নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদন্ডী স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তি স্বরূপ পর্ব্বত গোস্বামী মহারাজ
(তিরোভাব)
হরে কৃষ্ণ,আগামী ৩০/০১/২০২০ ইং রোজ - বৃহস্পতিবার শ্রীমদ্ভক্তি স্বরূপ পর্ব্বত গোস্বামী মহারাজের তিরোভাব
শ্রীমদ্ভক্তি স্বরূপ পর্ব্বত গোস্বামী মহারাজ
১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দে গুরুপূর্ণিমা তিথিতে নবদ্বীপের অন্তর্গত গোদ্রুম দ্বীপে আবির্ভূত হইয়াছিলেন। তাঁহার বাল্যকালের নাম ছিল বাদল এবং পিতার নাম ছিল পঞ্চুগোপাল বেদান্তদেশিক।বাদলের মাতা শ্রীল ভক্তিবিনোদঠাকুরের শিষ্যা ছিলেন।সেইজন্য শিশু কাল হইতে ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের কাছে হরিকথা শ্রবণ করিতে আসিতেন।শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুরের আদেশে তিনি কৃষ্ণদাস বাবাজী মহারাজের নিকট হরিনাম গ্রহণ করিয়াছিলেন। ১৯০০ খ্রীষ্টাব্দে,১৬ বছর বয়সে বিবাহ করিলেন।
১৯০৫ খ্রীষ্টাব্দে,শ্রীল প্রভুপাদের নিকট দীক্ষা গ্রহণ করিয়া পুরীতে চটকপর্ব্বতে নির্জনে ভজন আরম্ভ করিলেন ।দীক্ষার নাম হইল 'শ্রীপাদ হরিপদদাস ব্রহ্মচারী।প্রথমে তিনি জগন্নাথের প্রসাদের জন্য ৪-৫০ টাকা প্রতিমাসে ব্যয় করিতেন।শ্রীল প্রভুপাদের পত্র আদানপ্রদানকালে নির্দেশ দিলেন ভিক্ষালব্ধ পয়সার দ্রব্য নিজে রন্ধন করিবেন। গান্ধর্ব্বিকাগিরিধারীকে
অর্পণ করিয়া প্রসাদ গ্রহণ করিবেন। সেইদিন থেকে
নিজে রন্ধন করিয়া ভগবানকে অর্পণ করিতেন এবং সেই ৪/৫০ পয়সা ব্যয় হইত ।শ্রীল ভক্তিবিনোদ
ঠাকুরের অপ্রকটের সময় তিনি মায়াপুরে আসিয়াছিলেন।১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দে,শ্রীল প্রভুপাদের
নিকট সন্ন্যাস গ্রহণ করিলেন।শ্রীল প্রভুপাদ তাঁহার সন্ন্যাস নাম দিলেন ''ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তিস্বরূপপর্ব্বত
মহারাজ''। সন্ন্যাসের পরে তিনি চারিধাম পদব্রজে
যাত্রা করিয়াছিলেন।শ্রীল প্রভুপাদের নির্দেশে শ্রীল পর্ব্বত মহারাজ উৎকলদেশে প্রচার
কার্য্যে রত ছিলেন।
১৯৪৮ খ্রীষ্টাব্দে,ময়ূরভঞ্জ জেলার অন্তর্গত কপ্তিপদা রাজা,
মঠ করিবার জন্য ১০ বিঘা ঘরবাড়ী আর ১৬ বিঘা চাষের জমি দান করিলেন। শ্রীল পর্ব্বত মহারাজ
শ্রীল প্রভুপাদের পাদপীঠ কুয়ামারা হইতে মাটি আনিয়া মঠের ভিত্তি স্থাপন করিলেন।এইটি
গুরুভক্তির পরাকাষ্ঠা।মঠের নাম 'শ্রীবার্ষভানবীদয়িত গৌড়ীয়মঠ' উদ্লাতে স্থাপন করিলেন। তিনি শ্রীভক্তিবিনোদবাণী
প্রচারসভা গঠন করিয়াছিলেন। এই প্রচার সভার সভ্য শ্রীল প্রভুপাদের শিষ্য,'শ্রীভক্তিস্বরূপ
সজ্জন মহারাজ' দাসমহাপাত্র। শ্রীল প্রভুপাদের শিষ্য শ্রীল পর্ব্বতমহারাজের নিকট সন্ন্যাস গ্রহণ
করিয়াছিলেন।
শ্রীল মহারাজ ১৯৫৭ খ্রীষ্টাব্দে বসন্ত পঞ্চমী তিথিতে উদলা
মঠে শ্রীরাধাকৃষ্ণের নিত্যলীলায় প্রবেশ করিলেন।
No comments:
Post a Comment