শ্রীল জগদীশ পণ্ডিত
(আবির্ভাব)
''অপরে যজ্ঞপত্নৌ শ্রীজগদীশ হিরণ্যকো I
একাদশ্যাং যয়োরন্নং প্রাথয়িত্বাহযসৎ প্রভুঃ II’’
‘’আসীদ ব্রজে চন্দ্রহাসো নর্ত্তকো রসকোবিদঃ I
সোহয়ং নৃত্যবিনোদী শ্রীজগদীশখ্যঃ পণ্ডিতঃ I I’’
আজ বৈষ্ণব ঠাকুর শ্রীল জগদীশ পণ্ডিত প্রভুর শুভ আবির্ভাব তিথি I শ্রীকৃষ্ণ লীলায় যাঁহারা যাজ্ঞিক ব্রাহ্মণপত্নী ছিলেন,তাঁহারাই শ্রীজগদীশ পণ্ডিত ও শ্রীহিরণ্য পণ্ডিতরূপে গৌরলীলা পুষ্টির জন্য আবির্ভূত হইয়াছেন I ব্রজে রসকোবিদচন্দ্রহাস
নর্ত্তকরূপেও শ্রীজগদীশ পণ্ডিত প্রভুর পূর্ব্বলীলার পরিচয় প্রদত্ত হইয়াছে I ইনি শ্রীচৈতন্যশাখা
ও নিত্যানন্দশাখা
- উভয় শাখায় গণিত হন I
ভারতের পূর্ব্বাঞ্চলে গুয়াহাটিতে (প্রাগ জ্যোতিষ পুরে) পৌষী শুক্লা দ্বাদশী তিথিতে শ্রীজগদীশ পণ্ডিত আবির্ভূত হইয়াছিলেন I তাঁহার পিতৃদেব ছিলেন শ্রীকমলাক্ষ ভট্ট I শ্রীজগদীশ পণ্ডিতের পিতামাতা পরম বিষ্ণুভক্তি পরায়ণ ছিলেন I ইঁহার শ্রীপাট চাকদহের নিকট যশড়া গ্রামে অবস্থিত I
''জগদীশ পণ্ডিত আর হিরণ্য মহাশয় I
যারে কৃপা কৈল বাল্যে প্রভু দয়াময় II
এই দুই ঘরে
প্রভু একাদশী দিনে I
বিষ্ণুর নৈবেদ্য মাগি খাইল আপনে II''
''শ্রীজগদীশ পণ্ডিত হয় জগৎ পাবন I
কৃষ্ণপ্রেমামৃত বর্ষে যেন বর্ষাঘন II''
''ভক্তের দ্রব্য প্রভু কাড়ি কাড়ি খায় I
অভক্তের দ্রব্য পানে উলটি না চায় II''
পুরুষোত্তম হইতে শ্রীজগন্নাথদেব যশড়া শ্রীপাটে শুভবিজয় করিয়াছেন I অগণিত নরনারী যশড়া শ্রীপাটে শ্রীজগন্নাথদেবকে
দর্শনের জন্য আসিতে থাকেন I প্রথমে গঙ্গাতীরে বট বৃক্ষর নীচে শ্রীজগন্নাথ মূর্ত্তি প্রতিষ্ঠিত ছিলেন,পরে গোয়াড়ি কৃষ্ণনগরের রাজা শ্রীকৃষ্ণচন্দ্রের সাহায্যে তথায় একটি মন্দির নির্ম্মিত হয় I মন্দিরটি চূড়াবিহীন সাধারণ গৃহাকার I শ্রীমন্দিরে শ্রীজগন্নাথদেব,শ্রীরাধাবল্লভ জীউ ও শ্রীগৌর - গোপাল বিগ্রহগণ বিরাজিত আছেন I যে যষ্টির সাহায্যে শ্রীজগদীশ পণ্ডিত প্রভু পুরী হইতে শ্রীজগন্নাথ বিগ্রহ আনয়ন করিয়াছিলেন,তাহা শ্রীজগন্নাথ মন্দিরে অদ্যপি রক্ষিত আছে I শ্রীজগন্নাথদেবের
রথযাত্রা হয় না I শ্রীজগন্নাথদেবের
স্নানযাত্রা উৎসব প্রতি বৎসর বিশেষ সমারোহের সহিত সুসম্পন্ন হইয়া থাকে I শ্রীজগদীশ পণ্ডিত প্রভু ও তাঁহার সহধর্ম্মিণীর বাৎসল্য প্রেমে আকৃষ্ট হইয়া শ্রীগৌরাঙ্গ মহাপ্রভু ও শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু যশড়া শ্রীপাটে দুইবার শুভপদার্পণ করতঃ সংকীর্ত্তন বিহার ও মহোৎসব করিয়াছিলেন I শ্রীল জগদীশ পণ্ডিতের শ্রীপাটের সেবা বর্ত্তমানে শ্রীচৈতন্যগৌড়ীয়মঠ
প্রতিষ্ঠান কতৃক পরিচালিত হইতেছে I
''ভক্তপ্রেমবশ্য ভক্তবৎসল ভগবান তাঁহার ভক্তের সেবা গ্রহণ করিবার জন্য কতই না ছল অবলম্বন করেন! লক্ষ্মীসহস্রশত - সম্ভ্রম সেব্যমান গোবিন্দেরও যেন সেবকের অভাব হইয়া যায়,সেবাতে যেন বিঘ্ন উপস্থিত হয় ! অভীস্পিত সেবককে সেবা দিবার জন্য লীলাময় শ্রীহরি কতই না লীলাভঙি প্রকট করেন I’’শ্রীনিত্যানন্দ
প্রভুর প্রিয় পার্ষদ শ্রীল জগদীশ পণ্ডিত ঠাকুরের ও তাঁহার ভক্তিমতী ভাৰ্য্যা দুঃখিনী মায়ের স্বহস্ত সেবিত শ্রীশ্রীজগন্নাথদেব ও শ্রীগৌরগোপাল বিগ্রহও তদ্রুপ এক অপূর্ব্ব লীলাভঙ্গী করিয়া ভক্তরাজ ত্রিদণ্ডিস্বামী শ্রীমদ্ভক্তি দয়িত মাধব মহারাজের সেবা অযাচিতভাবে অঙ্গীকার করিলেন I
No comments:
Post a Comment