Tuesday, February 11, 2020




নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদন্ডী স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিপ্রজ্ঞান কেশব গোস্বামী মহারাজ
(আবির্ভাব)
পূর্ববঙ্গ রাজ্যের প্রাচীন ঐতিহাসিক বরিশাল জেলায় বানরীপাড়া গ্রামে শ্রীযুক্ত শরৎচন্দ্র গুহঠাকুর  তৎপত্নী  শ্রীমতি ভুবনমোহিনী দেবীকে জগৎ সম্বন্ধে পিতা - মাতা রূপে অবলম্বন করিয়া ''নিত্যধাম গোলক - বৃন্দাবন চন্দ্র স্বয়ং ভগবান - লীলা পুরুষোত্তম শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণ গৌরসুন্দরের বার্ত্তা - বাহক নিত্য পরিকর বিশেষ, বৃন্দাবনেশ্বরী - শ্রীমতি রাধারাণীর নিত্যলীলা সহচরী - বৃন্দাবনীয় - নিভৃত - নিকুঞ্জ লীলায় নিত্যসেবা পরায়ণা ''নয়নমণি মঞ্জরী'' - যূথেশ্বরীর প্রিয় - সহচরী ''বিনোদ  - মঞ্জরী'' তাঁহাদের পুত্র রূপে দিব্যজ্যোতি সম্পন্ন এক অলৌকিক লক্ষণ যুক্ত হইয়া ১৩০৪ বঙ্গাব্দ,১২ই মাঘ,(ইং ২৪শে জানুয়ারী  ১৮৯৮ খ্রিষ্টাব্দ ) পরম মঙ্গলময়ী শ্রীকৃষ্ণাতৃতীয়া তিথিতে শ্রীশরৎচন্দ্র গুহঠাকুর ভবন আলো করিয়া জন্মগ্রহণ করিলেন I পিতা মাতা নাম রাখিলেন ''জোনা''।পিতৃদেব প্রিয় বালকের নাম 'জনার্দ্দন' রাখেন। পরবর্ত্তীতে বালকের নাম 'শ্রীবিনোদবিহারী গুহঠাকুরতা' নামে প্রসিদ্ধ লাভ করেন।

বালকের যখন বয়স মাত্র ৮ বৎসর সেই সময় নোয়াখালী জেলার লক্ষ্মীপুর ন্যায়ালয়ে কার্য্যরত অবস্থায় পিতা শরৎচন্দ্র গুহঠাকুরতার মৃত্যু হয়।বালকের লালন - পালনের দায়িত্ব মাতা ভুবনমোহিনী দেবীর উপর পড়ে।বিনোদবিহারী পিতার মৃত্যুর পূর্ব হইতে নোয়াখালী ন্যাসনাল স্কুলে পড়াশুনা করিতে থাকে।প্রাথমিক স্কুলের পাঠ্য সমাপ্ত করিয়া গ্রামে ফিরিয়া স্থানীয় উচ্চবিদ্যালয়ে ভর্ত্তি হইয়া পড়াশুনা আরম্ভ করে।উনার মধ্যে সদা সর্বদা ধৰ্ম,ন্যায় - নীতি উচ্চ আদর্শ সহ - সংগঠন তৈরী করা,পরিচালনা করার নেতৃত্ব প্রদানে এক অতুলনীয় শক্তি দেখা যায়। বহু যুবককে লইয়া গ্রামে দরিদ্র সেবার একটি সংস্থা স্থাপনা করেন।যাহার মাধ্যমে দরিদ্র মানুষ বিনামূল্যে বিভিন্ন সংক্রামক রোগ হইতে রক্ষা পাইবার চিকিৎসা,ঔষধ,সেবা শুশ্রূষার মাধ্যমে রোগমুক্ত হইয়া সুস্থ সুন্দর স্বাস্থ্য লাভ করিতে পারিত।বিনোদবিহারী অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন মাতৃদেবী জমিদারীর রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব দিয়া থাকেন।এত অল্প বয়সে জমিদারীর দায়িত্ব বহনে আইন - কানুন এবং কর্ম্ম কুশলতা সাধারণতঃ দৃষ্টি গোচর হয় না। উহার তেজস্বীতা,দয়া,উদারতা এবং সূক্ষ্ম ন্যায় বিচার সকলকে অবাক করিয়া দেয়।সেই সঙ্গে সুন্দর প্রজাবাৎসল্যতা গুনে প্রজাগণ অত্যন্ত প্রসন্ন চিত্তে বিনোদবিহারীর মহিমা যশঃ কীর্ত্তনে শতমুখ ছিলেন।

বানরী পাড়াতে থাকাকালীন মহা বিদূষী মহিলা দুইজন পিসিমার সহিত বিনোদবিহারীর সঙ্গে সম্পর্ক হয়।তাঁহারা জগদ্গুরু ওঁ বিষ্ণুপাদ শ্রীমদ্ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুরের প্রথমা এবং দ্বিতীয়া শিষ্য ছিলেন।ইঁহারা দুইজন অত্যন্ত ভক্তিমতী এবং সমস্ত ভক্তি শাস্ত্রে অত্যন্ত নিপুণা।জন্মজাত কবি ও বিখ্যাত লেখিকা ছিলেন। ইঁহাদের যুক্তি উপদেশ এবং ভক্তিময় ভজন জীবন বিনোদের উপর অত্যন্ত প্রভাব বিস্তার করে।সন ১৯১৫,শ্রীগৌর পূর্ণিমার পূর্বে এই দুই পিসিমার সহিত বিনোদবিহারী শ্রীল প্রভুপাদের দর্শনের জন্য শ্রীধাম মায়াপুরে যাত্রা করেন।শ্রীল প্রভুপাদকে প্রথম দর্শন এবং তাঁহার ওজঃস্বিনী ভাষায় উপদেশ শ্রবণ করিয়া খুবই আকৃষ্ট হন। সেই মূহুর্ত্ত্যে সমস্ত জীবনটি এই মহাপুরুষের চরণে আত্মসমর্পণ পূর্বক আশ্রয় লইয়া সেবা করিতে পারিলেই এ জীবন সার্থক হইবে এই সংকল্প গ্রহণ করিলেন।দীর্ঘ নয় দিন ব্যাপী সমগ্র শ্রীনবদ্বীপমণ্ডল দর্শন এবং শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীমুখ নিঃসৃত হরিকথা শ্রবণ করিয়া শ্রীগৌর পূর্ণিমার দিন আত্ম পর্য্যন্ত সমস্ত জীবন শ্রীল প্রভুপাদের চরণে সমর্পণ করিয়া আশ্রয় গ্রহণ করিলেন। শ্রীল প্রভুপাদও নিজ জন এবং যোগ্য পাত্র বুঝিয়া প্রিয়তম শিষ্যরূপে অঙ্গীকার করিয়া সেই পুণ্য তিথিতে শ্রীহরিনাম প্রদান করিলেন।
শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীগৌর জন্মোৎসবের  প্রাক্কালে হরিকথা কীর্ত্তন করিবার মধ্যে বিশ্বব্যাপী শ্রীমন্মহাপ্রভুর প্রেমধর্ম্মের কথা প্রচার কল্পে বিভিন্ন স্থানে মঠ স্থাপনের কথা বলিলেন।তখন শ্রীমতী সরোজবাসিনী দেবী এইরূপ সংকল্পের কথা জানিয়া অত্যন্ত প্রসন্ন হইয়া বলিলেন,এখনই এই যোগপীঠে আরতির সময় কাঁসর,ঘন্টা বাজাইবার মত ব্রহ্মচারী নাই,সেই অবস্থায় এতগুলি মঠের ব্যবস্থা রক্ষণাবেক্ষণে কি ভাবে সম্ভব হইবে ?তার উত্তরে শ্রীল প্রভুপাদ বিনোদবিহারীর দিকে স্বয়ং অঙ্গুলি নির্দ্দেশ করিয়া বলিলেন,-বিনোদবিহারী সমস্তমঠ এবং প্রচার কেন্দ্রের ব্যবস্থা করিবে,ভবিষ্যতে সে কথা সত্যই হইয়াছিল।

শ্রীবিনোদবিহারী ব্রহ্মচারী শ্রীল প্রভুপাদের কৃপাভিষিক্ত শ্রীহরিনাম গ্রহণ করিবার পরে গৃহে ফিরিয়া আসিয়া পুনরায় তিনি দৌলতপুর কলেজে অধ্যয়ন রত হইলেন,কিন্তু মধ্যে মধ্যে শ্রীধাম মায়াপুরে যাইয়া শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীচরণ দর্শন এবং তাঁহার শ্রীমুখ নিঃসৃত হরিকথামৃত শ্রবণ করিতে থাকেন। একদিন শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত পাঠ করিতে করিতে নিজের মনে বিচার করিতে থাকিলেন,''এই মনুষ্য জন্ম পরম দুর্ল্লভ। এই মনুষ্যজন্ম ছাড়া অন্যান্য পশু - পক্ষী বৃক্ষ আদি জনমে ভাগবত তত্ত্ব উপলব্ধি হওয়া সম্ভব নয়।  সৌভাগ্য বশতঃ ভগবানের কৃপায় এমন দুর্ল্লভ মনুষ্য জন্ম পাওয়া গিয়াছে,কিন্তু কখন মৃত্যু হয়ে যাবে ইহার কোন নিশ্চয়তা নাই।মৃত্যুর আগে ভক্তিযোগকে আশ্রয় করিয়া জীবনকে কৃতার্থ করা একান্ত উচিত।এইরূপ বিচার করিয়া কলেজের ফাইনাল পরীক্ষার ফি দিয়াও পরীক্ষা না দিয়া পরম স্নেহময়ী মায়ের স্নেহ বন্ধন এবং জমিদারী গৃহের সমস্ত মমতার বন্ধন কাটিয়া সম্পূর্ণরূপে ত্যাগ করিয়া ১৯১৯ খ্রীঃ,শ্রীগুরুদেব শ্রীল প্রভুপাদের সম্পূর্ণ আনুগত্য স্বীকার পূর্বক শ্রীচরণে আশ্রয় গ্রহণ করিয়া নিত্য সেবক রূপে স্থায়ী ভাবে মঠবাসী হইলেন।

১৯১৯ খ্রীঃ,শ্রীগৌর পূর্ণিমা শুভ তিথি বাসরে যোগপীঠে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর শ্রীবিনোদবিহারীকে কৃষ্ণমন্ত্র দীক্ষা প্রদান করিলেন।তাঁহার নাম ঘোষণা করিলেন ''মহা - মহোপদেশক কৃতিরত্ন পণ্ডিত বিনোদ বিহারী ব্রহ্মচারী'' শ্রীচৈতন্যমঠে থাকাকালীন শ্রীল প্রভুপাদের ইচ্ছানুসারে উক্ত মঠবাসী সেবকগণের পরিচালক রূপে গুরু দায়িত্ব ভার গ্রহণ করিয়াছিলেন। মঠবাসী জীবনে সকল প্রকার দুঃখ কষ্ট হাসিমুখে নীরবে স্বীকার করিয়া লইয়া সেবা দ্বারা গুরু - বৈষ্ণব - ভগবানের আনন্দ বর্দ্ধন করিতেন।
''তোমার সেবায় দুঃখ হয় যত,সেই ত পরম সুখ।
সেবা সুখ দুঃখ পরম সম্পদ নাশয়ে অবিদ্যাদুঃখ।।''

১৯১৩ খ্রীঃ,এপ্রিলে শ্রীল প্রভুপাদ কলকাতা কালীঘাট সা - নগর লেনে,শ্রীভগবৎপ্রেস স্থাপনা করিয়া 'বৃহদমৃদঙ্গ' সেবা প্রকাশ করিলেন।উক্ত প্রেসে শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত,শ্রীচৈতন্যভাগবত,শ্রীল বিশ্বনাথ চক্রবর্ত্তী পদের সুসিদ্ধান্ত পূর্ণ টীকা সহ শ্রীমদ্ভাগবতাদি বহু ভক্তি গ্রন্থাদি ছাপানো হয়।   শ্রীবিনোদবিহারী ব্রহ্মচারীর সুন্দর দার্শনিক ও সাহিত্যিক অভিরুচি এবং দক্ষতা লক্ষ্য করিয়া ''শ্রীল প্রভুপাদ ১৯২২ খ্রীঃ,উক্ত প্রেসের মুদ্রক এবং প্রকাশক পদে নিযুক্ত করিলেন।''কিছুদিন পরে অত্যন্ত স্নেহাধিক প্রিয়তম শিষ্যকে নিজের কাছে রাখিয়া শ্রীমায়াপুর চৈতন্যমঠের বিশেষ সেবার দায়িত্ব দিয়া 'মঠের ম্যানেজারের পদে' নিযুক্ত করিলেন।

১৯২৫ সাল,ফাল্গুনী পূর্ণিমায় শ্রীগৌর জন্মোৎসব উপলক্ষে পূর্বের ন্যায় ১৬ ক্রোশ শ্রীনবদ্বীপধাম পরিক্রমার আয়োজন হইয়াছে।একদিনের পরিক্রমায় হাজার হাজার যাত্রী - ভক্তগণ সহ অপরাহ্নে কুলিয়ার পোড়ামাতলা পৌঁছিয়াছে এবং শ্রীগুরু - গৌরাঙ্গ গান্ধর্বিকা গিরিধারী জীউ হাতীর পৃষ্ঠে সিংহাসনে বিরাজমান। এদিকে শ্রীল প্রভুপাদ ধাম মাহাত্ম্য হরিকথা বলিতেছেন।এমন সময় পূর্বের অসৎ প্রকৃতির ব্রাহ্মণ,জাতগোসাঞি আদি লোকেরা শ্রীল প্রভুপাদকে লক্ষ্য করিয়া তৎসহ ভক্তদেরও বড় বড় ইট,পাথর ইত্যাদি ছুঁড়িতে থাকে এবং ''প্রভুপাদ কোথায় গেল তাহাকে আমাদের চাই''এই বলিয়া চিৎকার করিতে থাকে,এমনকি নারীদের উপর অত্যাচার করিতে থাকে।এইরূপ ভয়ঙ্কর বিপদের মধ্যে বিনোদবিহারী ব্রহ্মচারী শ্রীল প্রভুপাদকে এক জনের গৃহের মধ্যে লইয়া গিয়া নিজের ধূতি জামা শ্রীল প্রভুপাদকে পরাইয়া এবং শ্রীল প্রভুপাদের সন্ন্যাস বেশ নিজে পরিয়া গোপনে একটি ভক্তের সাথে শ্রীল প্রভুপাদকে মায়াপুর চৈতন্যমঠে পৌঁছাইয়া দেন।এদিকে বিনোদবিহারী সন্ন্যাসীবেসে বহু ইট পাথরের আঘাত সহ্য করিয়া সমগ্র পরিক্রমা যাত্রীগণকে লইয়া রাত্রি ১০ ঘটিকা সময়ে চৈতন্যমঠে ফিরিয়া আসিলেন।এমন সুন্দর নিস্কপট তীব্র গুরুসেবানিষ্ঠ নির্ভীক বিনোদবিহারী ব্রহ্মচারীর আন্তরিক গুরুদেবের সেবায় অদ্বিধায় নিজ প্রাণ বিসর্জ্জন পর্য্যন্ত দেখিয়া সমস্ত বৈষ্ণব সমাজ অত্যন্ত আশ্চর্য্যান্বিত হয় এবং সকলেই বিনোদবিহারী প্রতি কৃতজ্ঞতায় অন্তর বিগলিত অশ্রু বিসর্জ্জন করেন।

১৯৪০ সালে,শ্রীল প্রভুপাদের অপ্রকট পরে বাগবাজারের অন্তর্গত ৩৩/ লেনে,একটি ভাড়া ঘরে বৈশাখী তৃতীয়া দিবসে ''শ্রীগৌড়ীয় বেদান্ত সমিতি'' স্থাপনা করেন। তৎপশ্চাৎ পূর্ণোদ্দমে শুদ্ধভক্তির কথা প্রচার করিতে থাকেন।১৯৪১ সালে,ভাদ্র মাসে শ্রীবলদেব আবির্ভাব পূর্ণিমা দিবসে শ্রীগৌরসুন্দরের সন্ন্যাস ক্ষেত্র কাটোয়াতে শ্রীল প্রভুপাদের অনুগৃহীত ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীল ভক্তিরক্ষক শ্রীধরদেব গোস্বামী মহারাজের কাছে সন্ন্যাসমন্ত্র গ্রহণ করিয়া ''ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিপ্রজ্ঞান কেশব গোস্বামী মহারাজ'' নামে দিব্যা পরিচয় লাভ করিলেন। সন্ন্যাস গ্রহণের পর শ্রীল মহারাজ বাগবাজারস্থিত ভাড়া ঘর হইতে পূর্ব স্থাপিত ''শ্রীগৌড়ীয় বেদান্ত সমিতি'' শ্রীনবদ্বীপধাম শ্রীমন্মহাপ্রভুর নিত্যপার্ষদ শ্রীল দেবানন্দপণ্ডিতের বাসভবনে  নিজস্ব জমিতে ''শ্রীদেবানন্দ গৌড়ীয়মঠ'' নামে পুনঃ স্থাপন করেন।

১৯শে আশ্বিন (১৩৭৫) রবিবার (/১০/১৯৬৮) শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের পরম পবিত্রতম রাসপূর্ণিমা তিথিতে শ্রীল মহারাজ তাঁহার চরণাশ্রিত সমস্ত সেবকবৃন্দ এবং শ্রদ্ধালু জনগণকে বিরহ সাগরে চিরকালের মত নিমজ্জিত করিয়া নিজাভীষ্ট শ্রীশ্রীরাধাবিনোদবিহারী জীউর  সায়ংকালীন নিত্যলীলায় প্রবেশ করিলেন।

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...