হরির নামের ফল
বহু পূর্বে গয়ায় এক ব্রাহ্মণ বাস করত।সে খুব অনাচারী ছিল।ব্রাহ্মণ হয়ে সে চর্ম্ম পাদুকা বেচা কেনার কাজ করত।এক মুচির সঙ্গে সে এই ব্যবসা করত।ব্রাহ্মণ এর কাজ তিন সন্ধ্যা গায়ত্রী পাঠ করত না।হরির ভজনা করার সময় দিনের বেলায় তার ছিল না।সন্ধ্যাকালে বাড়ী ফিরে স্নান করে সে রান্না করত এবং খাবার প্রস্তুত হলে ভগবানকে সমর্পণ করে সে খাবার খেত।শয়নের সময় হরিনাম নিয়ে সে শয়ন করত।হঠাৎ একদিন সে রাত্রিবেলায় সর্পাঘাতে মারা গেল।যমদূতরা নিয়ে যেতে এলে সেখানে বিষ্ণুদূতরা এসে সেই ব্রাহ্মণকে নিয়ে গেল বৈকুণ্ঠধামে।তখন যমদূতরা রেগে গিয়ে ধর্মরাজকে বলল আমরা আর এই কাজ করব না। কারণ,যে ব্রাহ্মণ সব সময় নীচ কাজ করত তাকে কেন বিষ্ণুদূতরা নিয়ে গেল? তখন চিত্রগুপ্ত তার খাতা দেখে বলল যে,সেই ব্রাহ্মণ শয়নের সময় হরি নাম নিয়েছিল এই জন্য বিষ্ণুদূতরা নিয়ে গিয়েছে।এরপর ধর্মরাজ বিশদভাবে তাদের বোঝালেন !!
শয়নে ও মরনে যারা হরিনাম নেয় তাদের তোমরা নিয়ে এস না।মরনের সময় যারা গঙ্গা পায় তাদের তোমরা নিয়ে এস না।যাদের গলায় রুদ্রাক্ষ ও তুলসী মালা থাকে,যাদের হরি - হরের কবচ থাকে,যাদের কপালে গঙ্গামাটির তিলক থাকে,যাদের তুলসী বেদীর মাটি ও তুলসী পাতা অঙ্গে থাকে তাদেরকে তোমরা কদাচ ছোঁবে না।যারা মরনকালে গুরুদর্শন পায় তাদেরকেও তোমরা ছোঁবে না।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে I
শয়নে ও মরনে যারা হরিনাম নেয় তাদের তোমরা নিয়ে এস না।মরনের সময় যারা গঙ্গা পায় তাদের তোমরা নিয়ে এস না।যাদের গলায় রুদ্রাক্ষ ও তুলসী মালা থাকে,যাদের হরি - হরের কবচ থাকে,যাদের কপালে গঙ্গামাটির তিলক থাকে,যাদের তুলসী বেদীর মাটি ও তুলসী পাতা অঙ্গে থাকে তাদেরকে তোমরা কদাচ ছোঁবে না।যারা মরনকালে গুরুদর্শন পায় তাদেরকেও তোমরা ছোঁবে না।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে I
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে I I
No comments:
Post a Comment