Monday, February 10, 2020


~~~" যত মত তত পথ " এই কথার তাৎপর্য্য ~~~~
* যে যে লইল শ্রী অচ্যুতানন্দের মত।
সেই-আচার্য্যের গণ মহাভাগবত।।
*
অচ্যুতের যেই মত, সেই মত সার।
আর যত মত সব হৈল ছারখার ।।
অনুবাদঃ -- অচ্যুতের মতই সার।
ইনি বাল্যকালেই তাহা প্রকাশ
করিয়াছেন। একদিন সীতাদেবী শ্রীগৌরাঙ্গের সেবার জন্য কয়েকটি কলা রাখিয়াছিলেন। অচ্যুত সেই কলা খাইয়া ফেলিলেন। সীতাদেবী ইহাতে দুঃখ করিলেন। অচ্যুত বলিলেন 'মা, তুমি দুঃখ কর কেন ? আমি গৌরকে দিয়া খাইয়াছি। 'মা ভাবিলেন, অচ্যুত প্রহারের ভয়ে বোধকরি এই কথা বলিলেন।এমন সময় শ্রীগৌরাঙ্গ আসিয়া উপস্থিত। তিনি ঢেকুর দিতে দিতে বলিলেন,'মা, কলা যাহা খাওয়াইয়াছ, উহা বড়ই সুস্বাদু ছিল, সকলে ঢেকুর হইতে কলার গন্ধ
পাইলেন। সীতাদেবী অচ্যুতকে কোলে করিয়া প্রেমাশ্রু বিসর্জন করিতে করিতে কহিলেন,'বাছা,তুই- ভক্ত !

আমি গৌরাঙ্গকে কলা খাওয়াইতে পারিলাম না। তুই- খাওয়াইলি। শেষে জানা গেল অচ্যুত  ‘’শ্রীগৌরাঙ্গ নম’’বলিয়া প্রভুকে কলা অর্পণ করিয়াছিলেন।আবার তাহার পিতা অদ্বৈতকে অচ্যুত বলিয়াছিলেন,
"শ্রীগৌরাঙ্গ চৌদ্দ ভুবনের গুরু। তাহারগুরু কল্পনা করা অশাস্ত্রীয়।"
শ্রী অদ্বৈত এই কথার পরম পরিতুষ্ট হইয়া বালককে কোলে করিয়া প্রেমাশ্রু
করিয়াছিলেন। অচ্যুতানন্দ গৌর সেবারই আত্মনিয়োগ করিয়াছিলেন। সুতরাং গৌরভজনই অচ্যুতানন্দের মত।

"
অদ্যাপি সেই লীলা করে গৌররায়।
কোন কোন ভাগ্যবানে দেখিবারে পায়।।"

ছারখার ______ ভস্মসাৎ।
ইহাদ্বারা তাচ্ছিল্য বা ভজনবিশেষের উপর কটাক্ষ করা হয় নাই।
শ্রীকৃষ্ণ গীতায় বলিয়াছিলেন, "মম বর্ত্নানুবর্ত্তন্তে মনুষ্যাঃ পার্থ সর্ব্বশঃ ।। "

পরমহংসদেব সেদিন বলিয়াছিলেন বটে,যত মত তত পথ। সকল পথই তাহারই পথ বটে। কিন্তু কোনটি দুর্গম,কোনটি সুগম, কোনটি সর্ব্বাপেক্ষা সুগম
পরমানন্দময়। কলিহত দুর্ব্বল জীবের পক্ষে শ্রীগৌরাঙ্গ ভজনই  সর্ব্বাপেক্ষা সুগম সুখকর।
ইহাই প্রতিপন্ন করা উদ্দেশ্য। বিভিন্ন দেব-দেবী পূজা, যাগযজ্ঞ, কত কি
আনুষ্ঠানিক কর্ম্ম, সকলই অপ্রয়োজন এই সুখের জন্যই হউক, পরমার্থিক
মঙ্গলের জন্যই হউক, ব্যাপকভাবে জীবগণের কল্যাণ কামনা করিয়াই
হউক I গৌরভজনে সর্ব্বার্থ  সিদ্ধি হয়,পঞ্চম পুরুষার্থ প্রেম পর্য্যন্ত লাভ হয় I হিংসা -দ্বেষ - অসুর প্রভৃতিবিবর্জিত হইয়া এই ভূলোকে গোলোক স্থাপিত হয়।

সর্বদা শ্রীমুখে ‘’হরে কৃষ্ণ হরে হরে’’
বলিতে আনন্দ-ধারা নিরবধি ঝরে॥
                                         (
চৈঃ ভাঃ /১৯৯)
কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্রের এইত স্বভাব।
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব॥
                                        (
চৈঃ চঃ /৮৩)
গৌর যে শিখাল নাম সেই নাম গাও।
অন্য সব নাম-মাহাত্ম্য সেই নামে পাও॥

সদা জপ করুন
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে I
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে I I

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...