Tuesday, April 7, 2020

শ্রী বংশীবদনানন্দ ঠাকুর
আবির্ভাব
হরে কৃষ্ণ, আগামী ০৮/০৪/২০২০ ইং রোজ - বুধবার পরমহংস শ্রীবংশীবদনানন্দ ঠাকুরের শুভ আবির্ভাব তিথিপূজা মহামহোৎসব।
''বংশী কৃষ্ণপ্রিয়া যাসীৎ সা বংশীদাস ঠক্কুরঃ।।''
যিনি কৃষ্ণপ্রিয়া বংশী ছিলেন,তিনি এক্ষণে বংশীদাস ঠাকুর। শ্রীকৃষ্ণের অধরামৃৎস্পৃষ্ট বংশীর সৌভাগ্যের মহিমা শ্রীকৃষ্ণপ্রিয়া গোপীগণ কীর্ত্তন করিয়াছেন।ব্রজের সবই চিন্ময়।সেই ব্রজের চিন্ময় বংশীর অবতার শ্রীবংশীবদনানন্দ ঠাকুর।

শ্রীবংশীবদনানন্দ ঠাকুর বৈষ্ণব সমাজে পাঁচটী নাম পরিচিত। বংশীবদন,বংশীদাস,বংশী,বদন বদনানন্দ। ইনি একজন প্রসিদ্ধ পদকর্ত্তা ছিলেন।১৪১৬ শকে মধুপূর্ণিমা শুভ তিথিবাসরে (চৈত্র পূর্ণিমা তিথিতে) ইনি আবির্ভূত হন।ইঁহার পিতার নাম শ্রীছকড়ি চট্টোপাধ্যায়,জননী শ্রীচন্দ্রকলা দেবী।এইরূপ কথিত হয় যে ঠাকুরের আবির্ভাবকালে শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রী অদ্বৈতাচার্য্য প্রভু উপস্থিত ছিলেন।শ্রীমন্মহাপ্রভুর সন্ন্যাস গ্রহণের পরে শ্রী বংশীবদন ঠাকুর শ্রীশচীমাতা শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর রক্ষক সেবকরূপে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। 

'বংশী শিক্ষা' গ্রন্থে এইরূপ লিখিত আছে,-
''চৌদ্দ শত ষোল শকে মধু পূর্ণিমায়।
বংশীর প্রকটোৎসব সর্ব্বলোকে গায়।।''
'শ্রীপাট পর্যটনে',---
''কুলিয়া পাহাড়পুর দুই নির্দ্ধার।
বংশীবদন, কবিদত্ত, সারঙ্গঠাকুর।।
এই দুই গ্রামে তিনি সতত বিহার।
কুলিয়া পাহাড়পুর নাম খ্যাত হয়।।''

ইঁহার শ্রীপাট কোলদ্বীপে (বর্ত্তমানে শহর নবদ্বীপে) বা কুলিয়া পাহাড়পুরে।শ্রীবংশীবদন ঠাকুর গার্হস্থ্যলীলা করিয়াছিলেন। শ্রীনিত্যানন্দ দাস শ্রীচৈতন্য দাস তাঁহার দুই পুত্র।শ্রীবংশীবদন ঠাকুরের সেবিত বিগ্রহ শ্রীপ্রাণবল্লভ। পরে শ্রীবিষ্ণুপ্রিয়া দেবীর ইচ্ছাক্রমে ইনি শ্রীগৌরাঙ্গ বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা  করিয়াছিলেন। ঠাকুরের পূর্ব্ব পুরুষগণের প্রতিষ্ঠিত শ্রীগোপীনাথ বিগ্রহ তথায় পূর্ব্বে বিরাজিত ছিলেন।ইনি শেষ জীবনে বিল্বগ্রামে যাইয়া অবস্থান করিয়াছিলেন।বিল্বগ্রামের ভট্টাচার্য্য ব্রাহ্মণগণ ইঁহারই বংশধর বলিয়া কথিত।

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...