Friday, January 10, 2020

হরি ভজনে অপরাধ
 "কোটি জন্ম করে যদি নাম সংকীর্ত্তন ।
তথাপি না পায় ব্রজে ব্রজেন্দ্রনন্দন।।"

তা হলে প্রত্যেক দিন ১৬ মালা জপ করে কি লাভ হবে???
উত্তরঃ- অপরাধশূন্য হয়ে নামকীর্ত্তন  করতে শাস্ত্রে নির্দেশ করা হয়েছে। নামপরাধযুক্ত ব্যক্তির শ্রীকৃষ্ণ পাদপদ্মে মতি হয় না। যদিও তারা কৃষ্ণনাম করে। অপরাধ থেকে সতর্ক হতে হবে।
নামকীর্ত্তন কারীর উদ্দেশ্যে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু নির্দেশ দিয়েছেন

‘’তৃণাদপি সুনিচেন তরোরপি সহিষ্ণুনা।
অমানীনা মানদেন কীর্তনীয়ঃ সদা হরিঃ।।‘’

"
তৃণ-লতার অপেক্ষাও নিজেকে তুচ্ছ মনে করে, তরুর চেয়েও সহিষ্ণু হয়ে, স্বয়ং
অমানী হয়ে অপরকে মান দিয়ে সর্বক্ষণ হরিনাম কীর্ত্তন করা উচিত। তা হলে তিনি কৃষ্ণপ্রেম লাভ করার যোগ্য হবেন।"
শ্রীল গোপাল ভট্ট গোস্বামী উল্লেখ করেছেন

‘’অতঃ শ্রীকৃষ্ণনামাদি ভবেদ্গ্রাহ্যমিন্দ্রিয়ৈঃ।
সেবোন্মুখে হি জিহ্বাদৌ স্বয়মেব স্ফুরত্যদঃ।।‘’

শ্রীকৃষ্ণের অপ্রাকৃত নাম কখনও প্রাকৃত ইন্দ্রিয় দ্বারা গ্রাহ্য নয়; জীব যখন কৃষ্ণসেবার প্রতি উন্মুখ হয়, তখনই অপ্রাকৃত জিহ্বাদি ইন্দ্রিয়ে কৃষ্ণনাম স্বয়ং স্ফূর্তি লাভ করে।
কৃষ্ণনাম যদিও আমাদের মতো অভাগা জীবের অপরাধ বিচার করেন তবুও অত্যন্ত কৃপাময় মহাবদান্য অবতার শ্রীগৌরহরি এবং শ্রীনিত্যানন্দ প্রভুর পাদপদ্মের শরণ নিয়ে কৃষ্ণনাম কীর্ত্তন করলে অপরাধ মার্জিত হয় এবং নাম প্রবর্তক মহাপ্রভুর অশেষ কৃপা লাভ হয়।
আমাদের মতো বদ্ধ চঞ্চল জীব দশ মিনিটও সুস্থির চিত্তে শ্রীকৃষ্ণের দিব্য নাম জপ করতে পারে না। তাই অতীব কৃপাপূর্বক মহাপ্রভুর প্রিয়জন যাঁরা আমাদের গুরুরূপে সারা জগৎ এ কৃষ্ণ নাম বিতরণ করছেন, তাঁরা ন্যূনতম পক্ষে ১৬ মালা জপ করতে নির্দেশ দিয়েছেন। অতএব  শ্রীগুরু-গৌরাঙ্গের আনুগত্যে চললে ভয়ের কোনও কারণ নেই।

‘’ঠাকুর বৈষ্ণব পদ অবনীর সুসম্পদ
শুন ভাই,হইয়া এক মন I
আশ্রয় লইয়া ভজে,তারে কৃষ্ণ নাই ত্যজে
আর সব মরে অকারণ II’’  
(শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর)

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...