(
বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভু)
''বৃন্দাবনাবনিপতে
! জয় সোম ! সোম মৌলে !
সনক - সনন্দন - সনাতন
- নারদেয়
গোপীস্বর ! ব্রজবিলাসী
- যুগাংঘ্রি - পদ্মে
প্রীতিং প্রয়চ্ছ নিতরাং
নিরুপাধিকাং মে।।''
‘’নিম্নগানাং যথা গঙ্গা দেবানামচ্যুতো যথা।
বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভুঃ পুরাণানামিদং তথা।।‘’
অর্থাৎ- নদীসমূহের মধ্যে গঙ্গা, দেবগণের মধ্যে বিষ্ণু এবং বৈষ্ণবগণের মধ্যে শম্ভু(শিব) যেরুপ শ্রেষ্ঠ, সেইরুপ পুরাণগণের মধ্যে এই শ্রীমদ্ভাগবত শ্রেষ্ঠ হইয়া থাকে। (ভাগবত- ১২/১৩/১৬)
বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভুঃ পুরাণানামিদং তথা।।‘’
অর্থাৎ- নদীসমূহের মধ্যে গঙ্গা, দেবগণের মধ্যে বিষ্ণু এবং বৈষ্ণবগণের মধ্যে শম্ভু(শিব) যেরুপ শ্রেষ্ঠ, সেইরুপ পুরাণগণের মধ্যে এই শ্রীমদ্ভাগবত শ্রেষ্ঠ হইয়া থাকে। (ভাগবত- ১২/১৩/১৬)
ভাগবতের বর্ণনা অনুয়ায়ী
শিব দ্বাদশ মহাজনের অন্যতম এবং বৈষ্ণবশ্রেষ্ঠ( বৈষ্ণবানাং যথা শম্ভু)। তাই গোপালভট্ট
গোস্বামী হরিভক্তিবিলাসে(১৪/৬৬)
শ্লোকে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন…
শ্লোকে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন…
কার্যংগুণাবতারত্বেনৈক্যাদ্রুদ্রস্য
বৈষ্ণবৈঃ।
বৈষ্ণবাগ্র্যতয়া শ্রৈষ্ঠাৎসদাচারাচ্চ তদ্ব্রতম্।।
বৈষ্ণবাগ্র্যতয়া শ্রৈষ্ঠাৎসদাচারাচ্চ তদ্ব্রতম্।।
অর্থাৎ -‘’শিব ভগবানের
গুণাবতার এবং বৈষ্ণব প্রাধান্যরূপে শ্রেষ্ঠতা বশতঃ ও সদাচার হেতু শিবরাত্রিব্রত করা
বৈষ্ণবের কর্তব্য।"
ক্ষীরং যথা দধি বিকারবিশেষযোগাৎ
সঞ্জায়তে ন হি ততঃ পৃথগস্তি হেতোঃ ।
যঃ শম্ভু তামপি তথা সমুপৈতি কার্যাদ্
গোবিন্দমাদিপুরুষং তমহং ভজামি ।।
“দুগ্ধ যেমন বিকার-বিশেষযোগে দধিতে
পরিণত হয়, যা কারণরুপে দুগ্ধ, দুগ্ধ
হতে পৃথক নয়, তেমনি যিনি কার্য্য বশতঃ শম্ভুতা প্রাপ্ত হন এবং সে আদি পুরুষ গোবিন্দকে আমি ভজনা করি।“ (ব্রহ্মসংহিতায় )
শ্রীভগবান বললেন,
মৎপ্রাপ্তয়েহজেশসুরাসুরাদয়স্তপ্যন্ত উগ্রং তপ ঐন্দ্রিয়েধিয়ঃ।
ঋতে ভবৎপাদপরায়ণান্ন মাং বিন্দন্ত্যহং ত্বদ্ধৃ দয়া যতোহজিত।।
মৎপ্রাপ্তয়েহজেশসুরাসুরাদয়স্তপ্যন্ত উগ্রং তপ ঐন্দ্রিয়েধিয়ঃ।
ঋতে ভবৎপাদপরায়ণান্ন মাং বিন্দন্ত্যহং ত্বদ্ধৃ দয়া যতোহজিত।।
অর্থাৎ- হে অজিত, ইন্দ্রিয়সুখভোগবিষয়ে আবিষ্টাচিত্ত ব্রহ্মা, রুদ্র এবং অন্যান্য সুর ও অসুরগণ আমাকে প্রাপ্ত হইবার জন্য উগ্র তপস্যা করিয়া থাকেন। কিন্তু ভবদীয় পাদানুরক্তি ব্যতীত তাঁহারা আমার কটাক্ষ বিলসিত ঐশ্বর্য্য লাভ করিতে পারেন না। যেহেতু আপনাতেই (রুদ্র তেই ) আমার হৃদয় নিহিত রহিয়াছে। অতএব আমি আপনার (রুদ্র )ভক্তকেই অনুগ্রহ করিয়া থাকি, অপরে আমার অনুগ্রহ লাভ করিতে পারে না। (ভাগবত- ৫/১৮/২২)
পরম বৈষ্ণব
শিব শ্রীপার্বতীকে বললেন,
“তমেব তপসা নিত্যং ভজামি স্তৌমি চিন্তয়ে।
তেনাদ্বিতীয়মহিমো জগৎপূজ্যোহস্মি পার্ব্বতি।।”
“তমেব তপসা নিত্যং ভজামি স্তৌমি চিন্তয়ে।
তেনাদ্বিতীয়মহিমো জগৎপূজ্যোহস্মি পার্ব্বতি।।”
অর্থাৎ- হে পার্বতী, আমি তপস্যা দ্বারা তাহাকেই(বিষ্ণু) নিত্য ভজনা, স্তব এবং ধ্যান করিয়া থাকি, তাহাতেই আমি জগৎপূজ্য এবং অদ্বিতীয় মহিমান্বিত হইয়াছি। (নারদপঞ্চরাত্র- ৪/৩/৪)
স্বয়ং ভগবান
শ্রীহরি কুর্মপুরাণে ভৃগুমুনিকে লক্ষ্য করে বলছেন যথা ( হরিভক্তি বিলাস ১৪/৬৫ ধৃত কুর্মপুরাণ
বচন)-
যো মাংসমর্চয়েন্নিত্যমেকান্তং ভাবমাশ্রিতঃ।
বিনিন্দিন্দেবমীশানং স যাতি নরকাযুতম্।।
মদ্ভক্তঃশঙ্করদ্বেষী মদ্দ্বেষী শঙ্করপ্রিয়ঃ।
উভৌ তৌ নরকংযাতৌ যাবচ্চন্দ্রদিবাকরৌ।।
অর্থাৎ - হে ভৃগু,মহাদেবের
নিন্দা পূর্বক
নিরন্তর একান্তভাবে আমার অর্চনা করলেও তাকে অযুত সংখ্যক নরকে গমন করতে হয়। আমার ভক্ত
শিববিদ্বেষী হলে অথবা শিবভক্ত আমার প্রতি বিদ্বেষী হলে আপ্রলয় পর্যন্ত তাদের নরকে বাস
হয়।"
হয়।"
দ্বাদশ জ্যোতির্লিঙ্গ
স্তোত্রম…
সৌরাষ্ট্রে সোমনাথং চ শ্রীশৈলে মল্লিকার্জুনম্।
উজ্জয়িন্যাং মহাকালমোঙ্কারামমলেশ্বরম্।।
পরল্যাং বৈদ্যনাথং চ ডাকিন্যাং ভীমশঙ্করম্।
সেতুবন্ধে তু
রামেশং নাগেশং দারুকাবনে।।
বারাণস্যাং তু
বিশ্বেশম ত্র্যম্বকং গৌতমীতটে।
হিমালয়ে তু
কেদারং ঘুশ্মেশং চ শিবালয়ে।।
এতানি জ্যোতির্লিঙ্গানি সায়ং প্রাতঃ পঠেন্নরঃ।
সপ্তজন্মকৃতং পাপং স্মরণেন বিনশ্যতি।।
এতেশাং দর্শনাদেব পাতকং নৈব
তিষ্ঠতি।
কর্মক্ষয়ো ভবেত্তস্য যস্য তুষ্টো মহেশ্বরাঃ।।
শিবের
প্রণাম
''ওঁ
নমঃ শিবায় শান্তায় কারণত্রয়হেতবে ।
নিবেদয়ামি
চাত্নানং ত্বং গতিঃ পরেমেশ্বর ।।
ওঁ
নমস্তে ত্বাং মহাদেব লোকানং গুরুমীশ্বরং।
পুংসামপূর্ণকামান্
পূরয় শঙ্কর ।।''
No comments:
Post a Comment