‘সাধন বিনা সাধ্য বস্তু কভু নাই পায়’
লোকে বলে "ঈশ্বর সাধনা অত্যন্ত কঠিন "
কেনকঠিন ???
যারা নিজেকে ফাঁকি দেয় , তাদের কাছে সব সাধনাই কঠিন । যেমন , ছাত্র যদি পড়াশোনায় ফাঁকি দেয় , সিনেমা দেখে , গল্প গুজব করে , খেলাধুলা করে, ঘুমিয়ে কাটায় , তা হলে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া তার পক্ষে সম্ভব নয় । তেমনি যারা কলিযুগের যুগ ধর্ম…
"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে ।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥"
এই মহামন্ত্র কীর্ত্তন করতে আগ্রহী নয় । যারা কলির কলুষতায় জীবন কাটায় - জুয়া , নেশা , অবৈধ সঙ্গ , মাছ-মাংস ইত্যদি অখাদ্য গ্রহণ করে। তবে তাদের পক্ষে কৃষ্ণভজনা করা অবশ্যই কঠিন ব্যাপার । যারা মনগড়া মত নিয়ে বলে ভগবান নিরাকার নির্বিশেষ , সমস্ত জীবই ভগবান । তাদের পক্ষে ঈশ্বর সাধনা অবশ্যই কঠিন হবে । পরমেশ্বর শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন …
"ক্লেশোহধিকতরস্তেষামব্যক্তসক্তচেতসাম্ ।
অব্যক্তা হি গতির্দুঃখং দেহবদ্ভিরবাপ্যতে "॥
যাদের মন ভগবানের অব্যক্ত নির্বিশেষ রূপের প্রতি আসক্ত,তাদের পক্ষে পরমার্থিক লাভ করা অত্যন্ত কষ্টকর । কারণ অব্যক্তের উপাসনার ফলে কেবল দুঃখই লাভ হয় I যারা জানে শ্রীকৃষ্ণই পরমেশ্বর ভগবান,জীব হচ্ছে তাঁর নিত্য অংশ নিত্যদাস I শ্রীকৃষ্ণের ধাম পরমানন্দময় চিন্ময় লোকে ফিরে যাওয়াই এই জন্মের উদ্দেশ্য,এই উদ্যোগপূর্ণ জগতে জন্ম - মৃত্যু - জরা - ব্যাধি নিয়ে জন্মজন্মান্তর ধরে কীটপতঙ্গ,পশুপাখি গাছপালাদি দেহ ধারন করে পড়ে থাকা অত্যন্ত দুঃখের বিষয় I এই ধারণা যাদের হয়েছে, তাঁদের কাছেই হরিভজন একমাত্র আনন্দের বিষয়, এছাড়া সমস্ত কৃষ্ণবহির্মুখ ক্রিয়াকলাপই অত্যন্ত কষ্টের I তাছাড়াও কৃষ্ণকথা শ্রবণ করা,পাঠ করা, কৃষ্ণনাম কীর্ত্তন করা,কৃষ্ণকে একটু ফুল-জল দিয়ে পূজা করা,কৃষ্ণপ্রসাদ গ্রহণ করা এই পৃথিবীর যে কোনোও সাধারণ মানুষের পক্ষে কখনোও কঠিন নয় I
গীতায় ভগবান ঈশ্বরের আরাধনার জন্য সহজ সরল পন্থা প্রদান করেছেন।
“পত্রং পুষ্পং ফলং তোয়ং যো মে ভক্ত্যা প্রযচ্ছতি।
তদহং ভক্ত্যুপহৃতমশ্নামি প্রযতাত্মনঃ।।”
তদহং ভক্ত্যুপহৃতমশ্নামি প্রযতাত্মনঃ।।”
অর্থাৎ যে বিশুদ্ধচিত্ত নিষ্কামভক্ত ভক্তি সহকারে আমাকে পত্র পুষ্প ফল ও জল অর্পন করে, আমি তার সেই ভক্তিপ্লুত উপহার প্রীতি সহকারে গ্রহণ করি।
সর্বদা শ্রীমুখে ‘’হরে কৃষ্ণ হরে হরে’’।
বলিতে আনন্দ-ধারা নিরবধি ঝরে॥
(চৈঃ ভাঃ আ ১/১৯৯)
কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্রের এইত স্বভাব।
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব॥
(চৈঃ চঃ আ ৭/৮৩)
গৌর যে শিখাল নাম সেই নাম গাও।
অন্য সব নাম-মাহাত্ম্য সেই নামে পাও॥
বলিতে আনন্দ-ধারা নিরবধি ঝরে॥
(চৈঃ ভাঃ আ ১/১৯৯)
কৃষ্ণনাম-মহামন্ত্রের এইত স্বভাব।
যেই জপে, তার কৃষ্ণে উপজয়ে ভাব॥
(চৈঃ চঃ আ ৭/৮৩)
গৌর যে শিখাল নাম সেই নাম গাও।
অন্য সব নাম-মাহাত্ম্য সেই নামে পাও॥
সদা জপ করুন…
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে I
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে II
No comments:
Post a Comment