‘সাধন
বিনা সাধ্য বস্তু কভু নাই পায়’ I
সনাতন গোস্বামী শ্রীচৈতন্য
মহাপ্রভুর নিকট
যাওয়ার পূর্বে হুসেন শাহার প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।
তিনি বলেছিলেন, "লোকেরা
আমাকে বড় পণ্ডিত মনে করে,কিন্তু আসলে আমি অনেক বড় বোকা। কেননা আমি জানিনা
আমি কে?
আমার
কী করা উচিত ?
তাই, শ্রীচৈতন্য
মহাপ্রভুকে জিজ্ঞাসা
করিলেন
হে প্রভু ! কৃপাপূর্বক
আমাকে উজ্জীবিত করুন।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁকে বললেন, "জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্য দাস, জীব অন্তরঙ্গভাবে পরমেশ্বর ভগবানের নিত্য সেবক।
সুতরাং কখনও আমরা মনে করব না যে গুরু, গৌরাঙ্গ ও কৃষ্ণের সাথে যুক্ত হওয়া কঠিন। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং আপনাকে ক্রমান্বয়ে যেতে হবে।
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু তাঁকে বললেন, "জীবের স্বরূপ হয় কৃষ্ণের নিত্য দাস, জীব অন্তরঙ্গভাবে পরমেশ্বর ভগবানের নিত্য সেবক।
সুতরাং কখনও আমরা মনে করব না যে গুরু, গৌরাঙ্গ ও কৃষ্ণের সাথে যুক্ত হওয়া কঠিন। এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া এবং আপনাকে ক্রমান্বয়ে যেতে হবে।
শ্রীমদ্ভাগবতে শুকদেব গোস্বামী,
পরীক্ষিত
মহারাজ কে বলেছিলেন হে রাজন! কলিযোগে ধর্মের এক চতুর্থাংশ ভাগই শুধু অবশিষ্ট থাকে। নিত্য বর্ধমান অধর্মের প্রভাবে সেই অবশিষ্ট ভাগটিও অবিরাম হ্রাস পেতে থাকবে এবং অবশেষে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। যখন প্রতারণা, মিথ্যা ভাষণ, তন্দ্রা, নিদ্রা, হিংসা, বিষাদ, শোক, মোহ, ভয় এবং দারিদ্রতা প্রাধান্য পায়, তমোগুণ প্রধান সেই যুগই হচ্ছে কলিযুগ । হে রাজন্, যদিও কলিযুগ হচ্ছে এক দোষের সাগর, তবুও তার একটি মহান গুণ আছে,- শুধুমাত্র হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করার মাধ্যমে মানুষ জড় বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে পরমধামে উন্নীত হবেন I সত্যযুগে শ্রীবিষ্ণুর ধ্যান করে, ত্রেতাযুগে যজ্ঞ অনুষ্ঠান করে এবং দ্বাপর যুগে ভগবানের চরণ পরিচর্যার মাধ্যমে যা কিছু (ফল) লাভ হয়, কলিযুগে শুধুমাত্র হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র কীর্ত্তন করার মাধ্যমেই সেই ফল লাভ হয়ে থাকে।
আমাদেরকে ভগবান
সম্পর্কে শ্রবণ
করার আকাঙ্ক্ষা তৈরি
করতে হবে।
শ্রীমন্মহাপ্রভু বলেছেন
‘সাধন বিনা সাধ্য বস্তু কভু নাই পায়’ I
‘’আদৌ শ্রদ্ধা, তত সাধুসঙ্গ, তত ভজন ক্রিয়া,তত অনর্থ নিবৃত্তি, তত নিষ্ঠা, তত আসক্তি, তত ভাব, তত প্রেম I’’
আমরা সবাইকে এইভাবে ক্রমান্বয়ে ‘ভজন’
করে পঞ্চম পুরুষার্থ কৃষ্ণপ্রেম প্রাপ্ত করিতে হবে I
শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য মহাপ্রভুর উপদেশ
আপনে সবারে প্রভু করে উপদেশে।
কৃষ্ণ-নাম মহা-মন্ত্র শুনহ হরিষে-॥
কৃষ্ণ-নাম মহা-মন্ত্র শুনহ হরিষে-॥
‘হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥
প্রভু বলে, - কহিলাম এই ‘মহামন্ত্র’।
ইহা ‘জপ’ গিয়া সবে করিয়া নির্বন্ধ॥
ইহা ‘জপ’ গিয়া সবে করিয়া নির্বন্ধ॥
ইহা হইতে সর্ব-সিদ্ধি হইবে সবার।
সর্বক্ষণ বল ইথে বিধি নাহি আর॥
সর্বক্ষণ বল ইথে বিধি নাহি আর॥
কি ভোজনে, কি শয়নে, কিবা জাগরণে।
অহর্নিশি চিন্ত কৃষ্ণ বলহ বদনে॥
অহর্নিশি চিন্ত কৃষ্ণ বলহ বদনে॥
দশ-পাঁচ মিলি নিজে দ্বারেতে বসিয়া।
কীর্তন করহ সবে হাতে তালি দিয়া॥
কীর্তন করহ সবে হাতে তালি দিয়া॥
সন্ধ্যা হৈলে আপনার দ্বারে সবে মিলি।
কীর্ত্তন করেন সবে দিয়া করতালি॥
কীর্ত্তন করেন সবে দিয়া করতালি॥
এই মত নগরে নগরে সংকীর্ত্তন ।
করাইতে লাগিলেন শচীর নন্দন॥
(চৈঃ ভাঃ ম ২৩)
সর্বদা শ্রীমুখে ‘’হরে কৃষ্ণ হরে হরে’’।
বলিতে আনন্দ-ধারা নিরবধি ঝরে॥
(চৈঃ ভাঃ আ ১/১৯৯)
কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্রের এইত স্বভাব।
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব॥
(চৈঃ চঃ আ ৭/৮৩)
গৌর যে শিখাল নাম সেই নাম গাও।
অন্য সব নাম-মাহাত্ম্য সেই নামে পাও॥
করাইতে লাগিলেন শচীর নন্দন॥
(চৈঃ ভাঃ ম ২৩)
সর্বদা শ্রীমুখে ‘’হরে কৃষ্ণ হরে হরে’’।
বলিতে আনন্দ-ধারা নিরবধি ঝরে॥
(চৈঃ ভাঃ আ ১/১৯৯)
কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্রের এইত স্বভাব।
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব॥
(চৈঃ চঃ আ ৭/৮৩)
গৌর যে শিখাল নাম সেই নাম গাও।
অন্য সব নাম-মাহাত্ম্য সেই নামে পাও॥
সদা জপ করুন
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে I
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে I I
No comments:
Post a Comment