ভগবানের উপাসনা বা প্রার্থনা করার নিয়ম বা পদ্ধতি কি?

শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ 👈

👏সকল সাধু, গুরু,বৈষ্ণব ও গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রী চরণে আমার দণ্ডবৎ প্রণাম ।

➢শাস্ত্রমতে যে নয়টি উপায়ে ভগবানের উপাসনা বা প্রার্থনা করা যায় তাকে বলা হয় নববিধা ভক্তি।

শ্রীমদ্ভাগবতে  নববিধা ভক্তির কথা বলা হয়েছে…

শ্রবণং কীর্তনং বিষ্ণোঃ স্মরণং পাদসেবনম্।

অর্চনং বন্দনং দাস্যং সখ্যমাত্মনিবেদনম্।।

 ১)শ্রবণ ২)স্মরণ ৩)অর্চ্চন ৪)বন্দন ৫) কীর্ত্তন ৬)পাদসেবন ৭)দাস্য ৮) সখ্য ৯)আত্ম নিবেদন।ভক্তির এই নয়টি অঙ্গকে একত্রে নববিধা ভক্তি বলা হয়।

(১) ভগবানের দিব্যনাম কীর্তন করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন শুকদেব গোস্বামী।
(২) ভগবানের স্মরণ করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন প্রহ্লাদ মহারাজ।
(৩) ভগবানের অর্চ্চন করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন পৃথু মহারাজ।
(৪) ভগবানের বন্দনা করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন অক্রুর।
(৫) ভগবানের দিব্যনাম শ্রবণ করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন পরীক্ষিৎ মহারাজ।
(৬) ভগবানের শ্রীপাদপদ্মের সেবা করে ভগবদ্ধাম লাভ করেন দেবী লক্ষ্মী।
(৭) ভগবানের দাসত্ব করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন হনুমানজি।
(৮) ভগবানের সঙ্গে সখ্য স্থাপন করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন অর্জুন।
(৯) ভগবানের শ্রীপাদপদ্মে আত্মসমর্পণ করে ভগবদ্ধাম লাভ করেছিলেন বলি মহারাজ।

➢নববিধা ভক্তির যেকোন একটি আচরণ করে যেকেউ ভগবৎ কৃপা লাভ করতে পারেন। তবে কলিযুগে কেবল হরিনাম সংকীর্ত্তনই শাস্ত্র নির্দেশিত শ্রেষ্ঠ পন্থা।

"সংসার অনিত্য, মরণ সত্য
আর সত্য হরি নাম I
হরি হরি বলো, সাধু সঙ্গে চলো
ভালো হবেরে এ মন,
মানব জনমের পরিনাম" I