Friday, February 7, 2020


নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদন্ডী স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীল ভক্তিময়ূখ ভাগবত  গোস্বামী মহারাজ
(আবির্ভাব)
বীরভূম জেলার অন্তর্গত শ্রীপুর গ্রামে (বর্ত্তমান চিনপাই) নামে বহু ব্রাহ্মণ পরিবার সমন্বিত একটি গ্রাম। সেই গ্রামে ১৩১১ সনে মাঘ মাসের শুক্লা ত্রয়োদশী তিথিতে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর শুভাবির্ভাবকে অবলম্বন করিয়া,সেই শুভতিথির শুভমূহুর্ত্ত্যে দিব্য মহাপুরুষোচিত লক্ষণযুক্ত হইয়া শ্রীযুক্ত রামশঙ্কর মুখোপাধ্যায় কুসুম কামিনী দেবীকে আশ্রয় করিয়া এক দিব্য শিশুর আবির্ভাব হয়।পিতা মাতা অন্যান্য সকলেই মহাদেবের নামানুসারে শিশুর নাম রাখিলেন শ্রীশঙ্কর লাল মুখোপাধ্যায়।শৈশব কাল হইতেই কোন লোভ,ক্রোধ নাই,খুবই প্রশান্ত - সহজ - সুলভ - সরল,অত্যন্ত সংযত - ধীর - স্থির অস্বাভাবিক জিতেন্দ্রিয়তার সহিত মহাপুরুষোচিত লক্ষণ সমন্বিত গুণের মধ্য দিয়া শিশুখেলায় কেবল কাদা - মাটি দিয়া কৃষ্ণঠাকুর গড়িয়া পূজা,ভোগ,আরতী,স্তব - বন্দনা,ধ্যান ইত্যাদি যেন সব শিখিয়া আসিয়াছে এরূপ শ্রীভগবৎ সেবার প্রবল উৎকণ্ঠা আগ্রহ লইয়া বাড়িতে থাকে।শিশুর বিদ্যারম্ভের সময় দেখিয়া পিতৃদেব গুরুমহাশয়কে গৃহে ডাকিয়া শিশুর হস্থে খড়ি দিয়া বিদ্যারম্ভ করিলেন। অতি অল্প সময়েই এক অদ্ভুত দক্ষতার সঙ্গে প্রতিযোগিতা র মূলে সকল বন্ধুদের মধ্য দিয়ে শিশুপাঠ্য সমাপ্ত করিলেন। বালক শঙ্করের অস্বাভাবিক ভগবানে - দেব - দ্বিজে - দীন - দরিদ্র - অতিথি সেবার অত্যন্ত দয়া,সরলতা ইত্যাদি দেখিয়া মুগ্ধ হইয়া পিতৃদেব মাত্র আট বৎসর বয়সে উপনয়ন সংস্কার অনুষ্ঠান সু -সম্পন্ন করিলেন। এবার পিতৃদেব মল্লারপুর এম.ই  স্কুলে ভর্ত্তি কারিয়া দিলেন। ষষ্ঠ শ্রেণীতে সকল বিষয়ে প্রথম শ্রেণীতে পাস করিয়া  সপ্তম শ্রেণীতে ভর্ত্তি হন। শঙ্করের এগার বৎসর বয়সে পিতৃবিয়োগ হয় এবং তের বৎসর বয়সে মাতা,দাদামশায় প্রায় সকল ইহলোক ত্যাগ করিলেন। একজন অভিভাবক অবশ্যই প্রয়োজন এই কথা ভাবিয়া আত্মীয় - স্বজন ও অন্যান্য সকলে মিলে চাপ দিয়া বিবাহ দিয়া দিলেন।বিবাহের পরেও বিশেষ কৃতিত্বের সঙ্গে সর্ববিষয়ে ষ্টার লইয়া মেট্রিক পাস করিলেন।তারপর হেতমপুর কলেজে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্ত্তি হইলেন।স্বার্থান্বেষী আত্মীয়দের বিভিন্ন প্রকার অত্যাচার,ছল - চাতুরী দ্বারা প্রতিহত হইয়া শঙ্করের সংসার জীবনে খুবই প্রতিকূলতা দেখা দেয়। যার কারণে অবশেষ একদিন শঙ্করকে বিদ্যাচর্চ্চা বন্ধ করিতে হয়।  

শ্রীপুর গ্রামটি জুড়িয়া শ্রীশ্রীরাধাগোবিন্দ,রাধাবল্লভ,গোপালজীউ,বলদেব - রেবতী প্রভৃতি মন্দিরে পূর্ণ ছিলেও সকলেই শাক্ত মতাবলম্বী ছিলেন। উক্ত গ্রামটি শ্রীকাশীশ্বর গোস্বামীর শ্রীপাট বলিয়া পরিচিত ছিল।শঙ্করের হৃদয় ঢালা প্রাণবন্ত সুমধুরকন্ঠে হরিনাম - কীর্ত্তন,বিভিন্ন মহাজন পদাবলী গান,গ্রামের বালক,বৃদ্ধ,যুবা,শিশু,নর - নারী সকলকে মুগ্ধ করিয়া পাগল করিয়া দিয়াছেন।এই হরিনাম কীর্ত্তনের মাধ্যমে অনেকের অনেক অলৌকিক কার্য্য সিদ্ধ হইয়াছে।এক সময় কিছুটা দূরের গ্রামে একজন মৃত যুবকের প্রাণ ফিরাইয়া দিয়াছেন এই হরিনামের দ্বারা।বহু রোগ - দুষ্কর ব্যাধি মুক্ত হইয়াছে এই হরিনামের দ্বারা। সমস্ত গ্রাম জুড়িয়া একসময় কলেরা রোগে আক্রান্ত হইয়া বহু মানুষ মারা যাইতেছিল,সকলে আসিয়া শ্রীশঙ্কর প্রভু চরণে পড়িয়া চোখের জলে ভাসাইয়া বলেন বড়ঠাকুর! আপনি আমাদের রক্ষা করুন। আপনি ছাড়া আমাদের আর কেউ নাই । তখন শঙ্কর প্রভু সকলকে লইয়া শ্রীহরিনাম সংকীর্ত্তনের দল গড়ীয়া সমস্ত গ্রামে গ্রামে প্রেমে বিভাবিত হইয়া নৃত্য ও উচ্চেঃস্বরে হরিনাম কীর্ত্তন করিতে থাকিলে সকলেই ঐ যাত্রায় প্রাণ রক্ষা করিয়াছিলেন।

এইভাবে কলিযুগ পাবনবতারী স্বয়ং ভগবান শ্রীমন্মহাপ্রভুর প্রচারিত শ্রীহরিনাম সংকীর্ত্তন রসসিন্ধুতে ভক্তদের সঙ্গে ডুব দিতে দিতে নাম নামী অভিন্ন,শ্রীনামপ্রভু অন্তর্যামী রূপে শঙ্করের অন্তরে প্রেরণা দিলেন কোথায় গেলে আমার প্রাণের প্রিয় বান্ধব শ্রীকৃষ্ণকে পাইব।শুনেছি সদগুরুদেবই তাঁর কথা বলিতে পারেন।এখন সেই গুরুদেব কোথায় কেমন করিয়া পাইব। কেহ বা আমার গুরুদেব।কেমন করিয়া তাঁহার দর্শন পাইব।জীবের মহাভাগ্য থাকিলে তবেই শ্রীকৃষ্ণের প্রিয়জন সদগুরু লাভ হয়।এইভাবে দিনরাত ভগবানের কাছে প্রার্থনা করিতে লাগিলেন।হঠাৎ একদিন শুভরাত্রিতে শুভস্বপ্ন দর্শন করিলেন, ''একজন দিব্য জ্যোতির্ম্ময় পুরুষ পরনে গৌরিক বসন,গলদেশে উত্তরীয়,স্কন্ধে উজ্জ্বল ভাবে উপবীত,কন্ঠে তুলসীর মালা এবং ত্রিদণ্ড ধারণ করতঃ স্বীয় তেজে অপূর্ব্ব এক দিব্য শোভা প্রকাশ করিয়াছিলেন। ঐ মহাপুরুষটির পার্শ্বে এক ব্যক্তি অঙ্গুলি নির্দ্দেশ করিয়া দেখাইয়া বলিতেছেন,-এই মহাপুরুষই তোমার শ্রীগুরুদেব।কি আশ্চর্য্য! যাঁহার জন্য এতকাল ধরিয়া ক্রন্দন,এত খোজ - খুঁজি তিনি আজ স্বয়ং আমার সম্মুখে?'' এই কথা ভাবিতে আনন্দে আত্মহারা হইয়া চোখ দিয়া অজস্র জল ঝরিতে ঝরিতে ঘুম ভাঙ্গিল।পরে সেই গ্রামের তাঁহার মিত্র শ্রীভুজঙ্গভূষণ সহ আলোচনা মাধ্যমে জানিতে পারিলেন যে যাঁকে তিনি শুভ স্বপ্নে দেখেছিলেন তিনি শ্রী শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুর প্রভুপাদ এবং তিনি শ্রীমন্মহাপ্রভুর আবির্ভাবস্থলী শ্রীধাম মায়াপুরে শ্রীচৈতন্যমঠ স্থাপন করিয়াছেন।শ্রীল প্রভুপাদ হরিনাম সংকীর্ত্তনের দ্বারা শ্রীমন্মহাপ্রভুর বিশুদ্ধ নির্ম্মল প্রেমভক্তি ধর্মানুশীলন শিক্ষার এবং প্রচার করিবার জন্য বহু মঠ - মন্দির ও প্রচার কেন্দ্র স্থাপন করিয়াছিলেন।একদিন সাহস করিয়া ট্রেন যোগে একবারে অজানা - অচেনা স্থান শ্রীধাম মায়াপুরে শ্রীগৌরাবির্ভাব শুভ পূর্ণিমা তিথির পূর্ব সন্ধ্যায় কোন পরিচয় ছাড়াই শ্রীযোগপীঠ শ্রীমন্দিরে ঠিক সন্ধ্যার সময় উপস্থিত হইলেন।এখানে - ওখানে দেখিতে দেখিতে শ্রীযোগপীঠ শ্রীমন্দিরে শ্রীলক্ষ্মীপ্রিয়া,শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া সহ শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রীশ্রীরাধাগোবিন্দ ও পঞ্চতত্ত্বের সন্ধ্যা আরতী দর্শন করিলেন।তার কিছুক্ষন পরে যোগপীঠ মন্দিরাঙ্গনে পরিক্রমার বহু যাত্রীর সম্মুখে দিব্যাসনে উপবিষ্ট সেই স্বপ্নদৃষ্ট,আলেখ্য এবং মিত্র মহাশয়ের মুখে শ্রবণীয় দিব্য তেজোময় মহাপুরুষ হরিকথা পরিবেশন করিয়া শুনাইতেছেন।যাঁহাকে দর্শন করিবার জন্য অধীর আগ্রহে ব্যাকুল হৃদয়ে প্রাণপণে ছুটিয়া আসিয়াছেন,তাঁহার প্রথম দর্শনেই শঙ্কর প্রভুর সমস্ত মন - প্রাণ জুড়াইয়া গেল।তাঁহার চিত্তে পরম আনন্দ ও শান্তি লাভ হল।হরিকথা শেষ হেবার পরে সবাইয়ের সাথে তিনিও প্রসাদ পাইলেন আর বিশ্রাম করলেন।সবকিছু সু ব্যবস্থা থাকা হেতু তাঁহার কোন অসুবিধা হল না । পর দিন শ্রীগৌর আবির্ভাব শুভ  তিথিতে তিনি শ্রীল প্রভুপাদের নিকট হরিনাম দীক্ষাগ্রহণ করিলেন। হরিনাম দীক্ষা পরে কিছুদিন শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীচরণে অবস্থান পূর্বক শ্রীগুরুসেবা,গুরুদেবের শ্রীমুখের উপদেশ বাণী শ্রবণ,দৈব বর্ণাশ্রম ধর্ম্ম পালন এবং ভজনপ্রণালী সমূহ বিধি - নিষেধ ইত্যাদি যথাযথ ভাবে শিক্ষা লাভ করিয়া শ্রী শঙ্কর প্রভু পুনরায় পূর্বাশ্রম গৃহে ফেরিয়া আসিলেন।

কয়েক বৎসর যাবৎ একান্ত নিষ্ঠার সহিত প্রত্যহ এক লক্ষ হরিনাম গ্রহণ,গ্রন্থ অনুশীলন,একাদশী পালন,তুলসী সেবা বিভিন্ন স্থানে শ্রীমদ ভাগবত,শ্রীচৈতন্যচরিতামৃত ও চৈতন্যভাগবত আদি পাঠ - কীর্ত্তন দ্বারা অতীব সুন্দর বর্ণাশ্রম ধর্ম্ম পালন এবং বিষয়ের মধ্যে থাকিয়াও বিষয় বৈরাগ্যের সঙ্গে পবিত্র জীবন গঠন করিতে লাগিলেন।শ্রীগুরুদেবের দিব্যদর্শন নিত্যসঙ্গ,হরিকথা শ্রবণ এবং শ্রীচরণ সেবা করিবার প্রবল বাসনা অন্তরে প্রস্তুত হইলে তিনি একদিন স্ত্রী - পুত্র কন্যাদি সকল বিষয় - বৈভবের মোহ - মমতা - আসক্তি পরিত্যাগ করিয়া শ্রীধাম মায়াপুরে শ্রীচৈতন্যমঠে  আসিয়া শ্রীল প্রভুপাদের শ্রীচরণে চিরদিনের মত আশ্রয় ও সেবা করিবার করুণা ভিক্ষা করিলেন।
শ্রীল প্রভুপাদ শঙ্করের এইরূপ সুন্দর পবিত্র বাসনাকে আদার করিয়া এবং তাঁহার নিস্কপট সেবায় খুবই সন্তুষ্ট হইয়া অল্প দিনের মধ্যে কৃষ্ণমন্ত্রে বৈষ্ণবী দীক্ষা প্রদান করিলেন।  তাঁহার দীক্ষা নাম দিলেন 'শ্রীশুভবিলাস দাস ব্রহ্মচারী'।শ্রীল প্রভুপাদের সান্নিধ্যে থাকিয়া নিষ্কপট প্রীতিপূর্বক গুরুসেবানিষ্ঠা,ভজন নিষ্ঠা,হরিকথা শ্রবণে - কীর্ত্তনে অত্যাগ্রহ - রুচি,নিয়মিত শুচি - শুদ্ধতার সঙ্গে গুরু - বৈষ্ণব -ভগবানের সেবার নির্ম্মল আদর্শের দ্বারা অল্পদিনের মধ্যে শ্রীলগুরুদেবের অত্যন্ত প্রীতি ভজন হইলেন।জগতের সমস্ত মানুষের অনন্ত দুঃখ - দুর্দ্দশার হাত থেকে মুক্তিলাভের জন্য পারমার্থিক শিক্ষার বিশেষ প্রয়োজন আছে ,একথা ভাবিয়া শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীশুভবিলাস প্রভুকে শ্রীভক্তিবিনোদ ইনষ্টিটিউট উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্ম্ম শিক্ষক রূপে সেবাকার্য্যে নিযুক্ত করিলেন।

শ্রীপাদ শুভবিলাস প্রভু বিদ্যালয়ের ধর্ম্ম শিক্ষকতার কর্ত্তব্য নিষ্ঠার সহিত পালন করিবার আদর্শ ও গুণ লক্ষ্য করিয়া শ্রীল প্রভুপাদ খুবই সন্তুষ্ট হইয়া শ্রীচৈতন্য মঠ হইতে দৈনিকনদীয়াপ্রকাশ সম্পাদকের কার্য্যে শ্রীপাদ শুভবিলাস প্রভুকে নিযুক্ত করিলেন। শ্রীশুভবিলাস প্রভুর আন্তরিক সেবানিষ্ঠা দেখিয়া,গুরুসেবার আদর্শ এবং নিষ্কপট আত্মসমর্পন মহত্তপূর্ণ চরিত্রে প্রচুর সন্তুষ্ট হইয়া শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীধাম প্রচারিনী সভায় সর্ব্বসমক্ষে শ্রীপাদ শুভবিলাস প্রভুকে  'ভক্তিময়ূখ' বিশেষ উপাধিতে ভূষিত করিলেন।

শ্রীল প্রভুপাদের অপ্রকটের পর কয়েক বৎসর শ্রীচৈতন্য মঠে গুরু স্থানে থাকিয়া সেবা করিলেন।কিন্তু দিনের পর দিন মঠে অশান্তি বাড়িতে থাকিলে তিনি মঠ হইতে বাহির হইয়া ভারতের সমস্ত তীর্থগুলি দর্শন করিয়া একদিন মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত ঝাড়গ্রামে গুরুভ্রাতা পরম পূজ্যপাদ শ্রীল ভক্তিভূদেব শ্রৌতি গোস্বামী মহারাজের প্রতিষ্ঠিত শ্রীশ্রীগৌর সারস্বত মঠে আসিয়া তাঁহার কাছে থাকিলেন।১৩৫৫ বঙ্গাব্দ,১৯৪৮ সালে শ্রীশ্রীল প্রভুপাদের শ্রীব্যাসপূজা তিথি শুভবাসরে শ্রীল প্রভুপাদের অর্চ্চালেখ্যা বিগ্রহের সম্মুখে ত্রিদণ্ড সন্ন্যাস গ্রহণ করিলেন।তাঁহার সন্ন্যাস নাম 'ত্রিদণ্ডিভিক্ষু শ্রীমদ ভক্তিময়ূখ ভাগবত  গোস্বামী মহারাজ' নাম সুপরিচিত ও খ্যাতিলাভ করিলেন।

১৯৫৬ সালে,২৬শে আষাড়,নিজ পূর্ব্বস্থলী চিনপাই গ্রামে পূর্বজীবনের সকল প্রিয়জনের একান্ত আন্তরিক ইচ্ছায়,সহযোগিতায়,পবিত্র প্রীতি ভক্তিতে ১৯৬১ সালে 'শ্রীভাগবত আশ্রম' নাম একটি সুন্দর মঠ মন্দির স্থাপন করিলেন।
শ্রীল গুরুদেবের শ্রীমুখারবিন্দ হইতে হরিকথা মহৎ উপদেশ যাহা লাভ করিয়াছিলেন এবং শ্রীকৃষ্ণচৈতন্যমহাপ্রভুর অমোঘবাণী,পরমসুন্দর প্রেমভক্তি ধর্ম্মের কথা জগৎ এর সমস্ত মানব সমাজ তথা আপামর জীবকুলের পরম মঙ্গল উদ্ধারের নিমিত্ত বিপুল সমারোহে প্রচার করিবার,জানাইবার জন্য রাইপুর,চিনপাই,সিউড়ি,পুরুলিয়া ইত্যাদি বিভিন্ন স্থানে পরম রমণীয় মঠ - মন্দির প্রচার কেন্দ্র এবং শ্রীবিগ্রহাদি প্রকাশ করিয়া শিষ্যাদি করতঃ পরম সুখে,পরম ভক্তিসহকারে শ্রীশ্রীগুরু - বৈষ্ণব - ভগবানের সেবা করিতে লাগিলেন এবং সমস্ত জগৎ কে শিক্ষা দিতে দিতে শ্রীশ্রীগৌর - গোবিন্দের জগৎ এর পরম মঙ্গল ময় নির্দ্দেশ পালন কর্ত্তব্য - কার্য্য সমাপ্ত করিয়া পুনঃ পূর্ব্বলীলায় তথা নিত্য গোলক - বৃন্দাবনীয় লীলারাজ্যে ''১৩৯৩ বঙ্গাব্দ ১২ই পৌষ,ইং ১৯৮৬ সাল ২৪শে ডিসেম্বর,কৃষ্ণা দ্বাদশী তিথি সকাল .০৫ মিঃ প্রবেশ করিলেন।

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...