Friday, April 24, 2020


নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডিস্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীল ভক্ত্যালোক পরমহংস গোস্বামী মহারাজ
(আবির্ভাব)
নমো ওঁ বিষ্ণুপাদায় প্রভুপাদ প্রিয়াত্মনে।
শ্রীমতে ভক্ত্যালোক পরমহংস নামিনে।।
অশেষ ক্লেশ নাশায় শ্রীগৌরাঙ্গ সন্তোষনায় চ।
কৃষ্ণ সেবার্ত্তি প্রদানায় তস্মৈ শ্রীগুরবে নমঃ।।

পরমারাধ্য শ্রীল ভক্ত্যালোক পরমহংস গোস্বামী মহারাজের শুভ আবির্ভাব ১৩০০ বঙ্গাব্দে,বৈশাখ মাস,শুক্লা প্রতিপদ তিথিতে অশ্বিনী নক্ষত্রে রবিবারে হয়েছিলন। শ্রীল মহারাজ খুবই নাম ভজন পরায়ণ ছিলেন। বৈষ্ণবচিত প্রায় সকল সদ্গুণই তাঁহাতে বিরাজিত ছিল।এই সমস্ত ভুবন পাবন বৈষ্ণব সত্যই  ধরিত্রী বঙ্গের মহামূল্য রত্ন স্বরূপ। ''তাঁহা বিনা রত্ন শূন্য হইলা মেদিনী।'' পিতামাতার দেওয়া নাম  ''শ্রীমহেন্দ্রনাথ''।শ্রীল প্রভুপাদ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের শ্রীচরণাশ্রিত শ্রীহরিনাম দীক্ষা প্রাপ্ত শুভনাম 'শ্রীপাদ মহানন্দ ব্রহ্মচারী'।পরবর্ত্তীতে তাহার ভজন নিষ্ঠা,সেবা নিষ্ঠা, অকল্পনীয় দৈন্যতা, নম্রতা,সহিষ্ণুতা, ইত্যাদি মহত্তম গুণে সন্তুষ্ট হইয়া শ্রীগৌরাবির্ভাব শুভ তিথি বাসরে আয়োজিত বিশ্ব - বৈষ্ণব রাজসভায় সর্ব সমক্ষে 'ভক্ত্যালোক' এই ভক্তিসূচক উপাধিতে ভূষিত করেন।

শ্রীলপ্রভুপাদের অপ্রকটের পর তিনি পরম পূজ্যপাদ শ্রীল ভক্তি রক্ষক শ্রীধরদেব গোস্বামী মহারাজের নিকট ত্রিদণ্ড সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া বৈষ্ণব জগতে 'ত্রিদণ্ডি স্বামী ভক্ত্যালোক পরমহংস গোস্বামী মহারাজ' শুভ নামে খ্যাত হন। শ্রীল প্রভুপাদ পূজ্যপাদ মহারাজকে তাহার ব্রহ্মচারী অবস্থায় কৃষ্ণনগর ভাগবত প্রেসের এবং পরে শ্রীধাম মায়াপুরে শ্রীচৈতন্য মঠের ম্যানেজমেন্টের ভার প্রদান করেন।শ্রীল প্রভুপাদের অপ্রকটের পর শ্রীগৌড়ীয় বেদান্ত সমিতিতে পরম পূজ্যপাদ শ্রীল ভক্তিপ্রজ্ঞান কেশব গোস্বামী মহারাজের সহিত অনেকদিন যাবৎ বিভিন্ন সেবা প্রচার কার্য্যে একসাথে প্রচার করেন।

পরিশেষে তিনি শ্রীধাম মায়াপুরে শ্রীমঠ নির্ম্মাণ পূর্বক শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করিয়া একান্তে ভজনানন্দে নিমগ্ন থাকেন। শ্রীধাম মায়াপুরেই তিনি নিত্য কালের জন্য শ্রীশ্রীগৌর - গোবিন্দ   লীলায় প্রবেশ করেন।

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...