Tuesday, March 3, 2020


ত্রিস্পৃশা মহাদ্বাদশী
♥♥শুভ মহাদ্বাদশী♥♥ ♥♥শুভ মহাদ্বাদশী♥♥ ♥♥শুভ মহাদ্বাদশী♥♥
হরে কৃষ্ণ, আগামী ০৬/০৩/২০২০ ইং রোজ - শুক্রবার ত্রিস্পৃশামহাদ্বাদশী I
(পারণ - পরদিন পূর্ব্বাহ্ন ০৯।৫২ মিঃ মধ্যে দ্বাদশীর পারণ)

আপনি নিজে মহাদ্বাদশী ব্রত পালন করুন ও অন্যকে পালনে উৎসাহিত করুন।

প্রথমে একাদশী তারপর সমস্ত দিন দ্বাদশী এবং রাত্রিশেষে ত্রয়োদশী হলে তাত্রিস্পৃশানামে অভিহিত হয়ে থাকে। শ্রীহরির বিশেষ প্রিয় এই মহাপুণ্য তিথিতে সযত্নে উপবাস করা কর্তব্য। ব্রতের পারণ ত্রয়োদশীতে করতে হয়।

পদ্মপুরাণে শ্রীসনৎকুমার-বেদব্যাস সংবাদে ব্রতের মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। সনৎ কুমার বললেন, - সর্বপাপবিনাশিনী ত্রিস্পৃশা মহাব্রত সকলেরই পালন করা উচিত।হে মহামুনে ! দেবদেব শ্রীহরি সকলকে মোক্ষ প্রদান করার জন্য তিথির মধ্যে শ্রেষ্ঠ ত্রিস্পৃশা দেবী কে উৎপন্ন করেছিলেন। যে জন এই পবিত্র ব্রত পালন না করে তাঁর কোটি কোটি তীর্থ,অসংখ্য ব্রত আর নিখিল দেবতাদের পুজো করলেও কখনও ফল প্রাপ্তি লাভ করতে পারেন নাই।

প্রাচীন কালে চক্রধারী ভগবান বিষ্ণু ক্ষীরসমুদ্রে শিব, ব্রহ্মা আমার কাছে ব্রত সম্পর্কে বলেছিলেন। জড় বিষয়ে অত্যন্ত আসক্ত ব্যক্তিও যদি এই ব্রত পালন করে, তবে তারা মুক্তিলাভের যোগ্য হয়। শ্রীমহাদেব জী ভৃগুবাক্যে ত্রিস্পৃশামহাদ্বাদশী ব্রতের দিন উপবাস করে ব্রহ্মহত্যা জনিত পাপ থেকে মুক্ত হয়েছিলেন এবং ফলস্বরূপ উনার হাত থেকে ব্রহ্মার কপাল ভূপতিত হয়েছিল।

হে মুনিবর! বারাণসীতে প্রয়াগে মৃত্যু হলে এবং গোমতীতে স্নান করলে মানুষের মুক্তি লাভ হয়। কিন্তু ত্রিস্পৃশা ব্রতে কেবল উপবাসের ফলে গৃহে থেকে এই মুক্তি লাভ হয়।একসময় শ্রীজাহ্নবী (গঙ্গা দেবী) ভগবান মাধবের কাছে কান্না করতে করতে নিজের অভিযোগ নিবেদন করলেন, - হে হৃষীকেশ! কলিযুগের মহাপাপী মানুষ যখন আমার জলে স্নান করবে, সেই পাপে আমি কলুষিত হয়ে পড়ব। থেকে পরিত্রাণের উপায় কি? শ্রীমাধব বললেন- হে গঙ্গে! শতকোটি তীর্থ থেকে যিনি শ্রেষ্ঠ,কোটি জজ্ঞ থেকেও যিনি প্রশস্থ আরও সাংখ্যযোগ থেকে যাহার প্রাধান্য বেশি সর্বকলুষ বিনাশী ত্রিস্পৃশা ব্রত তুমি পালন কর। ভগবানের নির্দ্দেশে গঙ্গাদেবী ত্রিস্পৃশা ব্রত পালন করে কলির কলুষ থেকে মুক্ত হন।

হে মুনিবর! বিষয় অনুরাগী ব্যক্তি কিংবা বিষয় অনাসক্ত, উভয়ের পক্ষে মুক্তি লাভ করা কঠিন। তাই মুক্তিদানকারী ত্রিস্পৃশা ব্রতের অনুষ্ঠান সবাই - এর করা কর্তব্য।

★★★সবাইকে অনুরোধ রইল অবশ্যই মনে রাখবেন যে, দ্বাদশী ব্রত বা কোন উপবাস মানেই কিন্তু শুধু না খেয়ে থাকা নয়,বরং শুদ্ধ/পবিত্র দেহ,মন নিয়ে ব্রত/উপবাস রেখে নিরন্তর "ভগবানের নাম জপ" হরিকথা শ্রবণ, কীর্ত্তন,গীতাপাঠ করে "ভগবান কে প্রসন্ন/খুশি করাই  ব্রত/ উপবাসের মূল উদ্দেশ্য"★★★

‘’দ্বাদশ্যাং নিরাহারো ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব।।

এই মন্ত্র পাঠ করে নির্দিষ্ট সময়ের আগে পারণ করতে হয়।
গীতার মাহাত্ম্যে উল্লেখ আছে

‘’যোহধীতে বিষ্ণুপর্বাহে গীতাং শ্রীহরিবাসরে।
স্বপন জাগ্রৎ চলন তিষ্ঠন শত্রুভির্ন হীয়তে।।

অর্থাৎ শ্রীবিষ্ণুর উৎসবের দিনে, একাদশী,মহাদ্বাদশী জন্মাষ্টমীতে যিনি গীতা পাঠ করেন , তিনি চলুন বা দাড়িয়ে থাকুন, ঘুমিয়ে বা জেগে থাকুন,(যে অবস্থাতেই থাকুন না কেন) শত্রু কখনো তার কোন ক্ষতি করতে পারেনা।
জয় শ্রীকৃষ্ণের জয়জয় ত্রিস্পৃশামহাদ্বাদশী মহাব্রতের জয়

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...