Wednesday, April 15, 2020



নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডিস্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিবল্লভ তীর্থ  গোস্বামী গুরুমহারাজ
(তিরোভাব)
শ্রী শ্রী গুরু গৌরাঙ্গ জয়তঃ
সকল সাধু,গুরু,বৈষ্ণব গৌর ভক্তবৃন্দের শ্রীচরণে আমার দণ্ডবৎ প্রণাম I
''হরি - গুরু - বৈষ্ণব তিনিহেঁ স্মরণ।
তিনেহেঁ স্মরণ হইতে বিঘ্ন বিনাশন।।
অনায়াসে হয় নিজ বাঞ্ছিত পূরণ ।।''

আজ ১৬ এপ্রিল,৩ বৈশাখ, বৃহস্পতিবার, পরম ভাগবতবর শ্রীল ভক্তিদয়িত মাধব গোস্বামী  মহারাজের অন্তরঙ্গ পার্ষদ বিশ্বব্যাপী শ্রীচৈতন্যগৌড়ীয় মঠের  পূর্বতন আচার্য্য,বিশ্ব বৈষ্ণব রাজসভার সভাপতি  গৌড়ীয় সিংহ পুরুষ খ্যাত মহা তেজস্বী বৈষ্ণব মহাজন, গৌড়ীয় বৈষ্ণব গগনের উজ্জ্বল নক্ষত্রমণি,বৈষ্ণবকুল চূড়ামণি পরমারাধ্যতম পতিতপাবন পরমকরুণাময় শ্রীনিত্যানন্দের - অভিন্ন - প্রকাশ, ভাগবত - জ্ঞান - প্রদাতা ভগবানের - সেবায় - অধিকার - প্রদানকারি নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডি স্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিবল্লভ তীর্থ গোস্বামী গুরু মহারাজের ৩য় তম বার্ষিক বিরহ মহোৎসব I

শ্রী শ্রীমদ্ভক্তিবল্লভ তীর্থ  গোস্বামী গুরুমহারাজের উপদেশাবলী---

০১-শ্রীভগবানের তদ্ভক্তের শুভাবির্ভাব তিরোভাব তিথিদ্বয় মহোৎসব রূপে পালন করিলে অথবা যেখানে পালিত হয়,সেখানে যোগদান করিলে আধ্যাত্ম জীবনের উন্নয়ন বিষয়ে অনুরাগ ক্রমশঃ বর্ধিত হয়।

‘’জন্ম কর্ম মে দিব্যম এবম যো বেত্তি তত্ত্বতঃ
ত্যত্ত্বা দেহম পুনর্জন্ম নৈতি মামেতি সঃ অর্জুন ।।‘’ (গীতা- /৯)

অর্থাৎ: হে অর্জুন, যিনি আমার এই প্রকার দিব্য জন্ম এবং কর্ম যথাযথ ভাবে জানেন, তাঁকে আর দেহ ত্যাগ করার পর পুনরায় জন্মগ্রহণ করতে হয় না, তিনি আমার নিত্যধাম লাভ করে।
০২-শ্রীভগবান তদ্ভক্তের জন্য যে সময়,অর্থ দৈহিক কষ্ট স্বীকার করি,-তাহা নিত্য ভগবদ্ধামে সঞ্চিত থাকে।আমাদের শক্তি সামর্থ্য যাহা কিছু ভগবদুদ্দেশ্যে ব্যয়িত হয়,তাহার সুফল আমরা আগামী জীবনে লাভ করিতে পারি।

''তোমার সেবায় দুঃখ হয় যত,সেই পরম সুখ।
সেবা সুখ দুঃখ পরম সম্পদ নাশয়ে অবিদ্যা দুঃখ।।''

০৩-ভগবৎ ভাবোন্মত্ততা,দেহ মনের সংযম,পবিত্রতা এবং যথার্থ ভগবৎ প্রীতির উদ্দেশ্যে বৈরাগ্য প্রধান মহাজন মহাপুরুষের নিস্কলঙ্কিত শুদ্ধ শ্রীকৃষ্ণ ভজন আদর্শময় জীবন চরিত্র প্রীতি পূর্বক শুদ্ধভক্তি লাভের উদ্দেশ্যে মনযোগ দিয়া নিত্য অনুশীলন,পরস্পর শ্রবণ,কীর্ত্তন ইত্যাদি করিলে অতি শীঘ্র জীবন পবিত্রতা লাভ করে এবং ভগবানের শুদ্ধভক্তির উদয় হয়।ইহা অপেক্ষা সহজ পথ আর নাই।

''মহাজন যেন গত: পন্থা।।''
০৪-ভগবৎ তত্ত্বের সর্বোত্তম প্রকাশ স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তাঁহার নিত্যলীলাধাম শ্রীবৃন্দাবনেই করিয়াছেন। শান্ত,দাস্য,সখ্য,বাৎসল্যের পূর্ণতম প্রকাশ সর্বোত্তম রসের উৎকর্ষ মধুর আশ্রয় বিগ্রহ ব্রজগোপী ভাবে বিভাবিত আনুগত্যে সেই অখণ্ড রসবল্লভ বিষয়বিগ্রহ স্বয়ং ভগবান শ্রীকৃষ্ণকে 'ভজনই' সাধনার চরম পরম লক্ষ্য।

‘’চেতোদর্পণমার্জনং ভবমহাদাবাগ্নি-নির্বাপণং
শ্রেয়ঃকৈরবচন্দ্রিকাবিতরণং বিদ্যাবধূজীবনম্।

আনন্দাম্বুধিবর্ধনং প্রতিপদং পূর্ণামৃতাস্বাদনং
সর্বাত্মস্নপনং পরং বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণসংকীর্তনম্।।‘’

অনুবাদঃ- চিত্তরূপ দর্পণের মার্জনকারী, ভবরূপ মহাদাবাগ্নি নির্বাপণকারী, জীবের মঙ্গলরূপ কৈরবচন্দ্রিকা বিতরণকারী, বিদ্যাবধূর জীবনস্বরূপ, আনন্দ-সমুদ্রের বর্ধনকারী, পদে পদে পূর্ণামৃতাস্বাদনস্বরূপ এবং সর্বস্বরূপে শীতলকারী শ্রীকৃষ্ণ-সংকীর্তন বিশেষরূপে জয়যুক্ত হোন।
০৫-মন্ত্রশ্রেষ্ঠ মহামন্ত্র যাহা গৌরহরি জগৎ কে প্রদান করিয়া শিখাইয়া গিয়াছেন সেই,---
''হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।''

এই মহামন্ত্রই জীব মাত্রেই ভক্তি প্রেমভরে রসনা যোগে উচ্চঃস্বরে কীর্ত্তনই আমাদের প্রধান সাধন। নিরন্তর শুদ্ধান্তঃ করেন সেই কৃষ্ণনাম কীর্ত্তন,শ্রবণ,মননের দ্বারা জীবের অনন্ত জীবনের নিখিল পাপ অচিরেই বিনাশ প্রাপ্ত হয়।
এক জীবনেই শুদ্ধাত্মা সংসার মুক্ত হইয়া শ্রীকৃষ্ণধামে পরমানন্দময় প্রেম সেবা লাভ করেন।

ধনং জনং সুন্দরীং কবিতাং বা জগদীশ কাময়ে।
মম জন্মনি জন্মনীশ্বরে ভবতাদ্ভক্তিরহৈতুকী ত্বয়ি।।

অনুবাদঃ হে জগদীশ! আমি ধণ, জন বা সুন্দরী রমণী কামনা করি না; আমি কেবল এই কামনা করি যে, জন্মে জন্মে তোমাতেই আমার অহৈতুকী ভক্তি হোক।

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...