Tuesday, April 7, 2020


নিত্যলীলা প্রবিষ্ট ওঁ বিষ্ণুপাদ পরিব্রাজকাচার্য্য ত্রিদণ্ডিস্বামী ১০৮ শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিবিলাস ভারতী  গোস্বামী মহারাজ
(আবির্ভাব)
হরে কৃষ্ণ, আগামী ০৮/০৪/২০২০ ইং রোজ - বুধবার শ্রী - শ্রীমদ্ভক্তিবিলাস ভারতী গোস্বামী মহারাজের শুভ আবির্ভাব তিথিপূজা মহামহোৎসব।

১৯০৪ সালে ৩১শে মার্চ,বাংলা ১৩১০ সন ১৮ই চৈত্র বৃহস্পতিবার শ্রীশ্রীবলরামের রাসযাত্রা,শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস পূর্ণিমা তিথিতে ২৪ পরগনা জেলাস্থিত শ্রীশ্রীলপ্রভুপাদ ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী ঠাকুরের শ্রীচরণাশ্রিত পিতৃদেব শ্রীযুক্ত ফটিক চন্দ্র দাসাধিকারীর ভজনাশ্রমে এবং মাতা ঠাকুরাণী শ্রীমতী গিরিবালা দেবীর অপ্রাকৃত বাৎসল্যাকর্ষণে শ্রীল মহারাজ আবির্ভাব লীলা প্রকট করেন।১৯০৯ সালে শ্রীল মহারাজ পাঁচ বৎসর বয়সে স্বপ্নে সর্বপ্রথম শ্রীলপ্রভুপাদের অপূর্ব দেবদ্বিজ শ্রীমূর্ত্তী দর্শন পান।

১৯১৩ সালে প্রায় সাত বৎসর বয়সে কলিকাতায় এপ্রিল মাসে পরমার্থ পিতার সহিত শ্রীল প্রভুপাদের সাক্ষাৎ দর্শনের লাভ হয়। তিনি সাত বৎসর বয়সে শ্রীমদ্ভাগবত গীতা অধ্যয়নে স্বর্ণমুদ্রা প্রাপ্ত পুরস্কৃত হন।শৈশবেই লেখা পড়াতে অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র ছিলেন। বিভিন্ন কবিতা রচনা দ্বারা ভগবৎ ভক্তিতে আসক্তি হওয়ায় পিতামাতা জনগণের চোখের মণি হইয়া বিরাজ করিতেন। বাল্যকালে উক্ত গ্রামের বিচারপতি চিকিৎসক ছিলেন।
                                                                      
১৯১৮ সালের পর প্রায় ব্যাকুল চিত্তে শ্রীলপ্রভুপাদ দর্শনে শ্রীধাম মায়াপুর গমনাগমন করিতেন এবং  পূর্বাশ্রম থেকে বিপুল আনন্দে উৎসাহের সহিত বহু ত্যাগ স্বীকার দ্বারা মাথায় করিয়া বহু 'ডাব ফলাদি' শ্রীলপ্রভুপাদের সেবার জন্য আনিতেন।অতি অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সকল সন্ন্যাসী প্রভুদের নিকট স্নেহ ভাজন হইয়া বহু সেবাদি কার্য্যে শ্রীলপ্রভুপাদের সুখ বিধান করেন। ২৫ বৎসর হইতে ৩০ বৎসর পর্য্যন্ত শ্রীলপ্রভুপাদের নিকট বহু কঠিন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইবার পরও তাঁহার শাসন লীলার দ্বারা সেবাকার্য্যাদিতে সন্তুষ্ট হইয়া শ্রীহরিনাম দীক্ষায় উপাধি পাইলেন,- 'সেবা বিলাস প্রভু'।তিনি ব্যাসোত্তম দ্বিজশ্রেষ্ঠ শ্রীশ্রীলভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী ঠাকুরের প্রেষ্ঠতম একনিষ্ঠ সেবাবিলাস নামে পরিচিত শ্রীলপ্রভুপাদের নিত্যসিদ্ধ পার্ষদ ছিলেন। তাঁহার আচরণ,ব্যবহার, শিক্ষা - দীক্ষা, ভজন - সাধন,প্রণালী - লেখনী, ভাষাজ্ঞান - বৈরাগ্য হরিকথা, সিদ্ধান্ত সদালাপ কথোপকথনে শ্রীধাম সেবাকার্য্যাদিতে শাসন লীলায় তিনি ছিলেন অন্যতম সর্বশ্রেষ্ঠ।

শ্রীলপ্রভুপাদের অপ্রকট পরে তিনি শ্রীচৈতন্য মঠের মঠাধক্ষ ছিলেন। বহুদিন শ্রীমন্মহাপ্রভুর আবির্ভাব ক্ষেত্র শ্রীচৈতন্য মঠ শ্রীলপ্রভুপাদের স্থান শ্রীজগন্নাথ মিশ্রের সেবিত বিগ্রহ যোগপীঠে 'শ্রীঅধোক্ষজ মূর্ত্তি' তাঁহার প্রাণ। ১৯৪০ সালে ঝাড়গ্রামস্থিত  পূজ্যপাদ শ্রীল ভক্তিভূদেব শ্রৌতি গোস্বামী মহারাজের নিকট তিনি ত্রিদণ্ড সন্ন্যাস গ্রহণ করিয়া ''শ্রীল ভক্তিবিলাস ভারতী গোস্বামী মহারাজ'' নামে পরিচিত হইয়া বহু গ্রন্থাদি অধ্যাবসায় দ্বারা নিজ অর্থে শ্রীল প্রভুপাদের বাণী প্রচারার্থে 'শ্রীভক্তি বিলাস গ্রন্থাবলী সঙ্কলিত প্রকাশের মধ্য দিয়া মহাজন বাণী গ্রন্থাকারে প্রকাশ প্রচার করিয়াছেন।

শ্রীল মহারাজ ভুবনেশ্বর,পুরী কলিকাতায় শ্রীরূপানুগ ভজনাশ্রম নির্ম্মাণ করিয়া গ্রন্থাদি সংকলনাদির দ্বারা প্রচার কার্য্যে গ্রন্থাদি মুদ্রণের উদ্দেশ্যে থাকিয়া পরবর্ত্তী জীবনে শ্রীধামবাস শ্রীধাম সেবাদির মহৎ উদ্দেশ্যে শ্রীমায়াপুর শ্রীরূপানুগ ভজনাশ্রম স্থাপন করিয়া শ্রীশ্রীগুরু - গৌরাঙ্গ - গিরিধারী এবং স্বপ্ন প্রদত্ত শ্রীশ্রীরাধাশ্যামসুন্দর  শ্রীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা দ্বারা শ্রীগুরু - গৌরাঙ্গের কৃপায় শ্রীহরিনাম ভজন করিতেন। তাঁহার সিদ্ধান্ত বৈষ্ণব ত্যাগীদের পক্ষে বিষয়ীর অন্ন অর্থ বিষপ্রদ, ক্ষেত্রে শ্রীমন্মহাপ্রভুর বাণী স্মরণে অনুশীলনে জীবের মঙ্গলপ্রদ ধর্ম্ম রক্ষার্থে ত্যাগীর ধর্ম্ম - কর্ম্ম পালনীয়।

শ্রীল মহারাজ ভবিষ্যৎ বাণীতে নিজ ইচ্ছামৃত্যু জ্ঞাপন দ্বারা ১৯৯৫ সালের ৭ই জানুয়ারী,শনিবার সকাল .৪৫ মিঃ নারায়ণ গৌর সপ্তমী তিথিতে স্বজ্ঞানে হরিনাম করিতে করিতে শ্রীশ্রীরাধাকৃষ্ণের নিত্য গোলক বৃন্দাবনীয় নিভৃত নিকুঞ্জ সেবায় নিশান্ত লীলায় প্রবিষ্ট হইলেন।

No comments:

Post a Comment

🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴🌴🌳 🌻🌼 শ্রীবলরামের রাসযাত্রা 🌹 শ্রীকৃষ্ণের বসন্তরাস 🌼🌻 🌳🌴🪴🌲🦚🍁💐🏵️🌺🌷🌺🏵️💐🍁🦚🌲🪴...