শ্রীল পুরুষোত্তম ঠাকুর
আবির্ভাব
''সদাশিব কবিরাজ মহাভাগ্যবান।
যাঁর পুত্র পুরুষোত্তমদাস নাম।।
বাহ্য নাহি পুরুষোত্তমদাসের শরীরে।
নিত্যানন্দচন্দ্র যাঁর হৃদয়ে বিহরে।।''
''সদাশিবসুতো নাম্না নাগরঃ পুরুষোত্তমঃ।
বৈদ্যবংশোদ্ভবো নাম্না দাম যো বল্লবো ব্রজে।।''
'ব্রজে যিনি দাম' নামক গোপ ছিলেন,তিনিই বৈদ্যবংশোদ্ভব সদাশিবের পুত্র নাগর পুরুষোত্তম। 'দাম' দ্বাদশ গোপালের অন্যতম।ব্রজলীলায় শ্রীপুরুষোত্তম ঠাকুর কৃষ্ণের বাল্যক্রীড়ার সঙ্গী।
কংসারি সেন,তাঁহার পুত্র সদাশিব কবিরাজ,তাঁহার পুত্র শ্রীপুরুষোত্তম ঠাকুর,তাঁহার পুত্র শ্রীকানু ঠাকুর,-এইভাবে চারি পুরুষ পর্য্যন্ত ইঁহারা সিদ্ধ গৌরভক্ত পার্ষদ ছিলেন।কংসারি সেন ব্রজলীলায় 'রত্নাবলী',সদাশিব কবিরাজ 'চন্দ্রাবলী'।(গৌরাগণোদ্দেশ দীপিকা)
শ্রীপুরুষোত্তম ঠাকুরের পত্নীর নাম শ্রীজাহ্নবা দেবী।পুত্র কানুঠাকুরের শৈশবস্থায় মাতৃবিয়োগ হয়।শ্রীমন্নিত্যানন্দ প্রভু ইঁহার নাম 'শিশুকৃষ্ণদাস' রাখিয়াছিলেন।কথিত হয় যে,শ্রীমন্নিত্যানন্দশক্তি শ্রীজাহ্নবাদেবী শিশু কানুঠাকুরকে পালন করিয়াছিলেন এবং তাঁহাকে বৃন্দাবনে লইয়া গিয়াছিলেন।কাহারও মতে কানুঠাকুর দ্বাদশ গোপালের অন্যতম।জিরাটনিবাসী শ্রীমাধবাচার্য্যও শ্রীপুরুষোত্তম ঠাকুরের শিষ্য ছিলেন।
শ্রীপুরুষোত্তম ঠাকুরের শ্রীপাট সম্বন্ধে শ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুর এইরূপ লিখিয়াছেন,-নদীয়া জেলান্তর্গত চাকদহ ও শিমুরালির মধ্যবর্ত্তী স্থানে সুখসাগরে ইঁহার শ্রীপাট ছিল।শ্রীপুরুষোত্তম ঠাকুরের সেবিত বিগ্রহগণ প্রথমে বেলেডাঙ্গা গ্রামে বিরাজিত ছিলেন। উহা ধ্বংস হইলে ক্রমশঃ সুখসাগরে,পরে সাহেবডাঙ্গা বেরিগ্রামে শ্রীজাহ্নবামাতার মন্দিরে শ্রীবিগ্রহগণের সহিত শুভাগমন করিলেন।বেরিগ্রামও ধ্বংস হইলে পুনঃ শ্রীজাহ্নবা মাতার বিগ্রহগণের সহিত ঠাকুরের বিগ্রহ ভাগীরথী
তীরে চাঁন্দুড় গ্রামে আসিয়া বিরাজিত হইলেন।
শ্রীপুরুষোত্তম
এক সময় প্রেমোন্মত্ত হইয়া সর্প বিষ ভক্ষণ করিয়াছিলেন। তাহাতেও তাঁহার কোনও বিকার হয়
নাই। এই অলৌকিক শক্তি দেখিয়া সকলেই আশ্চর্য্যান্বিত হইয়াছিলেন।
No comments:
Post a Comment