেছি, সেটি দেবগণ শ্রীমাধবকে নিবেদন করেছিলেন। এটি কখনো শুষ্ক হবে না, এবং এর দিব্য সৌরভও সময়ের প্রভাবে হ্রাস পাবে না, সর্বদা একই রকম থাকবে।"

বিদ্যাপতি তাঁর নয়ন উন্মীলিত করলেন এবং নির্ম্মল প্রশান্তি ও আনন্দপূর্ণ চিত্তে রাজার দিকে তাকালেন। শ্রীভগবানের প্রসাদ গ্রহণকরে বিদ্যাপতি বললেন, “আমি সর্বপাপ হতে বিমুক্ত হয়েছি। আমি দেবগণের মতো জ্যেতির্ময় হয়ে উঠেছি, লক্ষ্য করেছেন কি?” রাজা সপ্রশংসচিত্তে তাঁর মস্তক নাড়ালেন। “প্রিয় রাজন্, কাম বা ইন্দ্রিয়তৃপ্তি ও মোক্ষ  বা মুক্তি, উভয়ই সেখানে সুলভ। নীলাচলধামে কোন জরা বা ব্যাধি নেই, অন্য কোনরূপ দুঃখ ক্লেশও নেই। ঐ তীর্থে বিশাল নীল আঁখি বিশিষ্ট পরমেশ্বর ভগবান স্বয়ং সেখানে বিরাজ করেছেন। তিনি অভিযুক্ত সেবার দ্বারা অত্যন্ত প্রীত হন। যিনিই তাঁর শরণ করেন, তাঁকেই তিনি মােক্ষ প্রদান করেন।”

আগামী পর্বে থাকছে---

♦নীলমণিময় বিগ্রহের বর্ণনা♦

💞জয় পতিতপাবন শ্রীজগন্নাথদেবের জয়💞