ধন্য কলিযুগ
শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সকল সাধু, গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রী চরণে আমার দণ্ডবৎ প্রণাম ।
''হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।
তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।
অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।''
‘’সাধুসঙ্গ ফলে কৃষ্ণ সর্বশ্বরেশ্বরে ।
ভাবোদয় হয় ভাই জীবের অন্তরে ।।
গোরা ভজ ,গোরা ভজ ,গোরা ভজ ভাই ।
গোরা বিনা এ জগতে গুরু আর নেই ।।
যদি ভজবে গোরা সরল কর নিজ মন ।
কুটী নাটি ছাড় ,ভজ গোরার চরণ ।।
মনের কথা গৌরা জানে, ফাঁকি দিবে যবে ।
সরল হলে গোরার শীক্ষা বুঝিয়া লইবে ।।
গোরা বলে আমার মত করিহ চয়িত ।
আমার আজ্ঞা পালন কর চাহ যদি হিত ।।‘’
ভাবোদয় হয় ভাই জীবের অন্তরে ।।
গোরা ভজ ,গোরা ভজ ,গোরা ভজ ভাই ।
গোরা বিনা এ জগতে গুরু আর নেই ।।
যদি ভজবে গোরা সরল কর নিজ মন ।
কুটী নাটি ছাড় ,ভজ গোরার চরণ ।।
মনের কথা গৌরা জানে, ফাঁকি দিবে যবে ।
সরল হলে গোরার শীক্ষা বুঝিয়া লইবে ।।
গোরা বলে আমার মত করিহ চয়িত ।
আমার আজ্ঞা পালন কর চাহ যদি হিত ।।‘’
‘’জীবন অনিত্য জানহ সার,তাহে নানাবিধ বিপদ ভার ।
নামাশ্রয় করি যতনে তুমি,থাকহ আপন কাজে ।।‘’
--- ভক্তিবিনোদ ঠাকুর ।
অর্থাৎ এই সার কথা জেনে রাখা উচিত যে,এই জীবন অনিত্য এবং বহু বিপদ ও দুঃখে পরিপূর্ণ তাই যত্ন সহকারে হরিনামকে আশ্রয় করে কৃষ্ণসেবায় নিযুক্ত থাকতে হবে।
" বিষয় ছাড়িয়া,সে রসে মজিয়া,মুখে বল হরি হরি ।। "
অর্থাৎ যদি কৃষ্ণভাবনামৃতে ভাবিত হতে চাও,তা হলে ইন্দ্রিয় তর্পণ ত্যাগ করতে হবে । হরিনামের রসে মগ্ন হয়ে মুখে শুধু হরি হরি ,হরে কৃষ্ণ বলে জপ কীর্ত্তন করতে হবে।
নামাশ্রয় করি যতনে তুমি,থাকহ আপন কাজে ।।‘’
--- ভক্তিবিনোদ ঠাকুর ।
অর্থাৎ এই সার কথা জেনে রাখা উচিত যে,এই জীবন অনিত্য এবং বহু বিপদ ও দুঃখে পরিপূর্ণ তাই যত্ন সহকারে হরিনামকে আশ্রয় করে কৃষ্ণসেবায় নিযুক্ত থাকতে হবে।
" বিষয় ছাড়িয়া,সে রসে মজিয়া,মুখে বল হরি হরি ।। "
অর্থাৎ যদি কৃষ্ণভাবনামৃতে ভাবিত হতে চাও,তা হলে ইন্দ্রিয় তর্পণ ত্যাগ করতে হবে । হরিনামের রসে মগ্ন হয়ে মুখে শুধু হরি হরি ,হরে কৃষ্ণ বলে জপ কীর্ত্তন করতে হবে।
"কলিকালে নামরুপে কৃষ্ণ অবতার ।
নাম হৈতে হয় সর্ব জগৎ নিস্তার ।।‘’
নাম হৈতে হয় সর্ব জগৎ নিস্তার ।।‘’
সর্বদা শ্রীমুখে
‘হরে কৃষ্ণ
হরে হরে’।
বলিতে আনন্দ-ধারা নিরবধি ঝরে॥
কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্রের এই ত’ স্বভাব।
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব॥
গৌর যে শিখাল নাম সেই নাম গাও।
অন্য সব নাম-মাহাত্ম্য সেই নামে পাও॥
বলিতে আনন্দ-ধারা নিরবধি ঝরে॥
কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্রের এই ত’ স্বভাব।
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব॥
গৌর যে শিখাল নাম সেই নাম গাও।
অন্য সব নাম-মাহাত্ম্য সেই নামে পাও॥
সাধ্য-সাধন-তত্ত্ব যে-কিছু সকল।
হরিনাম- সংকীর্ত্তনে মিলিবে সকল॥
হরিনাম- সংকীর্ত্তনে মিলিবে সকল॥
হরে কৃষ্ণ
হরে কৃষ্ণ
কৃষ্ণ কৃষ্ণ
হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
অর্থাৎ এই কলিযুগে ভগবানের দিব্যনাম হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র হচ্ছে শ্রীকৃষ্ণের অবতার ।কেবলমাত্র এই দিব্যনাম গ্রহণ করার ফলে,যে কোন মানুষ সরাসরিভাবে ভগবানের সঙ্গ লাভ করতে পারেন । যিনি তা করেন ,তিনি অবশ্যই উদ্ধার লাভ করেন ।এই নামের প্রভাবেই কেবল সমস্ত জগৎ নিস্তার পেতে পারে ।।
গুনঙ্গ সারগ্রাহী মহাত্মারা কলিযুগকে এই জন্য ধন্য বলেন ,কেন না কলিযুগে কেবল হরিনাম সংকীর্ত্তনের ফলেই সর্বসিদ্ধি লাভ হয়।
No comments:
Post a Comment